নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দু’মাস আগেও স্বামী, সন্তান নিয়ে সুখের সংসার ছিল মিতু আক্তারের। এখন সবই হারাতে বসেছেন। মে ও জুনে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জে দুটি বাইক আর একটি এসি অর্ডার করেছিলেন তিনি। ধার দেনা করে টাকা দ্বিগুণ করার ‘সামার ভাউচার’ও কিনেছিলেন একটি। সব মিলিয়ে পরিশোধ করেছিলেন ১০ লাখ টাকা। পণ্য বা টাকা কিছুই পাননি এখনো। এখন স্বামী-সংসার হারানোর শঙ্কাও চেপে বসেছে।
আজ সোমবার রাজধানীর পল্টনে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ই-অরেঞ্জ ভুক্তভোগীদের বিক্ষোভে দেখা যায় মিতুকে। সবকিছু হারাতে বসা মিতু শিশুকন্যাকে কোলে নিয়ে বিক্ষোভ করতে রাস্তায় নেমেছেন।
আজকের পত্রিকাকে মিতু আক্তার বলেন, ‘দেড় মাস হলো মায়ের বাড়িতে থাকতেছি। স্বামীর ঘরে যাইতে পারি না। টাকাগুলা ফেরত না পাইলে পথে বসতে হবে আমার।’
তিনি জানান, দশ বছর ধরে নিজের জমানো টাকার পাশাপাশি আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে ধার করেও ই-অরেঞ্জে পণ্য অর্ডার করেছিলেন। সমিতি থেকেও ঋণ করেছেন আড়াই লাখ টাকা। গত মে মাসে মাশরাফি বিন মর্তুজাকে দেখেই ধার দেনা করে ই-অরেঞ্জে পণ্য অর্ডার করেছিলেন বলে উল্লেখ করেন মিতু আক্তার।
প্রেসক্লাবে আজ বিক্ষোভে জড়ো হন মিতু আক্তারের মতোই বহু ভুক্তভোগী। সবার একটাই দাবি, ই-অরেঞ্জের মূল হোতা বনানী থানার সাবেক ওসি সোহেল রানাকে দ্রুততম সময়ে দেশে ফিরিয়ে এনে সবার টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া মাসুদুর রহমান বলেন, নিজেদের টাকা নিজেরা ফেরত চাচ্ছি, তারপরেও নানাভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে আমাদের। সোহেল রানা গ্রেপ্তার হওয়ায় আমরা কিছুটা আশ্বস্ত হয়েছি। কিন্তু দেশের সীমা পেরিয়ে ভারতে গিয়ে তাঁর গ্রেপ্তার হওয়াটা আমাদের জন্য লজ্জার।
আরেক বিক্ষোভকারী মৌ আক্তার বলেন, অনেকে বলছে আমরা লোভ করেছি, তাই টাকা হারিয়েছি। কিন্তু আমরা তো চুরি ডাকাতি করিনি। কম দামে পণ্য পেলে কে না কিনতে চায়। মাশরাফিকে দেখে আমরা ই-অরেঞ্জে আস্থা রেখেছিলাম। সেই আস্থাই আমাদের কাল হলো। করোনায় বেকার হয়ে কষ্টের জমানো টাকা, শেষ সম্বলটুকু আমরা অনেকেই বিনিয়োগ করেছি। সেই টাকা ফেরত না পেলে মৃত্যু ছাড়া আমাদের পথ থাকবে না।
দেশে পুলিশ র্যাবসহ এত বাহিনী থাকতে সোহেল রানাকে আগে কেন গ্রেপ্তার করা হলো না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বক্তারা। তাঁরা বলেন, দেড় মাস ধরে আমরা বলে যাচ্ছি, ওসি সোহেল রানা ই-অরেঞ্জের মূল হোতা। ই-অরেঞ্জে তাঁর সংশ্লিষ্টতার প্রমাণও পাওয়া গেছে। এই প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদের ১১শ কোটি টাকা হাতিয়ে নিল, অথচ সোহেল রানার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অবশেষে ভারতে গিয়ে তিনি গ্রেপ্তার হলেন। আমাদের দেশের পুলিশ প্রশাসন কিছুই করলো না। টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেওয়া না হলে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর অনশনে যাওয়ার হুমকি দেন বিক্ষোভকারীরা।
দু’মাস আগেও স্বামী, সন্তান নিয়ে সুখের সংসার ছিল মিতু আক্তারের। এখন সবই হারাতে বসেছেন। মে ও জুনে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জে দুটি বাইক আর একটি এসি অর্ডার করেছিলেন তিনি। ধার দেনা করে টাকা দ্বিগুণ করার ‘সামার ভাউচার’ও কিনেছিলেন একটি। সব মিলিয়ে পরিশোধ করেছিলেন ১০ লাখ টাকা। পণ্য বা টাকা কিছুই পাননি এখনো। এখন স্বামী-সংসার হারানোর শঙ্কাও চেপে বসেছে।
আজ সোমবার রাজধানীর পল্টনে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ই-অরেঞ্জ ভুক্তভোগীদের বিক্ষোভে দেখা যায় মিতুকে। সবকিছু হারাতে বসা মিতু শিশুকন্যাকে কোলে নিয়ে বিক্ষোভ করতে রাস্তায় নেমেছেন।
আজকের পত্রিকাকে মিতু আক্তার বলেন, ‘দেড় মাস হলো মায়ের বাড়িতে থাকতেছি। স্বামীর ঘরে যাইতে পারি না। টাকাগুলা ফেরত না পাইলে পথে বসতে হবে আমার।’
তিনি জানান, দশ বছর ধরে নিজের জমানো টাকার পাশাপাশি আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে ধার করেও ই-অরেঞ্জে পণ্য অর্ডার করেছিলেন। সমিতি থেকেও ঋণ করেছেন আড়াই লাখ টাকা। গত মে মাসে মাশরাফি বিন মর্তুজাকে দেখেই ধার দেনা করে ই-অরেঞ্জে পণ্য অর্ডার করেছিলেন বলে উল্লেখ করেন মিতু আক্তার।
প্রেসক্লাবে আজ বিক্ষোভে জড়ো হন মিতু আক্তারের মতোই বহু ভুক্তভোগী। সবার একটাই দাবি, ই-অরেঞ্জের মূল হোতা বনানী থানার সাবেক ওসি সোহেল রানাকে দ্রুততম সময়ে দেশে ফিরিয়ে এনে সবার টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া মাসুদুর রহমান বলেন, নিজেদের টাকা নিজেরা ফেরত চাচ্ছি, তারপরেও নানাভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে আমাদের। সোহেল রানা গ্রেপ্তার হওয়ায় আমরা কিছুটা আশ্বস্ত হয়েছি। কিন্তু দেশের সীমা পেরিয়ে ভারতে গিয়ে তাঁর গ্রেপ্তার হওয়াটা আমাদের জন্য লজ্জার।
আরেক বিক্ষোভকারী মৌ আক্তার বলেন, অনেকে বলছে আমরা লোভ করেছি, তাই টাকা হারিয়েছি। কিন্তু আমরা তো চুরি ডাকাতি করিনি। কম দামে পণ্য পেলে কে না কিনতে চায়। মাশরাফিকে দেখে আমরা ই-অরেঞ্জে আস্থা রেখেছিলাম। সেই আস্থাই আমাদের কাল হলো। করোনায় বেকার হয়ে কষ্টের জমানো টাকা, শেষ সম্বলটুকু আমরা অনেকেই বিনিয়োগ করেছি। সেই টাকা ফেরত না পেলে মৃত্যু ছাড়া আমাদের পথ থাকবে না।
দেশে পুলিশ র্যাবসহ এত বাহিনী থাকতে সোহেল রানাকে আগে কেন গ্রেপ্তার করা হলো না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বক্তারা। তাঁরা বলেন, দেড় মাস ধরে আমরা বলে যাচ্ছি, ওসি সোহেল রানা ই-অরেঞ্জের মূল হোতা। ই-অরেঞ্জে তাঁর সংশ্লিষ্টতার প্রমাণও পাওয়া গেছে। এই প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদের ১১শ কোটি টাকা হাতিয়ে নিল, অথচ সোহেল রানার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অবশেষে ভারতে গিয়ে তিনি গ্রেপ্তার হলেন। আমাদের দেশের পুলিশ প্রশাসন কিছুই করলো না। টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেওয়া না হলে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর অনশনে যাওয়ার হুমকি দেন বিক্ষোভকারীরা।
অর্থনীতিবিদ ড. সেলিম রায়হান বলেছেন, এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলমের আন্তর্জাতিক সালিসে যাওয়ার হুমকিতে ভয় পাওয়ার কারণ নেই। দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শ্বেতপত্র প্রকাশের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
৮ ঘণ্টা আগেবেশ কিছু দিন ধরেই কেনিয়াতে ছাত্র–জনতা আদানির সঙ্গে সরকারের ‘গোপন’ চুক্তির প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। পরে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে। অবশেষে আদানি শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে ২৫০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থমূল্যের দুটি চুক্তি বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে আফ্রিকার দেশ কেনিয়া।
১৩ ঘণ্টা আগেঘুষের নোটে সাগর আদানি ঘুষের পরিমাণ, কাকে ঘুষ দেওয়া হয়েছে এবং কত মেগাওয়াট বিদ্যুতের বিনিময়ে এটি হয়েছে—তার বিবরণ উল্লেখ করেছেন। তিনি মেগাওয়াট প্রতি ঘুষের হারও উল্লেখ করেছেন। ২০২০ সালে একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে সাগর আদানি বলেন, ‘হ্যাঁ...কিন্তু বিষয়টা দৃশ্যমান হওয়ার ঠেকানো বেশ কঠিন।’
১৪ ঘণ্টা আগেগৌতম আদানি, ভারতীয় কনগ্লোমারেট আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তিদের একজন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বহু-বিলিয়ন ডলারের জালিয়াতি এবং ঘুষ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ভারত সরকারের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার মাধ্যমে দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের চুক্তি বাগিয়েছে
১৫ ঘণ্টা আগে