কানাডার সব শহরে যেতে চায় বিমান

বিশেষ প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২৯ আগস্ট ২০২৩, ১৪: ৩৩
আপডেট : ২৯ আগস্ট ২০২৩, ১৫: ২০

ঢাকা থেকে টরন্টো রুটে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। এবার কানাডার বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বাংলাদেশিদের পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা তাদের। প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে এয়ার কানাডার সঙ্গে চুক্তির পরিকল্পনার বিষয়টি বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডিয়ান রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছে তারা। 

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস জানায়, সোমবার রাতে বিমানের প্রধান কার্যালয় বলাকায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন এবং বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিমের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত লিলি নিকোলসের সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়। এতে এয়ার কানাডার সঙ্গে কোড শেয়ারিংয়ের বিষয়টি উঠে আসে। 

২০১৬ সালের একটি বেসরকারি হিসাবমতে, বর্তমানে কানাডায় প্রায় ১ লাখ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও ইমিগ্র্যান্ট রয়েছেন। তাঁদের অধিকাংশই টরন্টো, অটোয়া, মন্ট্রিয়েল, ভ্যানকুভার ও আলবার্টায় থাকেন। টরন্টো থেকে এয়ার কানাডার প্লেনে করে বাংলাদেশিদের সেই সব শহরে পৌঁছে দিতেই এই চুক্তি করতে চায় বিমান। 

মঙ্গলবার কানাডিয়ান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ নিয়ে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠান বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার। 

তাহেরা খন্দকার জানান, আনুষ্ঠানিক বৈঠকে কানাডা ও বাংলাদেশের মধ্যে বিমান চলাচল ও এয়ার কানাডার সঙ্গে কোড শেয়ার চুক্তির সম্ভাব্য দিকসমূহ নিয়ে আলোচনা হয়। 

এ সময় লিলি নিকোলস বলেন, বিমানের ঢাকা-টরন্টো ফ্লাইট দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগব্যবস্থাকে সহজ করেছে। এই রুটে যাত্রীসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ঢাকা-টরন্টো ফ্লাইটের সফলতার ব্যাপারে সন্দেহসমূহ দূর হয়েছে। 

বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফা কামাল উদ্দীন বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও কানাডিয়ান হাইকমিশনের সহযোগিতায় ঢাকা-টরন্টো ফ্লাইট চালু করতে সক্ষম হয় বিমান। বিমানের এই রুট বর্তমানে অন্যতম লাভজনক রুটে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে এই রুটে ফ্লাইট ফ্রিকোয়েন্সি বৃদ্ধিরও প্রস্তাব আসছে। রুটটি চালু হওয়ার ফলে ট্রানজিট জটিলতা নিরসন হয়েছে। বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় শিক্ষা ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটছে। বাংলাদেশের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী দেশসমূহের যাত্রীবৃন্দও উপকৃত হচ্ছেন। 

বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিম বলেন, ১৯৯৯ সাল থেকে কানাডার সঙ্গে বিমানের ইন্টারলাইন যোগাযোগ আছে। আমরা সেটি আরও বিস্তৃত করতে চাই। এয়ার কানাডার সঙ্গে কোড শেয়ার চুক্তি সম্পন্ন হলে দুই এয়ারলাইনসের পাশাপাশি সম্মানিত যাত্রীবৃন্দও উপকৃত হবেন। ক্রমবর্ধমান যাত্রী চাহিদার কথা বিবেচনায় নিয়ে ফ্লাইট ফ্রিকোয়েন্সি বাড়ানোর বিষয়টিও বিবেচনা করা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত