অনলাইন ডেস্ক
জীবনযাপনের ব্য়য় বেড়ে যাওয়ায় দুবেলা খাবার জোগাতে পারছে না বিশ্বের বহু মানুষ। কিন্তু, যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি মোগল ও রাশিয়ার ধনকুবেরদের জন্য সময়টা এখন উৎসবের। তাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ ক্রমে বেড়েই চলেছে।
সম্প্রতি বিশ্বের শীর্ষ ৫০০ ধনীর একটি তালিকা তৈরি করেছে ব্লুমবার্গ। পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তালিকায় থাকা ইলন মাস্ক ও মার্ক জাকারবার্গ এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের শেয়ারহোল্ডার ব্রিটেনের জেমস ডাইসন ও জিম র্যাটক্লিফ ২০২৩ সালে আরও ধনী হয়েছেন।
শুধু তারাই নন, ধন সম্পত্তি ক্রমেই বাড়িয়ে চলেছেন রাশিয়ার ধন কুবেররাও। ইউক্রেনে ক্রেমলিনের চলমান অভিযানের কারণে নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরও তাঁরা নিজেদের শীর্ষ ধনীর তকমা ধরে রেখেছেন।
২০২৩ সালে বিশ্বের শীর্ষ ৫০ ধনীর মধ্যে অর্থ খুইয়েছেন ১২ জনই। মুদ্রাস্ফীতির পরও বাকিদের সম্পত্তি কেবল বেড়েছেই। চলতি বছর শীর্ষ ৫০০ জনের মধ্যে ৭৭ শতাংশই আগের চেয়ে আরও ধনী হয়েছেন বলে পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে কারও সম্পত্তি বেড়েছে অকল্পনীয় হারে।
এবিষয়ে গত বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) গার্ডিয়ান ব্লুমবার্গের পরিসংখ্যানের বরাতে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তাতে ওই দিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ৫০০ ধনীর তালিকার শীর্ষে ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বংশোদ্ভূত ইলন মাস্ক। তাঁর নিট সম্পত্তির পরিমাণ আনুমানিক ২৩ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। এর আগে ২০২২ সালে মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটারে ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করে এর অর্ধেকটাই ডুবিয়েছেন বলে খবরে এসেছিল। তবে এ ক্ষতি থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে মূল বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান টেসলা।
চলতি বছর বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা কোম্পানির শেয়ারদর দ্বিগুণ হয়ে গেছে। কোম্পানির মোট বাজার মূল্য প্রায় ৮১ হাজার ৬০০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা। এর ফলে কোম্পানির সবচেয়ে বড় শেয়ারহোল্ডার ইলন মাস্কের সম্পত্তি বেড়েছে প্রায় ৯ হাজার ৮০০ কোটি ডলার, যা অ্যাঙ্গোলার বার্ষিক জিডিপির চেয়েও বেশি।
তবে মাস্কের চেয়ে বেশি সম্পত্তি বেড়েছে প্রতিদ্বন্দ্বী মার্ক জাকারবার্গের। এবছর ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতার সম্পত্তি বেড়েছে ১৮৪ শতাংশ। অর্থাৎ ৪ হাজার ৫০০ কোটি ডলার থেকে বেড়ে তাঁর মোট সম্পত্তির এখন ১২ হাজার ৮০০ কোটি ডলার।
২০২২ সালে তার মূল কোম্পানি মেটার শেয়ারের ব্যাপক দরপতন দেখা দেয়। এর জন্য কারণ হিসেবে মূল ব্যবসা হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুক বাদ দিয়ে মেটাভার্সে বেশি ব্যয় করাকে তুলে ধরে জাকারবার্গের সমালোচনা করেছিলেন শেয়ারহোল্ডাররা। তবে সেই পরিস্থিতি এবার কাটিয়ে উঠেছে মেটা, এর শেয়ারদর বেড়েছে ১৭২ শতাংশ।
এদিকে সম্পত্তি বৃদ্ধির গতিতে জাকারবার্গকে ছাড়িয়ে গেছেন ইন্দোনেশীয় বহুজাতিক কোম্পানির কর্ণধার প্রাজোগো পাঙ্গেস্তু। তার কোম্পানির মূল ব্যবসা জিওথার্মাল এনার্জি খাত। এবছর প্রাজোগো পাঙ্গেস্তুর সম্পত্তি বেড়েছে প্রায় ৭ গুণ। ৩ হাজার ১৫০ কোটি ডলারসহ বিশ্বের শীর্ষ ৫০ ধনী ব্যক্তির মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি।
শীর্ষ ধনীদের মধ্যে প্রথম ১৪ জনের সম্পত্তি বাড়লেও তালিকার ১৫ তম ভারতীয় ধনকুবের আদানির সম্পত্তি বিপুল পরিমাণ কমেছে। ২০২৩ সালে তার সম্পত্তি ৩ হাজার ৬০০ কোটি কমে ৮ হাজার ৪৩০ কোটি ডলারে নেমেছে।
ব্লুমবার্গের এই তালিকায় আরও একটি চমকপ্রদ চিত্র উঠে এসেছে। তা হলো- নানামুখী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেও রুশ ব্যবসায়ীদের সম্পত্তি বাড়ার গতিতে কোনো বাধ সাধতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই নিকেল ব্যবসায়ী ভ্লাদিমির পোতানিনের সম্পত্তি ১৫ গুণের বেশি বেড়ে ৩ হাজার ৬০ কোটি ডলারে উঠেছে। আগের বছর তার সম্পত্তি ছিল মাত্র ২০০ কোটি ডলার।
ধাতু ও টেলিকম ব্যবসায়ী আলিশার উসমানভের সম্পত্তির পরিমাণ ১৮৮ কোটি ডলার থেকে বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৩০ কোটি ডলার। শিল্পপতি অ্যালেক্সেই মোরদাশভের সম্পত্তি ১৩০ কোটি ডলার থেকে বেড়ে হয়েছে ২ হাজার কোটি ডলার।
জীবনযাপনের ব্য়য় বেড়ে যাওয়ায় দুবেলা খাবার জোগাতে পারছে না বিশ্বের বহু মানুষ। কিন্তু, যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি মোগল ও রাশিয়ার ধনকুবেরদের জন্য সময়টা এখন উৎসবের। তাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ ক্রমে বেড়েই চলেছে।
সম্প্রতি বিশ্বের শীর্ষ ৫০০ ধনীর একটি তালিকা তৈরি করেছে ব্লুমবার্গ। পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তালিকায় থাকা ইলন মাস্ক ও মার্ক জাকারবার্গ এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের শেয়ারহোল্ডার ব্রিটেনের জেমস ডাইসন ও জিম র্যাটক্লিফ ২০২৩ সালে আরও ধনী হয়েছেন।
শুধু তারাই নন, ধন সম্পত্তি ক্রমেই বাড়িয়ে চলেছেন রাশিয়ার ধন কুবেররাও। ইউক্রেনে ক্রেমলিনের চলমান অভিযানের কারণে নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরও তাঁরা নিজেদের শীর্ষ ধনীর তকমা ধরে রেখেছেন।
২০২৩ সালে বিশ্বের শীর্ষ ৫০ ধনীর মধ্যে অর্থ খুইয়েছেন ১২ জনই। মুদ্রাস্ফীতির পরও বাকিদের সম্পত্তি কেবল বেড়েছেই। চলতি বছর শীর্ষ ৫০০ জনের মধ্যে ৭৭ শতাংশই আগের চেয়ে আরও ধনী হয়েছেন বলে পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে কারও সম্পত্তি বেড়েছে অকল্পনীয় হারে।
এবিষয়ে গত বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) গার্ডিয়ান ব্লুমবার্গের পরিসংখ্যানের বরাতে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তাতে ওই দিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ৫০০ ধনীর তালিকার শীর্ষে ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বংশোদ্ভূত ইলন মাস্ক। তাঁর নিট সম্পত্তির পরিমাণ আনুমানিক ২৩ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। এর আগে ২০২২ সালে মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটারে ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করে এর অর্ধেকটাই ডুবিয়েছেন বলে খবরে এসেছিল। তবে এ ক্ষতি থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে মূল বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান টেসলা।
চলতি বছর বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা কোম্পানির শেয়ারদর দ্বিগুণ হয়ে গেছে। কোম্পানির মোট বাজার মূল্য প্রায় ৮১ হাজার ৬০০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা। এর ফলে কোম্পানির সবচেয়ে বড় শেয়ারহোল্ডার ইলন মাস্কের সম্পত্তি বেড়েছে প্রায় ৯ হাজার ৮০০ কোটি ডলার, যা অ্যাঙ্গোলার বার্ষিক জিডিপির চেয়েও বেশি।
তবে মাস্কের চেয়ে বেশি সম্পত্তি বেড়েছে প্রতিদ্বন্দ্বী মার্ক জাকারবার্গের। এবছর ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতার সম্পত্তি বেড়েছে ১৮৪ শতাংশ। অর্থাৎ ৪ হাজার ৫০০ কোটি ডলার থেকে বেড়ে তাঁর মোট সম্পত্তির এখন ১২ হাজার ৮০০ কোটি ডলার।
২০২২ সালে তার মূল কোম্পানি মেটার শেয়ারের ব্যাপক দরপতন দেখা দেয়। এর জন্য কারণ হিসেবে মূল ব্যবসা হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুক বাদ দিয়ে মেটাভার্সে বেশি ব্যয় করাকে তুলে ধরে জাকারবার্গের সমালোচনা করেছিলেন শেয়ারহোল্ডাররা। তবে সেই পরিস্থিতি এবার কাটিয়ে উঠেছে মেটা, এর শেয়ারদর বেড়েছে ১৭২ শতাংশ।
এদিকে সম্পত্তি বৃদ্ধির গতিতে জাকারবার্গকে ছাড়িয়ে গেছেন ইন্দোনেশীয় বহুজাতিক কোম্পানির কর্ণধার প্রাজোগো পাঙ্গেস্তু। তার কোম্পানির মূল ব্যবসা জিওথার্মাল এনার্জি খাত। এবছর প্রাজোগো পাঙ্গেস্তুর সম্পত্তি বেড়েছে প্রায় ৭ গুণ। ৩ হাজার ১৫০ কোটি ডলারসহ বিশ্বের শীর্ষ ৫০ ধনী ব্যক্তির মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি।
শীর্ষ ধনীদের মধ্যে প্রথম ১৪ জনের সম্পত্তি বাড়লেও তালিকার ১৫ তম ভারতীয় ধনকুবের আদানির সম্পত্তি বিপুল পরিমাণ কমেছে। ২০২৩ সালে তার সম্পত্তি ৩ হাজার ৬০০ কোটি কমে ৮ হাজার ৪৩০ কোটি ডলারে নেমেছে।
ব্লুমবার্গের এই তালিকায় আরও একটি চমকপ্রদ চিত্র উঠে এসেছে। তা হলো- নানামুখী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেও রুশ ব্যবসায়ীদের সম্পত্তি বাড়ার গতিতে কোনো বাধ সাধতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই নিকেল ব্যবসায়ী ভ্লাদিমির পোতানিনের সম্পত্তি ১৫ গুণের বেশি বেড়ে ৩ হাজার ৬০ কোটি ডলারে উঠেছে। আগের বছর তার সম্পত্তি ছিল মাত্র ২০০ কোটি ডলার।
ধাতু ও টেলিকম ব্যবসায়ী আলিশার উসমানভের সম্পত্তির পরিমাণ ১৮৮ কোটি ডলার থেকে বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৩০ কোটি ডলার। শিল্পপতি অ্যালেক্সেই মোরদাশভের সম্পত্তি ১৩০ কোটি ডলার থেকে বেড়ে হয়েছে ২ হাজার কোটি ডলার।
বেশ কিছু দিন ধরেই কেনিয়াতে ছাত্র–জনতা আদানির সঙ্গে সরকারের ‘গোপন’ চুক্তির প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। পরে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে। অবশেষে আদানি শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে ২৫০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থমূল্যের দুটি চুক্তি বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে আফ্রিকার দেশ কেনিয়া।
১ ঘণ্টা আগেঘুষের নোটে সাগর আদানি ঘুষের পরিমাণ, কাকে ঘুষ দেওয়া হয়েছে এবং কত মেগাওয়াট বিদ্যুতের বিনিময়ে এটি হয়েছে—তার বিবরণ উল্লেখ করেছেন। তিনি মেগাওয়াট প্রতি ঘুষের হারও উল্লেখ করেছেন। ২০২০ সালে একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে সাগর আদানি বলেন, ‘হ্যাঁ...কিন্তু বিষয়টা দৃশ্যমান হওয়ার ঠেকানো বেশ কঠিন।’
২ ঘণ্টা আগেগৌতম আদানি, ভারতীয় কনগ্লোমারেট আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তিদের একজন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বহু-বিলিয়ন ডলারের জালিয়াতি এবং ঘুষ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ভারত সরকারের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার মাধ্যমে দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের চুক্তি বাগিয়েছে
২ ঘণ্টা আগেব্যাংকিং খাতে যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পদোন্নতি দীর্ঘদিনের প্রথা। তবে এবার নতুন নীতিমালায় আরোপিত কঠোর শর্ত—ব্যাংকিং ডিপ্লোমা, মাস্টার্স ডিগ্রি ও গবেষণাপত্র প্রকাশের বাধ্যবাধকতা—সরকারি ব্যাংকের ২৫৮ কর্মকর্তার জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) পদে পদোন্নতি নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে।
৩ ঘণ্টা আগে