মো. মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

হাবিব হোটেল ইন্টারন্যাশনাল ও মরিয়ম কনস্ট্রাকশনের নামে তিন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন আলম আহমেদ। সেই টাকায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে গড়ে তুলেছেন তারকা হোটেল ‘হলিডে ইন’। বছরের পর বছর হোটেল ব্যবসাও করছে, কিন্তু ব্যাংকের ঋণের টাকা পরিশোধ করেননি। তিন ব্যাংকের প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা পরিশোধ না করে পাড়ি জমিয়েছেন বিদেশে। পাওনা টাকা উদ্ধার নিয়ে এখন ব্যাংকগুলো রয়েছে দুশ্চিন্তায়।
জানা যায়, গাজীপুরের কাপাসিয়ার বাসিন্দা আলম আহমেদ মরিয়ম কনস্ট্রাকশন লিমিটেড ও হাবিব হোটেল ইন্টারন্যাশনালের নামে ২০১৬-১৮ সময়ে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা এবং বেসরকারি ন্যাশনাল ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে সব মিলিয়ে ৭২৫ কোটি টাকা ঋণ নেন। কিন্তু সেই ঋণের এক টাকাও পরিশোধ করেননি। বরং একাধিকবার ঋণ পুনঃ তফসিল করা হয়েছে। তারপরও সেই ঋণ এখন খেলাপিতে পরিণত হয়েছে। খেলাপি হিসেবে পরিণত হওয়ার পর সুদাসল মিলিয়ে তাঁর কাছে তিন ব্যাংকের পাওনা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা।
ব্যাংকাররা বলছেন, বিগত সময়ে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ব্যাংকগুলো থেকে বিশেষ সুবিধার মাধ্যমে এই টাকা নিয়েছেন আলম আহমেদ। ব্যাংকগুলোর একটি সিন্ডিকেট অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে আলমকে এই অর্থ দিয়েছে। অর্থ দেওয়ার সময় তাঁর বন্ধকি সম্পদের মূল্য কত, আসলে এই জমি আছে কী না, তা নিরীক্ষা করা হয়নি।
ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আলম আহমেদ জনতা ব্যাংক থেকে ২০১৬ সালের ৪ জানুয়ারি ৩০৩ কোটি টাকা ঋণ নেন। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ৩৩ কাঠা জমির ওপর নির্মিত ‘হলিডে ইন’ হোটেল ও জমি দেখিয়ে হাবিব হোটেল ইন্টারন্যাশনালের নামে ওই ঋণ নেন তিনি। এর পর থেকে গত আট বছরে একটি টাকাও পরিশোধ করেননি। বরং বছরের পর বছর ঋণ পুনঃ তফসিল করা হয়।
ব্যাংকটির ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে এই ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৩৬ কোটি টাকা।
ঋণ কেন আদায় হয়নি, জানতে চাওয়া হলে জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মজিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। ঋণ নেওয়া হয়েছে জনতা ব্যাংক ভবন শাখা থেকে, শাখার প্রধানেরা ভালো বলতে পারবেন।’
ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের গুলশান শাখা থেকে গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ১ হাজার ৯৫০ কাঠা জমি বন্ধক দেখিয়ে ২০১৮ সালের ১৯ মার্চ ২৬২ কোটি টাকা ঋণ নেন আলম আহমেদ। বন্ধকি জমির মূল্য দেখানো হয় ২১৮ কোটি টাকা। সেই ঋণের এক পয়সাও ফেরত দেননি। ফলে সুদসহ ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সময়ে তাঁর কাছে ব্যাংকটির পাওনা দাঁড়িয়েছে ৫৫৭ কোটি টাকা।
জানতে চাইলে ন্যাশনাল ব্যাংকের গুলশান শাখার প্রধান সাবির আলী মোল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, মরিয়ম কনস্ট্রাকশনের নামে ২৬২ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এখন মালিকদের পাওয়া যাচ্ছে না। পাওনা আদায়ে কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
সাবির আলী মোল্লা বলেন, কোম্পানির পক্ষ থেকে যে সম্পদ বন্ধক রাখা হয়েছে, তার বর্তমান মূল্য কত, তা বের করতে ব্যাংকের পক্ষ থেকে নিরীক্ষক নিয়োগ করা হবে। সেখান থেকে তথ্য পেলেই মামলা করা হবে। এ ছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিষয়টি অনুসন্ধান করছে।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে ২০১৬ সালে ২৪ মার্চ ৮৪ কোটি টাকা ঋণ নেন আলম আহমেদ। গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সুদসহ এই ঋণ দাঁড়িয়েছে ১৬০ কোটি টাকায়।
এ বিষয়ে ব্যাংকটির গুলশান শাখার প্রধান খন্দকার শহীদ হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জানুয়ারি মাসে ঋণের অর্থ দেওয়ার কথা রয়েছে। এর সময়ের মধ্যে যদি টাকা পরিশোধ না করে তবে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে। এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারব না।’
কেন ঋণ পরিশোধ করা হয়নি—জানতে মরিয়ম কনস্ট্রাকশন ও হাবিব হোটেল ইন্টারন্যাশনালের মালিক আলম আহমেদের সঙ্গে গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু আলম পলাতক রয়েছেন। তাই যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
পরে যোগাযোগ করা হলে হলিডে ইনের মার্কেটিং কমিউনিকেশন ম্যানেজার মানফুজা মাসুদ চৌধুরী বলেন, ‘হোটেল তৈরি করতে গ্রুপের মালিক কোন ব্যাংক থেকে কত ঋণ নিয়েছেন, সে তথ্য আমাদের কাছে নেই। তিনি কোথায় আছেন, তা-ও জানা নেই।’
হোটেল ব্যবসা কেমন চলছে জানতে চাইলে মানফুজা মাসুদ চৌধুরী বলেন, ‘পরিবর্তিত পরিস্থিতির পর থেকে সারা দেশের অবস্থা ভালো নেই। এই সময়ে আমাদের হোটেলের ব্যবসায়িক অবস্থাও ভালো ছিল না। এখন পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে, ইনকামও বাড়ছে। প্রতিদিন ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ রুম এখন ভাড়া হচ্ছে।’
অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, হাবিব হোটেল ইন্টারন্যাশনাল ও মরিয়ম কনস্ট্রাকশন লিমিটেডসহ বেশ কিছু গ্রুপকে বিগত সরকারের সময় ব্যাংকগুলো অনৈতিক সুবিধা নিয়েছে। এর মাধ্যমে গ্রাহকদের টাকা লোপাট হয়েছে। ব্যাংকগুলো অর্থ সংকটে পড়েছে। ফলে ব্যাংক গ্রাহকদের আমানতের টাকা ফেরত দিতে পারছে না।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ব্যাংকের ভেতরে ও বাইরে যে অনৈতিক রীতি চলমান রয়েছে, তা বন্ধ করতে হবে। যারা অনিয়ম, লোপাটের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত শাস্তিযোগ্য ব্যবস্থা নিতে হবে। এ বিষয়ে জানতে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ব্যাংকার ও দালালদের সহযোগিতায় বিগত সময় ব্যাংকিং খাতে অর্থ লোপাট হয়েছে, তারই প্রমাণ জনতা ব্যাংকের ঋণ।

হাবিব হোটেল ইন্টারন্যাশনাল ও মরিয়ম কনস্ট্রাকশনের নামে তিন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন আলম আহমেদ। সেই টাকায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে গড়ে তুলেছেন তারকা হোটেল ‘হলিডে ইন’। বছরের পর বছর হোটেল ব্যবসাও করছে, কিন্তু ব্যাংকের ঋণের টাকা পরিশোধ করেননি। তিন ব্যাংকের প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা পরিশোধ না করে পাড়ি জমিয়েছেন বিদেশে। পাওনা টাকা উদ্ধার নিয়ে এখন ব্যাংকগুলো রয়েছে দুশ্চিন্তায়।
জানা যায়, গাজীপুরের কাপাসিয়ার বাসিন্দা আলম আহমেদ মরিয়ম কনস্ট্রাকশন লিমিটেড ও হাবিব হোটেল ইন্টারন্যাশনালের নামে ২০১৬-১৮ সময়ে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা এবং বেসরকারি ন্যাশনাল ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে সব মিলিয়ে ৭২৫ কোটি টাকা ঋণ নেন। কিন্তু সেই ঋণের এক টাকাও পরিশোধ করেননি। বরং একাধিকবার ঋণ পুনঃ তফসিল করা হয়েছে। তারপরও সেই ঋণ এখন খেলাপিতে পরিণত হয়েছে। খেলাপি হিসেবে পরিণত হওয়ার পর সুদাসল মিলিয়ে তাঁর কাছে তিন ব্যাংকের পাওনা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা।
ব্যাংকাররা বলছেন, বিগত সময়ে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ব্যাংকগুলো থেকে বিশেষ সুবিধার মাধ্যমে এই টাকা নিয়েছেন আলম আহমেদ। ব্যাংকগুলোর একটি সিন্ডিকেট অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে আলমকে এই অর্থ দিয়েছে। অর্থ দেওয়ার সময় তাঁর বন্ধকি সম্পদের মূল্য কত, আসলে এই জমি আছে কী না, তা নিরীক্ষা করা হয়নি।
ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আলম আহমেদ জনতা ব্যাংক থেকে ২০১৬ সালের ৪ জানুয়ারি ৩০৩ কোটি টাকা ঋণ নেন। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ৩৩ কাঠা জমির ওপর নির্মিত ‘হলিডে ইন’ হোটেল ও জমি দেখিয়ে হাবিব হোটেল ইন্টারন্যাশনালের নামে ওই ঋণ নেন তিনি। এর পর থেকে গত আট বছরে একটি টাকাও পরিশোধ করেননি। বরং বছরের পর বছর ঋণ পুনঃ তফসিল করা হয়।
ব্যাংকটির ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে এই ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৩৬ কোটি টাকা।
ঋণ কেন আদায় হয়নি, জানতে চাওয়া হলে জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মজিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। ঋণ নেওয়া হয়েছে জনতা ব্যাংক ভবন শাখা থেকে, শাখার প্রধানেরা ভালো বলতে পারবেন।’
ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের গুলশান শাখা থেকে গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ১ হাজার ৯৫০ কাঠা জমি বন্ধক দেখিয়ে ২০১৮ সালের ১৯ মার্চ ২৬২ কোটি টাকা ঋণ নেন আলম আহমেদ। বন্ধকি জমির মূল্য দেখানো হয় ২১৮ কোটি টাকা। সেই ঋণের এক পয়সাও ফেরত দেননি। ফলে সুদসহ ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সময়ে তাঁর কাছে ব্যাংকটির পাওনা দাঁড়িয়েছে ৫৫৭ কোটি টাকা।
জানতে চাইলে ন্যাশনাল ব্যাংকের গুলশান শাখার প্রধান সাবির আলী মোল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, মরিয়ম কনস্ট্রাকশনের নামে ২৬২ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এখন মালিকদের পাওয়া যাচ্ছে না। পাওনা আদায়ে কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
সাবির আলী মোল্লা বলেন, কোম্পানির পক্ষ থেকে যে সম্পদ বন্ধক রাখা হয়েছে, তার বর্তমান মূল্য কত, তা বের করতে ব্যাংকের পক্ষ থেকে নিরীক্ষক নিয়োগ করা হবে। সেখান থেকে তথ্য পেলেই মামলা করা হবে। এ ছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিষয়টি অনুসন্ধান করছে।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে ২০১৬ সালে ২৪ মার্চ ৮৪ কোটি টাকা ঋণ নেন আলম আহমেদ। গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সুদসহ এই ঋণ দাঁড়িয়েছে ১৬০ কোটি টাকায়।
এ বিষয়ে ব্যাংকটির গুলশান শাখার প্রধান খন্দকার শহীদ হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জানুয়ারি মাসে ঋণের অর্থ দেওয়ার কথা রয়েছে। এর সময়ের মধ্যে যদি টাকা পরিশোধ না করে তবে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে। এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারব না।’
কেন ঋণ পরিশোধ করা হয়নি—জানতে মরিয়ম কনস্ট্রাকশন ও হাবিব হোটেল ইন্টারন্যাশনালের মালিক আলম আহমেদের সঙ্গে গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু আলম পলাতক রয়েছেন। তাই যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
পরে যোগাযোগ করা হলে হলিডে ইনের মার্কেটিং কমিউনিকেশন ম্যানেজার মানফুজা মাসুদ চৌধুরী বলেন, ‘হোটেল তৈরি করতে গ্রুপের মালিক কোন ব্যাংক থেকে কত ঋণ নিয়েছেন, সে তথ্য আমাদের কাছে নেই। তিনি কোথায় আছেন, তা-ও জানা নেই।’
হোটেল ব্যবসা কেমন চলছে জানতে চাইলে মানফুজা মাসুদ চৌধুরী বলেন, ‘পরিবর্তিত পরিস্থিতির পর থেকে সারা দেশের অবস্থা ভালো নেই। এই সময়ে আমাদের হোটেলের ব্যবসায়িক অবস্থাও ভালো ছিল না। এখন পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে, ইনকামও বাড়ছে। প্রতিদিন ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ রুম এখন ভাড়া হচ্ছে।’
অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, হাবিব হোটেল ইন্টারন্যাশনাল ও মরিয়ম কনস্ট্রাকশন লিমিটেডসহ বেশ কিছু গ্রুপকে বিগত সরকারের সময় ব্যাংকগুলো অনৈতিক সুবিধা নিয়েছে। এর মাধ্যমে গ্রাহকদের টাকা লোপাট হয়েছে। ব্যাংকগুলো অর্থ সংকটে পড়েছে। ফলে ব্যাংক গ্রাহকদের আমানতের টাকা ফেরত দিতে পারছে না।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ব্যাংকের ভেতরে ও বাইরে যে অনৈতিক রীতি চলমান রয়েছে, তা বন্ধ করতে হবে। যারা অনিয়ম, লোপাটের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত শাস্তিযোগ্য ব্যবস্থা নিতে হবে। এ বিষয়ে জানতে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ব্যাংকার ও দালালদের সহযোগিতায় বিগত সময় ব্যাংকিং খাতে অর্থ লোপাট হয়েছে, তারই প্রমাণ জনতা ব্যাংকের ঋণ।
মো. মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

হাবিব হোটেল ইন্টারন্যাশনাল ও মরিয়ম কনস্ট্রাকশনের নামে তিন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন আলম আহমেদ। সেই টাকায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে গড়ে তুলেছেন তারকা হোটেল ‘হলিডে ইন’। বছরের পর বছর হোটেল ব্যবসাও করছে, কিন্তু ব্যাংকের ঋণের টাকা পরিশোধ করেননি। তিন ব্যাংকের প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা পরিশোধ না করে পাড়ি জমিয়েছেন বিদেশে। পাওনা টাকা উদ্ধার নিয়ে এখন ব্যাংকগুলো রয়েছে দুশ্চিন্তায়।
জানা যায়, গাজীপুরের কাপাসিয়ার বাসিন্দা আলম আহমেদ মরিয়ম কনস্ট্রাকশন লিমিটেড ও হাবিব হোটেল ইন্টারন্যাশনালের নামে ২০১৬-১৮ সময়ে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা এবং বেসরকারি ন্যাশনাল ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে সব মিলিয়ে ৭২৫ কোটি টাকা ঋণ নেন। কিন্তু সেই ঋণের এক টাকাও পরিশোধ করেননি। বরং একাধিকবার ঋণ পুনঃ তফসিল করা হয়েছে। তারপরও সেই ঋণ এখন খেলাপিতে পরিণত হয়েছে। খেলাপি হিসেবে পরিণত হওয়ার পর সুদাসল মিলিয়ে তাঁর কাছে তিন ব্যাংকের পাওনা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা।
ব্যাংকাররা বলছেন, বিগত সময়ে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ব্যাংকগুলো থেকে বিশেষ সুবিধার মাধ্যমে এই টাকা নিয়েছেন আলম আহমেদ। ব্যাংকগুলোর একটি সিন্ডিকেট অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে আলমকে এই অর্থ দিয়েছে। অর্থ দেওয়ার সময় তাঁর বন্ধকি সম্পদের মূল্য কত, আসলে এই জমি আছে কী না, তা নিরীক্ষা করা হয়নি।
ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আলম আহমেদ জনতা ব্যাংক থেকে ২০১৬ সালের ৪ জানুয়ারি ৩০৩ কোটি টাকা ঋণ নেন। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ৩৩ কাঠা জমির ওপর নির্মিত ‘হলিডে ইন’ হোটেল ও জমি দেখিয়ে হাবিব হোটেল ইন্টারন্যাশনালের নামে ওই ঋণ নেন তিনি। এর পর থেকে গত আট বছরে একটি টাকাও পরিশোধ করেননি। বরং বছরের পর বছর ঋণ পুনঃ তফসিল করা হয়।
ব্যাংকটির ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে এই ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৩৬ কোটি টাকা।
ঋণ কেন আদায় হয়নি, জানতে চাওয়া হলে জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মজিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। ঋণ নেওয়া হয়েছে জনতা ব্যাংক ভবন শাখা থেকে, শাখার প্রধানেরা ভালো বলতে পারবেন।’
ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের গুলশান শাখা থেকে গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ১ হাজার ৯৫০ কাঠা জমি বন্ধক দেখিয়ে ২০১৮ সালের ১৯ মার্চ ২৬২ কোটি টাকা ঋণ নেন আলম আহমেদ। বন্ধকি জমির মূল্য দেখানো হয় ২১৮ কোটি টাকা। সেই ঋণের এক পয়সাও ফেরত দেননি। ফলে সুদসহ ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সময়ে তাঁর কাছে ব্যাংকটির পাওনা দাঁড়িয়েছে ৫৫৭ কোটি টাকা।
জানতে চাইলে ন্যাশনাল ব্যাংকের গুলশান শাখার প্রধান সাবির আলী মোল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, মরিয়ম কনস্ট্রাকশনের নামে ২৬২ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এখন মালিকদের পাওয়া যাচ্ছে না। পাওনা আদায়ে কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
সাবির আলী মোল্লা বলেন, কোম্পানির পক্ষ থেকে যে সম্পদ বন্ধক রাখা হয়েছে, তার বর্তমান মূল্য কত, তা বের করতে ব্যাংকের পক্ষ থেকে নিরীক্ষক নিয়োগ করা হবে। সেখান থেকে তথ্য পেলেই মামলা করা হবে। এ ছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিষয়টি অনুসন্ধান করছে।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে ২০১৬ সালে ২৪ মার্চ ৮৪ কোটি টাকা ঋণ নেন আলম আহমেদ। গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সুদসহ এই ঋণ দাঁড়িয়েছে ১৬০ কোটি টাকায়।
এ বিষয়ে ব্যাংকটির গুলশান শাখার প্রধান খন্দকার শহীদ হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জানুয়ারি মাসে ঋণের অর্থ দেওয়ার কথা রয়েছে। এর সময়ের মধ্যে যদি টাকা পরিশোধ না করে তবে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে। এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারব না।’
কেন ঋণ পরিশোধ করা হয়নি—জানতে মরিয়ম কনস্ট্রাকশন ও হাবিব হোটেল ইন্টারন্যাশনালের মালিক আলম আহমেদের সঙ্গে গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু আলম পলাতক রয়েছেন। তাই যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
পরে যোগাযোগ করা হলে হলিডে ইনের মার্কেটিং কমিউনিকেশন ম্যানেজার মানফুজা মাসুদ চৌধুরী বলেন, ‘হোটেল তৈরি করতে গ্রুপের মালিক কোন ব্যাংক থেকে কত ঋণ নিয়েছেন, সে তথ্য আমাদের কাছে নেই। তিনি কোথায় আছেন, তা-ও জানা নেই।’
হোটেল ব্যবসা কেমন চলছে জানতে চাইলে মানফুজা মাসুদ চৌধুরী বলেন, ‘পরিবর্তিত পরিস্থিতির পর থেকে সারা দেশের অবস্থা ভালো নেই। এই সময়ে আমাদের হোটেলের ব্যবসায়িক অবস্থাও ভালো ছিল না। এখন পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে, ইনকামও বাড়ছে। প্রতিদিন ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ রুম এখন ভাড়া হচ্ছে।’
অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, হাবিব হোটেল ইন্টারন্যাশনাল ও মরিয়ম কনস্ট্রাকশন লিমিটেডসহ বেশ কিছু গ্রুপকে বিগত সরকারের সময় ব্যাংকগুলো অনৈতিক সুবিধা নিয়েছে। এর মাধ্যমে গ্রাহকদের টাকা লোপাট হয়েছে। ব্যাংকগুলো অর্থ সংকটে পড়েছে। ফলে ব্যাংক গ্রাহকদের আমানতের টাকা ফেরত দিতে পারছে না।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ব্যাংকের ভেতরে ও বাইরে যে অনৈতিক রীতি চলমান রয়েছে, তা বন্ধ করতে হবে। যারা অনিয়ম, লোপাটের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত শাস্তিযোগ্য ব্যবস্থা নিতে হবে। এ বিষয়ে জানতে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ব্যাংকার ও দালালদের সহযোগিতায় বিগত সময় ব্যাংকিং খাতে অর্থ লোপাট হয়েছে, তারই প্রমাণ জনতা ব্যাংকের ঋণ।

হাবিব হোটেল ইন্টারন্যাশনাল ও মরিয়ম কনস্ট্রাকশনের নামে তিন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন আলম আহমেদ। সেই টাকায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে গড়ে তুলেছেন তারকা হোটেল ‘হলিডে ইন’। বছরের পর বছর হোটেল ব্যবসাও করছে, কিন্তু ব্যাংকের ঋণের টাকা পরিশোধ করেননি। তিন ব্যাংকের প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা পরিশোধ না করে পাড়ি জমিয়েছেন বিদেশে। পাওনা টাকা উদ্ধার নিয়ে এখন ব্যাংকগুলো রয়েছে দুশ্চিন্তায়।
জানা যায়, গাজীপুরের কাপাসিয়ার বাসিন্দা আলম আহমেদ মরিয়ম কনস্ট্রাকশন লিমিটেড ও হাবিব হোটেল ইন্টারন্যাশনালের নামে ২০১৬-১৮ সময়ে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা এবং বেসরকারি ন্যাশনাল ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে সব মিলিয়ে ৭২৫ কোটি টাকা ঋণ নেন। কিন্তু সেই ঋণের এক টাকাও পরিশোধ করেননি। বরং একাধিকবার ঋণ পুনঃ তফসিল করা হয়েছে। তারপরও সেই ঋণ এখন খেলাপিতে পরিণত হয়েছে। খেলাপি হিসেবে পরিণত হওয়ার পর সুদাসল মিলিয়ে তাঁর কাছে তিন ব্যাংকের পাওনা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা।
ব্যাংকাররা বলছেন, বিগত সময়ে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ব্যাংকগুলো থেকে বিশেষ সুবিধার মাধ্যমে এই টাকা নিয়েছেন আলম আহমেদ। ব্যাংকগুলোর একটি সিন্ডিকেট অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে আলমকে এই অর্থ দিয়েছে। অর্থ দেওয়ার সময় তাঁর বন্ধকি সম্পদের মূল্য কত, আসলে এই জমি আছে কী না, তা নিরীক্ষা করা হয়নি।
ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আলম আহমেদ জনতা ব্যাংক থেকে ২০১৬ সালের ৪ জানুয়ারি ৩০৩ কোটি টাকা ঋণ নেন। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ৩৩ কাঠা জমির ওপর নির্মিত ‘হলিডে ইন’ হোটেল ও জমি দেখিয়ে হাবিব হোটেল ইন্টারন্যাশনালের নামে ওই ঋণ নেন তিনি। এর পর থেকে গত আট বছরে একটি টাকাও পরিশোধ করেননি। বরং বছরের পর বছর ঋণ পুনঃ তফসিল করা হয়।
ব্যাংকটির ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে এই ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৩৬ কোটি টাকা।
ঋণ কেন আদায় হয়নি, জানতে চাওয়া হলে জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মজিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। ঋণ নেওয়া হয়েছে জনতা ব্যাংক ভবন শাখা থেকে, শাখার প্রধানেরা ভালো বলতে পারবেন।’
ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের গুলশান শাখা থেকে গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ১ হাজার ৯৫০ কাঠা জমি বন্ধক দেখিয়ে ২০১৮ সালের ১৯ মার্চ ২৬২ কোটি টাকা ঋণ নেন আলম আহমেদ। বন্ধকি জমির মূল্য দেখানো হয় ২১৮ কোটি টাকা। সেই ঋণের এক পয়সাও ফেরত দেননি। ফলে সুদসহ ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সময়ে তাঁর কাছে ব্যাংকটির পাওনা দাঁড়িয়েছে ৫৫৭ কোটি টাকা।
জানতে চাইলে ন্যাশনাল ব্যাংকের গুলশান শাখার প্রধান সাবির আলী মোল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, মরিয়ম কনস্ট্রাকশনের নামে ২৬২ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এখন মালিকদের পাওয়া যাচ্ছে না। পাওনা আদায়ে কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
সাবির আলী মোল্লা বলেন, কোম্পানির পক্ষ থেকে যে সম্পদ বন্ধক রাখা হয়েছে, তার বর্তমান মূল্য কত, তা বের করতে ব্যাংকের পক্ষ থেকে নিরীক্ষক নিয়োগ করা হবে। সেখান থেকে তথ্য পেলেই মামলা করা হবে। এ ছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিষয়টি অনুসন্ধান করছে।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে ২০১৬ সালে ২৪ মার্চ ৮৪ কোটি টাকা ঋণ নেন আলম আহমেদ। গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সুদসহ এই ঋণ দাঁড়িয়েছে ১৬০ কোটি টাকায়।
এ বিষয়ে ব্যাংকটির গুলশান শাখার প্রধান খন্দকার শহীদ হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জানুয়ারি মাসে ঋণের অর্থ দেওয়ার কথা রয়েছে। এর সময়ের মধ্যে যদি টাকা পরিশোধ না করে তবে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে। এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারব না।’
কেন ঋণ পরিশোধ করা হয়নি—জানতে মরিয়ম কনস্ট্রাকশন ও হাবিব হোটেল ইন্টারন্যাশনালের মালিক আলম আহমেদের সঙ্গে গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু আলম পলাতক রয়েছেন। তাই যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
পরে যোগাযোগ করা হলে হলিডে ইনের মার্কেটিং কমিউনিকেশন ম্যানেজার মানফুজা মাসুদ চৌধুরী বলেন, ‘হোটেল তৈরি করতে গ্রুপের মালিক কোন ব্যাংক থেকে কত ঋণ নিয়েছেন, সে তথ্য আমাদের কাছে নেই। তিনি কোথায় আছেন, তা-ও জানা নেই।’
হোটেল ব্যবসা কেমন চলছে জানতে চাইলে মানফুজা মাসুদ চৌধুরী বলেন, ‘পরিবর্তিত পরিস্থিতির পর থেকে সারা দেশের অবস্থা ভালো নেই। এই সময়ে আমাদের হোটেলের ব্যবসায়িক অবস্থাও ভালো ছিল না। এখন পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে, ইনকামও বাড়ছে। প্রতিদিন ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ রুম এখন ভাড়া হচ্ছে।’
অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, হাবিব হোটেল ইন্টারন্যাশনাল ও মরিয়ম কনস্ট্রাকশন লিমিটেডসহ বেশ কিছু গ্রুপকে বিগত সরকারের সময় ব্যাংকগুলো অনৈতিক সুবিধা নিয়েছে। এর মাধ্যমে গ্রাহকদের টাকা লোপাট হয়েছে। ব্যাংকগুলো অর্থ সংকটে পড়েছে। ফলে ব্যাংক গ্রাহকদের আমানতের টাকা ফেরত দিতে পারছে না।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ব্যাংকের ভেতরে ও বাইরে যে অনৈতিক রীতি চলমান রয়েছে, তা বন্ধ করতে হবে। যারা অনিয়ম, লোপাটের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত শাস্তিযোগ্য ব্যবস্থা নিতে হবে। এ বিষয়ে জানতে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ব্যাংকার ও দালালদের সহযোগিতায় বিগত সময় ব্যাংকিং খাতে অর্থ লোপাট হয়েছে, তারই প্রমাণ জনতা ব্যাংকের ঋণ।

মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে গুলশান থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে বিভিন্ন পর্যায়ে ১৭৫ থেকে ২০০ জন পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
১ ঘণ্টা আগে
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের নিরাপত্তা নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ রিয়াজ হামিদউল্লাহকে তলব করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ উদ্বেগের কথা জানায়।
৩ ঘণ্টা আগে
এই বডি ক্যামেরা ব্যবস্থার মাধ্যমে বিমানের হোল্ড থেকে শুরু করে ব্যাগেজ বেল্ট হয়ে যাত্রীর হাতে পৌঁছানো পর্যন্ত সম্পূর্ণ ব্যাগেজ হ্যান্ডলিং প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণের আওতায় আসবে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে গুলশান থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
সুমাইয়ার স্বামী মেজর সাদিকুল হকের বিরুদ্ধে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত। এরই মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে কোর্ট-মার্শাল গঠন করেছে সেনাবাহিনী।
আদালতে গুলশান থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের এসআই মোক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সুমাইয়া জাফরিনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন ডিবি পুলিশের গুলশান জোনাল টিমের পরিদর্শক মোজাম্মেল হক মামুন।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, চলতি বছরের ২২ এপ্রিল সকালে গুলশান-১-এর জব্বার টাওয়ারের পাশে ৩০-৩৫ জন নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ব্যানারে বিক্ষোভ-মিছিল করেন। আসামিরা দেশের সার্বভৌমত্ব ও জনগণের নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন স্লোগান দেন। তাঁরা দেশবিরোধী স্লোগান দেন। পুলিশ সেখানে গিয়ে কয়েকজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে। কয়েকজন পালিয়ে যান। এ ঘটনায় পুলিশ ওই দিনই গুলশান থানায় মামলা করে।
আবেদনে বলা হয়, এ মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের জবানবন্দি ও স্থানীয়ভাবে তদন্তে জানা যায়, সুমাইয়া মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের অর্থ জোগানদাতা, পরামর্শদাতা ও নির্দেশদাতা। তিনি সক্রিয়ভাবে দেশবিরোধী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেন। আসামি নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনের সক্রিয় সদস্য বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়। তিনি ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত সদস্যদের অর্থ জোগান দিয়ে থাকেন বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এই আসামি সারা দেশের আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মীদের সুসংগঠিত করে দেশের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছিলেন বলে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। মামলার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত এবং ন্যায়বিচারের স্বার্থে এ মামলায় আসামিকে গ্রেপ্তার দেখানো প্রয়োজন।
রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পিপি মুহাম্মদ শামছুদ্দোহা সুমন গ্রেপ্তার দেখানোর পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। পরে আদালত তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণের ঘটনায় ভাটারা থানায় করা মামলায় গত ৬ আগস্ট সুমাইয়া জাফরিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৭ আগস্ট তাঁর পাঁচ দিনের রিমান্ড হয়। রিমান্ড শেষে ১২ আগস্ট সুমাইয়া জাফরিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপর তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে গুলশান থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
সুমাইয়ার স্বামী মেজর সাদিকুল হকের বিরুদ্ধে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত। এরই মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে কোর্ট-মার্শাল গঠন করেছে সেনাবাহিনী।
আদালতে গুলশান থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের এসআই মোক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সুমাইয়া জাফরিনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন ডিবি পুলিশের গুলশান জোনাল টিমের পরিদর্শক মোজাম্মেল হক মামুন।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, চলতি বছরের ২২ এপ্রিল সকালে গুলশান-১-এর জব্বার টাওয়ারের পাশে ৩০-৩৫ জন নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ব্যানারে বিক্ষোভ-মিছিল করেন। আসামিরা দেশের সার্বভৌমত্ব ও জনগণের নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন স্লোগান দেন। তাঁরা দেশবিরোধী স্লোগান দেন। পুলিশ সেখানে গিয়ে কয়েকজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে। কয়েকজন পালিয়ে যান। এ ঘটনায় পুলিশ ওই দিনই গুলশান থানায় মামলা করে।
আবেদনে বলা হয়, এ মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের জবানবন্দি ও স্থানীয়ভাবে তদন্তে জানা যায়, সুমাইয়া মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের অর্থ জোগানদাতা, পরামর্শদাতা ও নির্দেশদাতা। তিনি সক্রিয়ভাবে দেশবিরোধী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেন। আসামি নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনের সক্রিয় সদস্য বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়। তিনি ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত সদস্যদের অর্থ জোগান দিয়ে থাকেন বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এই আসামি সারা দেশের আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মীদের সুসংগঠিত করে দেশের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছিলেন বলে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। মামলার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত এবং ন্যায়বিচারের স্বার্থে এ মামলায় আসামিকে গ্রেপ্তার দেখানো প্রয়োজন।
রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পিপি মুহাম্মদ শামছুদ্দোহা সুমন গ্রেপ্তার দেখানোর পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। পরে আদালত তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণের ঘটনায় ভাটারা থানায় করা মামলায় গত ৬ আগস্ট সুমাইয়া জাফরিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৭ আগস্ট তাঁর পাঁচ দিনের রিমান্ড হয়। রিমান্ড শেষে ১২ আগস্ট সুমাইয়া জাফরিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপর তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

হাবিব হোটেল ইন্টারন্যাশনাল ও মরিয়ম কনস্ট্রাকশনের নামে তিন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন আলম আহমেদ। সেই টাকায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে গড়ে তুলেছেন তারকা হোটেল ‘হলিডে ইন’। বছরের পর বছর হোটেল ব্যবসাও করছে, কিন্তু ব্যাংকের ঋণের টাকা পরিশোধ করেননি। তিন ব্যাংকের প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা পরিশোধ না করে পাড়ি...
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে বিভিন্ন পর্যায়ে ১৭৫ থেকে ২০০ জন পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
১ ঘণ্টা আগে
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের নিরাপত্তা নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ রিয়াজ হামিদউল্লাহকে তলব করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ উদ্বেগের কথা জানায়।
৩ ঘণ্টা আগে
এই বডি ক্যামেরা ব্যবস্থার মাধ্যমে বিমানের হোল্ড থেকে শুরু করে ব্যাগেজ বেল্ট হয়ে যাত্রীর হাতে পৌঁছানো পর্যন্ত সম্পূর্ণ ব্যাগেজ হ্যান্ডলিং প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণের আওতায় আসবে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে বিভিন্ন পর্যায়ে ১৭৫ থেকে ২০০ জন পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
আখতার আহমেদ বলেন, ‘আমাকে যেটা ধারণা দেওয়া হয়েছে—বিভিন্ন সময়ে ১৭৫ থেকে ২০০ জনের মতো আসবেন। এখন কে আগে আসবেন, তাঁদের সংখ্যা কত, তাঁরা কী কী দেখবেন, তাঁদের সঙ্গে পরবর্তীতে কেউ জয়েন করবেন কি না—এই সম্পর্কে কোনো প্রস্তাবনা এখন পর্যন্ত জানানো হয়নি।’
গত সোমবার চুক্তি হয়েছে জানিয়ে সচিব আরও বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে একটা ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়েছে। সেই চুক্তির আওতায় আমরা তাঁদের ফ্যাসিলিটিজ প্রোভাইড করব। তাঁদের যাতায়াত, চলাফেরা ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে তাঁদের লোকাল প্রটোকল কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানতে হবে।’
এখন পর্যন্ত ইইউ ও তুরস্ক থেকে পর্যবেক্ষক দল আসবে নিশ্চিত হয়েছে বলে জানান সচিব।
প্রার্থীর নিরাপত্তায় অস্ত্র দেওয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন অনুমতি নিয়ে নির্দেশনা জারি করেছে কি না—সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘মাননীয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মহোদয় এটা বলেছেন। তিনি বলেছেন, তাঁদের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে করতে হবে। তাঁরা ভালো মনে করেছেন এবং আমরা সবাই এ বিষয়ে একমত।’
কীভাবে প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব—এ বিষয়ে জানতে চাইলে আখতার আহমেদ বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে প্রশ্নটা করলে বোধ হয় আমার জন্য ভালো হয়। আমার সঙ্গে উনার এ ব্যাপারে কোনো কথা হয়নি। কাজেই, আমি এর ব্যাখ্যা দিতে গেলে অপব্যাখ্যা হওয়ার সম্ভাবনা আছে, যেটা আমি করতে চাই না।’
নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার হতে পারে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘এটার ব্যাপারেও আমি কোনো মন্তব্য করব না। নিরাপত্তার বিষয়টা কখনো ভীতি হয়? আমি আপনাকে পাল্টা প্রশ্ন করি। নিরাপত্তার বিষয়টা নিশ্চিত করলে আবার ভীতি সঞ্চার হবে, এটা কোনো কথা হতে পারে? এটি তো সবারই চেষ্টা করা উচিত।’
আখতার আহমেদ আরও বলেন, বৈধ অস্ত্র জমা নেওয়ার বিষয়টা যখন প্রাসঙ্গিক হবে, তখন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে বিভিন্ন পর্যায়ে ১৭৫ থেকে ২০০ জন পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
আখতার আহমেদ বলেন, ‘আমাকে যেটা ধারণা দেওয়া হয়েছে—বিভিন্ন সময়ে ১৭৫ থেকে ২০০ জনের মতো আসবেন। এখন কে আগে আসবেন, তাঁদের সংখ্যা কত, তাঁরা কী কী দেখবেন, তাঁদের সঙ্গে পরবর্তীতে কেউ জয়েন করবেন কি না—এই সম্পর্কে কোনো প্রস্তাবনা এখন পর্যন্ত জানানো হয়নি।’
গত সোমবার চুক্তি হয়েছে জানিয়ে সচিব আরও বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে একটা ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়েছে। সেই চুক্তির আওতায় আমরা তাঁদের ফ্যাসিলিটিজ প্রোভাইড করব। তাঁদের যাতায়াত, চলাফেরা ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে তাঁদের লোকাল প্রটোকল কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানতে হবে।’
এখন পর্যন্ত ইইউ ও তুরস্ক থেকে পর্যবেক্ষক দল আসবে নিশ্চিত হয়েছে বলে জানান সচিব।
প্রার্থীর নিরাপত্তায় অস্ত্র দেওয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন অনুমতি নিয়ে নির্দেশনা জারি করেছে কি না—সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘মাননীয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মহোদয় এটা বলেছেন। তিনি বলেছেন, তাঁদের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে করতে হবে। তাঁরা ভালো মনে করেছেন এবং আমরা সবাই এ বিষয়ে একমত।’
কীভাবে প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব—এ বিষয়ে জানতে চাইলে আখতার আহমেদ বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে প্রশ্নটা করলে বোধ হয় আমার জন্য ভালো হয়। আমার সঙ্গে উনার এ ব্যাপারে কোনো কথা হয়নি। কাজেই, আমি এর ব্যাখ্যা দিতে গেলে অপব্যাখ্যা হওয়ার সম্ভাবনা আছে, যেটা আমি করতে চাই না।’
নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার হতে পারে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘এটার ব্যাপারেও আমি কোনো মন্তব্য করব না। নিরাপত্তার বিষয়টা কখনো ভীতি হয়? আমি আপনাকে পাল্টা প্রশ্ন করি। নিরাপত্তার বিষয়টা নিশ্চিত করলে আবার ভীতি সঞ্চার হবে, এটা কোনো কথা হতে পারে? এটি তো সবারই চেষ্টা করা উচিত।’
আখতার আহমেদ আরও বলেন, বৈধ অস্ত্র জমা নেওয়ার বিষয়টা যখন প্রাসঙ্গিক হবে, তখন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

হাবিব হোটেল ইন্টারন্যাশনাল ও মরিয়ম কনস্ট্রাকশনের নামে তিন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন আলম আহমেদ। সেই টাকায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে গড়ে তুলেছেন তারকা হোটেল ‘হলিডে ইন’। বছরের পর বছর হোটেল ব্যবসাও করছে, কিন্তু ব্যাংকের ঋণের টাকা পরিশোধ করেননি। তিন ব্যাংকের প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা পরিশোধ না করে পাড়ি...
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে গুলশান থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
১ ঘণ্টা আগে
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের নিরাপত্তা নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ রিয়াজ হামিদউল্লাহকে তলব করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ উদ্বেগের কথা জানায়।
৩ ঘণ্টা আগে
এই বডি ক্যামেরা ব্যবস্থার মাধ্যমে বিমানের হোল্ড থেকে শুরু করে ব্যাগেজ বেল্ট হয়ে যাত্রীর হাতে পৌঁছানো পর্যন্ত সম্পূর্ণ ব্যাগেজ হ্যান্ডলিং প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণের আওতায় আসবে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের নিরাপত্তা নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ রিয়াজ হামিদউল্লাহকে তলব করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ উদ্বেগের কথা জানায়।
আজ বুধবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টার দিকে রিয়াজ হামিদুল্লাহকে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। তাঁকে তলব করেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (বিএম) বি শ্যাম।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির পরিপ্রেক্ষিতে হাইকমিশনারকে তলব করা হয়েছে। এ সময় ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিশেষভাবে হাইকমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছে, ঢাকায় কিছু ‘চরমপন্থী উপাদান’ প্রকাশ্যে ঢাকায় ভারতীয় মিশনের আশেপাশে একটি নিরাপত্তা সংকট তৈরি করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। ভারতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, এই ধরনের হুমকি কূটনৈতিক সম্পর্কের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিক—এমনটাই প্রত্যাশিত।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, বাংলাদেশে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা নিয়ে ‘চরমপন্থী উপাদানগুলো’র মাধ্যমে যে ‘মিথ্যা বয়ান’ তৈরি করার চেষ্টা চলছে, ভারত তা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করে। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এটিকে দুর্ভাগ্যজনক বলে অভিহিত করেছে। তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী সরকার এই উদ্বেগজনক ঘটনাগুলোর কোনো পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করেনি বা ভারত সরকারের সঙ্গে কোনো অর্থবহ প্রমাণ দেয়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ভারত বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে ঐতিহাসিকভাবে মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে গড়ে ওঠা ঘনিষ্ঠ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয়, যা বিভিন্ন উন্নয়নমূলক এবং মানুষে-মানুষে উদ্যোগের মাধ্যমে আরও জোরদার হয়েছে। এই সম্পর্কের ভিত্তিতেই নয়াদিল্লি বারবার বাংলাদেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতার পক্ষে মত দিয়েছে। ভারত সরকার ধারাবাহিক আহ্বান জানিয়েছে, একটি শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল পরিবেশে যেন অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে, বাংলাদেশ সরকার তাদের কূটনৈতিক বাধ্যবাধকতা বজায় রেখে সেদেশে অবস্থিত ভারতীয় মিশন এবং অন্যান্য বিদেশি পোস্টগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
উল্লেখ্য, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে, এই তলবের মূল কারণ জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক নেতার ‘উসকানিমূলক’ মন্তব্য বলে উল্লেখ করা হলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে সে প্রসঙ্গ আনা হয়নি।

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের নিরাপত্তা নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ রিয়াজ হামিদউল্লাহকে তলব করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ উদ্বেগের কথা জানায়।
আজ বুধবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টার দিকে রিয়াজ হামিদুল্লাহকে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। তাঁকে তলব করেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (বিএম) বি শ্যাম।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির পরিপ্রেক্ষিতে হাইকমিশনারকে তলব করা হয়েছে। এ সময় ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিশেষভাবে হাইকমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছে, ঢাকায় কিছু ‘চরমপন্থী উপাদান’ প্রকাশ্যে ঢাকায় ভারতীয় মিশনের আশেপাশে একটি নিরাপত্তা সংকট তৈরি করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। ভারতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, এই ধরনের হুমকি কূটনৈতিক সম্পর্কের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিক—এমনটাই প্রত্যাশিত।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, বাংলাদেশে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা নিয়ে ‘চরমপন্থী উপাদানগুলো’র মাধ্যমে যে ‘মিথ্যা বয়ান’ তৈরি করার চেষ্টা চলছে, ভারত তা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করে। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এটিকে দুর্ভাগ্যজনক বলে অভিহিত করেছে। তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী সরকার এই উদ্বেগজনক ঘটনাগুলোর কোনো পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করেনি বা ভারত সরকারের সঙ্গে কোনো অর্থবহ প্রমাণ দেয়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ভারত বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে ঐতিহাসিকভাবে মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে গড়ে ওঠা ঘনিষ্ঠ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয়, যা বিভিন্ন উন্নয়নমূলক এবং মানুষে-মানুষে উদ্যোগের মাধ্যমে আরও জোরদার হয়েছে। এই সম্পর্কের ভিত্তিতেই নয়াদিল্লি বারবার বাংলাদেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতার পক্ষে মত দিয়েছে। ভারত সরকার ধারাবাহিক আহ্বান জানিয়েছে, একটি শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল পরিবেশে যেন অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে, বাংলাদেশ সরকার তাদের কূটনৈতিক বাধ্যবাধকতা বজায় রেখে সেদেশে অবস্থিত ভারতীয় মিশন এবং অন্যান্য বিদেশি পোস্টগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
উল্লেখ্য, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে, এই তলবের মূল কারণ জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক নেতার ‘উসকানিমূলক’ মন্তব্য বলে উল্লেখ করা হলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে সে প্রসঙ্গ আনা হয়নি।

হাবিব হোটেল ইন্টারন্যাশনাল ও মরিয়ম কনস্ট্রাকশনের নামে তিন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন আলম আহমেদ। সেই টাকায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে গড়ে তুলেছেন তারকা হোটেল ‘হলিডে ইন’। বছরের পর বছর হোটেল ব্যবসাও করছে, কিন্তু ব্যাংকের ঋণের টাকা পরিশোধ করেননি। তিন ব্যাংকের প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা পরিশোধ না করে পাড়ি...
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে গুলশান থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে বিভিন্ন পর্যায়ে ১৭৫ থেকে ২০০ জন পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
১ ঘণ্টা আগে
এই বডি ক্যামেরা ব্যবস্থার মাধ্যমে বিমানের হোল্ড থেকে শুরু করে ব্যাগেজ বেল্ট হয়ে যাত্রীর হাতে পৌঁছানো পর্যন্ত সম্পূর্ণ ব্যাগেজ হ্যান্ডলিং প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণের আওতায় আসবে।
৩ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের মালপত্রের (ব্যাগেজ) নিরাপত্তা নিশ্চিতে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর উদ্যোগ নিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং এজেন্ট (জিএইচএ) হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী প্রতিষ্ঠানটি ব্যাগেজ পরিবহনপ্রক্রিয়ায় নিয়োজিত ট্রাফিক স্টাফদের জন্য বডি ক্যামেরা সংযোজন করেছে।
এই বডি ক্যামেরা ব্যবস্থার মাধ্যমে বিমানের হোল্ড থেকে শুরু করে ব্যাগেজ বেল্ট হয়ে যাত্রীর হাতে পৌঁছানো পর্যন্ত সম্পূর্ণ ব্যাগেজ হ্যান্ডলিং প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণের আওতায় আসবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের নিজস্ব অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের পাশাপাশি যেসব আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনসের জন্য প্রতিষ্ঠানটি গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা দেয়, তাদের ক্ষেত্রেও এই ব্যবস্থা কার্যকর থাকবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ জানায়, বডি ক্যামেরা সংযোজনের ফলে ব্যাগেজ চুরি, হারানো কিংবা ক্ষতির অভিযোগ দ্রুত ও নির্ভুলভাবে যাচাই করা সম্ভব হবে। কোনো অভিযোগ উত্থাপিত হলে সংশ্লিষ্ট ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনার মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা শনাক্ত করে দ্রুত সমাধান নিশ্চিত করা যাবে।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে যাত্রীদের আস্থা ও সন্তুষ্টি আরও সুদৃঢ় হবে। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক মানের নিরাপত্তা ও সেবার একটি অভিন্ন কাঠামো প্রতিষ্ঠায় এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) বোসরা ইসলাম এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং যাত্রীকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গির বাস্তব উদাহরণ হিসেবে বডি ক্যামেরা উদ্যোগটি বিবেচিত হবে। যাত্রীদের নিরাপত্তা, সেবা ও আস্থাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ভবিষ্যতেও এ ধরনের কার্যকর ও আধুনিক উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।

রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের মালপত্রের (ব্যাগেজ) নিরাপত্তা নিশ্চিতে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর উদ্যোগ নিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং এজেন্ট (জিএইচএ) হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী প্রতিষ্ঠানটি ব্যাগেজ পরিবহনপ্রক্রিয়ায় নিয়োজিত ট্রাফিক স্টাফদের জন্য বডি ক্যামেরা সংযোজন করেছে।
এই বডি ক্যামেরা ব্যবস্থার মাধ্যমে বিমানের হোল্ড থেকে শুরু করে ব্যাগেজ বেল্ট হয়ে যাত্রীর হাতে পৌঁছানো পর্যন্ত সম্পূর্ণ ব্যাগেজ হ্যান্ডলিং প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণের আওতায় আসবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের নিজস্ব অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের পাশাপাশি যেসব আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনসের জন্য প্রতিষ্ঠানটি গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা দেয়, তাদের ক্ষেত্রেও এই ব্যবস্থা কার্যকর থাকবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ জানায়, বডি ক্যামেরা সংযোজনের ফলে ব্যাগেজ চুরি, হারানো কিংবা ক্ষতির অভিযোগ দ্রুত ও নির্ভুলভাবে যাচাই করা সম্ভব হবে। কোনো অভিযোগ উত্থাপিত হলে সংশ্লিষ্ট ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনার মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা শনাক্ত করে দ্রুত সমাধান নিশ্চিত করা যাবে।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে যাত্রীদের আস্থা ও সন্তুষ্টি আরও সুদৃঢ় হবে। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক মানের নিরাপত্তা ও সেবার একটি অভিন্ন কাঠামো প্রতিষ্ঠায় এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) বোসরা ইসলাম এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং যাত্রীকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গির বাস্তব উদাহরণ হিসেবে বডি ক্যামেরা উদ্যোগটি বিবেচিত হবে। যাত্রীদের নিরাপত্তা, সেবা ও আস্থাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ভবিষ্যতেও এ ধরনের কার্যকর ও আধুনিক উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।

হাবিব হোটেল ইন্টারন্যাশনাল ও মরিয়ম কনস্ট্রাকশনের নামে তিন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন আলম আহমেদ। সেই টাকায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে গড়ে তুলেছেন তারকা হোটেল ‘হলিডে ইন’। বছরের পর বছর হোটেল ব্যবসাও করছে, কিন্তু ব্যাংকের ঋণের টাকা পরিশোধ করেননি। তিন ব্যাংকের প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা পরিশোধ না করে পাড়ি...
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে গুলশান থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে বিভিন্ন পর্যায়ে ১৭৫ থেকে ২০০ জন পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
১ ঘণ্টা আগে
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের নিরাপত্তা নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ রিয়াজ হামিদউল্লাহকে তলব করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ উদ্বেগের কথা জানায়।
৩ ঘণ্টা আগে