শাহীন রহমান
পাবনা: পাবনার দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্য ছানা, ঘিয়ের ঐতিহ্য সুপ্রাচীন। দেশের সীমা ছাড়িয়ে এসব পণ্য এখন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যেও রপ্তানি হচ্ছে।
জানা যায়, পাবনার ফরিদপুর উপজেলার ডেমরা বাজারে ছানা ও ঘি ব্যবসায়ীদের ১০-১২টি কারখানা রয়েছে। যার প্রতিটিতে ৮-২০ জন শ্রমিক কাজ করেন। কারখানাগুলো ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে। সকালে গৃহস্থের বাড়ি থেকে দুধ সংগ্রহ করে এনে বড় চুল্লিতে দুধ ফুটানো, ছানা ঠান্ডা করা, কাপড়ে ছানা রেখে বাঁশের আড়ায় ঝোলানোর কাজ করা হয়। পরে এগুলো দেশ, বিদেশে সরবরাহ করা হয়। কোনকোন ব্যবসায়ী প্রতিদিন শত শত মণ দুগ্ধজাত পণ্য সরবরাহ করে থাকে।
সরেজমিনে ডেমড়া বাজারের রবি ঘোষ, পরিতোষ ঘোষ ও বাবলু ঘোষ আজকের পত্রিকাকে জানান, তাঁরা নিয়মিত ছানা ও ঘি তৈরি করেন। প্রতিদিন ৩৪-৩৭ মণ ছানা ও সাত মণ ঘি কোচ যোগে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের অভিজাত মিষ্টির দোকানে সরবরাহ করা হয়। এসব ঘি ও ছানা কয়েকটি মিষ্টি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সিলেট এবং চট্টগ্রাম শাখা অফিসের মাধ্যমে প্রক্রিয়াজাত করে বিমানযোগে দেশের বাইরে পাঠায়। সিলেট ও চট্টগ্রামে পাঠানো ছানা ও ঘি’র উল্লেখযোগ্য অংশ ইংল্যান্ড এবং যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করা হয়।
ছানা ও ঘি তৈরির কারখানার মালিক আমজাদ হোসেন জানান, ১৫-১৬ বছর আগে ছানা ও ঘি কারখানা গড়ে তুলেছি। ছানা ও ঘি ঢাকা, সিলেটসহ বিভিন্ন জেলায় পাইকারি বিক্রি করি। দেশের বহু কারখানাসহ ডেমরা বাজারেই ১৬টি কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে অন্তত দুই হাজার লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। আমজাদ হোসেন জানান, তাঁর দোকানে এখন প্রতিদিন অর্ধশত মণ দুধ কেনা হয়। ছানা উৎপাদন হয় প্রায় ২৫০ কেজি।
ছানা ব্যবসায়ী আবু তাহের জানান, বছর দশেক আগে কুষ্টিয়ার বালিরদিয়া গ্রামের পৈতৃক নিবাস ছেড়ে পাবনার ফরিদপুর উপজেলার ডেমরায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। ১২-১৪ বছর ধরে ছানার ব্যবসা সূত্রে তিনি ডেমরায় যাতায়াত করেন। ডেমরা থেকে পাইকারি দরে ছানা কিনে নিজ এলাকায় বিক্রি করতেন। এ ব্যবসা ক্রমেই জমে ওঠে। পরে তিনি ডেমরা বাজারে নিজস্ব কারখানা স্থাপন করেন। নিজ এলাকা থেকে ব্যবসা পরিচালনা করা তাঁর পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ে। লাভজনক ব্যবসাটি ধরে রাখতেই তিনি ডেমরায় স্থায়ী হন।
আবু তাহের সকাল-বিকেল দুই দফায় দুধ কেনেন। সকালে প্রতি মণ দুধের গড় দাম হয় ১৬০০ টাকা, বিকেলে ১৭০০-১৮০০ টাকা। বাঘাবাড়ির মিল্ক ভিটা বন্ধ থাকলে সেদিন দুধ সস্তা হয়। দুধ থেকে দুই ধরনের ছানা তৈরি হয়। সারান ছানা ও টানা ছানা। দুধ থেকে যান্ত্রিক উপায়ে ক্রিম ওঠানোর পর যে ছানা পাওয়া যায় সেটা হলো টানা ছানা। সারান ছানা ৯০-১০০ টাকা কেজি আর টানা ছানা বিক্রি হয় প্রতি কেজি ৫০-৬০ টাকা।
ডেমড়া বাজারের দুলাল ঘোষ জানান, এ বাজারের ঘোষরা প্রতিদিন প্রায় ৭০০ মণ দুধ কিনে ছানা তৈরি করেন। ওই পরিমাণ দুধে প্রায় ১২৫ মণ ছানা হয়। এর মধ্যে ১৮-২০ মণ ছানা স্থানীয় বাজারে বিক্রির পর বাকি ছানা যায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। তিনি বলেন, এক মণ দুধ থেকে আট কেজি ছানা ও তিন কেজি ফ্যাট হয়। তিন কেজি ফ্যাট জ্বালিয়ে দেড় কেজি খাঁটি ঘি পাওয়া যায়। এ হিসেবে বৃহত্তর পাবনার দুই উপজেলায় প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১১০০ লিটার বা ২৭ মণ ঘি তৈরি হয়।
বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি হাসিব খান তরুণ জানান, বৃহত্তর পাবনা অঞ্চলে প্রতিদিন প্রায় আড়াই লাখ লিটারের বেশি দুধ উৎপাদন হয়। দুগ্ধ উৎপাদনকারীরা পাবনার ভাঙ্গুরা ক্রয় কেন্দ্র, সিরাজগঞ্জের লাহিড়ী মোহনপুর ও বাঘাবাড়ি মিল্ক ভিটায় প্রতিদিন প্রায় দেড় লাখ লিটার দুধ সরবরাহ করেন। তিনি আরও বলেন, এ অঞ্চলে প্রায় এক হাজার দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমিতির মাধ্যমে দুধ সরবরাহ করা হয়। সমিতির সদস্য সংখ্যা ৫০ হাজার। এ ছাড়া সমিতির বাইরেও কয়েক হাজার খামারি দুধ সরবরাহ করেন। ৭৫-৮০ হাজার লিটার দুধ কেনে আফতাব, আকিজ, প্রাণ, ব্র্যাকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া ঘোষরা কেনে ২৮-৩০ হাজার লিটার। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো দুধ কিনে প্রক্রিয়াজাত করে রাজধানীতে পাঠাতে বেশ কয়েকটি চিলিং সেন্টার স্থাপন করেছেন। অধিকাংশ স্থানে খামারিরা বাড়ি বসেই দুধ বিক্রি করতে পারেন। ঘোষরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে দুধ কিনে চিলিং সেন্টারে সরবরাহ করেন।
বৃহত্তর পাবনা অঞ্চলের দুগ্ধ শিল্পে সমৃদ্ধির পাশাপাশি নজরদারির অভাবে অনেক কারখানায় তৈরি হচ্ছে ভেজাল ছানা। কিছু কারখানার পরিবেশও অস্বাস্থ্যকর। স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর নামে এসব অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজারে ভেজাল ঘি-ছানা বিক্রি করছে। এতে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের দুর্নাম হচ্ছে।
আবার গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় দুধ উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে। খামার পরিচালনা করতে বেশ হিমশিম খাচ্ছেন এ অঞ্চলের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক গো-খামারিরা। বেড়া উপজেলার হাটুরিয়া জগন্নাথপুর, শম্ভুপুর, সাঁথিয়ার সেলন্দা, নাগডেমড়া, সোনাতলা, ধুলাউড়ি, ফরিদপুর উপজেলার ডেমড়া, পারফরিদপুর এলাকার দুধ উৎপাদনকারীরা জানান, গো-খাদ্যের দাম বেড়েই চলেছে। সে তুলনায় দুধের দাম বাড়েনি। ফলে কিছুদিন ধরেই তারা ক্ষতিগ্রস্ত ও ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।
এ বিষয়ে পাবনা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আল মামুন হোসেন জানান, বহু খামারি দুধ উৎপাদন করে চাহিদা পূরণের পাশাপাশি সংসারে সচ্ছলতা এনেছেন। দুধের ওপর ভিত্তি করেই ছানা ও ঘি শিল্প গড়ে উঠেছে। এমনকি দেশের বাইরেও যাচ্ছে পাবনার ঘি। ব্যবসায়ী ও কারখানা মালিকদের সহযোগিতায় প্রাণীসম্পদ বিভাগ তাদের পাশে রয়েছে। দুগ্ধজাত পণ্যের ওপর গড়ে ওঠা শিল্পের সুনাম রক্ষায় প্রতিটি ক্ষেত্রে নজরদারি বাড়ানোর আশ্বাসও দেন তিনি।
পাবনা: পাবনার দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্য ছানা, ঘিয়ের ঐতিহ্য সুপ্রাচীন। দেশের সীমা ছাড়িয়ে এসব পণ্য এখন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যেও রপ্তানি হচ্ছে।
জানা যায়, পাবনার ফরিদপুর উপজেলার ডেমরা বাজারে ছানা ও ঘি ব্যবসায়ীদের ১০-১২টি কারখানা রয়েছে। যার প্রতিটিতে ৮-২০ জন শ্রমিক কাজ করেন। কারখানাগুলো ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে। সকালে গৃহস্থের বাড়ি থেকে দুধ সংগ্রহ করে এনে বড় চুল্লিতে দুধ ফুটানো, ছানা ঠান্ডা করা, কাপড়ে ছানা রেখে বাঁশের আড়ায় ঝোলানোর কাজ করা হয়। পরে এগুলো দেশ, বিদেশে সরবরাহ করা হয়। কোনকোন ব্যবসায়ী প্রতিদিন শত শত মণ দুগ্ধজাত পণ্য সরবরাহ করে থাকে।
সরেজমিনে ডেমড়া বাজারের রবি ঘোষ, পরিতোষ ঘোষ ও বাবলু ঘোষ আজকের পত্রিকাকে জানান, তাঁরা নিয়মিত ছানা ও ঘি তৈরি করেন। প্রতিদিন ৩৪-৩৭ মণ ছানা ও সাত মণ ঘি কোচ যোগে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের অভিজাত মিষ্টির দোকানে সরবরাহ করা হয়। এসব ঘি ও ছানা কয়েকটি মিষ্টি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সিলেট এবং চট্টগ্রাম শাখা অফিসের মাধ্যমে প্রক্রিয়াজাত করে বিমানযোগে দেশের বাইরে পাঠায়। সিলেট ও চট্টগ্রামে পাঠানো ছানা ও ঘি’র উল্লেখযোগ্য অংশ ইংল্যান্ড এবং যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করা হয়।
ছানা ও ঘি তৈরির কারখানার মালিক আমজাদ হোসেন জানান, ১৫-১৬ বছর আগে ছানা ও ঘি কারখানা গড়ে তুলেছি। ছানা ও ঘি ঢাকা, সিলেটসহ বিভিন্ন জেলায় পাইকারি বিক্রি করি। দেশের বহু কারখানাসহ ডেমরা বাজারেই ১৬টি কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে অন্তত দুই হাজার লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। আমজাদ হোসেন জানান, তাঁর দোকানে এখন প্রতিদিন অর্ধশত মণ দুধ কেনা হয়। ছানা উৎপাদন হয় প্রায় ২৫০ কেজি।
ছানা ব্যবসায়ী আবু তাহের জানান, বছর দশেক আগে কুষ্টিয়ার বালিরদিয়া গ্রামের পৈতৃক নিবাস ছেড়ে পাবনার ফরিদপুর উপজেলার ডেমরায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। ১২-১৪ বছর ধরে ছানার ব্যবসা সূত্রে তিনি ডেমরায় যাতায়াত করেন। ডেমরা থেকে পাইকারি দরে ছানা কিনে নিজ এলাকায় বিক্রি করতেন। এ ব্যবসা ক্রমেই জমে ওঠে। পরে তিনি ডেমরা বাজারে নিজস্ব কারখানা স্থাপন করেন। নিজ এলাকা থেকে ব্যবসা পরিচালনা করা তাঁর পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ে। লাভজনক ব্যবসাটি ধরে রাখতেই তিনি ডেমরায় স্থায়ী হন।
আবু তাহের সকাল-বিকেল দুই দফায় দুধ কেনেন। সকালে প্রতি মণ দুধের গড় দাম হয় ১৬০০ টাকা, বিকেলে ১৭০০-১৮০০ টাকা। বাঘাবাড়ির মিল্ক ভিটা বন্ধ থাকলে সেদিন দুধ সস্তা হয়। দুধ থেকে দুই ধরনের ছানা তৈরি হয়। সারান ছানা ও টানা ছানা। দুধ থেকে যান্ত্রিক উপায়ে ক্রিম ওঠানোর পর যে ছানা পাওয়া যায় সেটা হলো টানা ছানা। সারান ছানা ৯০-১০০ টাকা কেজি আর টানা ছানা বিক্রি হয় প্রতি কেজি ৫০-৬০ টাকা।
ডেমড়া বাজারের দুলাল ঘোষ জানান, এ বাজারের ঘোষরা প্রতিদিন প্রায় ৭০০ মণ দুধ কিনে ছানা তৈরি করেন। ওই পরিমাণ দুধে প্রায় ১২৫ মণ ছানা হয়। এর মধ্যে ১৮-২০ মণ ছানা স্থানীয় বাজারে বিক্রির পর বাকি ছানা যায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। তিনি বলেন, এক মণ দুধ থেকে আট কেজি ছানা ও তিন কেজি ফ্যাট হয়। তিন কেজি ফ্যাট জ্বালিয়ে দেড় কেজি খাঁটি ঘি পাওয়া যায়। এ হিসেবে বৃহত্তর পাবনার দুই উপজেলায় প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১১০০ লিটার বা ২৭ মণ ঘি তৈরি হয়।
বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি হাসিব খান তরুণ জানান, বৃহত্তর পাবনা অঞ্চলে প্রতিদিন প্রায় আড়াই লাখ লিটারের বেশি দুধ উৎপাদন হয়। দুগ্ধ উৎপাদনকারীরা পাবনার ভাঙ্গুরা ক্রয় কেন্দ্র, সিরাজগঞ্জের লাহিড়ী মোহনপুর ও বাঘাবাড়ি মিল্ক ভিটায় প্রতিদিন প্রায় দেড় লাখ লিটার দুধ সরবরাহ করেন। তিনি আরও বলেন, এ অঞ্চলে প্রায় এক হাজার দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমিতির মাধ্যমে দুধ সরবরাহ করা হয়। সমিতির সদস্য সংখ্যা ৫০ হাজার। এ ছাড়া সমিতির বাইরেও কয়েক হাজার খামারি দুধ সরবরাহ করেন। ৭৫-৮০ হাজার লিটার দুধ কেনে আফতাব, আকিজ, প্রাণ, ব্র্যাকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া ঘোষরা কেনে ২৮-৩০ হাজার লিটার। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো দুধ কিনে প্রক্রিয়াজাত করে রাজধানীতে পাঠাতে বেশ কয়েকটি চিলিং সেন্টার স্থাপন করেছেন। অধিকাংশ স্থানে খামারিরা বাড়ি বসেই দুধ বিক্রি করতে পারেন। ঘোষরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে দুধ কিনে চিলিং সেন্টারে সরবরাহ করেন।
বৃহত্তর পাবনা অঞ্চলের দুগ্ধ শিল্পে সমৃদ্ধির পাশাপাশি নজরদারির অভাবে অনেক কারখানায় তৈরি হচ্ছে ভেজাল ছানা। কিছু কারখানার পরিবেশও অস্বাস্থ্যকর। স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর নামে এসব অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজারে ভেজাল ঘি-ছানা বিক্রি করছে। এতে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের দুর্নাম হচ্ছে।
আবার গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় দুধ উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে। খামার পরিচালনা করতে বেশ হিমশিম খাচ্ছেন এ অঞ্চলের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক গো-খামারিরা। বেড়া উপজেলার হাটুরিয়া জগন্নাথপুর, শম্ভুপুর, সাঁথিয়ার সেলন্দা, নাগডেমড়া, সোনাতলা, ধুলাউড়ি, ফরিদপুর উপজেলার ডেমড়া, পারফরিদপুর এলাকার দুধ উৎপাদনকারীরা জানান, গো-খাদ্যের দাম বেড়েই চলেছে। সে তুলনায় দুধের দাম বাড়েনি। ফলে কিছুদিন ধরেই তারা ক্ষতিগ্রস্ত ও ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।
এ বিষয়ে পাবনা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আল মামুন হোসেন জানান, বহু খামারি দুধ উৎপাদন করে চাহিদা পূরণের পাশাপাশি সংসারে সচ্ছলতা এনেছেন। দুধের ওপর ভিত্তি করেই ছানা ও ঘি শিল্প গড়ে উঠেছে। এমনকি দেশের বাইরেও যাচ্ছে পাবনার ঘি। ব্যবসায়ী ও কারখানা মালিকদের সহযোগিতায় প্রাণীসম্পদ বিভাগ তাদের পাশে রয়েছে। দুগ্ধজাত পণ্যের ওপর গড়ে ওঠা শিল্পের সুনাম রক্ষায় প্রতিটি ক্ষেত্রে নজরদারি বাড়ানোর আশ্বাসও দেন তিনি।
ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণায় প্রয়োজনে মেক্সিকো ও চীনের ওপর শতভাগ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন। এ ছাড়া তিনি বলেছিলেন, শুল্ক ও অন্যান্য বিধিনিষেধের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সর্বাধিক সুবিধাপ্রাপ্ত দেশ (মোস্ট–ফেভারড নেশন) চীন। চীনের এই বিশেষ সুবিধা তিনি রাখবেন না।
২ ঘণ্টা আগেআদানির ঘুষ দুর্নীতি নিয়ে ভারতের পার্লামেন্টেও উত্তেজনা ছড়িয়েছে। গতকাল সোমবার আইনপ্রণেতারা আদানির বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে আলোচনার দাবি তুললে হট্টগোল শুরু হয়, পরে অধিবেশন স্থগিত করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেদেশে ডলার-সংকট কাটাতে পণ্য আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলায় (এলসি) কড়াকড়ি শর্ত আরোপ করা হয়। এতে অন্যান্য পণ্যের মতো প্রসাধনসামগ্রী আমদানিতেও মারাত্মক ভাটা পড়ে। গত অর্থবছরে নির্ধারিত এইচএস
২ ঘণ্টা আগেজিনিসপত্রের দাম ঊর্ধ্বমুখী, ব্যাংকঋণের সুদ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগে আগ্রহ কম, বলা যায় বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ স্থবির বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
২ ঘণ্টা আগে