নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কঠিন চাপের মুখে পড়েছে দেশের পুঁজিবাজার। অব্যাহত দরপতনের কারণে সবাই বাজার পর্যবেক্ষণ করছেন। নতুন বিনিয়োগ নেই। বিপরীতে শেয়ার বিক্রির চাপ বেশি। এতে ক্রমাগত পতনে পুঁজি হারাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।
তথ্যমতে, গত তিন কর্মদিবসে পুঁজিবাজারে ৪৮ কোটি ৫০ লাখ ৬৪ হাজার ৬৯০টি শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। গড়ে প্রতিদিন লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ১৬ লাখ ৮৮ হাজার ২৩০টি। অথচ গত ১৮ জানুয়ারি ফ্লোর প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানানোর পর ফেব্রুয়ারির কয়েক সপ্তাহ পুঁজিবাজারে জোয়ার দেখা যায়। ৪ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টানা ৮ কর্মদিবস দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়। ওই সময়ের যেকোনো তিন দিনের শেয়ার লেনদেনের সংখ্যা গত তিন দিনের তিন গুণের বেশি।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৮, ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারিতে ১৮১ কোটি ৬৬ লাখ ১৬ হাজার ৬৮৪টি শেয়ার লেনদেন হয় পুঁজিবাজারে। প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৬০ কোটি ৫৫ লাখ ৩৮ হাজার ৫৬১টি করে। অর্থাৎ এই সময়ের তুলনায় বর্তমানে পুঁজিবাজারে শেয়ার কেনাবেচা বা বিনিয়োগ কমেছে তিন গুণের বেশি।
এদিকে ১১ ফেব্রুয়ারি সূচক উঠেছিল ৬ হাজার ৪৪৭ পয়েন্টে। সেদিন থেকে গতকাল পর্যন্ত ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে ২৫ দিনই পতন হয়েছে। এই সময়ে সূচক কমেছে ৬৮৪ পয়েন্ট। বর্তমানে ডিএসইর সাধারণ সূচকটি অবস্থান করছে ৫ হাজার ৭৬২ পয়েন্টে, যা ২০২১ সালের ১২ মের পর সর্বনিম্ন। ওই দিন সূচক ছিল ৫ হাজার ৭৫০ পয়েন্ট।
এ বিষয়ে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিনিয়োগকারী আছেন, তবে তাঁরা সাইডলাইনে আছেন। তাঁরা মাঠে নেই। শেয়ার বিক্রির চাপ বেশি। যখন ক্রেতা সরে যায়, তখন এটা বিক্রেতার বাজার (সেলার মার্কেট) হয়ে যায়। এখন একমাত্র শেয়ার বিক্রেতারাই (সেলাররা) পুঁজিবাজারে আছেন।
পতনের বিষয়ে তিনি বলেন, ২০ মাস বাজারকে কৃত্রিমভাবে আটকে রাখা হয়েছিল। দর সমন্বয়ের জন্য ২-৩ মাস সময় দিতেই হবে। অনেক শেয়ার সঠিক দামে চলে এসেছে। কিন্তু, যখন সার্বিক বাজার নেতিবাচক প্রবণতায় থাকে, তখন ক্রেতারা একটু সাইডলাইনে থাকে। এটা পুঁজিবাজার বা যেকোনো বাজারের ধর্ম।
পুঁজিবাজারের দরপতনের অনেক কারণ আলোচনায় এলেও প্রকৃত কারণ যেন খুঁজে পাচ্ছে না কেউই। সবকিছুর মধ্যে দরপতনে বিনিয়োগকারীদের রক্তক্ষরণ বাড়ছে এটাই বাস্তবতা। এমন অবস্থায় নিয়ন্ত্রক সংস্থার ওপর ক্ষোভ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, পুঁজিবাজারের বর্তমান অবস্থার অন্যতম কারণ হলো অনাস্থা। কারসাজি হচ্ছেই। স্বচ্ছতা, জবাবদিহি নেই। বিনিয়োগ করার মতো কোম্পানি হাতে গোনা কয়েকটা। অনেক কোম্পানির লভ্যাংশের চেয়ে ব্যাংকের সুদের হার বেশি।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও সংস্থাটির মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, প্যানিক সেল এবং ফোর্স সেলের কারণে পুঁজিবাজারে এখন মন্দাবস্থা চলছে বলে মনে করি। অবস্থা উত্তরণে কমিশন বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে।
মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, কেউ বিশেষ উদ্দেশে বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে কি না, সে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হবে। কেউ এ ধরনের চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কঠিন চাপের মুখে পড়েছে দেশের পুঁজিবাজার। অব্যাহত দরপতনের কারণে সবাই বাজার পর্যবেক্ষণ করছেন। নতুন বিনিয়োগ নেই। বিপরীতে শেয়ার বিক্রির চাপ বেশি। এতে ক্রমাগত পতনে পুঁজি হারাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।
তথ্যমতে, গত তিন কর্মদিবসে পুঁজিবাজারে ৪৮ কোটি ৫০ লাখ ৬৪ হাজার ৬৯০টি শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। গড়ে প্রতিদিন লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ১৬ লাখ ৮৮ হাজার ২৩০টি। অথচ গত ১৮ জানুয়ারি ফ্লোর প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানানোর পর ফেব্রুয়ারির কয়েক সপ্তাহ পুঁজিবাজারে জোয়ার দেখা যায়। ৪ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টানা ৮ কর্মদিবস দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়। ওই সময়ের যেকোনো তিন দিনের শেয়ার লেনদেনের সংখ্যা গত তিন দিনের তিন গুণের বেশি।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৮, ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারিতে ১৮১ কোটি ৬৬ লাখ ১৬ হাজার ৬৮৪টি শেয়ার লেনদেন হয় পুঁজিবাজারে। প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৬০ কোটি ৫৫ লাখ ৩৮ হাজার ৫৬১টি করে। অর্থাৎ এই সময়ের তুলনায় বর্তমানে পুঁজিবাজারে শেয়ার কেনাবেচা বা বিনিয়োগ কমেছে তিন গুণের বেশি।
এদিকে ১১ ফেব্রুয়ারি সূচক উঠেছিল ৬ হাজার ৪৪৭ পয়েন্টে। সেদিন থেকে গতকাল পর্যন্ত ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে ২৫ দিনই পতন হয়েছে। এই সময়ে সূচক কমেছে ৬৮৪ পয়েন্ট। বর্তমানে ডিএসইর সাধারণ সূচকটি অবস্থান করছে ৫ হাজার ৭৬২ পয়েন্টে, যা ২০২১ সালের ১২ মের পর সর্বনিম্ন। ওই দিন সূচক ছিল ৫ হাজার ৭৫০ পয়েন্ট।
এ বিষয়ে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিনিয়োগকারী আছেন, তবে তাঁরা সাইডলাইনে আছেন। তাঁরা মাঠে নেই। শেয়ার বিক্রির চাপ বেশি। যখন ক্রেতা সরে যায়, তখন এটা বিক্রেতার বাজার (সেলার মার্কেট) হয়ে যায়। এখন একমাত্র শেয়ার বিক্রেতারাই (সেলাররা) পুঁজিবাজারে আছেন।
পতনের বিষয়ে তিনি বলেন, ২০ মাস বাজারকে কৃত্রিমভাবে আটকে রাখা হয়েছিল। দর সমন্বয়ের জন্য ২-৩ মাস সময় দিতেই হবে। অনেক শেয়ার সঠিক দামে চলে এসেছে। কিন্তু, যখন সার্বিক বাজার নেতিবাচক প্রবণতায় থাকে, তখন ক্রেতারা একটু সাইডলাইনে থাকে। এটা পুঁজিবাজার বা যেকোনো বাজারের ধর্ম।
পুঁজিবাজারের দরপতনের অনেক কারণ আলোচনায় এলেও প্রকৃত কারণ যেন খুঁজে পাচ্ছে না কেউই। সবকিছুর মধ্যে দরপতনে বিনিয়োগকারীদের রক্তক্ষরণ বাড়ছে এটাই বাস্তবতা। এমন অবস্থায় নিয়ন্ত্রক সংস্থার ওপর ক্ষোভ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, পুঁজিবাজারের বর্তমান অবস্থার অন্যতম কারণ হলো অনাস্থা। কারসাজি হচ্ছেই। স্বচ্ছতা, জবাবদিহি নেই। বিনিয়োগ করার মতো কোম্পানি হাতে গোনা কয়েকটা। অনেক কোম্পানির লভ্যাংশের চেয়ে ব্যাংকের সুদের হার বেশি।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও সংস্থাটির মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, প্যানিক সেল এবং ফোর্স সেলের কারণে পুঁজিবাজারে এখন মন্দাবস্থা চলছে বলে মনে করি। অবস্থা উত্তরণে কমিশন বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে।
মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, কেউ বিশেষ উদ্দেশে বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে কি না, সে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হবে। কেউ এ ধরনের চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অনুমতি ছাড়াই চার বছর কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় চাকরি হারালেন আসমা উল হুসনা নামের এক সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা। সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী পলায়নের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে অপসারণ করা হয়েছে। তিনি কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, ঢাকার (দক্ষিণ) কর্মকর্তা ছিলেন।
৩৮ মিনিট আগেইস্পাহানির পৃষ্ঠপোষকতা ও সহযোগিতায় আয়োজিত ‘আনোয়ারা মান্নান বেগ আন্তজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট-মলি’-এর পর্দা নামল। আটটি দলের অংশগ্রহণে প্রায় এক মাসব্যাপী প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে যশোরের শামস-উল-হুদা ফুটবল একাডেমি।
২ ঘণ্টা আগেবিশ্বের সেরা ২৫ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় স্থান পেয়েছে মেটলাইফ। ২০২৪ সালের কাজের জন্য আন্তর্জাতিক ফরচুন ম্যাগাজিন থেকে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে১০০ দিনে অর্থনীতি সবল অবস্থানে এসেছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ রোববার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা জানান
৩ ঘণ্টা আগে