দৌলতগঞ্জ-মাজদিয়া স্থলবন্দর
মো. রিপন হোসেন, জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা)
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের দৌলতগঞ্জ-মাজদিয়া স্থলবন্দরটি শুধু একটি সীমান্ত পয়েন্ট নয়, এটি প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্ভাবনার এক অনন্য প্রতীক। ১৯৫৩ সালে শুল্ক স্টেশন হিসেবে কার্যক্রম শুরু করলেও ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় তা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর অর্ধশতাব্দীর বেশি সময় ধরে প্রজ্ঞাপন, উচ্চপর্যায়ের ঘোষণা এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বারবার আশার আলো জ্বালালেও কার্যক্রম চালুর বাস্তবতা এখনো অধরা।
দৌলতগঞ্জ-মাজদিয়া স্থলবন্দরটি নিয়ে স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের আশা। তাঁরা মনে করেন, এটি শুধু সীমান্ত বাণিজ্য নয়, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। বন্দরটি চালু হলে বেনাপোলের ওপর নির্ভরশীলতা কমবে এবং আমদানি-রপ্তানির বিকল্প পথ তৈরি হবে। এতে সাপ্লাই চেইন গতিশীল হবে, ঢাকা-কলকাতা যাত্রায় ২-৩ ঘণ্টা সময় সাশ্রয় হবে এবং পণ্য পরিবহনের খরচ কমে যাবে। এসব সুবিধা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়িয়ে দেশের রাজস্ব আয়ে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন আনবে।
স্থানীয়দের মতে, দৌলতগঞ্জ-মাজদিয়া স্থলবন্দর চালু হলে জীবননগর ও চুয়াডাঙ্গার অর্থনীতিতেও সরাসরি ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। কৃষক, ব্যবসায়ী, পরিবহনশ্রমিক এবং হোটেল-মোটেল খাতে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। ভারতের নদীয়া জেলার মাজদিয়ার বিপরীতে অবস্থিত এ বন্দরের সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা চমৎকার, ঢাকার সঙ্গে দূরত্ব মাত্র ২৫৬ কিলোমিটার। বেনাপোলের তুলনায় এ পথে ঢাকা-কলকাতা যাত্রায় দূরত্ব ৭০ কিলোমিটার কমে যাবে। তাই বন্দরটি শুধু ব্যবসা-বাণিজ্য নয়, দুই দেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও দৃঢ় করতে পারে। পাশাপাশি এটি দক্ষিণ এশিয়ার আন্তসীমান্ত বাণিজ্যেরও গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল হয়ে উঠতে পারে। তবে এত সুবিধা থাকা সত্ত্বেও এটি এখনো কার্যক্রম শুরুর অপেক্ষায়।
এদিকে বন্দরটি চালুর ব্যাপারে পুনরায় উদ্যোগের আভাস মিলেছে। গত রোববার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মুন্সী মো. মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বন্দরের বর্তমান অবস্থা পরিদর্শন করেছে। প্রতিনিধিদলে ছিলেন স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক শহিদুল ইসলাম, অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জাকির হোসেনসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তবে তাঁরা এই পরিদর্শনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে বন্দর পরিদর্শনের পর থেকে স্থানীয়রা আবার আশায় বুক বাঁধছে।
যদিও এর আগে বন্দরটি চালুর বিষয়ে এ পর্যন্ত একাধিক প্রজ্ঞাপন, উচ্চপর্যায়ের পরিদর্শন এবং প্রতিশ্রুতির দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। কিন্তু কোনোবারই কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়ায় শেষ পর্যন্ত এটি সম্ভাবনার গল্প হয়েই রয়ে গেছে। এর থেকে স্থানীয়রা বারবার আশার আলো দেখলেও বারবার তা ম্লান হয়েছে। এখন শুধু একটাই প্রশ্ন—এত দিনের প্রতীক্ষার পর নতুন করে সরকারের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের এই পরিদর্শনে স্থলবন্দরটি কি সত্যিই আলোর মুখ দেখবে, নাকি এটি আরও একবার পরিকল্পনার স্তরে আটকে থাকবে? সেটিই এখন দেখার অপেক্ষা।
এ বিষয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী আবু সাঈদ খান আজকের পত্রিকাকে জানান, তাঁর প্রয়াত বাবা আনিছুর জামান খান এ স্থলবন্দরের সম্ভাবনা দেখে ২০০০ সালে একটি আবাসিক হোটেল চালু করেছিলেন। এটি জীবননগরের একমাত্র আবাসিক হোটেল হলেও আজও তাঁর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়নি। অন্যদিকে সিঅ্যান্ডএফের সহসাধারণ সম্পাদক মাজেদুর রহমান লিটনের মতে, প্রশাসনের সাম্প্রতিক তৎপরতা নতুন করে আশার সঞ্চার করেছে। তবে এবারও সেই কার্যকর সিদ্ধান্ত ও দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ মাঠে না গড়ালে এ বন্দরের ভবিষ্যৎ আলোর মুখ দেখবে কি না, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। তিনি মনে করেন, এখন এই সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে দরকার প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের দৃঢ়তা এবং রাজনৈতিক অঙ্গীকার।
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের দৌলতগঞ্জ-মাজদিয়া স্থলবন্দরটি শুধু একটি সীমান্ত পয়েন্ট নয়, এটি প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্ভাবনার এক অনন্য প্রতীক। ১৯৫৩ সালে শুল্ক স্টেশন হিসেবে কার্যক্রম শুরু করলেও ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় তা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর অর্ধশতাব্দীর বেশি সময় ধরে প্রজ্ঞাপন, উচ্চপর্যায়ের ঘোষণা এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বারবার আশার আলো জ্বালালেও কার্যক্রম চালুর বাস্তবতা এখনো অধরা।
দৌলতগঞ্জ-মাজদিয়া স্থলবন্দরটি নিয়ে স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের আশা। তাঁরা মনে করেন, এটি শুধু সীমান্ত বাণিজ্য নয়, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। বন্দরটি চালু হলে বেনাপোলের ওপর নির্ভরশীলতা কমবে এবং আমদানি-রপ্তানির বিকল্প পথ তৈরি হবে। এতে সাপ্লাই চেইন গতিশীল হবে, ঢাকা-কলকাতা যাত্রায় ২-৩ ঘণ্টা সময় সাশ্রয় হবে এবং পণ্য পরিবহনের খরচ কমে যাবে। এসব সুবিধা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়িয়ে দেশের রাজস্ব আয়ে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন আনবে।
স্থানীয়দের মতে, দৌলতগঞ্জ-মাজদিয়া স্থলবন্দর চালু হলে জীবননগর ও চুয়াডাঙ্গার অর্থনীতিতেও সরাসরি ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। কৃষক, ব্যবসায়ী, পরিবহনশ্রমিক এবং হোটেল-মোটেল খাতে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। ভারতের নদীয়া জেলার মাজদিয়ার বিপরীতে অবস্থিত এ বন্দরের সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা চমৎকার, ঢাকার সঙ্গে দূরত্ব মাত্র ২৫৬ কিলোমিটার। বেনাপোলের তুলনায় এ পথে ঢাকা-কলকাতা যাত্রায় দূরত্ব ৭০ কিলোমিটার কমে যাবে। তাই বন্দরটি শুধু ব্যবসা-বাণিজ্য নয়, দুই দেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও দৃঢ় করতে পারে। পাশাপাশি এটি দক্ষিণ এশিয়ার আন্তসীমান্ত বাণিজ্যেরও গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল হয়ে উঠতে পারে। তবে এত সুবিধা থাকা সত্ত্বেও এটি এখনো কার্যক্রম শুরুর অপেক্ষায়।
এদিকে বন্দরটি চালুর ব্যাপারে পুনরায় উদ্যোগের আভাস মিলেছে। গত রোববার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মুন্সী মো. মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বন্দরের বর্তমান অবস্থা পরিদর্শন করেছে। প্রতিনিধিদলে ছিলেন স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক শহিদুল ইসলাম, অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জাকির হোসেনসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তবে তাঁরা এই পরিদর্শনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে বন্দর পরিদর্শনের পর থেকে স্থানীয়রা আবার আশায় বুক বাঁধছে।
যদিও এর আগে বন্দরটি চালুর বিষয়ে এ পর্যন্ত একাধিক প্রজ্ঞাপন, উচ্চপর্যায়ের পরিদর্শন এবং প্রতিশ্রুতির দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। কিন্তু কোনোবারই কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়ায় শেষ পর্যন্ত এটি সম্ভাবনার গল্প হয়েই রয়ে গেছে। এর থেকে স্থানীয়রা বারবার আশার আলো দেখলেও বারবার তা ম্লান হয়েছে। এখন শুধু একটাই প্রশ্ন—এত দিনের প্রতীক্ষার পর নতুন করে সরকারের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের এই পরিদর্শনে স্থলবন্দরটি কি সত্যিই আলোর মুখ দেখবে, নাকি এটি আরও একবার পরিকল্পনার স্তরে আটকে থাকবে? সেটিই এখন দেখার অপেক্ষা।
এ বিষয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী আবু সাঈদ খান আজকের পত্রিকাকে জানান, তাঁর প্রয়াত বাবা আনিছুর জামান খান এ স্থলবন্দরের সম্ভাবনা দেখে ২০০০ সালে একটি আবাসিক হোটেল চালু করেছিলেন। এটি জীবননগরের একমাত্র আবাসিক হোটেল হলেও আজও তাঁর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়নি। অন্যদিকে সিঅ্যান্ডএফের সহসাধারণ সম্পাদক মাজেদুর রহমান লিটনের মতে, প্রশাসনের সাম্প্রতিক তৎপরতা নতুন করে আশার সঞ্চার করেছে। তবে এবারও সেই কার্যকর সিদ্ধান্ত ও দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ মাঠে না গড়ালে এ বন্দরের ভবিষ্যৎ আলোর মুখ দেখবে কি না, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। তিনি মনে করেন, এখন এই সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে দরকার প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের দৃঢ়তা এবং রাজনৈতিক অঙ্গীকার।
সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি ‘বার্ষিক এজেন্ট ব্যাংকিং সম্মেলন-২০২৫’ আয়োজন করেছে। আজ শনিবার ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান এম এ কাশেম প্রধান অতিথি হিসেবে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
৫ ঘণ্টা আগে১১ তম বার্জার অ্যাওয়ার্ড ফর এক্সিলেন্স ইন আর্কিটেকচার (বিএইএ) প্রকল্পের প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়েছে। গত ২ জানুয়ারি রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশের (আইএবি) মাল্টিপারপাস হলে এই উদ্বোধন অনুষ্ঠান হয়।
৫ ঘণ্টা আগেইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ফাউন্ডেশনের বার্ষিক সাধারণ সভা আজ শনিবার ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফাউন্ডেশনের বিদায়ী সভাপতি মো. আলী আজ্জমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি...
৬ ঘণ্টা আগেদেশের শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞাপনী সংস্থা মিডিয়াকম লিমিটেডের আয়োজনে অংশীদার ও শুভানুধ্যায়ী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হচ্ছে ‘মিডিয়াকম ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট-২০২৫ ’। আজ শনিবার গুলশান-২-এ অবস্থিত মিডিয়াকমের নিজস্ব প্রাঙ্গণে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হয়।
৬ ঘণ্টা আগে