
কয়েক বছর ধরে গোপনে বিটকয়েন মাইনিং প্রকল্প নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে হিমালয়ের কোলঘেঁষে থাকা ভুটান। দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি ক্রিপ্টোকারেন্সিতে ঠিক কতটা বিনিয়োগ করেছে, তা নিয়ে ধোয়াঁশা থাকলেও প্রকল্প নিয়ে কয়েক বছর ধরেই আগাচ্ছে। আর এ ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ খাতকে ব্যবহার করা হচ্ছে। ২০২০ সাল থেকে বিষয়টি নিয়ে গুঞ্জন চললেও সম্প্রতি তা প্রকাশ পেয়েছে।
সম্প্রতি স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ভুটানিজকে ভুটান সরকারের এক প্রতিনিধি বলেছেন, কয়েক বছর আগে বিটকয়েনের দাম যখন ৫ হাজার ডলার ছিল, তখন সংগ্রহ শুরু করেছিল সরকার। ঠিক কবে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার, তা স্পষ্ট করেননি তিনি। ওই সূত্রের তথ্য ঠিক হলে ২০১৯ সালে প্রকল্পটি শুরু হয়, কারণ ওই বছর বিটকয়েনের এই দাম ছিল।
বিটকয়েন মাইনিং নতুন বিটকয়েন সৃষ্টির প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে ডিজিটাল মুদ্রাটির বিনিময়কে যাচাই করে এমন মারাত্মক জটিল গাণিতিক সমস্যার সমাধান করা হয়। এই ধাঁধার যিনি সমাধান করেন, তাঁকে মাইনার বলা হয়। মাইনারদের মধ্যে যিনি সবার আগে সমাধান করবেন, তাঁকে পুরস্কার হিসেবে বিটকয়েন ও ফি দেওয়া হবে।
বিটকয়েন মাইনিংয়ের এই প্রকল্পে সাবেক চীনা কোটিপতি উ জিহান প্রতিষ্ঠিত সিঙ্গাপুরভিত্তিক বিশ্বের বৃহত্তম মাইনিং কোম্পানি বিটডিয়ারের সঙ্গেও কাজ করছে ভুটান। এ বছর এপ্রিলের এই কোম্পানি ১১০ কোটি ডলার জমা দিয়ে নিউইয়র্কভিত্তিক স্টক মার্কেট নাসডাকের তালিকাভুক্ত হয়।
গত ১৯ এপ্রিল বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রতিষ্ঠানটির প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, তারা ভুটানে বিটকয়েন মাইনিং ডেটা সেন্টার তৈরির পরিকল্পনা করছে, যা বাস্তবায়ন করতে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন হবে। চলতি অর্থবছরে দ্বিতীয় প্রান্তিকে ডেটা সেন্টারটির নির্মাণ শুরু হবে এবং শেষ হবে ২০২৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এটির মালিক কে হবে তা নির্দিষ্ট করে জানানো হয়নি। এসব বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে, বিটডিয়ার ও ভুটান সরকার কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
ভুটানের সরকারি তথ্য থেকেও বিটকয়েন মাইনিং কার্যক্রমের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। স্থলবেষ্টিত এ দেশের বাণিজ্যে সাধারণত প্রভাব ফেলে পেট্রোল, ইস্পাত এবং চালের বাজার। কিন্তু শুল্ক বিভাগের তথ্যে দেখা যাচ্ছে, ২০২১ ও ২০২২ সালে কোটি কোটি ডলার খরচ করে দেশটি সবচেয়ে বেশি আমদানি করেছে কম্পিউটার চিপ। এর মধ্যে ২০২২ সালে ১৪ কোটি ২০ লাখ ডলারের কম্পিউটার চিপ আমদানি করা হয়, যা দেশটির বাজেটের প্রায় ১৫ শতাংশ। এর আগের দুই বছরে এই সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৫ কোটি ১০ লাখ ডলার ও ১১ লাখ ডলার।
বিটকয়েন ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা বলছেন, এমন আকাশছোঁয়া দামে শুধু ২০২১ সালে যে পরিমাণ কম্পিউটার চিপ আমদানি করেছে দেশটি, তাতে কয়েকটি ফুটবল মাঠের সমান ডেটাসেন্টার নির্মাণ করা সম্ভব। কম্পিউটার চিপের এমন আকাশচুম্বী অমদানির কারণে দেশটিতে বাণিজ্য ঘাটতি দেখা দেয় এবং রাষ্ট্রীয় কোষাগারের বৈদেশিক মুদ্রার মজুতেও টান পড়ে। এসব ঘটনা থেকে স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছিল, দেশটি গোপনে কোনো বৃহৎ প্রকল্পে বিনিয়োগ করছে।
বেশ কয়েক বছর আগে ক্রিপ্টো পোর্টফোলিও তৈরি করতে কোটি কোটি ডলার গোপনে বিনিয়োগ করেছিল ড্রাক হোল্ডিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট নামে ভুটানের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি। ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান ব্লকফাই এবং সেলসিয়াসের অসাবধানতার কারণে বিষয়টি তখন জানাজানি হয়ে যায়। তবে ‘গোপনীয়তার’ কথা বলে এ নিয়ে মুখ খোলেনি ড্রাক। বার্ষিক প্রতিবেদনও একই অজুহাতে প্রতিষ্ঠানটির ডিজিটাল সম্পদ, ক্রিপ্টো পোর্টফোলিও বা বিটকয়েন মাইনিং নিয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। ২০২১ সালে অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক হতে পারে ভেবে ব্লকচেইনে আগ্রহী হয়ে উঠে ভুটান। তখন ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসার অন্যতম শীর্ষ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রিপলের সঙ্গে বিনিময়ের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে ‘ডিজিটাল মুদ্রার’ প্রচলন করে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু এসব উদ্যোগের কথা সব সময় গোপন রাখা হয়েছে।
হিমালয়ের হিমবাহ থেকে সৃষ্ট নদীগুলো থেকে প্রচুর জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে দেশটি। অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তিও বিদ্যুৎ খাত। ৮ লাখ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ সরবরাহের পাশাপাশি মোট দেশজ উৎপাদনেরও (জিডিপি) প্রায় ৩০ শতাংশ এখাত থেকে অর্জন করে দেশটি। এখন বিটকয়েন মাইনিংয়ের জন্য জটিল গাণিতিক সমস্যার সমাধান করতে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে কাজে লাগিয়ে ডেটা সেন্টার তৈরি করতে চাইছে তারা। এটি হলে এল সালভাদরের পর ভুটান হবে বিটকয়েন স্বীকৃতিদাতা দ্বিতীয় দেশ।
কিন্তু প্রশ্ন হলো কেন বিটকয়েন বা ক্রিপ্টোকারেন্সির দিকে ঝুঁকছে ভুটান। সবচেয়ে সম্ভাব্য উত্তর, মহামারী পরবর্তী অর্থনৈতিক মন্দার পরে রাজস্ব ঘাটতি পূরণ। স্বল্প জনসংখ্যা ও টেকসই জলবিদ্যুৎ ক্ষমতাও বিটকয়েন মাইনিং কোম্পানিগুলোর কাছে দেশটিকে আকর্ষণীয় করে তুলছে। কারণ ক্রিপ্টোকারেন্সিতে চীনের নিষেধাজ্ঞা আছে; কাজাখস্তান ও সুইডেনও বিট কয়েন মাইনিংয়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তারপর থেকেই সস্তা বিদ্যুতের অনুসন্ধানে রয়েছে বিটকয়েন মাইনিং সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো। তবে বিটকয়েনের দাম কমায় এবং গত বছর বিদ্যুতের দাম বেড়ে যাওয়ায় কোর সায়েন্টিফিক এবং কম্পিউট নর্থের মতো মাইনিং কোম্পানি নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণার জন্য আবেদনও করেছে।
আর্থিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান লুক্সরের বিটকয়েন মাইনিং বিশ্লেষক জারান মেলেরুড বলেন, ‘ভুটানে বিটকয়েন মাইনিং হবে, এতে অবাক হওয়া কিছু নেই। কারণ দেশটিতে রয়েছে টেকসই জলবিদ্যুৎ। তা ছাড়া জনসংখ্যা যেহেতু কম, তাই দেশটিতে জনপ্রতি বিদ্যুতের চাহিদা আমেরিকার মতো উন্নত দেশের সমান। তাই এমন সস্তা ও আটকে থাকা জলবিদ্যুৎ নিঃসন্দেহে বিটকয়েন মাইনারদের কাছে খুবই লোভনীয়। কারণ তাঁদের কাজই হলো অবমূল্যায়িত বিদ্যুৎকে বিটকয়েনে পরিণত করা।’
ভুটানের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি পর্যটন খাত করোনার কারণে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কারণ মহমারি ঠেকাতে প্রায় দুই বছর সীমান্ত পুরো বন্ধ রেখেছিল ভুটান। এমন পরিস্থিতিতে চীন, সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ী ও ভুটানের রাজপরিবারের এক সদস্য নিয়ে গঠিত ক্লাব ‘সিঙ্গাপুর-ভুটান অ্যাসোসিয়েশন’ বিটকয়েন মাইনিং প্রকল্পের প্রস্তাব নিয়ে আসে। সেই প্রস্তাবে ৭০০ কিলোওয়াট মাইনিং রিগ দিয়ে তৈরি শিপিং কনটেইনারগুলোতে ৮ লাখ ডলার পর্যন্ত ব্যয় করতে ইচ্ছুক বিনিয়োগকারীদের রাজকীয় সহায়তা এবং সস্তায় বিদ্যুৎ সরবাহের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়।
তবে ভুটানের বর্তমান রাজার চাচা দাশো উগেন সেচুপ দরজি ফোর্বসকে বলেন, ‘প্রকল্পটি বর্তমানে আটকে আছে। সরকার এ ধরনের ব্যবসার জন্য বেসরকারি খাতকে অনুমোদন দেয়নি।’
সিঙ্গাপুর ভুটান অ্যাসোসিয়েশনের বোর্ড সদস্য হামফেরি চ্যান বলেছেন, ‘এফটিএক্সের পতন এবং স্থলবেষ্টিত দেশটিতে খনির পরিবহন ও পরিচালনার সঙ্গে লজিস্টিক সমস্যাগুলো বিনিয়োগকারীদের আগ্রহকে কিছুটা কমিয়ে দিয়েছে।’
আমস্টারডামের ভ্রিজ ইউনিভার্সিটির অর্থনীতির গবেষক অ্যালেক্স ডি ভ্রিস বলছেন, ‘ভুটান প্রতিবছর ৭৫ শতাংশ বিদ্যুৎ রপ্তানি করে। কিন্তু শুষ্ক মৌসুমে যখন নদীগুলো শুকিয়ে যায়, তখন দেশটিকে উলটো ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করতে হয়। এরকম পরিস্থিতে মাইনিং যদি দীর্ঘ সময়ের বন্ধ রাখতে হয়, তাহলে লগ্নি করা অর্থ তুলে আনাটাও ঝুঁকির মুখে পড়ে। মনে রাখতে হবে, মাইনিং বন্ধ মানে কিন্তু আয়ও বন্ধ থাকবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম ফোর্বস থেকে অনুবাদ করেছেন তুষার পাল

কয়েক বছর ধরে গোপনে বিটকয়েন মাইনিং প্রকল্প নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে হিমালয়ের কোলঘেঁষে থাকা ভুটান। দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি ক্রিপ্টোকারেন্সিতে ঠিক কতটা বিনিয়োগ করেছে, তা নিয়ে ধোয়াঁশা থাকলেও প্রকল্প নিয়ে কয়েক বছর ধরেই আগাচ্ছে। আর এ ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ খাতকে ব্যবহার করা হচ্ছে। ২০২০ সাল থেকে বিষয়টি নিয়ে গুঞ্জন চললেও সম্প্রতি তা প্রকাশ পেয়েছে।
সম্প্রতি স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ভুটানিজকে ভুটান সরকারের এক প্রতিনিধি বলেছেন, কয়েক বছর আগে বিটকয়েনের দাম যখন ৫ হাজার ডলার ছিল, তখন সংগ্রহ শুরু করেছিল সরকার। ঠিক কবে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার, তা স্পষ্ট করেননি তিনি। ওই সূত্রের তথ্য ঠিক হলে ২০১৯ সালে প্রকল্পটি শুরু হয়, কারণ ওই বছর বিটকয়েনের এই দাম ছিল।
বিটকয়েন মাইনিং নতুন বিটকয়েন সৃষ্টির প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে ডিজিটাল মুদ্রাটির বিনিময়কে যাচাই করে এমন মারাত্মক জটিল গাণিতিক সমস্যার সমাধান করা হয়। এই ধাঁধার যিনি সমাধান করেন, তাঁকে মাইনার বলা হয়। মাইনারদের মধ্যে যিনি সবার আগে সমাধান করবেন, তাঁকে পুরস্কার হিসেবে বিটকয়েন ও ফি দেওয়া হবে।
বিটকয়েন মাইনিংয়ের এই প্রকল্পে সাবেক চীনা কোটিপতি উ জিহান প্রতিষ্ঠিত সিঙ্গাপুরভিত্তিক বিশ্বের বৃহত্তম মাইনিং কোম্পানি বিটডিয়ারের সঙ্গেও কাজ করছে ভুটান। এ বছর এপ্রিলের এই কোম্পানি ১১০ কোটি ডলার জমা দিয়ে নিউইয়র্কভিত্তিক স্টক মার্কেট নাসডাকের তালিকাভুক্ত হয়।
গত ১৯ এপ্রিল বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রতিষ্ঠানটির প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, তারা ভুটানে বিটকয়েন মাইনিং ডেটা সেন্টার তৈরির পরিকল্পনা করছে, যা বাস্তবায়ন করতে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন হবে। চলতি অর্থবছরে দ্বিতীয় প্রান্তিকে ডেটা সেন্টারটির নির্মাণ শুরু হবে এবং শেষ হবে ২০২৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এটির মালিক কে হবে তা নির্দিষ্ট করে জানানো হয়নি। এসব বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে, বিটডিয়ার ও ভুটান সরকার কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
ভুটানের সরকারি তথ্য থেকেও বিটকয়েন মাইনিং কার্যক্রমের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। স্থলবেষ্টিত এ দেশের বাণিজ্যে সাধারণত প্রভাব ফেলে পেট্রোল, ইস্পাত এবং চালের বাজার। কিন্তু শুল্ক বিভাগের তথ্যে দেখা যাচ্ছে, ২০২১ ও ২০২২ সালে কোটি কোটি ডলার খরচ করে দেশটি সবচেয়ে বেশি আমদানি করেছে কম্পিউটার চিপ। এর মধ্যে ২০২২ সালে ১৪ কোটি ২০ লাখ ডলারের কম্পিউটার চিপ আমদানি করা হয়, যা দেশটির বাজেটের প্রায় ১৫ শতাংশ। এর আগের দুই বছরে এই সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৫ কোটি ১০ লাখ ডলার ও ১১ লাখ ডলার।
বিটকয়েন ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা বলছেন, এমন আকাশছোঁয়া দামে শুধু ২০২১ সালে যে পরিমাণ কম্পিউটার চিপ আমদানি করেছে দেশটি, তাতে কয়েকটি ফুটবল মাঠের সমান ডেটাসেন্টার নির্মাণ করা সম্ভব। কম্পিউটার চিপের এমন আকাশচুম্বী অমদানির কারণে দেশটিতে বাণিজ্য ঘাটতি দেখা দেয় এবং রাষ্ট্রীয় কোষাগারের বৈদেশিক মুদ্রার মজুতেও টান পড়ে। এসব ঘটনা থেকে স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছিল, দেশটি গোপনে কোনো বৃহৎ প্রকল্পে বিনিয়োগ করছে।
বেশ কয়েক বছর আগে ক্রিপ্টো পোর্টফোলিও তৈরি করতে কোটি কোটি ডলার গোপনে বিনিয়োগ করেছিল ড্রাক হোল্ডিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট নামে ভুটানের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি। ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান ব্লকফাই এবং সেলসিয়াসের অসাবধানতার কারণে বিষয়টি তখন জানাজানি হয়ে যায়। তবে ‘গোপনীয়তার’ কথা বলে এ নিয়ে মুখ খোলেনি ড্রাক। বার্ষিক প্রতিবেদনও একই অজুহাতে প্রতিষ্ঠানটির ডিজিটাল সম্পদ, ক্রিপ্টো পোর্টফোলিও বা বিটকয়েন মাইনিং নিয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। ২০২১ সালে অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক হতে পারে ভেবে ব্লকচেইনে আগ্রহী হয়ে উঠে ভুটান। তখন ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসার অন্যতম শীর্ষ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রিপলের সঙ্গে বিনিময়ের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে ‘ডিজিটাল মুদ্রার’ প্রচলন করে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু এসব উদ্যোগের কথা সব সময় গোপন রাখা হয়েছে।
হিমালয়ের হিমবাহ থেকে সৃষ্ট নদীগুলো থেকে প্রচুর জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে দেশটি। অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তিও বিদ্যুৎ খাত। ৮ লাখ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ সরবরাহের পাশাপাশি মোট দেশজ উৎপাদনেরও (জিডিপি) প্রায় ৩০ শতাংশ এখাত থেকে অর্জন করে দেশটি। এখন বিটকয়েন মাইনিংয়ের জন্য জটিল গাণিতিক সমস্যার সমাধান করতে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে কাজে লাগিয়ে ডেটা সেন্টার তৈরি করতে চাইছে তারা। এটি হলে এল সালভাদরের পর ভুটান হবে বিটকয়েন স্বীকৃতিদাতা দ্বিতীয় দেশ।
কিন্তু প্রশ্ন হলো কেন বিটকয়েন বা ক্রিপ্টোকারেন্সির দিকে ঝুঁকছে ভুটান। সবচেয়ে সম্ভাব্য উত্তর, মহামারী পরবর্তী অর্থনৈতিক মন্দার পরে রাজস্ব ঘাটতি পূরণ। স্বল্প জনসংখ্যা ও টেকসই জলবিদ্যুৎ ক্ষমতাও বিটকয়েন মাইনিং কোম্পানিগুলোর কাছে দেশটিকে আকর্ষণীয় করে তুলছে। কারণ ক্রিপ্টোকারেন্সিতে চীনের নিষেধাজ্ঞা আছে; কাজাখস্তান ও সুইডেনও বিট কয়েন মাইনিংয়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তারপর থেকেই সস্তা বিদ্যুতের অনুসন্ধানে রয়েছে বিটকয়েন মাইনিং সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো। তবে বিটকয়েনের দাম কমায় এবং গত বছর বিদ্যুতের দাম বেড়ে যাওয়ায় কোর সায়েন্টিফিক এবং কম্পিউট নর্থের মতো মাইনিং কোম্পানি নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণার জন্য আবেদনও করেছে।
আর্থিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান লুক্সরের বিটকয়েন মাইনিং বিশ্লেষক জারান মেলেরুড বলেন, ‘ভুটানে বিটকয়েন মাইনিং হবে, এতে অবাক হওয়া কিছু নেই। কারণ দেশটিতে রয়েছে টেকসই জলবিদ্যুৎ। তা ছাড়া জনসংখ্যা যেহেতু কম, তাই দেশটিতে জনপ্রতি বিদ্যুতের চাহিদা আমেরিকার মতো উন্নত দেশের সমান। তাই এমন সস্তা ও আটকে থাকা জলবিদ্যুৎ নিঃসন্দেহে বিটকয়েন মাইনারদের কাছে খুবই লোভনীয়। কারণ তাঁদের কাজই হলো অবমূল্যায়িত বিদ্যুৎকে বিটকয়েনে পরিণত করা।’
ভুটানের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি পর্যটন খাত করোনার কারণে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কারণ মহমারি ঠেকাতে প্রায় দুই বছর সীমান্ত পুরো বন্ধ রেখেছিল ভুটান। এমন পরিস্থিতিতে চীন, সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ী ও ভুটানের রাজপরিবারের এক সদস্য নিয়ে গঠিত ক্লাব ‘সিঙ্গাপুর-ভুটান অ্যাসোসিয়েশন’ বিটকয়েন মাইনিং প্রকল্পের প্রস্তাব নিয়ে আসে। সেই প্রস্তাবে ৭০০ কিলোওয়াট মাইনিং রিগ দিয়ে তৈরি শিপিং কনটেইনারগুলোতে ৮ লাখ ডলার পর্যন্ত ব্যয় করতে ইচ্ছুক বিনিয়োগকারীদের রাজকীয় সহায়তা এবং সস্তায় বিদ্যুৎ সরবাহের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়।
তবে ভুটানের বর্তমান রাজার চাচা দাশো উগেন সেচুপ দরজি ফোর্বসকে বলেন, ‘প্রকল্পটি বর্তমানে আটকে আছে। সরকার এ ধরনের ব্যবসার জন্য বেসরকারি খাতকে অনুমোদন দেয়নি।’
সিঙ্গাপুর ভুটান অ্যাসোসিয়েশনের বোর্ড সদস্য হামফেরি চ্যান বলেছেন, ‘এফটিএক্সের পতন এবং স্থলবেষ্টিত দেশটিতে খনির পরিবহন ও পরিচালনার সঙ্গে লজিস্টিক সমস্যাগুলো বিনিয়োগকারীদের আগ্রহকে কিছুটা কমিয়ে দিয়েছে।’
আমস্টারডামের ভ্রিজ ইউনিভার্সিটির অর্থনীতির গবেষক অ্যালেক্স ডি ভ্রিস বলছেন, ‘ভুটান প্রতিবছর ৭৫ শতাংশ বিদ্যুৎ রপ্তানি করে। কিন্তু শুষ্ক মৌসুমে যখন নদীগুলো শুকিয়ে যায়, তখন দেশটিকে উলটো ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করতে হয়। এরকম পরিস্থিতে মাইনিং যদি দীর্ঘ সময়ের বন্ধ রাখতে হয়, তাহলে লগ্নি করা অর্থ তুলে আনাটাও ঝুঁকির মুখে পড়ে। মনে রাখতে হবে, মাইনিং বন্ধ মানে কিন্তু আয়ও বন্ধ থাকবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম ফোর্বস থেকে অনুবাদ করেছেন তুষার পাল

ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৭ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১১ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১২ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৮ ঘণ্টা আগেরোকন উদ্দীন, ঢাকা

ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজারে বাংলাদেশের অংশ এখনো মাত্র ১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ সাড়ে ৫ শতাংশ।
এই অবস্থান আরও স্পষ্ট হয় ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায়। ইউরোপের তৈরি পোশাক আমদানির প্রায় অর্ধেকই আসে বাংলাদেশ থেকে, আর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও শীর্ষ সরবরাহকারীর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। তবু জাপানের মতো স্থিতিশীল ও উচ্চমূল্যের বাজারে বাংলাদেশ এখনো ব্যবহৃত সুযোগের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে। পরিসংখ্যান তা-ই বলে—এখানে এখনো বড় জায়গা খালি রয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যও সেই সম্ভাবনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়। ২০২৪ অর্থবছরে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার; যার মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ জাপান এখন বাংলাদেশের ১২তম রপ্তানি গন্তব্য।
তবে চলতি অর্থবছরের গত কয়েক মাসের প্রবণতা বাজারের পরিবর্তন আরও স্পষ্ট করে। ইপিবির সর্বশেষ তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে জাপানে রপ্তানি হয়েছে ২২ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ডলার, যেখানে গত বছর একই সময়ে ছিল ১৯ কোটি ৩৯ লাখ ২০ হাজার ডলার। প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়া এ সময়ে দ্বিতীয় বৃহৎ অপ্রচলিত বাজার হলেও সেখানে রপ্তানি কমেছে ৬ শতাংশ। ফলে জাপান এখন অপ্রচলিত রপ্তানি বাজারে সবচেয়ে দ্রুত বাড়তে থাকা গন্তব্য হিসেবে সামনে আসছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান হাসান আরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে এখন সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ও স্থিতিশীল একটি বাজার হলো জাপান। সরকারের পর্যালোচনায়ও বিষয়টি রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে দ্রুত কাজে লাগাতে আগামী জানুয়ারির মধ্যে আমরা দেশটির সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি, যা সম্পন্ন হলে রপ্তানি আশানুরূপ বাড়ানো সম্ভব হবে।’
জাপানের এই উত্থান কাকতাল নয়। রপ্তানিকারকেরা বলছেন, ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি, সরবরাহ-ঝুঁকি ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়ায় আমদানিকারকেরা নতুন বাজারের দিকে ঝুঁকছেন। আর জাপান এমন একটি বাজার, যেখানে মূল্য-সুবিধার পাশাপাশি গুণগত মান, কঠোর কমপ্লায়েন্স এবং দ্রুত বদলে যাওয়া ফ্যাশন-চাহিদার প্রতি গুরুত্ব বেশি। এসব মানদণ্ড পূরণ করতে পারলে বাজারটি দীর্ঘমেয়াদি ও নিশ্চিত প্রবৃদ্ধির সুযোগ দেয়।
কিন্তু এখানেই চ্যালেঞ্জ স্পষ্ট। জাপানি ক্রেতারা ছোট পরিমাণের অর্ডার দেন, মূল্য নিয়ে আগাম ছাড় পাওয়া সহজ নয়, আর প্রতিটি পণ্যের ক্ষেত্রে শতভাগ কমপ্লায়েন্স অপরিহার্য। এ বিষয়ে দেশের অন্যতম প্রস্তুতকারক টিম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহিল নকিব জানান, ‘অর্ডারের কঠোর ইন্সপেকশন বাংলাদেশে জাপানের অর্ডার ধরার সবচেয়ে বড় বাধা। মান নিশ্চিত না হলে তারা একটিও পণ্য নেয় না।’
এই কঠোরতা একদিকে বাধা, আবার অন্যদিকে সুবিধা। কারণ যে প্রতিষ্ঠান একবার জাপানের মান ধরে রাখতে পারে, তাদের জন্য বাজারটি স্থিতিশীল থাকে। জাপানি ব্র্যান্ডগুলো সরবরাহকারী খুব সহজে বদলায় না, ফলে দীর্ঘ মেয়াদে স্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হয়।
বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল মনে করেন, বৈশ্বিক উত্তেজনার এই সময়ে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ও উৎপাদনসক্ষমতা বাড়াতে পারলে অপ্রচলিত বাজারগুলোই ভবিষ্যতের বড় নিরাপত্তা হয়ে উঠবে।

ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজারে বাংলাদেশের অংশ এখনো মাত্র ১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ সাড়ে ৫ শতাংশ।
এই অবস্থান আরও স্পষ্ট হয় ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায়। ইউরোপের তৈরি পোশাক আমদানির প্রায় অর্ধেকই আসে বাংলাদেশ থেকে, আর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও শীর্ষ সরবরাহকারীর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। তবু জাপানের মতো স্থিতিশীল ও উচ্চমূল্যের বাজারে বাংলাদেশ এখনো ব্যবহৃত সুযোগের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে। পরিসংখ্যান তা-ই বলে—এখানে এখনো বড় জায়গা খালি রয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যও সেই সম্ভাবনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়। ২০২৪ অর্থবছরে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার; যার মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ জাপান এখন বাংলাদেশের ১২তম রপ্তানি গন্তব্য।
তবে চলতি অর্থবছরের গত কয়েক মাসের প্রবণতা বাজারের পরিবর্তন আরও স্পষ্ট করে। ইপিবির সর্বশেষ তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে জাপানে রপ্তানি হয়েছে ২২ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ডলার, যেখানে গত বছর একই সময়ে ছিল ১৯ কোটি ৩৯ লাখ ২০ হাজার ডলার। প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়া এ সময়ে দ্বিতীয় বৃহৎ অপ্রচলিত বাজার হলেও সেখানে রপ্তানি কমেছে ৬ শতাংশ। ফলে জাপান এখন অপ্রচলিত রপ্তানি বাজারে সবচেয়ে দ্রুত বাড়তে থাকা গন্তব্য হিসেবে সামনে আসছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান হাসান আরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে এখন সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ও স্থিতিশীল একটি বাজার হলো জাপান। সরকারের পর্যালোচনায়ও বিষয়টি রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে দ্রুত কাজে লাগাতে আগামী জানুয়ারির মধ্যে আমরা দেশটির সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি, যা সম্পন্ন হলে রপ্তানি আশানুরূপ বাড়ানো সম্ভব হবে।’
জাপানের এই উত্থান কাকতাল নয়। রপ্তানিকারকেরা বলছেন, ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি, সরবরাহ-ঝুঁকি ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়ায় আমদানিকারকেরা নতুন বাজারের দিকে ঝুঁকছেন। আর জাপান এমন একটি বাজার, যেখানে মূল্য-সুবিধার পাশাপাশি গুণগত মান, কঠোর কমপ্লায়েন্স এবং দ্রুত বদলে যাওয়া ফ্যাশন-চাহিদার প্রতি গুরুত্ব বেশি। এসব মানদণ্ড পূরণ করতে পারলে বাজারটি দীর্ঘমেয়াদি ও নিশ্চিত প্রবৃদ্ধির সুযোগ দেয়।
কিন্তু এখানেই চ্যালেঞ্জ স্পষ্ট। জাপানি ক্রেতারা ছোট পরিমাণের অর্ডার দেন, মূল্য নিয়ে আগাম ছাড় পাওয়া সহজ নয়, আর প্রতিটি পণ্যের ক্ষেত্রে শতভাগ কমপ্লায়েন্স অপরিহার্য। এ বিষয়ে দেশের অন্যতম প্রস্তুতকারক টিম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহিল নকিব জানান, ‘অর্ডারের কঠোর ইন্সপেকশন বাংলাদেশে জাপানের অর্ডার ধরার সবচেয়ে বড় বাধা। মান নিশ্চিত না হলে তারা একটিও পণ্য নেয় না।’
এই কঠোরতা একদিকে বাধা, আবার অন্যদিকে সুবিধা। কারণ যে প্রতিষ্ঠান একবার জাপানের মান ধরে রাখতে পারে, তাদের জন্য বাজারটি স্থিতিশীল থাকে। জাপানি ব্র্যান্ডগুলো সরবরাহকারী খুব সহজে বদলায় না, ফলে দীর্ঘ মেয়াদে স্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হয়।
বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল মনে করেন, বৈশ্বিক উত্তেজনার এই সময়ে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ও উৎপাদনসক্ষমতা বাড়াতে পারলে অপ্রচলিত বাজারগুলোই ভবিষ্যতের বড় নিরাপত্তা হয়ে উঠবে।

কয়েক বছর আগেই রাষ্ট্রীয়ভাবে বিটকয়েন মাইনিংয়ের প্রকল্পে হাতে নিয়েছে ভুটান। ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগের সঠিক তথ্য নিয়ে রহস্য তৈরি হওয়ায় এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটি। তবে ২০২০ সাল থেকে ভেতরে-ভেতরে কথা চললেও এই প্রকল্পের কথা চলতি সপ্তাহের আগপর্যন্ত কখনোই খোলাসা করা হয়নি। ভুটানে বিটকয়েন তৈর
০৫ মে ২০২৩
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১১ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১২ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আট দিনব্যাপী ১২তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় ১৫ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করেছেন উদ্যোক্তারা। পণ্য বিক্রির পাশাপাশি ১৬ কোটি টাকার পণ্যের অর্ডার পেয়েছেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। আজ রোববার আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়েমা শাহীন সুলতানা, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত ইয়াসমিন ও ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রুমী এ আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এর আগে ১১টি জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় প্রায় ৩ হাজার উদ্যোক্তা তাঁদের পণ্য বিক্রি করেছেন। ১১টি পণ্য মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের ৫৭ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি এবং প্রায় ৯৩ কোটি টাকার অর্ডার পেয়েছেন।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
শতভাগ দেশি পণ্যের সবচেয়ে বড় এই আয়োজন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। ৭ ডিসেম্বর মেলার উদ্বোধন করেন শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করেছে প্রায় সাড়ে তিন শ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান, যাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি ৭৪টি প্রতিষ্ঠান।
এ ছাড়া হস্ত ও কারুশিল্পের ৫৪টি, পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্য খাতের ৪০টি; পাটজাত পণ্যের ৩৫টি; কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ২৮টি; শতরঞ্জি, বাঁশ, বেত, হোগলা, সুপারিখোল ও কাঠের ১৫টি; খাদ্যপণ্যের ১৪টি; লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের ১৩টি; জুয়েলারি শিল্পের ৯টি; প্রসাধন খাতের সাতটি; তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা খাতের পাঁচটি; হারবাল–ভেষজশিল্পের পাঁচটি; প্লাস্টিক পণ্যের পাঁচটি; ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস খাতের তিনটি, ফার্নিচার খাতের তিনটি এবং অন্যান্য খাতের ১১টি স্টল।
মেলায় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সেবা প্রদানকারী শিল্প মন্ত্রণালয়ের আটটি দপ্তর-সংস্থাসহ সরকারের প্রায় ১৫টি সংস্থা, প্রায় ৩০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
মেলায় এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ অর্থায়ন, পণ্য রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও পণ্যের হালাল সনদ প্রাপ্তি, পেটেন্ট, শিল্প নকশা, ট্রেড মার্ক ও জি আই স্বীকৃতি, স্কিলস ইকোসিস্টেম বিষয়ে ছয়টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

আট দিনব্যাপী ১২তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় ১৫ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করেছেন উদ্যোক্তারা। পণ্য বিক্রির পাশাপাশি ১৬ কোটি টাকার পণ্যের অর্ডার পেয়েছেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। আজ রোববার আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়েমা শাহীন সুলতানা, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত ইয়াসমিন ও ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রুমী এ আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এর আগে ১১টি জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় প্রায় ৩ হাজার উদ্যোক্তা তাঁদের পণ্য বিক্রি করেছেন। ১১টি পণ্য মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের ৫৭ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি এবং প্রায় ৯৩ কোটি টাকার অর্ডার পেয়েছেন।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
শতভাগ দেশি পণ্যের সবচেয়ে বড় এই আয়োজন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। ৭ ডিসেম্বর মেলার উদ্বোধন করেন শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করেছে প্রায় সাড়ে তিন শ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান, যাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি ৭৪টি প্রতিষ্ঠান।
এ ছাড়া হস্ত ও কারুশিল্পের ৫৪টি, পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্য খাতের ৪০টি; পাটজাত পণ্যের ৩৫টি; কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ২৮টি; শতরঞ্জি, বাঁশ, বেত, হোগলা, সুপারিখোল ও কাঠের ১৫টি; খাদ্যপণ্যের ১৪টি; লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের ১৩টি; জুয়েলারি শিল্পের ৯টি; প্রসাধন খাতের সাতটি; তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা খাতের পাঁচটি; হারবাল–ভেষজশিল্পের পাঁচটি; প্লাস্টিক পণ্যের পাঁচটি; ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস খাতের তিনটি, ফার্নিচার খাতের তিনটি এবং অন্যান্য খাতের ১১টি স্টল।
মেলায় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সেবা প্রদানকারী শিল্প মন্ত্রণালয়ের আটটি দপ্তর-সংস্থাসহ সরকারের প্রায় ১৫টি সংস্থা, প্রায় ৩০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
মেলায় এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ অর্থায়ন, পণ্য রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও পণ্যের হালাল সনদ প্রাপ্তি, পেটেন্ট, শিল্প নকশা, ট্রেড মার্ক ও জি আই স্বীকৃতি, স্কিলস ইকোসিস্টেম বিষয়ে ছয়টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

কয়েক বছর আগেই রাষ্ট্রীয়ভাবে বিটকয়েন মাইনিংয়ের প্রকল্পে হাতে নিয়েছে ভুটান। ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগের সঠিক তথ্য নিয়ে রহস্য তৈরি হওয়ায় এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটি। তবে ২০২০ সাল থেকে ভেতরে-ভেতরে কথা চললেও এই প্রকল্পের কথা চলতি সপ্তাহের আগপর্যন্ত কখনোই খোলাসা করা হয়নি। ভুটানে বিটকয়েন তৈর
০৫ মে ২০২৩
ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৭ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১২ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন রমজান মাস সামনে রেখে তাজা ফলের ওপর শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। খেজুরের মতোই এবার আপেল, কমলা, আঙুর, মেস্তারিন, নাশপাতি ইত্যাদি তাজা ফলকে ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করে অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।
সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেওয়া এক চিঠিতে এই সুপারিশ করা হয়। রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপণ্য বিবেচনায় এমন সুপারিশ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আনার আমদানিতে মোট শুল্ক-কর রয়েছে ১২৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আপেল, মাল্টা, আনার ইত্যাদি ফলের স্থানীয় উৎপাদন নেই; তাই এই উচ্চহারে শুল্ক-কর রাখার প্রয়োজনীয়তা সীমিত।
অন্যদিকে উচ্চহারে শুল্ক-কর আরোপের ফলে বৈধ পথে আমদানি কমে তা অবৈধ পথে আমদানিকে উৎসাহিত করতে পারে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে অতিমাত্রায় বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহারের প্রবণতাও বাড়তে পারে। উচ্চ শুল্ক-করের ফলে তাজা ফলের আমদানি কমার ধারা অব্যাহত থাকলে শুধু ভোক্তাসাধারণের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না; ভবিষ্যতে রাজস্ব আহরণও কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
তাজা ফলকে ‘বিলাস পণ্য’ হিসেবে বিবেচনা করে এর ওপর ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে নিত্যপণ্য আইন, ১৯৫৬ অনুযায়ী খাদ্যপণ্য হিসেবে তাজা ফল ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ বিধায় এর ওপর আরোপিত অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার বা যৌক্তিক করা যেতে পারে।

আসন্ন রমজান মাস সামনে রেখে তাজা ফলের ওপর শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। খেজুরের মতোই এবার আপেল, কমলা, আঙুর, মেস্তারিন, নাশপাতি ইত্যাদি তাজা ফলকে ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করে অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।
সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেওয়া এক চিঠিতে এই সুপারিশ করা হয়। রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপণ্য বিবেচনায় এমন সুপারিশ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আনার আমদানিতে মোট শুল্ক-কর রয়েছে ১২৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আপেল, মাল্টা, আনার ইত্যাদি ফলের স্থানীয় উৎপাদন নেই; তাই এই উচ্চহারে শুল্ক-কর রাখার প্রয়োজনীয়তা সীমিত।
অন্যদিকে উচ্চহারে শুল্ক-কর আরোপের ফলে বৈধ পথে আমদানি কমে তা অবৈধ পথে আমদানিকে উৎসাহিত করতে পারে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে অতিমাত্রায় বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহারের প্রবণতাও বাড়তে পারে। উচ্চ শুল্ক-করের ফলে তাজা ফলের আমদানি কমার ধারা অব্যাহত থাকলে শুধু ভোক্তাসাধারণের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না; ভবিষ্যতে রাজস্ব আহরণও কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
তাজা ফলকে ‘বিলাস পণ্য’ হিসেবে বিবেচনা করে এর ওপর ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে নিত্যপণ্য আইন, ১৯৫৬ অনুযায়ী খাদ্যপণ্য হিসেবে তাজা ফল ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ বিধায় এর ওপর আরোপিত অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার বা যৌক্তিক করা যেতে পারে।

কয়েক বছর আগেই রাষ্ট্রীয়ভাবে বিটকয়েন মাইনিংয়ের প্রকল্পে হাতে নিয়েছে ভুটান। ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগের সঠিক তথ্য নিয়ে রহস্য তৈরি হওয়ায় এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটি। তবে ২০২০ সাল থেকে ভেতরে-ভেতরে কথা চললেও এই প্রকল্পের কথা চলতি সপ্তাহের আগপর্যন্ত কখনোই খোলাসা করা হয়নি। ভুটানে বিটকয়েন তৈর
০৫ মে ২০২৩
ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৭ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১১ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘দেশে শুধু ভোটাররাই নন, রাজনীতিবিদেরাও এখন বিপন্নতার মধ্যে রয়েছেন।’

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বিপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা উঠে আসে। তবে এর সঙ্গে বড় একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সিপিডির এই ফেলো বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সহিংসতার পর এখন নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত দেড় মাসে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’ প্ল্যাটফর্ম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্-নির্বাচনী সংলাপ আয়োজন করেছে। এসব সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে একটি নাগরিক ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না, এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন।’
সংস্কার এজেন্ডা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্তমানে সংস্কার-সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি এলিট গোষ্ঠী প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে দুর্বল করেছে, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতাহীন অর্থনীতি।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম ও একটি অলিগার্কিক ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমান উদ্যোগটি আলাদা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কমিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে যে গতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সিপিডি ফেলো বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও যোগাযোগ সব সময় পর্যাপ্ত ছিল না। আর শুধু পরিকল্পনার মাধ্যমে সংস্কার সফল করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ।’
তাঁর মতে, সংস্কার শুধু পরিকল্পনা বা উদ্দীপনার বিষয় নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নাগরিকদের সচেতনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘দেশে শুধু ভোটাররাই নন, রাজনীতিবিদেরাও এখন বিপন্নতার মধ্যে রয়েছেন।’

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বিপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা উঠে আসে। তবে এর সঙ্গে বড় একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সিপিডির এই ফেলো বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সহিংসতার পর এখন নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত দেড় মাসে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’ প্ল্যাটফর্ম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্-নির্বাচনী সংলাপ আয়োজন করেছে। এসব সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে একটি নাগরিক ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না, এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন।’
সংস্কার এজেন্ডা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্তমানে সংস্কার-সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি এলিট গোষ্ঠী প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে দুর্বল করেছে, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতাহীন অর্থনীতি।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম ও একটি অলিগার্কিক ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমান উদ্যোগটি আলাদা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কমিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে যে গতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সিপিডি ফেলো বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও যোগাযোগ সব সময় পর্যাপ্ত ছিল না। আর শুধু পরিকল্পনার মাধ্যমে সংস্কার সফল করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ।’
তাঁর মতে, সংস্কার শুধু পরিকল্পনা বা উদ্দীপনার বিষয় নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নাগরিকদের সচেতনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

কয়েক বছর আগেই রাষ্ট্রীয়ভাবে বিটকয়েন মাইনিংয়ের প্রকল্পে হাতে নিয়েছে ভুটান। ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগের সঠিক তথ্য নিয়ে রহস্য তৈরি হওয়ায় এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটি। তবে ২০২০ সাল থেকে ভেতরে-ভেতরে কথা চললেও এই প্রকল্পের কথা চলতি সপ্তাহের আগপর্যন্ত কখনোই খোলাসা করা হয়নি। ভুটানে বিটকয়েন তৈর
০৫ মে ২০২৩
ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৭ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১১ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১২ ঘণ্টা আগে