অনলাইন ডেস্ক
ডলার সংকটে পড়ে বিকল্প মুদ্রায় আমদানি-রপ্তানির উদ্যোগ নিচ্ছে বলিভিয়া। বিশেষ করে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যে ইউয়ান ব্যবহারের বিষয়টি সক্রিয়ভাবে চিন্তা করছে লাতিন আমেরিকার এই দেশ।
এক্ষেত্রে সান্তা ক্রুজ প্রদেশের উদ্যোক্তারা চীনা ব্যাংক খোলার পক্ষে মত দিয়েছেন বলে মস্কোর সংবাদমাধ্যম স্পুৎনিক জানিয়েছে। এর আগে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার মতো দক্ষিণ আমেরিকার বেশ কয়েকটি দেশ একই কাজ করেছে।
প্রতিবেদনে স্পুৎনিক বলেছে, চীনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে ইউয়ান ব্যবহারের বিষয়ে বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট লুইস আর্সে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একমত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ইউয়ান ব্যবহারই একমাত্র সমাধান বলে মনে করছে ডলার সংকটে থাকা লাতিন আমেরিকার দেশগুলো।
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে ইউয়ান চালু করতে সান্তা ক্রুজের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কয়েক সপ্তাহ ধরে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন বলিভিয়ায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত হুয়াং ইয়াঝং। আলোচনার এজেন্ডার মধ্যে দেশটিতে একটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠার বিষয়টিও রয়েছে।
বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য চীন, রাশিয়া ও ভারতের নেতৃত্বাধীন ব্লকের সঙ্গে ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ব্লকের যে ঠাণ্ডা লড়াই চলছে, তার কারণেই বলিভিয়ায় ডলারের ঘাটতি দেখা দিয়েছে বলে প্রেসিডেন্ট আর্সে মনে করছেন।
গত ১১ মে বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট লুইস আর্সে সাংবাদিকদের বলেন, ‘চীনের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ইউয়ানকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রবণতা আছে এ অঞ্চলে। এর মধ্যে এ অঞ্চলের দুটি বড় অর্থনীতি চীনের সঙ্গে ইউয়ানে লেনদেন করছে। এই উপায়ে বলিভিয়ার অর্থনীতি কিছু স্বস্তি পেতে পারে।’
ইউয়ানে বাণিজ্যে যেসব সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে তার সঠিক মূল্যায়নের জন্য আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের অর্থনৈতিক নীতি বিশ্লেষণে প্রেসিডেন্ট আর্সে সেন্ট্রাল ব্যাংক অব বলিভিয়াকে (বিসিবি) নির্দেশনাও দিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট আর্সেকে উদ্ধৃত করে স্পুৎনিক বলেছে, ‘লাতিন আমেরিকায় সবসময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বড় প্রভাব থাকে। কিন্তু এখন অনেক দেশই যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে চীনের সঙ্গে বেশি বৈদেশিক বাণিজ্য করছে; মানে পরিস্থিতি বদলাচ্ছে।’
ইউয়ানে বাণিজ্যের বিষয়ে আর্সে সরকারকে সমর্থন জানিয়েছেন দেশটির প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ইভো মোরালেস। স্থানীয় বেতার ‘রেডিও কাউসাচুন কোকা’ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘যদি চীনের সঙ্গে বাণিজ্য চালু হয় আমাদের আর ডলারের প্রয়োজন হবে না। এখানে চীনা ব্যাংক চালু হলে আমি প্রথম অ্যাকাউন্ট খুলব। এভাবে একটু একটু করে ডলার হারিয়ে যাবে।’
সান্তা ক্রুজ ভিত্তিক বেসরকারি উদ্যোক্তাদের কনফেডারেশনের সভাপতি অস্কার মারিও জাস্টিনিয়ানো স্থানীয় একটি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘বলিভিয়ায় চীনা ব্যাংক তৈরি হলে ইউয়ানে লেনদেন করা সম্ভব হবে। অবশ্যই ব্যাংকটি বলিভিয়ান পেসোতে লেনদেন করবে।’
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অনেক বাধার মুখে পড়ছে মার্কিন ডলার এবং প্রতিদিন তা বাড়ছে। অর্থাৎ রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান বিরোধ বিশ্বব্যাপী আর্থিক ব্যবস্থার উপর একটি অস্থিতিশীল প্রভাব ফেলেছে। এর মধ্যে প্রভাবশালী বাণিজ্য মুদ্রা হিসাবে মার্কিন ডলারের উপর চাপ আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। উল্টোদিকে বাণিজ্য মুদ্রা হিসাবে উত্থান ঘটেছে চীনা মুদ্রা ইউয়ানের। বাণিজ্য মুদ্রা হিসেবে ইউয়ানের উত্থান দৃঢ় হয়েছে আফ্রিকা ও এশিয়ার দেশগুলোতে। এবার লাতিন আমেরিকার পালা। এই অঞ্চলের কয়েকটি দেশের প্রধান বাণিজ্য অংশীদার চীন।
ব্লুমবার্গের তথ্য বলছে, ২০১০ সাল পর্যন্ত চীন ১ শতাংশেরও কম পণ্য ইউয়ানে লেনদেন করত আর ডলারে লেনদেন হতো ৮৩ শতাংশ পণ্য। কিন্তু গত মার্চে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চীনের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে ইউয়ানের ব্যবহার (৪৮ শতাংশ) ডলারকে (৪৭ শতাংশ) ছাড়িয়ে যায়।
সান্তা ক্রুজ বহু নৃগোষ্ঠী নিয়ে গঠিত দেশ বলিভিয়ার জন্য অর্থনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২০১২ সালে সান্তা ক্রুজের উৎপাদন ছিল জাতীয় রপ্তানির ২৭ শতাংশ। ২০২০ সালে যা দাঁড়িয়েছে ৩৯ শতাংশে। তাই সাবেক প্রেসিডেন্ট মোরালেসকে সান্তা ক্রুজের অর্থনৈতিক ক্ষমতার সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছিল। বর্তমান প্রেসিডেন্ট আর্সেকেও সেই লড়াই করতে হচ্ছে। কারণ সান্তা ক্রুজের উদ্যোক্তাদেরও শক্তিশালী সংগঠন রয়েছে। কিন্তু মতাদর্শগত বিভেদকে পাশে রেখে, এখন সান্তা ক্রুজের উদ্যোক্তারা বলিভিয়ায় চীনের একটি ব্যাংক খোলার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বলিভিয়ান ইনস্টিটিউট অব ফরেন ট্রেড (আইবিসিই) চীনে সঙ্গে দেশটির বাণিজ্য ভারসাম্যের অবস্থা তুলে ধরেছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ২০২২ সালে চীন থেকে আমদানি হয়েছে আড়াই শ কোটি বেশি ডলারের পণ্য এবং রপ্তানি হয়েছে ৮০ কোটি ডলারের পণ্য। বলিভিয়া চীন থেকে অটো যন্ত্রাংশ, টায়ার, মোটরসাইকেল, কৃষি উপকরণ, ভারী যন্ত্রপাতি এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতির মতো পণ্য আমদানি করে থাকে। অন্যদিকে, বলিভিয়া রূপা জিংক ও গরুর মাংস রপ্তানি করে চীনে ।
আইবিসিইর প্রেসিডেন্ট অ্যালান ক্যামি রোজেনম্যান স্থানীয় মিডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমরা গভীরভাবে বিষয়টি দেখছি। আর্জেন্টিনার মতো প্রতিবেশী দেশেও এমন পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। চীনের এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক ব্রাজিলেও রয়েছে। আমরা বুঝতে পারছি যে, চীন আজ বিশ্ব উন্নয়নের প্রধান অংশীদার হয়ে উঠছে। তাই এখানে লাতিন আমেরিকার দেশ বলিভিয়াও ব্যতিক্রম নয়।’
এসব বিষয় যাচাই করতে আইবিসিইর সঙ্গে স্পুৎনিক যোগাযোগ করেলও কোনো সাড়া মেলেনি। বলিভিয়ান মুদ্রা পেসো ও ইউয়ানের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কের বিশ্লেষক অর্থনীতিবিদ মাইক জেমিওর সঙ্গে কথা বলেছে স্পুৎনিক।
চীনা ব্যাংক খোলার সম্ভাবনা নিয়ে জেমিও বলেন, ‘এটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। কারণ এর মানে হলো- এখন আমাদের দেশীয় অর্থনীতিতে বিদেশিরা বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছে। ডলারের লাগাতার হোঁচট খাওয়া থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট বিশ্বব্যাপী অর্থনীতিগুলো আন্তর্জাতিক রিজার্ভের জন্য স্থানীয় মুদ্রা বা অন্য মুদ্রার দিকে ঝুঁকছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বলিভিয়া সরকারকে আরও সতর্কতার সঙ্গে এগোতে হবে। কোন দেশের সঙ্গে ব্যবসা করছে এবং মুদ্রার পরিবর্তন করবে কি না তা ঠিক করতে বলিভিয়াকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মূল্যায়ন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আফ্রিকা ও এশিয়ার অর্থনীতির সঙ্গে রাশিয়া ও চীনের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত জোটগুলোর কথাও বিবেচনা করতে।’
রিজার্ভ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
ডলার সংকটে পড়ে বিকল্প মুদ্রায় আমদানি-রপ্তানির উদ্যোগ নিচ্ছে বলিভিয়া। বিশেষ করে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যে ইউয়ান ব্যবহারের বিষয়টি সক্রিয়ভাবে চিন্তা করছে লাতিন আমেরিকার এই দেশ।
এক্ষেত্রে সান্তা ক্রুজ প্রদেশের উদ্যোক্তারা চীনা ব্যাংক খোলার পক্ষে মত দিয়েছেন বলে মস্কোর সংবাদমাধ্যম স্পুৎনিক জানিয়েছে। এর আগে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার মতো দক্ষিণ আমেরিকার বেশ কয়েকটি দেশ একই কাজ করেছে।
প্রতিবেদনে স্পুৎনিক বলেছে, চীনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে ইউয়ান ব্যবহারের বিষয়ে বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট লুইস আর্সে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একমত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ইউয়ান ব্যবহারই একমাত্র সমাধান বলে মনে করছে ডলার সংকটে থাকা লাতিন আমেরিকার দেশগুলো।
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে ইউয়ান চালু করতে সান্তা ক্রুজের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কয়েক সপ্তাহ ধরে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন বলিভিয়ায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত হুয়াং ইয়াঝং। আলোচনার এজেন্ডার মধ্যে দেশটিতে একটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠার বিষয়টিও রয়েছে।
বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য চীন, রাশিয়া ও ভারতের নেতৃত্বাধীন ব্লকের সঙ্গে ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ব্লকের যে ঠাণ্ডা লড়াই চলছে, তার কারণেই বলিভিয়ায় ডলারের ঘাটতি দেখা দিয়েছে বলে প্রেসিডেন্ট আর্সে মনে করছেন।
গত ১১ মে বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট লুইস আর্সে সাংবাদিকদের বলেন, ‘চীনের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ইউয়ানকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রবণতা আছে এ অঞ্চলে। এর মধ্যে এ অঞ্চলের দুটি বড় অর্থনীতি চীনের সঙ্গে ইউয়ানে লেনদেন করছে। এই উপায়ে বলিভিয়ার অর্থনীতি কিছু স্বস্তি পেতে পারে।’
ইউয়ানে বাণিজ্যে যেসব সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে তার সঠিক মূল্যায়নের জন্য আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের অর্থনৈতিক নীতি বিশ্লেষণে প্রেসিডেন্ট আর্সে সেন্ট্রাল ব্যাংক অব বলিভিয়াকে (বিসিবি) নির্দেশনাও দিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট আর্সেকে উদ্ধৃত করে স্পুৎনিক বলেছে, ‘লাতিন আমেরিকায় সবসময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বড় প্রভাব থাকে। কিন্তু এখন অনেক দেশই যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে চীনের সঙ্গে বেশি বৈদেশিক বাণিজ্য করছে; মানে পরিস্থিতি বদলাচ্ছে।’
ইউয়ানে বাণিজ্যের বিষয়ে আর্সে সরকারকে সমর্থন জানিয়েছেন দেশটির প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ইভো মোরালেস। স্থানীয় বেতার ‘রেডিও কাউসাচুন কোকা’ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘যদি চীনের সঙ্গে বাণিজ্য চালু হয় আমাদের আর ডলারের প্রয়োজন হবে না। এখানে চীনা ব্যাংক চালু হলে আমি প্রথম অ্যাকাউন্ট খুলব। এভাবে একটু একটু করে ডলার হারিয়ে যাবে।’
সান্তা ক্রুজ ভিত্তিক বেসরকারি উদ্যোক্তাদের কনফেডারেশনের সভাপতি অস্কার মারিও জাস্টিনিয়ানো স্থানীয় একটি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘বলিভিয়ায় চীনা ব্যাংক তৈরি হলে ইউয়ানে লেনদেন করা সম্ভব হবে। অবশ্যই ব্যাংকটি বলিভিয়ান পেসোতে লেনদেন করবে।’
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অনেক বাধার মুখে পড়ছে মার্কিন ডলার এবং প্রতিদিন তা বাড়ছে। অর্থাৎ রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান বিরোধ বিশ্বব্যাপী আর্থিক ব্যবস্থার উপর একটি অস্থিতিশীল প্রভাব ফেলেছে। এর মধ্যে প্রভাবশালী বাণিজ্য মুদ্রা হিসাবে মার্কিন ডলারের উপর চাপ আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। উল্টোদিকে বাণিজ্য মুদ্রা হিসাবে উত্থান ঘটেছে চীনা মুদ্রা ইউয়ানের। বাণিজ্য মুদ্রা হিসেবে ইউয়ানের উত্থান দৃঢ় হয়েছে আফ্রিকা ও এশিয়ার দেশগুলোতে। এবার লাতিন আমেরিকার পালা। এই অঞ্চলের কয়েকটি দেশের প্রধান বাণিজ্য অংশীদার চীন।
ব্লুমবার্গের তথ্য বলছে, ২০১০ সাল পর্যন্ত চীন ১ শতাংশেরও কম পণ্য ইউয়ানে লেনদেন করত আর ডলারে লেনদেন হতো ৮৩ শতাংশ পণ্য। কিন্তু গত মার্চে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চীনের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে ইউয়ানের ব্যবহার (৪৮ শতাংশ) ডলারকে (৪৭ শতাংশ) ছাড়িয়ে যায়।
সান্তা ক্রুজ বহু নৃগোষ্ঠী নিয়ে গঠিত দেশ বলিভিয়ার জন্য অর্থনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২০১২ সালে সান্তা ক্রুজের উৎপাদন ছিল জাতীয় রপ্তানির ২৭ শতাংশ। ২০২০ সালে যা দাঁড়িয়েছে ৩৯ শতাংশে। তাই সাবেক প্রেসিডেন্ট মোরালেসকে সান্তা ক্রুজের অর্থনৈতিক ক্ষমতার সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছিল। বর্তমান প্রেসিডেন্ট আর্সেকেও সেই লড়াই করতে হচ্ছে। কারণ সান্তা ক্রুজের উদ্যোক্তাদেরও শক্তিশালী সংগঠন রয়েছে। কিন্তু মতাদর্শগত বিভেদকে পাশে রেখে, এখন সান্তা ক্রুজের উদ্যোক্তারা বলিভিয়ায় চীনের একটি ব্যাংক খোলার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বলিভিয়ান ইনস্টিটিউট অব ফরেন ট্রেড (আইবিসিই) চীনে সঙ্গে দেশটির বাণিজ্য ভারসাম্যের অবস্থা তুলে ধরেছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ২০২২ সালে চীন থেকে আমদানি হয়েছে আড়াই শ কোটি বেশি ডলারের পণ্য এবং রপ্তানি হয়েছে ৮০ কোটি ডলারের পণ্য। বলিভিয়া চীন থেকে অটো যন্ত্রাংশ, টায়ার, মোটরসাইকেল, কৃষি উপকরণ, ভারী যন্ত্রপাতি এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতির মতো পণ্য আমদানি করে থাকে। অন্যদিকে, বলিভিয়া রূপা জিংক ও গরুর মাংস রপ্তানি করে চীনে ।
আইবিসিইর প্রেসিডেন্ট অ্যালান ক্যামি রোজেনম্যান স্থানীয় মিডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমরা গভীরভাবে বিষয়টি দেখছি। আর্জেন্টিনার মতো প্রতিবেশী দেশেও এমন পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। চীনের এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক ব্রাজিলেও রয়েছে। আমরা বুঝতে পারছি যে, চীন আজ বিশ্ব উন্নয়নের প্রধান অংশীদার হয়ে উঠছে। তাই এখানে লাতিন আমেরিকার দেশ বলিভিয়াও ব্যতিক্রম নয়।’
এসব বিষয় যাচাই করতে আইবিসিইর সঙ্গে স্পুৎনিক যোগাযোগ করেলও কোনো সাড়া মেলেনি। বলিভিয়ান মুদ্রা পেসো ও ইউয়ানের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কের বিশ্লেষক অর্থনীতিবিদ মাইক জেমিওর সঙ্গে কথা বলেছে স্পুৎনিক।
চীনা ব্যাংক খোলার সম্ভাবনা নিয়ে জেমিও বলেন, ‘এটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। কারণ এর মানে হলো- এখন আমাদের দেশীয় অর্থনীতিতে বিদেশিরা বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছে। ডলারের লাগাতার হোঁচট খাওয়া থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট বিশ্বব্যাপী অর্থনীতিগুলো আন্তর্জাতিক রিজার্ভের জন্য স্থানীয় মুদ্রা বা অন্য মুদ্রার দিকে ঝুঁকছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বলিভিয়া সরকারকে আরও সতর্কতার সঙ্গে এগোতে হবে। কোন দেশের সঙ্গে ব্যবসা করছে এবং মুদ্রার পরিবর্তন করবে কি না তা ঠিক করতে বলিভিয়াকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মূল্যায়ন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আফ্রিকা ও এশিয়ার অর্থনীতির সঙ্গে রাশিয়া ও চীনের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত জোটগুলোর কথাও বিবেচনা করতে।’
রিজার্ভ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
আসন্ন পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে খেজুর আমদানিতে শুল্ক কমিয়েছে সরকার। পাশাপাশি রোজার ইফতারির অন্যতম অনুষঙ্গ এই পণ্যের ওপর থাকা অগ্রিম করও পুরোপুরি তুলে নেওয়া হয়েছে। সরকারের নির্দেশে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আজ বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে। তবে খেজুর আমদানির অযৌক্তিক ট্যারিফ ভ্যালু...
১০ ঘণ্টা আগেদেশের বাজারে ফের সোনার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ২২ ক্যারেট সোনার ভরির নতুন দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। দাম বৃদ্ধির কারণ ও বিস্তারিত জানতে পড়ুন।
১০ ঘণ্টা আগেপুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন জুতা প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক তিন কোম্পানির কাছে প্রস্তুতকৃত চামড়া বিক্রি করা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এপেক্স ট্যানারি লিমিটেড। এ লক্ষ্যে শিগগিরই হবে চুক্তি। চুক্তির আওতায় বছরে ১৬ কোটি টাকার চামড়া বিক্রি করবে এপেক্স ট্যানারি।
১০ ঘণ্টা আগেফলজাত পণ্য রপ্তানির জন্য বিশেষ সুবিধা দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ফলজাত পাল্প থেকে প্রস্তুত করা জুস ও ড্রিংকস রপ্তানির বিপরীতে রপ্তানিকারকেরা এখন মোট রপ্তানি আয়ের ১০ শতাংশ নগদ প্রণোদনা পাবেন। আজ বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ
১০ ঘণ্টা আগে