Ajker Patrika

টাকা পাচারকারীদের দায়মুক্তি অবৈধ উপার্জন উৎসাহিত হবে: পীর ফজলুর রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
টাকা পাচারকারীদের দায়মুক্তি অবৈধ উপার্জন উৎসাহিত হবে: পীর ফজলুর রহমান

টাকা পাচারে দায়মুক্তি দিলে দেশের মানুষ অবৈধ অর্থ উপার্জনে উৎসাহী হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘অর্থমন্ত্রী বিদেশে টাকা পাচার আটকাতে ব্যর্থ হয়েছেন। টাকা ফেরত আনার সুযোগ থাকলে মানি লন্ডারিং আইনের প্রয়োজন নেই।’ 

আজ রোববার জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন পীর ফজলুর রহমান। 

করোনাকালে অনেক মানুষ অর্থনৈতিকভাবে খারাপ অবস্থায় চলে গেছেন। কিন্তু এই অর্থবছরেও অনেক মানুষ কোটিপতি হয়েছে উল্লেখ করে জাপার এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘বিদেশে অর্থ পাচারও বেড়েছে। অর্থমন্ত্রী এই করোনাকালে মানুষের জীবন রক্ষার যে বাজেট উপস্থাপন করেছিলেন, সেখানে একদিকে মানুষকে রক্ষার চেষ্টা করেছেন। অপরদিকে, হাজার হাজার কোটি টাকা এই দেশ থেকে পাচার হয়ে গেছে, সেটা রোধ করতে পারেননি।’ 

বাজেটে পাচার করা অর্থ কর দিয়ে দেশে ফেরত আনার সুযোগের প্রস্তাব রাখার সমালোচনা করে এমপি ফজলুর রহমান বলেন, ‘যারা অর্থ চুরি করলেন, অর্থ আত্মসাৎ করে বিদেশে পাচার করে দিলেন, তাঁদের দায়মুক্তি উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এটি সমর্থনযোগ্য নয়। তাঁর (অর্থমন্ত্রী) উচিত ছিল যারা এই করোনাকালে মানুষের ক্রান্তিকালে অবৈধ টাকা অর্জন করে বিদেশে পাচার করেছে, এই টাকা যাতে পাচার না হয়, সেটার প্রতিরোধ করা বা আটকানো উচিত ছিল। কিন্তু সেখানে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন।’ 

অর্থমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে এমপি বলেন, ‘করোনাকালে চাকরিচ্যুত, বেকার ও অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়াদের জন্য গত অর্থবছরে কিছুই করতে পারেননি। তাঁদের এগিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ করতে হবে। 

অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করে তিনি বলেন, ‘টাকা পাচার করে বাংলাদেশে বৈধভাবে টাকা ফেরত আনার সুযোগ দেওয়া হলে, এই মানি লন্ডারিং আইন বাংলাদেশে দরকার নেই।’ 

জাপান এমপি বলেন, ‘মানুষ সন্দেহ করছে একটা বিশাল গোষ্ঠী অবৈধভাবে টাকা আয় করে বিদেশে পাচার করার জন্য বসে আছে। এটি (ফেরত আনার সুযোগ) বাস্তবায়ন হলে তাদের সেই উদ্দেশ্য সফল হবে। যারা অবৈধভাবে টাকা লুটপাট করে সেই বৈধ করার জন্য এটি নিয়ে আসছেন। এটি দায়মুক্তি দিলে মানুষ অবৈধভাবে টাকা উপার্জনে উৎসাহী হবে।’ 

 ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাজেট প্রস্তাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেছেন, বিদেশে অবস্থিত যেকোনো সম্পদের ওপর কর পরিশোধ করা হলে আয়কর কর্তৃপক্ষসহ যেকোনো কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করবে না। এ বিধানের আওতায় তিনি বিদেশে অর্জিত স্থাবর সম্পত্তি দেশে আনা না হলে এর ওপর ১৫ শতাংশ করা ধার্যের প্রস্তাব করেন। সেই সঙ্গে ১০ শতাংশ কর দিয়ে বিদেশস্থ অস্থাবর সম্পত্তি এবং নগদ অর্থ ৭ শতাংশ কর দিয়ে ফেরত আনার সুযোগ রাখার প্রস্তাব করেন। সে ক্ষেত্রে কোনো বিভাগ এ অর্থ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারবে না বলেও প্রস্তাবে বলা হয়। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জাতীয় নির্বাচন: ভোট কমিটির নেতৃত্বে ডিসি–ইউএনওকে না রাখার চিন্তা

মাগুরার শিশুটি এখনো অচেতন, চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান

ঈদে পুলিশের সহযোগী ফোর্স হবে বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মী, পাবে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা

তিন নারী আমার জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ: তারেক রহমান

গত দশ বছর ভিসা না পাওয়ার কারণে বাংলাদেশে আসতে পারিনি: মাইলাম

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত