রোকন উদ্দীন, ঢাকা

প্রকৃতির এক আশ্চর্য উপহার মধু। মিষ্টি স্বাদ আর গুণাগুণের জন্য মানুষের মনে এর জায়গা চিরকালীন। এক ফোঁটা মধু জিহ্বায় পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা মন থেকে মস্তিষ্ক পর্যন্ত গভীর আনন্দ ছড়িয়ে দেয়।
মধু শুধু স্বাদের জন্য নয়, উপকারিতার জন্যও খ্যাতি অর্জন করেছে। এটি ‘সব রোগের মহৌষধ’ হিসেবে পরিচিত। পুষ্টিবিদেরা বলেন, মধুতে গ্লুকোজ, ফ্রুকটোজ, খনিজ লবণ, অ্যামাইনো অ্যাসিডসহ প্রায় ৪৫টি পুষ্টি উপাদান থাকে। ১০০ গ্রাম মধুতে ২৮৮ ক্যালরি শক্তি থাকে, যা শরীর চাঙা রাখতে সাহায্য করে।
একসময় বন-জঙ্গল থেকে মৌয়ালেরা মধু সংগ্রহ করতেন, যা দাদি-নানিরা বোতলে জমাতেন। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মধু উৎপাদন থেকে বাজারে পৌঁছানোর প্রক্রিয়াটি বাণিজ্যিক রূপ লাভ করেছে এবং শিল্পে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে মধু নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে গবেষক, চাষি, উৎপাদক, ব্যবসায়ী ও ভোক্তার মাঝে সেতুবন্ধ গড়ে উঠেছে। এর সদস্যসংখ্যা ২৬ হাজারের বেশি। প্রতিবছর জাতীয় মৌমাছি ও মধু সম্মেলন, প্রদর্শনী, সেমিনার, মধুমেলা এবং সুন্দরবনে হানি ট্যুরিজমের কার্যক্রমও চলছে।
বর্তমানে দেশে মধুর বার্ষিক বাজারমূল্য ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ২০২৪ সালে প্রাকৃতিক ও চাষ থেকে ২০-২৫ হাজার টন মধু সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯০-৯৫% চাষের। তবে দেশে মধু প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংগ্রহের আধুনিক ব্যবস্থা কম, তাই প্রতিবছর প্রায় ২ হাজার টন মধু আমদানি করা হচ্ছে।
গবেষক ও উদ্যোক্তারা মনে করেন, মধু শুধু পুষ্টি ও স্বাদের বিষয় নয়, এটি একটি বিশাল সম্ভাবনার ক্ষেত্র। একটু পরিকল্পনা ও যত্ন নিলে এই শিল্পকে দেশের অর্থনীতির এক শক্তিশালী খাতে রূপান্তর করা সম্ভব। যদি এই খাতে উন্নতি ঘটে, দেশের বার্ষিক মধু উৎপাদন ২ লাখ টন ছাড়িয়ে যাবে, যার বাজারমূল্য দাঁড়াবে ১৪-১৫ হাজার কোটি টাকায়।
মৌমাছি চাষের ইতিহাস
মৌমাছি চাষের প্রাচীন ইতিহাস খ্রিষ্টপূর্ব ৬ হাজার অব্দে পাওয়া গেলেও পদ্ধতিগতভাবে এটি শুরু হয় ১৬ শতকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। আধুনিক মৌচাষের ভিত্তি স্থাপন করেন ল্যাংস্ট্রোথ, ১৮ শতকে। বাংলাদেশে বাণিজ্যিক মৌচাষ শুরু হয় ১৯৬১ সালে কুমিল্লার পল্লী উন্নয়ন একাডেমিতে। এরপর ১৯৬৩ সালে বিসিক প্রথম মৌ চাষের উদ্যোগ নেয়। ভারতে মৌমাছি চাষ শুরু হয়েছিল ১৮৮৩ সালে। আশির দশকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যুক্ত হয় এবং ২০০০ সাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে মধু উৎপাদন শুরু হয়। ২০০৫ সাল পর্যন্ত বিসিক ১৭ হাজার মানুষকে প্রশিক্ষণ দিয়ে মধু চাষে উদ্বুদ্ধ করেছে।
বাড়ছে উৎপাদন-চাহিদা
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের আল আমিন আট বছর আগে মধু ব্যবসা শুরু করেন। তখন তাঁর এলাকায় ১০-১২ জন বিক্রেতা ছিলেন। আজ সেই সংখ্যা বেড়ে কয়েক হাজার হয়েছে। প্রথমে দৈনিক ২-৩ কেজি মধু বিক্রি হলেও বর্তমানে তা ১৫-২০ কেজিতে দাঁড়িয়েছে। তাঁর প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ড ‘ভিটালিক্স’ও বাজারে পরিচিত।
আল আমিন জানান, করোনাকালে মধুর বাজার দ্রুত বেড়েছে। আগের পাঁচ বছরে যে চাহিদা ছিল, করোনার এক-দুই বছরে তা অনেক বেড়েছে। কারণ, মানুষ এখন শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা (ইমিউনিটি) বাড়ানোর গুরুত্ব বুঝতে পেরেছে।
মধুর বাজারের আকার
দেশে মধু উৎপাদনের প্রকৃত তথ্য এখনো অস্পষ্ট। সরকারি-বেসরকারি হিসাবে এর পরিমাণের তথ্যে ভিন্নতা রয়েছে। বিসিকের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে সাড়ে ১০ হাজার টনের বেশি মধু উৎপাদিত হয়, যা ২০১৮-১৯ সালে ছিল ২ হাজার টনের কম। এ ছাড়া প্রতিবছর প্রায় ২ হাজার টন মধু আমদানি করা হয়।
তবে গতকাল শনিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হওয়া পঞ্চম মৌমাছি ও মধু সম্মেলনে উপস্থাপিত গবেষণা প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০২৪ সালে প্রাকৃতিক ও চাষ থেকে মধু সংগ্রহ হয়েছে ২০ থেকে ২৫ হাজার টন।
বাংলাদেশ বি কিপার্স অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোক্তাদের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি কেজি মধুর গড় মূল্য ৭০০ টাকা ধরে ১০ হাজার ৬৫৫ টন মধুর বাজারমূল্য প্রায় ৭৫০ কোটি টাকা। প্রতিবছর আমদানি করা মধুর মূল্য প্রায় ৬০ কোটি টাকা এবং মৌচাক থেকে প্রাপ্ত অন্যান্য উপকরণ বিক্রি হয় প্রায় ৫০ কোটি টাকায়। সুতরাং উৎপাদিত, আমদানি, অন্যান্য মধুর পণ্যসহ দেশে মধুর বাজার ৮৫০ কোটি টাকার বেশি।
বর্তমানে বিসিকের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চাষির সংখ্যা ৬ হাজার। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়া প্রায় ২ হাজার চাষি মধু উৎপাদন করছেন। এসব চাষি সাধারণত ৮০-১০০টি বাক্স ব্যবহার করে মধু উৎপাদন করেন। শখের বশে কিছু বাক্স কিনে ব্যক্তিগতভাবে মধু উৎপাদনকারীও রয়েছেন। এর ফলে বেসরকারি তথ্য অনুযায়ী মধুর বাজারের আকার আরও বড়। যার বার্ষিক বাজারমূল্য ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
কোথায় বেশি উৎপাদন
মধুর ৯৫ শতাংশ উৎপাদিত হয় চাষের মাধ্যমে, যার মধ্যে প্রাকৃতিক মধুর বড় উৎস সুন্দরবন। বন বিভাগের তথ্যমতে, সুন্দরবন থেকে প্রতিবছর প্রায় ৩০০ টন মধু আহরণ করা হয়। সরকারিভাবে মধু চাষ করে বিসিক, যার ছয়টি মধু সংগ্রহকেন্দ্র রয়েছে গাজীপুর, দিনাজপুর, বাগেরহাট, বরিশাল, সিলেট ও কুমিল্লায়। এ ছাড়া মানিকগঞ্জ, পাবনা, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, টাঙ্গাইলসহ বিভিন্ন এলাকায় বেশি মধু উৎপাদিত হয়; বিশেষত সরিষা, ধনিয়া, কালিজিরা ও লিচু ফুলের মৌসুমে।
মধুর ধরন, ব্র্যান্ড ও দাম
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে সরিষা, লিচু, কালিজিরা, সুন্দরবনের বাইং, বরই, ধনিয়া, শজনেসহ ৮-১০ ধরনের ফুলের মধু পাওয়া যায়। সবচেয়ে দামি হলো সুন্দরবনের প্রাকৃতিক মধু, যা ১ হাজার ৯০০ থেকে ২ হাজার টাকা কেজি বিক্রি হয়। এরপরেই সুন্দরবনে বাক্সে উৎপাদিত মধু ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ এবং বাইং ফুলের মধু ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা কেজি। সরিষা ফুলের মধুর দাম সবচেয়ে কম, ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি। কালিজিরার মধু বিক্রি হয় ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা কেজি।
বিক্রেতারা বলেন, মধুর দাম কিছুটা বেশি হলেও এটি স্বাস্থ্যোপকারিতার জন্য অনেকের কাছে সাশ্রয়ী। এ ক্ষেত্রে ২০ গ্রাম মধু খাওয়ার খরচ মাত্র ১২ টাকা, যা অনেকের জন্য সাশ্রয়ী হতে পারে। বাজারে পাওয়া যায় দেশীয় ব্র্যান্ড যেমন স্বপ্ন মধু, ট্রপিকা, এপি মধু ছাড়াও আমদানি করা বিদেশি ব্র্যান্ড; যেমন ভারতের ডাবর, সাফোলা; পাকিস্তানের বি হাইভস; অস্ট্রেলিয়ার অজিবি; সৌদি আরবের আল শিফা; নিউজিল্যান্ডের মানুকা হানি। বিদেশি মধু সাধারণত ৫০০ থেকে ২৫০ গ্রাম কাচের জারে বিক্রি হয়, যার দাম কেজিতে ১ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার টাকা।
ভেজালে বাড়ছে আস্থাহীনতা
মধুর বাজার সম্প্রসারণের সঙ্গে সঙ্গে ভেজালের পরিমাণও বাড়ছে, যা ক্রেতাদের জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে ভেজাল মধু খাঁটি মধু হিসেবে বিক্রি হচ্ছে, ফলে ক্রেতারা সঠিক পণ্য নির্বাচন করতে পারছেন না। এই আস্থাহীনতা ক্রমাগত বেড়ে যাওয়ায় খাঁটি মধু কেনার প্রতি মানুষের আগ্রহ কমছে। তা ছাড়া ভেজাল মধু বিক্রির কারণে খাঁটি মধুর দামও সঠিকভাবে নির্ধারণ করা যাচ্ছে না। ফলে বাজারে মধুর চাহিদা ও বিশ্বাসে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, যা ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের জন্য উদ্বেগের কারণ।
মানসনদেও জটিলতা
গোপীবাগ এলাকার মাহবুবা আলম বলেন, বাজারের মধু খাঁটি কি না, তা নিশ্চিত করা কঠিন। যদি সরকারি সংস্থা নিশ্চিত করতে পারত, তাহলে ক্রেতার সংখ্যা আরও বাড়ত। দেশে মধুর বিপণনে মান বজায় রাখার দায়িত্ব বিএসটিআইয়ের। বিএসটিআই কর্তৃক মানসনদপ্রাপ্ত ১৮১টি পণ্যের মধ্যে মধু রয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সনদ নিয়ে মধু বিক্রি হলেও প্রক্রিয়াগত জটিলতার কারণে অনেকে সনদ নেন না। লাইসেন্স প্রক্রিয়া সহজ করলে বাজারে আস্থাহীনতা অনেকটা কমে যেত।
বিএসটিআই সূত্রে জানা যায়, মধুর মানসনদ নিতে উদ্যোক্তাকে একটি প্রতিষ্ঠিত কারখানা, ট্রেড লাইসেন্স, ট্রেডমার্ক সার্টিফিকেট, স্বাস্থ্য সার্টিফিকেট ও মোড়ক তৈরি করতে হয়। এসব কাগজপত্রসহ বিএসটিআইয়ে আবেদন করতে হয়, যেখানে উৎপাদিত পণ্যের নমুনা জমা দিতে হয়। বিএসটিআই নিজস্ব ল্যাবে ১৩টি পরীক্ষা এবং সরেজমিন তদন্তের মাধ্যমে মানসনদ দেয়। বিএসটিআইয়ের পরিচালক মো. নূরুল আমিন বলেন, ‘এখানে ওয়ান-স্টপ সার্ভিস রয়েছে, তবে আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করতেই হবে, অন্যথায় সনদ দেওয়া সম্ভব নয়।’

সমস্যা ও সম্ভাবনা
কিছু বাধার কারণে দেশে মধু উৎপাদন এখনো পূর্ণ সম্ভাবনায় পৌঁছাতে পারেনি। খাতসংশ্লিষ্টরা জানান, মৌমাছির জাত উন্নয়ন ও গবেষণার অভাব প্রধান সমস্যা। গাভির জাত উন্নয়ন করে দুধের উৎপাদন যেমন বাড়ানো সম্ভব হয়েছে, তেমনি মৌমাছির জাত উন্নয়ন হলে মধুর উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব। মৌচাষিরা এক মৌসুমে ৩৫-৪০ কেজি মধু উৎপাদন করতে পারেন, যেখানে চীন ও ভারতের চাষিরা ১০০ থেকে ১২০ কেজি পর্যন্ত উৎপাদন করতে সক্ষম।
বাংলাদেশ বি কিপার্স অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন, পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের অভাবও বড় বাধা। বিসিক প্রতিবছর ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে প্রশিক্ষণ দিলেও তা যথেষ্ট নয়। এ ছাড়া মধু বিক্রি ও মানসম্পর্কিত আইন না থাকায় বাজারে আস্থা কম। এ ছাড়া দেশে মধু খাতের জন্য কোনো আলাদা বোর্ড বা দপ্তর না থাকায় কার্যকর নীতিমালা তৈরি সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) সাবেক কর্মকর্তা ও মৌ চাষ উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক খোন্দকার আমিনুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যথাযথ উদ্যোগ নিলে দেশের মধু খাত রপ্তানি উপযোগী হয়ে ২ লাখ টন পর্যন্ত উৎপাদন করা সম্ভব। এতে দেশের চাহিদা মিটিয়ে ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডাসহ অন্য দেশগুলোতে রপ্তানি করা যাবে।’
খোন্দকার আমিনুজ্জামান আরও জানান, ‘দৈনিক ১০ গ্রাম মধু খেলে দেশের বার্ষিক চাহিদা ৪০ হাজার টন হতে পারে, কিন্তু সচেতনতার অভাবে মানুষ মধু খায় না। মৌমাছি চাষে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। এটি শুধু মধুর উৎপাদন বাড়াবে না, কৃষি ফসলের উৎপাদনও ২৫-৩০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেবে।’

প্রকৃতির এক আশ্চর্য উপহার মধু। মিষ্টি স্বাদ আর গুণাগুণের জন্য মানুষের মনে এর জায়গা চিরকালীন। এক ফোঁটা মধু জিহ্বায় পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা মন থেকে মস্তিষ্ক পর্যন্ত গভীর আনন্দ ছড়িয়ে দেয়।
মধু শুধু স্বাদের জন্য নয়, উপকারিতার জন্যও খ্যাতি অর্জন করেছে। এটি ‘সব রোগের মহৌষধ’ হিসেবে পরিচিত। পুষ্টিবিদেরা বলেন, মধুতে গ্লুকোজ, ফ্রুকটোজ, খনিজ লবণ, অ্যামাইনো অ্যাসিডসহ প্রায় ৪৫টি পুষ্টি উপাদান থাকে। ১০০ গ্রাম মধুতে ২৮৮ ক্যালরি শক্তি থাকে, যা শরীর চাঙা রাখতে সাহায্য করে।
একসময় বন-জঙ্গল থেকে মৌয়ালেরা মধু সংগ্রহ করতেন, যা দাদি-নানিরা বোতলে জমাতেন। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মধু উৎপাদন থেকে বাজারে পৌঁছানোর প্রক্রিয়াটি বাণিজ্যিক রূপ লাভ করেছে এবং শিল্পে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে মধু নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে গবেষক, চাষি, উৎপাদক, ব্যবসায়ী ও ভোক্তার মাঝে সেতুবন্ধ গড়ে উঠেছে। এর সদস্যসংখ্যা ২৬ হাজারের বেশি। প্রতিবছর জাতীয় মৌমাছি ও মধু সম্মেলন, প্রদর্শনী, সেমিনার, মধুমেলা এবং সুন্দরবনে হানি ট্যুরিজমের কার্যক্রমও চলছে।
বর্তমানে দেশে মধুর বার্ষিক বাজারমূল্য ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ২০২৪ সালে প্রাকৃতিক ও চাষ থেকে ২০-২৫ হাজার টন মধু সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯০-৯৫% চাষের। তবে দেশে মধু প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংগ্রহের আধুনিক ব্যবস্থা কম, তাই প্রতিবছর প্রায় ২ হাজার টন মধু আমদানি করা হচ্ছে।
গবেষক ও উদ্যোক্তারা মনে করেন, মধু শুধু পুষ্টি ও স্বাদের বিষয় নয়, এটি একটি বিশাল সম্ভাবনার ক্ষেত্র। একটু পরিকল্পনা ও যত্ন নিলে এই শিল্পকে দেশের অর্থনীতির এক শক্তিশালী খাতে রূপান্তর করা সম্ভব। যদি এই খাতে উন্নতি ঘটে, দেশের বার্ষিক মধু উৎপাদন ২ লাখ টন ছাড়িয়ে যাবে, যার বাজারমূল্য দাঁড়াবে ১৪-১৫ হাজার কোটি টাকায়।
মৌমাছি চাষের ইতিহাস
মৌমাছি চাষের প্রাচীন ইতিহাস খ্রিষ্টপূর্ব ৬ হাজার অব্দে পাওয়া গেলেও পদ্ধতিগতভাবে এটি শুরু হয় ১৬ শতকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। আধুনিক মৌচাষের ভিত্তি স্থাপন করেন ল্যাংস্ট্রোথ, ১৮ শতকে। বাংলাদেশে বাণিজ্যিক মৌচাষ শুরু হয় ১৯৬১ সালে কুমিল্লার পল্লী উন্নয়ন একাডেমিতে। এরপর ১৯৬৩ সালে বিসিক প্রথম মৌ চাষের উদ্যোগ নেয়। ভারতে মৌমাছি চাষ শুরু হয়েছিল ১৮৮৩ সালে। আশির দশকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যুক্ত হয় এবং ২০০০ সাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে মধু উৎপাদন শুরু হয়। ২০০৫ সাল পর্যন্ত বিসিক ১৭ হাজার মানুষকে প্রশিক্ষণ দিয়ে মধু চাষে উদ্বুদ্ধ করেছে।
বাড়ছে উৎপাদন-চাহিদা
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের আল আমিন আট বছর আগে মধু ব্যবসা শুরু করেন। তখন তাঁর এলাকায় ১০-১২ জন বিক্রেতা ছিলেন। আজ সেই সংখ্যা বেড়ে কয়েক হাজার হয়েছে। প্রথমে দৈনিক ২-৩ কেজি মধু বিক্রি হলেও বর্তমানে তা ১৫-২০ কেজিতে দাঁড়িয়েছে। তাঁর প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ড ‘ভিটালিক্স’ও বাজারে পরিচিত।
আল আমিন জানান, করোনাকালে মধুর বাজার দ্রুত বেড়েছে। আগের পাঁচ বছরে যে চাহিদা ছিল, করোনার এক-দুই বছরে তা অনেক বেড়েছে। কারণ, মানুষ এখন শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা (ইমিউনিটি) বাড়ানোর গুরুত্ব বুঝতে পেরেছে।
মধুর বাজারের আকার
দেশে মধু উৎপাদনের প্রকৃত তথ্য এখনো অস্পষ্ট। সরকারি-বেসরকারি হিসাবে এর পরিমাণের তথ্যে ভিন্নতা রয়েছে। বিসিকের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে সাড়ে ১০ হাজার টনের বেশি মধু উৎপাদিত হয়, যা ২০১৮-১৯ সালে ছিল ২ হাজার টনের কম। এ ছাড়া প্রতিবছর প্রায় ২ হাজার টন মধু আমদানি করা হয়।
তবে গতকাল শনিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হওয়া পঞ্চম মৌমাছি ও মধু সম্মেলনে উপস্থাপিত গবেষণা প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০২৪ সালে প্রাকৃতিক ও চাষ থেকে মধু সংগ্রহ হয়েছে ২০ থেকে ২৫ হাজার টন।
বাংলাদেশ বি কিপার্স অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোক্তাদের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি কেজি মধুর গড় মূল্য ৭০০ টাকা ধরে ১০ হাজার ৬৫৫ টন মধুর বাজারমূল্য প্রায় ৭৫০ কোটি টাকা। প্রতিবছর আমদানি করা মধুর মূল্য প্রায় ৬০ কোটি টাকা এবং মৌচাক থেকে প্রাপ্ত অন্যান্য উপকরণ বিক্রি হয় প্রায় ৫০ কোটি টাকায়। সুতরাং উৎপাদিত, আমদানি, অন্যান্য মধুর পণ্যসহ দেশে মধুর বাজার ৮৫০ কোটি টাকার বেশি।
বর্তমানে বিসিকের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চাষির সংখ্যা ৬ হাজার। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়া প্রায় ২ হাজার চাষি মধু উৎপাদন করছেন। এসব চাষি সাধারণত ৮০-১০০টি বাক্স ব্যবহার করে মধু উৎপাদন করেন। শখের বশে কিছু বাক্স কিনে ব্যক্তিগতভাবে মধু উৎপাদনকারীও রয়েছেন। এর ফলে বেসরকারি তথ্য অনুযায়ী মধুর বাজারের আকার আরও বড়। যার বার্ষিক বাজারমূল্য ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
কোথায় বেশি উৎপাদন
মধুর ৯৫ শতাংশ উৎপাদিত হয় চাষের মাধ্যমে, যার মধ্যে প্রাকৃতিক মধুর বড় উৎস সুন্দরবন। বন বিভাগের তথ্যমতে, সুন্দরবন থেকে প্রতিবছর প্রায় ৩০০ টন মধু আহরণ করা হয়। সরকারিভাবে মধু চাষ করে বিসিক, যার ছয়টি মধু সংগ্রহকেন্দ্র রয়েছে গাজীপুর, দিনাজপুর, বাগেরহাট, বরিশাল, সিলেট ও কুমিল্লায়। এ ছাড়া মানিকগঞ্জ, পাবনা, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, টাঙ্গাইলসহ বিভিন্ন এলাকায় বেশি মধু উৎপাদিত হয়; বিশেষত সরিষা, ধনিয়া, কালিজিরা ও লিচু ফুলের মৌসুমে।
মধুর ধরন, ব্র্যান্ড ও দাম
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে সরিষা, লিচু, কালিজিরা, সুন্দরবনের বাইং, বরই, ধনিয়া, শজনেসহ ৮-১০ ধরনের ফুলের মধু পাওয়া যায়। সবচেয়ে দামি হলো সুন্দরবনের প্রাকৃতিক মধু, যা ১ হাজার ৯০০ থেকে ২ হাজার টাকা কেজি বিক্রি হয়। এরপরেই সুন্দরবনে বাক্সে উৎপাদিত মধু ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ এবং বাইং ফুলের মধু ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা কেজি। সরিষা ফুলের মধুর দাম সবচেয়ে কম, ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি। কালিজিরার মধু বিক্রি হয় ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা কেজি।
বিক্রেতারা বলেন, মধুর দাম কিছুটা বেশি হলেও এটি স্বাস্থ্যোপকারিতার জন্য অনেকের কাছে সাশ্রয়ী। এ ক্ষেত্রে ২০ গ্রাম মধু খাওয়ার খরচ মাত্র ১২ টাকা, যা অনেকের জন্য সাশ্রয়ী হতে পারে। বাজারে পাওয়া যায় দেশীয় ব্র্যান্ড যেমন স্বপ্ন মধু, ট্রপিকা, এপি মধু ছাড়াও আমদানি করা বিদেশি ব্র্যান্ড; যেমন ভারতের ডাবর, সাফোলা; পাকিস্তানের বি হাইভস; অস্ট্রেলিয়ার অজিবি; সৌদি আরবের আল শিফা; নিউজিল্যান্ডের মানুকা হানি। বিদেশি মধু সাধারণত ৫০০ থেকে ২৫০ গ্রাম কাচের জারে বিক্রি হয়, যার দাম কেজিতে ১ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার টাকা।
ভেজালে বাড়ছে আস্থাহীনতা
মধুর বাজার সম্প্রসারণের সঙ্গে সঙ্গে ভেজালের পরিমাণও বাড়ছে, যা ক্রেতাদের জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে ভেজাল মধু খাঁটি মধু হিসেবে বিক্রি হচ্ছে, ফলে ক্রেতারা সঠিক পণ্য নির্বাচন করতে পারছেন না। এই আস্থাহীনতা ক্রমাগত বেড়ে যাওয়ায় খাঁটি মধু কেনার প্রতি মানুষের আগ্রহ কমছে। তা ছাড়া ভেজাল মধু বিক্রির কারণে খাঁটি মধুর দামও সঠিকভাবে নির্ধারণ করা যাচ্ছে না। ফলে বাজারে মধুর চাহিদা ও বিশ্বাসে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, যা ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের জন্য উদ্বেগের কারণ।
মানসনদেও জটিলতা
গোপীবাগ এলাকার মাহবুবা আলম বলেন, বাজারের মধু খাঁটি কি না, তা নিশ্চিত করা কঠিন। যদি সরকারি সংস্থা নিশ্চিত করতে পারত, তাহলে ক্রেতার সংখ্যা আরও বাড়ত। দেশে মধুর বিপণনে মান বজায় রাখার দায়িত্ব বিএসটিআইয়ের। বিএসটিআই কর্তৃক মানসনদপ্রাপ্ত ১৮১টি পণ্যের মধ্যে মধু রয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সনদ নিয়ে মধু বিক্রি হলেও প্রক্রিয়াগত জটিলতার কারণে অনেকে সনদ নেন না। লাইসেন্স প্রক্রিয়া সহজ করলে বাজারে আস্থাহীনতা অনেকটা কমে যেত।
বিএসটিআই সূত্রে জানা যায়, মধুর মানসনদ নিতে উদ্যোক্তাকে একটি প্রতিষ্ঠিত কারখানা, ট্রেড লাইসেন্স, ট্রেডমার্ক সার্টিফিকেট, স্বাস্থ্য সার্টিফিকেট ও মোড়ক তৈরি করতে হয়। এসব কাগজপত্রসহ বিএসটিআইয়ে আবেদন করতে হয়, যেখানে উৎপাদিত পণ্যের নমুনা জমা দিতে হয়। বিএসটিআই নিজস্ব ল্যাবে ১৩টি পরীক্ষা এবং সরেজমিন তদন্তের মাধ্যমে মানসনদ দেয়। বিএসটিআইয়ের পরিচালক মো. নূরুল আমিন বলেন, ‘এখানে ওয়ান-স্টপ সার্ভিস রয়েছে, তবে আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করতেই হবে, অন্যথায় সনদ দেওয়া সম্ভব নয়।’

সমস্যা ও সম্ভাবনা
কিছু বাধার কারণে দেশে মধু উৎপাদন এখনো পূর্ণ সম্ভাবনায় পৌঁছাতে পারেনি। খাতসংশ্লিষ্টরা জানান, মৌমাছির জাত উন্নয়ন ও গবেষণার অভাব প্রধান সমস্যা। গাভির জাত উন্নয়ন করে দুধের উৎপাদন যেমন বাড়ানো সম্ভব হয়েছে, তেমনি মৌমাছির জাত উন্নয়ন হলে মধুর উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব। মৌচাষিরা এক মৌসুমে ৩৫-৪০ কেজি মধু উৎপাদন করতে পারেন, যেখানে চীন ও ভারতের চাষিরা ১০০ থেকে ১২০ কেজি পর্যন্ত উৎপাদন করতে সক্ষম।
বাংলাদেশ বি কিপার্স অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন, পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের অভাবও বড় বাধা। বিসিক প্রতিবছর ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে প্রশিক্ষণ দিলেও তা যথেষ্ট নয়। এ ছাড়া মধু বিক্রি ও মানসম্পর্কিত আইন না থাকায় বাজারে আস্থা কম। এ ছাড়া দেশে মধু খাতের জন্য কোনো আলাদা বোর্ড বা দপ্তর না থাকায় কার্যকর নীতিমালা তৈরি সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) সাবেক কর্মকর্তা ও মৌ চাষ উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক খোন্দকার আমিনুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যথাযথ উদ্যোগ নিলে দেশের মধু খাত রপ্তানি উপযোগী হয়ে ২ লাখ টন পর্যন্ত উৎপাদন করা সম্ভব। এতে দেশের চাহিদা মিটিয়ে ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডাসহ অন্য দেশগুলোতে রপ্তানি করা যাবে।’
খোন্দকার আমিনুজ্জামান আরও জানান, ‘দৈনিক ১০ গ্রাম মধু খেলে দেশের বার্ষিক চাহিদা ৪০ হাজার টন হতে পারে, কিন্তু সচেতনতার অভাবে মানুষ মধু খায় না। মৌমাছি চাষে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। এটি শুধু মধুর উৎপাদন বাড়াবে না, কৃষি ফসলের উৎপাদনও ২৫-৩০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেবে।’

ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৮ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১৩ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৯ ঘণ্টা আগেরোকন উদ্দীন, ঢাকা

ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজারে বাংলাদেশের অংশ এখনো মাত্র ১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ সাড়ে ৫ শতাংশ।
এই অবস্থান আরও স্পষ্ট হয় ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায়। ইউরোপের তৈরি পোশাক আমদানির প্রায় অর্ধেকই আসে বাংলাদেশ থেকে, আর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও শীর্ষ সরবরাহকারীর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। তবু জাপানের মতো স্থিতিশীল ও উচ্চমূল্যের বাজারে বাংলাদেশ এখনো ব্যবহৃত সুযোগের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে। পরিসংখ্যান তা-ই বলে—এখানে এখনো বড় জায়গা খালি রয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যও সেই সম্ভাবনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়। ২০২৪ অর্থবছরে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার; যার মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ জাপান এখন বাংলাদেশের ১২তম রপ্তানি গন্তব্য।
তবে চলতি অর্থবছরের গত কয়েক মাসের প্রবণতা বাজারের পরিবর্তন আরও স্পষ্ট করে। ইপিবির সর্বশেষ তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে জাপানে রপ্তানি হয়েছে ২২ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ডলার, যেখানে গত বছর একই সময়ে ছিল ১৯ কোটি ৩৯ লাখ ২০ হাজার ডলার। প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়া এ সময়ে দ্বিতীয় বৃহৎ অপ্রচলিত বাজার হলেও সেখানে রপ্তানি কমেছে ৬ শতাংশ। ফলে জাপান এখন অপ্রচলিত রপ্তানি বাজারে সবচেয়ে দ্রুত বাড়তে থাকা গন্তব্য হিসেবে সামনে আসছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান হাসান আরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে এখন সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ও স্থিতিশীল একটি বাজার হলো জাপান। সরকারের পর্যালোচনায়ও বিষয়টি রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে দ্রুত কাজে লাগাতে আগামী জানুয়ারির মধ্যে আমরা দেশটির সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি, যা সম্পন্ন হলে রপ্তানি আশানুরূপ বাড়ানো সম্ভব হবে।’
জাপানের এই উত্থান কাকতাল নয়। রপ্তানিকারকেরা বলছেন, ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি, সরবরাহ-ঝুঁকি ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়ায় আমদানিকারকেরা নতুন বাজারের দিকে ঝুঁকছেন। আর জাপান এমন একটি বাজার, যেখানে মূল্য-সুবিধার পাশাপাশি গুণগত মান, কঠোর কমপ্লায়েন্স এবং দ্রুত বদলে যাওয়া ফ্যাশন-চাহিদার প্রতি গুরুত্ব বেশি। এসব মানদণ্ড পূরণ করতে পারলে বাজারটি দীর্ঘমেয়াদি ও নিশ্চিত প্রবৃদ্ধির সুযোগ দেয়।
কিন্তু এখানেই চ্যালেঞ্জ স্পষ্ট। জাপানি ক্রেতারা ছোট পরিমাণের অর্ডার দেন, মূল্য নিয়ে আগাম ছাড় পাওয়া সহজ নয়, আর প্রতিটি পণ্যের ক্ষেত্রে শতভাগ কমপ্লায়েন্স অপরিহার্য। এ বিষয়ে দেশের অন্যতম প্রস্তুতকারক টিম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহিল নকিব জানান, ‘অর্ডারের কঠোর ইন্সপেকশন বাংলাদেশে জাপানের অর্ডার ধরার সবচেয়ে বড় বাধা। মান নিশ্চিত না হলে তারা একটিও পণ্য নেয় না।’
এই কঠোরতা একদিকে বাধা, আবার অন্যদিকে সুবিধা। কারণ যে প্রতিষ্ঠান একবার জাপানের মান ধরে রাখতে পারে, তাদের জন্য বাজারটি স্থিতিশীল থাকে। জাপানি ব্র্যান্ডগুলো সরবরাহকারী খুব সহজে বদলায় না, ফলে দীর্ঘ মেয়াদে স্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হয়।
বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল মনে করেন, বৈশ্বিক উত্তেজনার এই সময়ে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ও উৎপাদনসক্ষমতা বাড়াতে পারলে অপ্রচলিত বাজারগুলোই ভবিষ্যতের বড় নিরাপত্তা হয়ে উঠবে।

ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজারে বাংলাদেশের অংশ এখনো মাত্র ১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ সাড়ে ৫ শতাংশ।
এই অবস্থান আরও স্পষ্ট হয় ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায়। ইউরোপের তৈরি পোশাক আমদানির প্রায় অর্ধেকই আসে বাংলাদেশ থেকে, আর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও শীর্ষ সরবরাহকারীর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। তবু জাপানের মতো স্থিতিশীল ও উচ্চমূল্যের বাজারে বাংলাদেশ এখনো ব্যবহৃত সুযোগের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে। পরিসংখ্যান তা-ই বলে—এখানে এখনো বড় জায়গা খালি রয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যও সেই সম্ভাবনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়। ২০২৪ অর্থবছরে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার; যার মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ জাপান এখন বাংলাদেশের ১২তম রপ্তানি গন্তব্য।
তবে চলতি অর্থবছরের গত কয়েক মাসের প্রবণতা বাজারের পরিবর্তন আরও স্পষ্ট করে। ইপিবির সর্বশেষ তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে জাপানে রপ্তানি হয়েছে ২২ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ডলার, যেখানে গত বছর একই সময়ে ছিল ১৯ কোটি ৩৯ লাখ ২০ হাজার ডলার। প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়া এ সময়ে দ্বিতীয় বৃহৎ অপ্রচলিত বাজার হলেও সেখানে রপ্তানি কমেছে ৬ শতাংশ। ফলে জাপান এখন অপ্রচলিত রপ্তানি বাজারে সবচেয়ে দ্রুত বাড়তে থাকা গন্তব্য হিসেবে সামনে আসছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান হাসান আরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে এখন সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ও স্থিতিশীল একটি বাজার হলো জাপান। সরকারের পর্যালোচনায়ও বিষয়টি রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে দ্রুত কাজে লাগাতে আগামী জানুয়ারির মধ্যে আমরা দেশটির সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি, যা সম্পন্ন হলে রপ্তানি আশানুরূপ বাড়ানো সম্ভব হবে।’
জাপানের এই উত্থান কাকতাল নয়। রপ্তানিকারকেরা বলছেন, ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি, সরবরাহ-ঝুঁকি ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়ায় আমদানিকারকেরা নতুন বাজারের দিকে ঝুঁকছেন। আর জাপান এমন একটি বাজার, যেখানে মূল্য-সুবিধার পাশাপাশি গুণগত মান, কঠোর কমপ্লায়েন্স এবং দ্রুত বদলে যাওয়া ফ্যাশন-চাহিদার প্রতি গুরুত্ব বেশি। এসব মানদণ্ড পূরণ করতে পারলে বাজারটি দীর্ঘমেয়াদি ও নিশ্চিত প্রবৃদ্ধির সুযোগ দেয়।
কিন্তু এখানেই চ্যালেঞ্জ স্পষ্ট। জাপানি ক্রেতারা ছোট পরিমাণের অর্ডার দেন, মূল্য নিয়ে আগাম ছাড় পাওয়া সহজ নয়, আর প্রতিটি পণ্যের ক্ষেত্রে শতভাগ কমপ্লায়েন্স অপরিহার্য। এ বিষয়ে দেশের অন্যতম প্রস্তুতকারক টিম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহিল নকিব জানান, ‘অর্ডারের কঠোর ইন্সপেকশন বাংলাদেশে জাপানের অর্ডার ধরার সবচেয়ে বড় বাধা। মান নিশ্চিত না হলে তারা একটিও পণ্য নেয় না।’
এই কঠোরতা একদিকে বাধা, আবার অন্যদিকে সুবিধা। কারণ যে প্রতিষ্ঠান একবার জাপানের মান ধরে রাখতে পারে, তাদের জন্য বাজারটি স্থিতিশীল থাকে। জাপানি ব্র্যান্ডগুলো সরবরাহকারী খুব সহজে বদলায় না, ফলে দীর্ঘ মেয়াদে স্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হয়।
বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল মনে করেন, বৈশ্বিক উত্তেজনার এই সময়ে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ও উৎপাদনসক্ষমতা বাড়াতে পারলে অপ্রচলিত বাজারগুলোই ভবিষ্যতের বড় নিরাপত্তা হয়ে উঠবে।

প্রকৃতির এক আশ্চর্য উপহার মধু। মিষ্টি স্বাদ আর গুণাগুণের জন্য মানুষের মনে এর জায়গা চিরকালীন। এক ফোঁটা মধু জিহ্বায় পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা মন থেকে মস্তিষ্ক পর্যন্ত গভীর আনন্দ ছড়িয়ে দেয়।
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১৩ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আট দিনব্যাপী ১২তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় ১৫ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করেছেন উদ্যোক্তারা। পণ্য বিক্রির পাশাপাশি ১৬ কোটি টাকার পণ্যের অর্ডার পেয়েছেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। আজ রোববার আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়েমা শাহীন সুলতানা, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত ইয়াসমিন ও ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রুমী এ আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এর আগে ১১টি জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় প্রায় ৩ হাজার উদ্যোক্তা তাঁদের পণ্য বিক্রি করেছেন। ১১টি পণ্য মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের ৫৭ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি এবং প্রায় ৯৩ কোটি টাকার অর্ডার পেয়েছেন।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
শতভাগ দেশি পণ্যের সবচেয়ে বড় এই আয়োজন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। ৭ ডিসেম্বর মেলার উদ্বোধন করেন শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করেছে প্রায় সাড়ে তিন শ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান, যাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি ৭৪টি প্রতিষ্ঠান।
এ ছাড়া হস্ত ও কারুশিল্পের ৫৪টি, পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্য খাতের ৪০টি; পাটজাত পণ্যের ৩৫টি; কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ২৮টি; শতরঞ্জি, বাঁশ, বেত, হোগলা, সুপারিখোল ও কাঠের ১৫টি; খাদ্যপণ্যের ১৪টি; লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের ১৩টি; জুয়েলারি শিল্পের ৯টি; প্রসাধন খাতের সাতটি; তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা খাতের পাঁচটি; হারবাল–ভেষজশিল্পের পাঁচটি; প্লাস্টিক পণ্যের পাঁচটি; ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস খাতের তিনটি, ফার্নিচার খাতের তিনটি এবং অন্যান্য খাতের ১১টি স্টল।
মেলায় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সেবা প্রদানকারী শিল্প মন্ত্রণালয়ের আটটি দপ্তর-সংস্থাসহ সরকারের প্রায় ১৫টি সংস্থা, প্রায় ৩০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
মেলায় এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ অর্থায়ন, পণ্য রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও পণ্যের হালাল সনদ প্রাপ্তি, পেটেন্ট, শিল্প নকশা, ট্রেড মার্ক ও জি আই স্বীকৃতি, স্কিলস ইকোসিস্টেম বিষয়ে ছয়টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

আট দিনব্যাপী ১২তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় ১৫ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করেছেন উদ্যোক্তারা। পণ্য বিক্রির পাশাপাশি ১৬ কোটি টাকার পণ্যের অর্ডার পেয়েছেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। আজ রোববার আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়েমা শাহীন সুলতানা, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত ইয়াসমিন ও ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রুমী এ আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এর আগে ১১টি জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় প্রায় ৩ হাজার উদ্যোক্তা তাঁদের পণ্য বিক্রি করেছেন। ১১টি পণ্য মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের ৫৭ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি এবং প্রায় ৯৩ কোটি টাকার অর্ডার পেয়েছেন।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
শতভাগ দেশি পণ্যের সবচেয়ে বড় এই আয়োজন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। ৭ ডিসেম্বর মেলার উদ্বোধন করেন শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করেছে প্রায় সাড়ে তিন শ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান, যাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি ৭৪টি প্রতিষ্ঠান।
এ ছাড়া হস্ত ও কারুশিল্পের ৫৪টি, পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্য খাতের ৪০টি; পাটজাত পণ্যের ৩৫টি; কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ২৮টি; শতরঞ্জি, বাঁশ, বেত, হোগলা, সুপারিখোল ও কাঠের ১৫টি; খাদ্যপণ্যের ১৪টি; লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের ১৩টি; জুয়েলারি শিল্পের ৯টি; প্রসাধন খাতের সাতটি; তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা খাতের পাঁচটি; হারবাল–ভেষজশিল্পের পাঁচটি; প্লাস্টিক পণ্যের পাঁচটি; ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস খাতের তিনটি, ফার্নিচার খাতের তিনটি এবং অন্যান্য খাতের ১১টি স্টল।
মেলায় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সেবা প্রদানকারী শিল্প মন্ত্রণালয়ের আটটি দপ্তর-সংস্থাসহ সরকারের প্রায় ১৫টি সংস্থা, প্রায় ৩০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
মেলায় এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ অর্থায়ন, পণ্য রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও পণ্যের হালাল সনদ প্রাপ্তি, পেটেন্ট, শিল্প নকশা, ট্রেড মার্ক ও জি আই স্বীকৃতি, স্কিলস ইকোসিস্টেম বিষয়ে ছয়টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

প্রকৃতির এক আশ্চর্য উপহার মধু। মিষ্টি স্বাদ আর গুণাগুণের জন্য মানুষের মনে এর জায়গা চিরকালীন। এক ফোঁটা মধু জিহ্বায় পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা মন থেকে মস্তিষ্ক পর্যন্ত গভীর আনন্দ ছড়িয়ে দেয়।
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৮ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১৩ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন রমজান মাস সামনে রেখে তাজা ফলের ওপর শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। খেজুরের মতোই এবার আপেল, কমলা, আঙুর, মেস্তারিন, নাশপাতি ইত্যাদি তাজা ফলকে ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করে অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।
সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেওয়া এক চিঠিতে এই সুপারিশ করা হয়। রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপণ্য বিবেচনায় এমন সুপারিশ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আনার আমদানিতে মোট শুল্ক-কর রয়েছে ১২৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আপেল, মাল্টা, আনার ইত্যাদি ফলের স্থানীয় উৎপাদন নেই; তাই এই উচ্চহারে শুল্ক-কর রাখার প্রয়োজনীয়তা সীমিত।
অন্যদিকে উচ্চহারে শুল্ক-কর আরোপের ফলে বৈধ পথে আমদানি কমে তা অবৈধ পথে আমদানিকে উৎসাহিত করতে পারে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে অতিমাত্রায় বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহারের প্রবণতাও বাড়তে পারে। উচ্চ শুল্ক-করের ফলে তাজা ফলের আমদানি কমার ধারা অব্যাহত থাকলে শুধু ভোক্তাসাধারণের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না; ভবিষ্যতে রাজস্ব আহরণও কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
তাজা ফলকে ‘বিলাস পণ্য’ হিসেবে বিবেচনা করে এর ওপর ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে নিত্যপণ্য আইন, ১৯৫৬ অনুযায়ী খাদ্যপণ্য হিসেবে তাজা ফল ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ বিধায় এর ওপর আরোপিত অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার বা যৌক্তিক করা যেতে পারে।

আসন্ন রমজান মাস সামনে রেখে তাজা ফলের ওপর শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। খেজুরের মতোই এবার আপেল, কমলা, আঙুর, মেস্তারিন, নাশপাতি ইত্যাদি তাজা ফলকে ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করে অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।
সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেওয়া এক চিঠিতে এই সুপারিশ করা হয়। রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপণ্য বিবেচনায় এমন সুপারিশ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আনার আমদানিতে মোট শুল্ক-কর রয়েছে ১২৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আপেল, মাল্টা, আনার ইত্যাদি ফলের স্থানীয় উৎপাদন নেই; তাই এই উচ্চহারে শুল্ক-কর রাখার প্রয়োজনীয়তা সীমিত।
অন্যদিকে উচ্চহারে শুল্ক-কর আরোপের ফলে বৈধ পথে আমদানি কমে তা অবৈধ পথে আমদানিকে উৎসাহিত করতে পারে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে অতিমাত্রায় বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহারের প্রবণতাও বাড়তে পারে। উচ্চ শুল্ক-করের ফলে তাজা ফলের আমদানি কমার ধারা অব্যাহত থাকলে শুধু ভোক্তাসাধারণের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না; ভবিষ্যতে রাজস্ব আহরণও কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
তাজা ফলকে ‘বিলাস পণ্য’ হিসেবে বিবেচনা করে এর ওপর ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে নিত্যপণ্য আইন, ১৯৫৬ অনুযায়ী খাদ্যপণ্য হিসেবে তাজা ফল ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ বিধায় এর ওপর আরোপিত অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার বা যৌক্তিক করা যেতে পারে।

প্রকৃতির এক আশ্চর্য উপহার মধু। মিষ্টি স্বাদ আর গুণাগুণের জন্য মানুষের মনে এর জায়গা চিরকালীন। এক ফোঁটা মধু জিহ্বায় পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা মন থেকে মস্তিষ্ক পর্যন্ত গভীর আনন্দ ছড়িয়ে দেয়।
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৮ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘দেশে শুধু ভোটাররাই নন, রাজনীতিবিদেরাও এখন বিপন্নতার মধ্যে রয়েছেন।’

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বিপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা উঠে আসে। তবে এর সঙ্গে বড় একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সিপিডির এই ফেলো বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সহিংসতার পর এখন নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত দেড় মাসে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’ প্ল্যাটফর্ম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্-নির্বাচনী সংলাপ আয়োজন করেছে। এসব সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে একটি নাগরিক ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না, এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন।’
সংস্কার এজেন্ডা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্তমানে সংস্কার-সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি এলিট গোষ্ঠী প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে দুর্বল করেছে, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতাহীন অর্থনীতি।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম ও একটি অলিগার্কিক ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমান উদ্যোগটি আলাদা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কমিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে যে গতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সিপিডি ফেলো বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও যোগাযোগ সব সময় পর্যাপ্ত ছিল না। আর শুধু পরিকল্পনার মাধ্যমে সংস্কার সফল করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ।’
তাঁর মতে, সংস্কার শুধু পরিকল্পনা বা উদ্দীপনার বিষয় নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নাগরিকদের সচেতনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘দেশে শুধু ভোটাররাই নন, রাজনীতিবিদেরাও এখন বিপন্নতার মধ্যে রয়েছেন।’

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বিপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা উঠে আসে। তবে এর সঙ্গে বড় একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সিপিডির এই ফেলো বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সহিংসতার পর এখন নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত দেড় মাসে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’ প্ল্যাটফর্ম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্-নির্বাচনী সংলাপ আয়োজন করেছে। এসব সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে একটি নাগরিক ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না, এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন।’
সংস্কার এজেন্ডা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্তমানে সংস্কার-সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি এলিট গোষ্ঠী প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে দুর্বল করেছে, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতাহীন অর্থনীতি।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম ও একটি অলিগার্কিক ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমান উদ্যোগটি আলাদা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কমিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে যে গতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সিপিডি ফেলো বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও যোগাযোগ সব সময় পর্যাপ্ত ছিল না। আর শুধু পরিকল্পনার মাধ্যমে সংস্কার সফল করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ।’
তাঁর মতে, সংস্কার শুধু পরিকল্পনা বা উদ্দীপনার বিষয় নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নাগরিকদের সচেতনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

প্রকৃতির এক আশ্চর্য উপহার মধু। মিষ্টি স্বাদ আর গুণাগুণের জন্য মানুষের মনে এর জায়গা চিরকালীন। এক ফোঁটা মধু জিহ্বায় পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা মন থেকে মস্তিষ্ক পর্যন্ত গভীর আনন্দ ছড়িয়ে দেয়।
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৮ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১৩ ঘণ্টা আগে