করাচি-চট্টগ্রাম ১১ দিনে পণ্য পরিবহন, সময় ও খরচ—দুটোই কমল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০: ১৪
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১: ২১
ছবি: সংগৃহীত

স্বাধীনতার পর জলপথে সরাসরি পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে পণ্য পরিবহন বন্ধ ছিল। এত দিন পাকিস্তানি পণ্য তৃতীয় দেশ হয়ে জাহাজে করে বাংলাদেশ আসত। গত ১১ নভেম্বর প্রথমবারের মতো পাকিস্তান থেকে পণ্য নিয়ে সরাসরি বাংলাদেশে এসেছে জাহাজ।

দুবাইভিত্তিক বহুজাতিক বন্দর পরিচালনাকারী সংস্থা ‘ডিপি ওয়ার্ল্ড’ বলছে, এর পর থেকে দুই দেশের মধ্যে পণ্য পরিবহনের সময় ৫০ শতাংশ কমে গেছে। আর এখন পর্যন্ত এই রুটে এক হাজারেরও বেশি কনটেইনার বাংলাদেশে পৌঁছেছে। গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

ডিপি ওয়ার্ল্ডের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি পণ্য পরিবহনের ফলে ট্রান্সশিপমেন্টের আর দরকার হচ্ছে না। আগের মতো জাহাজ বদলাতে হচ্ছে না। করাচি ও চট্টগ্রামের মধ্যে সরাসরি ১১ দিনে পণ্য পরিবহন সম্ভব হচ্ছে; পণ্য পরিবহনের সময় ও খরচ— দুটোই কমেছে।

সরাসরি জাহাজ চলাচলের এই সুযোগ দক্ষিণ এশিয়ার বাণিজ্য এবং আঞ্চলিক সংযোগকে আরও শক্তিশালী করছে। দ্বিতীয়বারে দ্বিগুণ কনটেইনার পরিবহনে বোঝা যায় আমদানিকারকরা এই রুট ব্যবহারে বেশ আগ্রহী।

ডিপি ওয়ার্ল্ডের গ্রুপ চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী সুলতান বিন সুলাইয়েম বলেন, ‘এই নতুন রুট আমাদের অনেক আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক রুটের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। আমাদের বৈশ্বিক নেটওয়ার্কের সব অংশের সঙ্গে ব্যবসা ও ব্যবসায়ীদের সংযুক্ত করেছে।’

ডিপি ওয়ার্ল্ড ও এনএলসির যৌথ পরিচালনায় এই রুট ছয়টি দেশকে সংযুক্ত করেছে। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে রুটটিতে যুক্ত হয়েছে—মালয়েশিয়ার পোর্ট ক্লাং, পাকিস্তানের জেবেল আলী ও করাচি, ইন্দোনেশিয়ার বেলাওয়ান ও ভারতের মুন্দ্রা বন্দর।

পাকিস্তানের করাচি বন্দরের সঙ্গে চট্টগ্রামের সরাসরি কনটেইনার জাহাজ যোগাযোগ চালু হয়েছিল গত নভেম্বরের ১১ তারিখে। প্রথমবারে জাহাজটিতে আসে ৩৭০টি কনটেইনার। এর মধ্যে পাকিস্তান থেকে আনা হয় ২৯৭টি কনটেইনার, বাকিগুলো সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে।

দ্বিতীয় দফায় ২১ ডিসেম্বর ‘এমভি ইউয়ান জিয়াং ফা ঝং’ নামের কনটেইনার জাহাজটি বাংলাদেশে আসে। এবার আমিরাত ও পাকিস্তান থেকে আনা হয় ৮২৫ কনটেইনার। এর মধ্যে ৬৯৯ কনটেইনার পাকিস্তান থেকে এবং ১২৬ কনটেইনার সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আসে।

এ হিসাবে ৮৬ শতাংশই পাকিস্তানি পণ্যের কনটেইনার। বাকি ১৪ শতাংশ পণ্য এসেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত