বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
অর্থনীতিতে কালোটাকা তৈরি হওয়ার সুযোগ বন্ধ করতে চান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এমন অভিপ্রায় জানিয়ে তিনি বলেছেন, দেশে যাতে কালোটাকা তৈরির পথ বন্ধ হয়, সে চেষ্টা করা হবে। একই সঙ্গে কালোটাকা সাদা করার সুযোগও দেওয়া হবে না। এ লক্ষ্যে চলতি বাজেটও সংশোধন করা হবে।
গতকাল রোববার জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় ঢাকায় বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের আন্দোলনসংক্রান্ত অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘যারা আন্দোলন করছেন, তাঁরা বৈষম্যের শিকার। আমরা তাঁদের উপেক্ষা করতে পারি না। তাঁদের অনেক বেদনা আছে। কিন্তু এত দিন কেউ বলতে সাহস করেননি। তাঁদের বিষয় আমাদের বিবেচনায় আছে। যদিও অন্তর্বর্তী সরকারের বয়স বেশি না, তবে এগুলো আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি।’
জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘জাতিসংঘের সহযোগী ৪১টি সংস্থার প্রতিনিধিরা বৈঠকে অংশ নিয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সমতাভিত্তিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন পদক্ষেপে তাঁরা পাশে থাকতে চান। আমরাও চাই তারা একসঙ্গে কাজ করুক। সে জন্য তাঁদের পরামর্শ শুনলাম। একই সঙ্গে রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমিতে ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁদের দৃষ্টি দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।’
বৈদেশিক ঋণের ক্ষেত্রে এই সরকারের পরিকল্পনা জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘এই ঋণ আমাদের প্রয়োজন। তবে সব ঋণ আমরা নিতে চাই না। এক বছরের প্রকল্প পাঁচ বছরে গড়িয়েছে—এমন প্রকল্পে বৈদেশিক ঋণ ছেঁটে ফেলা হবে। যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের দেওয়া অনুদান গ্রহণ করা হবে। অন্য সব ঋণ নেওয়া হবে বেছে বেছে।’
বিদেশে পাচার হওয়া টাকা ফিরিয়ে আনতে আবারও দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেন সালেহউদ্দিন। তিনি জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করছে।
জিএসপি স্থগিতের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক নয়
এদিকে সচিবালয়ে দিনের অপর কর্মসূচিতে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফাভের সঙ্গে বৈঠক শেষে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশের জিএসপি স্থগিতের বিষয়টি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কোনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নয়।
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে জিএসপি স্থগিত হয়নি। ইউএসএর যে শর্ত, সেটা রাজনীতির না। তাদের অনেকগুলো ডিপার্টমেন্ট আছে, তারা যদি অনুমোদন না দেয়, তাহলে সেখানে কংগ্রেসম্যানরা কিছু করতে পারে না। বরং আমরাই জিএসপির সব শর্ত পালন করতে পারছি না। তবে এই শর্ত প্রতিপালন আমাদের জন্য এত কঠিন কিছু বলে মনে
করি না।’
দ্বিপক্ষীয় এই বৈঠক শেষে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘শ্রম আইন ইস্যুতে ইউএস প্রতিনিধিরা এ ব্যাপারে আমাদের তাগিদ দিয়েছেন। এ ছাড়া রপ্তানি পরিস্থিতি, বিনিয়োগ বা সরাসরি বিনিয়োগ এবং যৌথ বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতসহ কৃষি, এনার্জি, জলবায়ু এবং অন্যান্য খাতে ইউএসএ বিনিয়োগকারীদের আরও বেশি বিনিয়োগ করার কথা বলেছি। তাঁদের সঙ্গে আমাদের ঋণ কম, তাই ঋণ সহায়তার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।’
অর্থনীতিতে কালোটাকা তৈরি হওয়ার সুযোগ বন্ধ করতে চান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এমন অভিপ্রায় জানিয়ে তিনি বলেছেন, দেশে যাতে কালোটাকা তৈরির পথ বন্ধ হয়, সে চেষ্টা করা হবে। একই সঙ্গে কালোটাকা সাদা করার সুযোগও দেওয়া হবে না। এ লক্ষ্যে চলতি বাজেটও সংশোধন করা হবে।
গতকাল রোববার জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় ঢাকায় বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের আন্দোলনসংক্রান্ত অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘যারা আন্দোলন করছেন, তাঁরা বৈষম্যের শিকার। আমরা তাঁদের উপেক্ষা করতে পারি না। তাঁদের অনেক বেদনা আছে। কিন্তু এত দিন কেউ বলতে সাহস করেননি। তাঁদের বিষয় আমাদের বিবেচনায় আছে। যদিও অন্তর্বর্তী সরকারের বয়স বেশি না, তবে এগুলো আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি।’
জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘জাতিসংঘের সহযোগী ৪১টি সংস্থার প্রতিনিধিরা বৈঠকে অংশ নিয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সমতাভিত্তিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন পদক্ষেপে তাঁরা পাশে থাকতে চান। আমরাও চাই তারা একসঙ্গে কাজ করুক। সে জন্য তাঁদের পরামর্শ শুনলাম। একই সঙ্গে রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমিতে ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁদের দৃষ্টি দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।’
বৈদেশিক ঋণের ক্ষেত্রে এই সরকারের পরিকল্পনা জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘এই ঋণ আমাদের প্রয়োজন। তবে সব ঋণ আমরা নিতে চাই না। এক বছরের প্রকল্প পাঁচ বছরে গড়িয়েছে—এমন প্রকল্পে বৈদেশিক ঋণ ছেঁটে ফেলা হবে। যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের দেওয়া অনুদান গ্রহণ করা হবে। অন্য সব ঋণ নেওয়া হবে বেছে বেছে।’
বিদেশে পাচার হওয়া টাকা ফিরিয়ে আনতে আবারও দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেন সালেহউদ্দিন। তিনি জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করছে।
জিএসপি স্থগিতের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক নয়
এদিকে সচিবালয়ে দিনের অপর কর্মসূচিতে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফাভের সঙ্গে বৈঠক শেষে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশের জিএসপি স্থগিতের বিষয়টি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কোনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নয়।
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে জিএসপি স্থগিত হয়নি। ইউএসএর যে শর্ত, সেটা রাজনীতির না। তাদের অনেকগুলো ডিপার্টমেন্ট আছে, তারা যদি অনুমোদন না দেয়, তাহলে সেখানে কংগ্রেসম্যানরা কিছু করতে পারে না। বরং আমরাই জিএসপির সব শর্ত পালন করতে পারছি না। তবে এই শর্ত প্রতিপালন আমাদের জন্য এত কঠিন কিছু বলে মনে
করি না।’
দ্বিপক্ষীয় এই বৈঠক শেষে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘শ্রম আইন ইস্যুতে ইউএস প্রতিনিধিরা এ ব্যাপারে আমাদের তাগিদ দিয়েছেন। এ ছাড়া রপ্তানি পরিস্থিতি, বিনিয়োগ বা সরাসরি বিনিয়োগ এবং যৌথ বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতসহ কৃষি, এনার্জি, জলবায়ু এবং অন্যান্য খাতে ইউএসএ বিনিয়োগকারীদের আরও বেশি বিনিয়োগ করার কথা বলেছি। তাঁদের সঙ্গে আমাদের ঋণ কম, তাই ঋণ সহায়তার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।’
শুরুতেই থমকে গেছে এস আলমের অর্থ পাচারের অনুসন্ধান। এক মাসের বেশি সময় ধরে তাঁদের অর্থ পাচার তদন্তের কাজ সিআইডিতে থমকে রয়েছে। এর নেপথ্যে রয়েছে স্বয়ং এস আলম গ্রুপের প্রভাব ও আধিপত্য। এতে সহযোগিতা করছে প্রভাবশালী একটি মহল। অনুসন্ধানে ওই মহলের ইচ্ছার গুরুত্ব না দেওয়ায় বদলি করা হয়েছে অর্থ পাচার...
১ ঘণ্টা আগেশেখ হাসিনা সরকারের আমলে গত সাড়ে ১৫ বছরে বেসরকারি ও যৌথ অংশীদারত্ব মিলিয়ে ৮৯টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এসব কেন্দ্রের সঙ্গে করা বেশির ভাগ চুক্তিই নানা কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বড় বড় বিদ্যুৎ উৎপাদন
১ ঘণ্টা আগেইউরোপের বাজারে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক রপ্তানি নেতিবাচক ধারাতেই আছে। চলতি বছরের ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে পোশাক রপ্তানি কমেছে ২ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। ইউরোস্টেটের তথ্যমতে, এ সময় ইউরোপের বাজারগুলোতে বাংলাদেশ থেকে পোশাক রপ্তানি হয়েছে ১৪ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছর একই সময় ছি
১ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর অপ্রয়োজনীয় উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থছাড় কমিয়ে দিয়েছে। এর প্রভাবও পড়েছে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতেও (এডিপি)। চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাস জুলাই-অক্টোবরে এডিপি বাস্তবায়িত হয়েছে ৭ দশমিক ৯০ শতাংশ।
২ ঘণ্টা আগে