কৌশলে লুকিয়ে রাখা ঋণের তথ্য বেরিয়ে আসছে। এ কারণে খেলাপি বাড়ছে। – ড. মইনুল ইসলাম,
অর্থনীতিবিদ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে খেলাপি ঋণের প্রকৃত চিত্র। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, দেশের ব্যাংকগুলোয় চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি ৩১ লাখ টাকা। এর আগে গত জুন শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ২ লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৭৩ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে হাজার হাজার কোটি টাকা বের করে নিয়ে গেছেন। শুধু তা-ই নয়, প্রভাব খাটিয়ে ব্যাংকগুলোকে এ তথ্য গোপন রাখতে বাধ্য করেছেন তাঁরা। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এসব ঋণখেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হতে শুরু করেছেন।
গতকাল রোববার প্রকাশিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৮২ হাজার ৮২১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি ৩১ লাখ টাকাই খেলাপি হয়ে পড়েছে। সে হিসাবে বিতরণ করা ঋণের ১৬ দশমিক ৯৩ শতাংশই খেলাপি।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ১ লাখ ২৬ হাজার ১১১ কোটি ৫২ লাখ টাকা, যা বিতরণ করা ঋণের ৪০ দশমিক ৩৫ শতাংশ। একই সময়ে বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ১ লাখ ৪৯ হাজার ৮০৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকা, যা বিতরণ করা ঋণের ১১ দশমিক ৮৮ শতাংশ। আর বিদেশি ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৩ হাজার ২৪৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, যা মোট ঋণের ৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ। সেই সঙ্গে বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৮১৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা, যা বিতরণ করা ঋণের ১৩ দশমিক ২১ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের ব্যাংক খাতের সবচেয়ে বড় সমস্যা বিপুল অঙ্কের খেলাপি ঋণ। দীর্ঘদিন ধরে চলমান এ সমস্যা পুঞ্জীভূত হয়ে বর্তমানে প্রকট আকার ধারণ করেছে। দুঃখজনক হলো, বিভিন্ন সময় খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনার বিষয়ে কর্তৃপক্ষ নানা অঙ্গীকার করলেও তা রক্ষা করা হয়নি। বস্তুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরে দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর খেলাপি ঋণ বেপরোয়া গতিতে বেড়েছে। আর্থিক খাতে সুশাসন না থাকায় বড় বড় জাল-জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। এর মাধ্যমে বিতরণ করা ঋণের প্রায় সব-ই খেলাপি হয়ে গেছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই মাত্রাতিরিক্ত হারে বেড়েছে খেলাপি ঋণ।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ ড. মইনুল ইসলাম বলেন, কৌশলে লুকিয়ে রাখা ঋণের তথ্য বেরিয়ে আসছে। এ কারণে খেলাপি বাড়ছে। এসব ঋণ তাঁরা আগে নিয়েছেন। দুর্বল ব্যাংকগুলোতে বহু দুর্নীতি হয়েছে। সেসব দুর্নীতি বেরিয়ে আসছে।
বারবার পুনঃ তফসিলের নীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে জানিয়ে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক আইন করে ঋণখেলাপি কমাতে সহায়তা করেছে। খেলাপি ঋণের পরিমাণ আরও অনেক বেশি। কারণ অবলোপন, পুনঃ তফসিল ও অর্থঋণ আদালতে আটকে থাকা মামলার টাকাগুলো যুক্ত হলে খেলাপি ঋণের পরিমাণ আরও বাড়বে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে, সে বছরের জুন পর্যন্ত ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ ছিল ২২ হাজার ৪৮১ কোটি টাকা। সেখান থেকে এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি ৩১ লাখ টাকা। অর্থাৎ আওয়ামী সরকারের আমলে ২ লাখ ৬২ হাজার ৪৯৬ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ বেড়েছে।
অস্বাভাবিক খেলাপি ঋণ বাড়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেন, আন্তর্জাতিক পদ্ধতি অনুসরণ করার কারণে খেলাপি ঋণ বেশি হয়েছে। আগে টার্ম লোনের গ্রেস পিরিয়ড ৬ মাসে ছিল, এখন তা ৩ মাসে করা হয়েছে। ফলে খেলাপি ঋণ বেড়েছে।
বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে খেলাপি ঋণের প্রকৃত চিত্র। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, দেশের ব্যাংকগুলোয় চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি ৩১ লাখ টাকা। এর আগে গত জুন শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ২ লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৭৩ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে হাজার হাজার কোটি টাকা বের করে নিয়ে গেছেন। শুধু তা-ই নয়, প্রভাব খাটিয়ে ব্যাংকগুলোকে এ তথ্য গোপন রাখতে বাধ্য করেছেন তাঁরা। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এসব ঋণখেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হতে শুরু করেছেন।
গতকাল রোববার প্রকাশিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৮২ হাজার ৮২১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি ৩১ লাখ টাকাই খেলাপি হয়ে পড়েছে। সে হিসাবে বিতরণ করা ঋণের ১৬ দশমিক ৯৩ শতাংশই খেলাপি।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ১ লাখ ২৬ হাজার ১১১ কোটি ৫২ লাখ টাকা, যা বিতরণ করা ঋণের ৪০ দশমিক ৩৫ শতাংশ। একই সময়ে বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ১ লাখ ৪৯ হাজার ৮০৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকা, যা বিতরণ করা ঋণের ১১ দশমিক ৮৮ শতাংশ। আর বিদেশি ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৩ হাজার ২৪৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, যা মোট ঋণের ৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ। সেই সঙ্গে বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৮১৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা, যা বিতরণ করা ঋণের ১৩ দশমিক ২১ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের ব্যাংক খাতের সবচেয়ে বড় সমস্যা বিপুল অঙ্কের খেলাপি ঋণ। দীর্ঘদিন ধরে চলমান এ সমস্যা পুঞ্জীভূত হয়ে বর্তমানে প্রকট আকার ধারণ করেছে। দুঃখজনক হলো, বিভিন্ন সময় খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনার বিষয়ে কর্তৃপক্ষ নানা অঙ্গীকার করলেও তা রক্ষা করা হয়নি। বস্তুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরে দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর খেলাপি ঋণ বেপরোয়া গতিতে বেড়েছে। আর্থিক খাতে সুশাসন না থাকায় বড় বড় জাল-জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। এর মাধ্যমে বিতরণ করা ঋণের প্রায় সব-ই খেলাপি হয়ে গেছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই মাত্রাতিরিক্ত হারে বেড়েছে খেলাপি ঋণ।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ ড. মইনুল ইসলাম বলেন, কৌশলে লুকিয়ে রাখা ঋণের তথ্য বেরিয়ে আসছে। এ কারণে খেলাপি বাড়ছে। এসব ঋণ তাঁরা আগে নিয়েছেন। দুর্বল ব্যাংকগুলোতে বহু দুর্নীতি হয়েছে। সেসব দুর্নীতি বেরিয়ে আসছে।
বারবার পুনঃ তফসিলের নীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে জানিয়ে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক আইন করে ঋণখেলাপি কমাতে সহায়তা করেছে। খেলাপি ঋণের পরিমাণ আরও অনেক বেশি। কারণ অবলোপন, পুনঃ তফসিল ও অর্থঋণ আদালতে আটকে থাকা মামলার টাকাগুলো যুক্ত হলে খেলাপি ঋণের পরিমাণ আরও বাড়বে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে, সে বছরের জুন পর্যন্ত ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ ছিল ২২ হাজার ৪৮১ কোটি টাকা। সেখান থেকে এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি ৩১ লাখ টাকা। অর্থাৎ আওয়ামী সরকারের আমলে ২ লাখ ৬২ হাজার ৪৯৬ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ বেড়েছে।
অস্বাভাবিক খেলাপি ঋণ বাড়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেন, আন্তর্জাতিক পদ্ধতি অনুসরণ করার কারণে খেলাপি ঋণ বেশি হয়েছে। আগে টার্ম লোনের গ্রেস পিরিয়ড ৬ মাসে ছিল, এখন তা ৩ মাসে করা হয়েছে। ফলে খেলাপি ঋণ বেড়েছে।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
৩২ মিনিট আগেপণ্যবাহী যানবাহনের জট কমানো এবং বন্দর কার্যক্রমে আরও গতি আনতে চলতি মাসের শেষ দিকে সম্পূর্ণ ডিজিটাল গেট ফি
১ ঘণ্টা আগেআসন্ন পবিত্র রমজান উপলক্ষে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। একই সঙ্গে পণ্যের দামও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে উদ্যোগী হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
৩ ঘণ্টা আগে