রেজাউর রহিম, ঢাকা

পোশাক পণ্যের বৈশ্বিক বাজারের আকার ৭০০ বিলিয়ন (৭০ হাজার কোটি) ডলারের। এর মধ্যে বাংলাদেশের দখলে আছে ৩ হাজার কোটি ডলারের কম। করোনা পরিস্থিতিতে এই রপ্তানি বাণিজ্য বড় ধাক্কা খেয়েছে। আগে চীনের পরই একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান থাকলেও এখন সে অবস্থান ভিয়েতনামের দখলে। এ অবস্থায় পোশাক রপ্তানিতে নিজের অবস্থান ধরে রাখতে হলে বিকল্প আমদানি উৎস ও রপ্তানি গন্তব্য খোঁজার কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
করোনা পরিস্থিতির কারণে সব দেশেরই অর্থনীতি বড় ধাক্কা খেয়েছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। পরিস্থিতি সামলাতে দেশের প্রধান রপ্তানি খাত হিসেবে তৈরি পোশাক শিল্পে প্রণোদনাও দেওয়া হয়েছিল। তারপরও গত বছর নিজের অবস্থান হারায় বাংলাদেশ। করোনায় সবাই যখন পোশাক রপ্তানি নিয়ে ধুঁকেছে, তখন ভিয়েতনাম পোশাক পণ্যের বাজারে নিজেদের হিস্যা বাড়িয়েছে। পণ্য, আমদানি উৎস ও রপ্তানি গন্তব্যে বৈচিত্র্য থাকার কারণেই দেশটি এই খাতে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এর ঠিক বিপরীত অবস্থা বাংলাদেশের।
বাংলাদেশের পণ্য ও সেবা রপ্তানি থেকে আয় এখনো কিছু দেশ ও অঞ্চলে বিশেষ বাণিজ্যিক সুবিধা প্রাপ্তির ওপর নির্ভরশীল। প্রতি বছর দেশের পণ্য ও সেবা রপ্তানির ৬০ শতাংশই হয় ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোতে, যেখানে বাংলাদেশ জিএসপি সুবিধা পায়। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র ২০০৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানিতে কোটা সুবিধা দিত। পরে তা বাতিল হলে অগ্রাধিকার বাণিজ্য সুবিধা (জিএসপি) দিত। কিন্তু বর্তমানে তাও বন্ধ। এ নিয়ে নানা পর্যায়ে আলোচনা হলেও এখনো কোনো ফল আসেনি।
দেশের মোট রপ্তানির বড় অংশই তৈরি পোশাক পণ্য। দীর্ঘদিন এ ক্ষেত্রে দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রাখলেও গত বছর এক ধাপ নেমে যায়। দ্বিতীয় অবস্থানে চলে আসে ভিয়েতনাম। এই অবনমনের কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একই বাজারের ওপর অতিনির্ভরশীলতার কথা। একই সঙ্গে একক দেশ হিসেবে মোট পোশাক রপ্তানির বাজারে বাংলাদেশের হিস্যা কম থাকাকেও কারণ হিসেবে দেখছেন তাঁরা।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালে চীন সর্বোচ্চ ১৪ হাজার ২০০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করে প্রথম অবস্থানে রয়েছে। মোট বৈশ্বিক পোশাক রপ্তানির প্রায় ৩১ দশমিক ৬ শতাংশ ছিল চীনের। ৩ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করে ভিয়েতনামের অবস্থান দ্বিতীয়। আর বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে ২ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের পণ্য। ফলে শীর্ষ অবস্থানের সঙ্গে তফাৎটি বেশ স্পষ্ট। এ অবস্থায় নিজেদের অবস্থান ফিরে পেতে বাংলাদেশকে ইউরোপের বাজারের দিকেই তাকাতে হচ্ছে। এ লক্ষ্যে পোশাক শিল্প মালিকদের পক্ষে এই কয়েক দিন আগেই ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যকে জিএসপি প্লাস সুবিধা দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ইইউয়ের পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তাবিষয়ক হাই রিপ্রেজেনটেটিভ জোসেপ বররেল আশ্বস্তও করেন। কিন্তু সংশয় কাটেনি।
বাংলাদেশ ইইউভুক্ত দেশগুলোতে এভরিথিং বাট নট আর্মস (ইবিএ) স্কিমের আওতায় ২০২৯ সাল পর্যন্ত শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা পাওয়ার কথা। তবে ইইউ ২০২৩ সালের মধ্যে নতুন জিএসপি প্লাস নীতি প্রণয়ন করছে। এটি কার্যকর হলে বাংলাদেশের জন্য ইবিএ সুবিধা অব্যাহত না থাকারও শঙ্কা রয়েছে। এখনো এ নিয়ে সুস্পষ্ট কোনো আশ্বাস পাওয়া যায়নি। যদিও বিশ্বের আটটি দেশ এরই মধ্যে এই সুবিধা পাচ্ছে, যার মধ্যে প্রতিবেশী পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাও রয়েছে।
জিএসপি প্লাস পেতে কী চাই
জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে বাংলাদেশকে বেশ কয়েকটি শর্ত পরিপালন করতে হবে। শর্তের শুরুতেই রয়েছে অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক পূরণের বিষয়টি। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় যে বিষয়টি বাংলাদেশকে ভাবাচ্ছে, তা হলো ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ। উদাহরণ হিসেবে সুতার কথা বলা যায়। শর্ত অনুযায়ী, মোট পোশাক রপ্তানির ৮০ শতাংশ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত সুতা দ্বারা তৈরি হতে হবে। নিট পোশাকের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এই শর্ত পূরণ করলেও ওভেন পোশাকের ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে। এ ক্ষেত্রে এ হার মাত্র ৫০ শতাংশ। বাকি ৫০ শতাংশ আসছে আমদানি উৎস থেকে।
জিএসপি প্লাসের শর্ত অনুযায়ী, একটি দেশের শীর্ষ সাতটি পণ্যের মোট রপ্তানিমূল্য জিএসপির আওতায় রপ্তানি করা পণ্যের মোট মূল্যের ৭৫ শতাংশ হতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৯৫ শতাংশই আসছে জিএসপির আওতায় পণ্য রপ্তানি থেকে। জিএসপি প্লাস পাওয়ার ক্ষেত্রে এ সূচকে ইতিবাচক অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
জিএসপি প্লাসের জন্য আরেকটি শর্তে বলা হচ্ছে, ইইউ থেকে এলডিসির যেসব দেশ জিএসপি সুবিধা পায়, তার ৭ দশমিক ৪ শতাংশের বেশি হিস্যা হলে ওই দেশ জিএসপি প্লাসের জন্য যোগ্য হবে না। ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের হিস্যা বর্তমানে প্রায় ২৬ শতাংশ। ফলে এ ক্ষেত্রে নেতিবাচক অবস্থানে আছে বাংলাদেশ।
রয়েছে আরও সংকট
এ তো গেল জিএসপি প্লাসের শর্ত ও এর বিপরীতে বাংলাদেশের অবস্থানের বিষয়টি। সঙ্গে রয়েছে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশের বেরিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গটি। স্বল্পোন্নত বা এলডিসি দেশের তালিকা থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ বেরিয়ে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশের তালিকায় প্রবেশ করেছে। যদিও এই তালিকা থেকে পুরোপুরি বের হতে বাংলাদেশের ২০২৬ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এই উত্তরণ বেশ কিছু সুবিধাও হারানোর শঙ্কা তৈরি করেছে। বিশেষত এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর জন্য যে শুল্ক ও কোটামুক্ত বাজার সুবিধা, তা আর পাওয়া যাবে না। যদিও ইইউ ২০২৯ সাল পর্যন্ত এই সুবিধা দেওয়ার কথা বলছে। তবে তা তারা দেবে বিদ্যমান জিএসপি সুবিধার আওতায়। ২০২৩ সাল থেকে শুরু হতে যাওয়া জিএসপি প্লাস সুবিধার আওতায় ঢুকতে না পারলে আর মাত্র ৭ বছর এই সুবিধা পাবে বাংলাদেশ।
কথা হলো ইউরোপের বাজারের দিকে দেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি খাতটি কেন এভাবে তাকিয়ে আছে? কারণ, এটিই একমাত্র না হলেও বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প রপ্তানির সবচেয়ে বড় গন্তব্য। তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এবং এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি) সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের মোট রপ্তানি করা পোশাকের ৬২ শতাংশ ও মোট রপ্তানির ৫৬ শতাংশের গন্তব্য ইইউ ও যুক্তরাজ্য। ফলে অঞ্চলটিতে চলমান শুল্ক ও কোটামুক্ত বাণিজ্যিক সুবিধা না থাকলে তা রপ্তানি বাণিজ্য এবং প্রতিযোগী সক্ষমতার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে।
বিকল্প প্রয়োজন
এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে শীর্ষস্থানীয় পোশাক রপ্তানিকারক দেশগুলোর তালিকায় থাকতে হলে বাংলাদেশকে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। আর এ ক্ষেত্রে কোনো একটি নির্দিষ্ট বাজারের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর ওপর গুরুত্বারোপ করছেন তাঁরা। একই সঙ্গে আমদানি উৎসের ক্ষেত্রেও বৈচিত্র্য আনার পরামর্শ দিচ্ছেন খাতটির নেতারা।
এ বিষয়ে ইএবি সভাপতি ও সংসদ সদস্য সালাম মুর্শেদী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘করোনা মহামারির কারণে আমরা অনেক পিছিয়ে গেছি। সামনের দিনগুলোতে আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে এবং বাজার সম্প্রসারণে আমাদের এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। পাশাপাশি বাড়াতে হবে সক্ষমতা। এ ক্ষেত্রে বিকল্প আমদানি উৎস ও রপ্তানি গন্তব্য খোঁজার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘কাঁচামাল আমদানির জন্য আমাদের চীন, ভিয়েতনামের বিকল্প উৎস খুঁজতে হবে। এ ছাড়া রপ্তানি বৃদ্ধিতে বিভিন্ন দেশে থাকা দূতাবাসগুলোকে নতুন বাজার সৃষ্টির কাজে লাগাতে হবে।’
তবে আমদানি উৎসের বিকল্প খোঁজার পাশাপাশি দেশেই তৈরি পোশাক উৎপাদনের জন্য দরকারি কাঁচামাল উৎপাদনের ওপর জোর দিলেন বিজিএমইএর এ সাবেক সভাপতি। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বেশির ভাগ রপ্তানি পণ্য, বিশেষ করে তৈরি পোশাক উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামালের অধিকাংশই আমদানিনির্ভর। রপ্তানি পণ্য উৎপাদনে স্থানীয় কাঁচামাল ব্যবহারের বিষয়টির ওপর আমাদের জোর দিতে হবে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি আয়ের প্রায় ৪০ শতাংশই কাঁচামাল আমদানির ব্যয় মেটাতে চলে যায়। এতে অর্থনীতিতে এই খাতের মূল্য সংযোজনের হার তুলনামূলকভাবে কম হচ্ছে।’
দেশেই কাঁচামাল তৈরির বিষয়টি আবার জিএসপি প্লাস সুবিধা পাওয়ার শর্তের মধ্যে রয়েছে। যে অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচকের কথা এতে রয়েছে, সেখানে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কাঁচামালের বিষয়টি বেশ গুরুত্বের সঙ্গে আছে। ফলে এ ক্ষেত্রে মনোযোগ দিলে সাত বছর পর জিএসপি প্লাস সুবিধা পাওয়া-না পাওয়া নিয়ে যে অনিশ্চয়তা রয়েছে, তাও অনেকটা কেটে যাবে।
একই সঙ্গে ইউরোপের বাজারের পাশাপাশি নতুন বাজার খোঁজার ওপরও গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলছেন ব্যবসায়ী নতারা। পোশাক শিল্প উদ্যোক্তারা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্য ও লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর বাজারের দিকে মনোযোগ দেওয়ার কথা বলছেন। এ ক্ষেত্রে নীতি সহায়তার পাশাপাশি জোরালো কূটনৈতিক তৎপরতার কোনো বিকল্প নেই বলেও মত তাঁদের।
এ বিষয়ে বিজিএমইএর সহসভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম বলেন, ইইউভুক্ত দেশগুলোতে জিএসপি প্লাস সুবিধা প্রাপ্তির প্রচেষ্টার পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্য ও লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ওপর জোর দিতে হবে। তিনি বলেন, বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে অবশ্যই আমাদের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন করতে হবে। কাঁচামাল ও যন্ত্রাংশের জন্য চীনসহ প্রতিযোগী দেশগুলোর ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাতে হবে।
এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে তবে কোন দেশগুলোর দিকে নজর দিতে হবে? শহীদুল্লাহ আজিম বলেন, বাজার সম্প্রসারণ ও নতুন বাজার সৃষ্টির জন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো এবং ব্রাজিল, মেক্সিকো, আর্জেন্টিনা, চিলির মতো লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক পর্যায়ে তৎপরতা জোরদার করতে হবে। এসব দেশে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এসব দেশের সঙ্গে ‘অ্যাপারেল ডিপ্লোমেসি’ চালাতে হবে। এ জন্য বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, সাবেক রাষ্ট্রদূত, যারা বাংলাদেশে ছিলেন, তাঁদের মাধ্যমে দেশের পোশাক খাতের অবস্থান তুলে ধরাও জরুরি। পাশাপাশি জিএসপি প্লাসের নতুন নীতিমালায় যাতে রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে জন্য বাংলাদেশকে এখন থেকেই কূটনৈতিকভাবে ইইউর সঙ্গে দেন-দরবার জোরালো করতে হবে। একই সঙ্গে ইউরোপের বাজারে স্থায়ীভাবে শুল্কমুক্ত সুবিধা পেতে ইইউভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির দিকে যেতে হবে।

পোশাক পণ্যের বৈশ্বিক বাজারের আকার ৭০০ বিলিয়ন (৭০ হাজার কোটি) ডলারের। এর মধ্যে বাংলাদেশের দখলে আছে ৩ হাজার কোটি ডলারের কম। করোনা পরিস্থিতিতে এই রপ্তানি বাণিজ্য বড় ধাক্কা খেয়েছে। আগে চীনের পরই একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান থাকলেও এখন সে অবস্থান ভিয়েতনামের দখলে। এ অবস্থায় পোশাক রপ্তানিতে নিজের অবস্থান ধরে রাখতে হলে বিকল্প আমদানি উৎস ও রপ্তানি গন্তব্য খোঁজার কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
করোনা পরিস্থিতির কারণে সব দেশেরই অর্থনীতি বড় ধাক্কা খেয়েছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। পরিস্থিতি সামলাতে দেশের প্রধান রপ্তানি খাত হিসেবে তৈরি পোশাক শিল্পে প্রণোদনাও দেওয়া হয়েছিল। তারপরও গত বছর নিজের অবস্থান হারায় বাংলাদেশ। করোনায় সবাই যখন পোশাক রপ্তানি নিয়ে ধুঁকেছে, তখন ভিয়েতনাম পোশাক পণ্যের বাজারে নিজেদের হিস্যা বাড়িয়েছে। পণ্য, আমদানি উৎস ও রপ্তানি গন্তব্যে বৈচিত্র্য থাকার কারণেই দেশটি এই খাতে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এর ঠিক বিপরীত অবস্থা বাংলাদেশের।
বাংলাদেশের পণ্য ও সেবা রপ্তানি থেকে আয় এখনো কিছু দেশ ও অঞ্চলে বিশেষ বাণিজ্যিক সুবিধা প্রাপ্তির ওপর নির্ভরশীল। প্রতি বছর দেশের পণ্য ও সেবা রপ্তানির ৬০ শতাংশই হয় ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোতে, যেখানে বাংলাদেশ জিএসপি সুবিধা পায়। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র ২০০৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানিতে কোটা সুবিধা দিত। পরে তা বাতিল হলে অগ্রাধিকার বাণিজ্য সুবিধা (জিএসপি) দিত। কিন্তু বর্তমানে তাও বন্ধ। এ নিয়ে নানা পর্যায়ে আলোচনা হলেও এখনো কোনো ফল আসেনি।
দেশের মোট রপ্তানির বড় অংশই তৈরি পোশাক পণ্য। দীর্ঘদিন এ ক্ষেত্রে দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রাখলেও গত বছর এক ধাপ নেমে যায়। দ্বিতীয় অবস্থানে চলে আসে ভিয়েতনাম। এই অবনমনের কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একই বাজারের ওপর অতিনির্ভরশীলতার কথা। একই সঙ্গে একক দেশ হিসেবে মোট পোশাক রপ্তানির বাজারে বাংলাদেশের হিস্যা কম থাকাকেও কারণ হিসেবে দেখছেন তাঁরা।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালে চীন সর্বোচ্চ ১৪ হাজার ২০০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করে প্রথম অবস্থানে রয়েছে। মোট বৈশ্বিক পোশাক রপ্তানির প্রায় ৩১ দশমিক ৬ শতাংশ ছিল চীনের। ৩ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করে ভিয়েতনামের অবস্থান দ্বিতীয়। আর বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে ২ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের পণ্য। ফলে শীর্ষ অবস্থানের সঙ্গে তফাৎটি বেশ স্পষ্ট। এ অবস্থায় নিজেদের অবস্থান ফিরে পেতে বাংলাদেশকে ইউরোপের বাজারের দিকেই তাকাতে হচ্ছে। এ লক্ষ্যে পোশাক শিল্প মালিকদের পক্ষে এই কয়েক দিন আগেই ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যকে জিএসপি প্লাস সুবিধা দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ইইউয়ের পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তাবিষয়ক হাই রিপ্রেজেনটেটিভ জোসেপ বররেল আশ্বস্তও করেন। কিন্তু সংশয় কাটেনি।
বাংলাদেশ ইইউভুক্ত দেশগুলোতে এভরিথিং বাট নট আর্মস (ইবিএ) স্কিমের আওতায় ২০২৯ সাল পর্যন্ত শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা পাওয়ার কথা। তবে ইইউ ২০২৩ সালের মধ্যে নতুন জিএসপি প্লাস নীতি প্রণয়ন করছে। এটি কার্যকর হলে বাংলাদেশের জন্য ইবিএ সুবিধা অব্যাহত না থাকারও শঙ্কা রয়েছে। এখনো এ নিয়ে সুস্পষ্ট কোনো আশ্বাস পাওয়া যায়নি। যদিও বিশ্বের আটটি দেশ এরই মধ্যে এই সুবিধা পাচ্ছে, যার মধ্যে প্রতিবেশী পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাও রয়েছে।
জিএসপি প্লাস পেতে কী চাই
জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে বাংলাদেশকে বেশ কয়েকটি শর্ত পরিপালন করতে হবে। শর্তের শুরুতেই রয়েছে অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক পূরণের বিষয়টি। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় যে বিষয়টি বাংলাদেশকে ভাবাচ্ছে, তা হলো ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ। উদাহরণ হিসেবে সুতার কথা বলা যায়। শর্ত অনুযায়ী, মোট পোশাক রপ্তানির ৮০ শতাংশ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত সুতা দ্বারা তৈরি হতে হবে। নিট পোশাকের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এই শর্ত পূরণ করলেও ওভেন পোশাকের ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে। এ ক্ষেত্রে এ হার মাত্র ৫০ শতাংশ। বাকি ৫০ শতাংশ আসছে আমদানি উৎস থেকে।
জিএসপি প্লাসের শর্ত অনুযায়ী, একটি দেশের শীর্ষ সাতটি পণ্যের মোট রপ্তানিমূল্য জিএসপির আওতায় রপ্তানি করা পণ্যের মোট মূল্যের ৭৫ শতাংশ হতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৯৫ শতাংশই আসছে জিএসপির আওতায় পণ্য রপ্তানি থেকে। জিএসপি প্লাস পাওয়ার ক্ষেত্রে এ সূচকে ইতিবাচক অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
জিএসপি প্লাসের জন্য আরেকটি শর্তে বলা হচ্ছে, ইইউ থেকে এলডিসির যেসব দেশ জিএসপি সুবিধা পায়, তার ৭ দশমিক ৪ শতাংশের বেশি হিস্যা হলে ওই দেশ জিএসপি প্লাসের জন্য যোগ্য হবে না। ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের হিস্যা বর্তমানে প্রায় ২৬ শতাংশ। ফলে এ ক্ষেত্রে নেতিবাচক অবস্থানে আছে বাংলাদেশ।
রয়েছে আরও সংকট
এ তো গেল জিএসপি প্লাসের শর্ত ও এর বিপরীতে বাংলাদেশের অবস্থানের বিষয়টি। সঙ্গে রয়েছে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশের বেরিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গটি। স্বল্পোন্নত বা এলডিসি দেশের তালিকা থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ বেরিয়ে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশের তালিকায় প্রবেশ করেছে। যদিও এই তালিকা থেকে পুরোপুরি বের হতে বাংলাদেশের ২০২৬ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এই উত্তরণ বেশ কিছু সুবিধাও হারানোর শঙ্কা তৈরি করেছে। বিশেষত এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর জন্য যে শুল্ক ও কোটামুক্ত বাজার সুবিধা, তা আর পাওয়া যাবে না। যদিও ইইউ ২০২৯ সাল পর্যন্ত এই সুবিধা দেওয়ার কথা বলছে। তবে তা তারা দেবে বিদ্যমান জিএসপি সুবিধার আওতায়। ২০২৩ সাল থেকে শুরু হতে যাওয়া জিএসপি প্লাস সুবিধার আওতায় ঢুকতে না পারলে আর মাত্র ৭ বছর এই সুবিধা পাবে বাংলাদেশ।
কথা হলো ইউরোপের বাজারের দিকে দেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি খাতটি কেন এভাবে তাকিয়ে আছে? কারণ, এটিই একমাত্র না হলেও বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প রপ্তানির সবচেয়ে বড় গন্তব্য। তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এবং এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি) সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের মোট রপ্তানি করা পোশাকের ৬২ শতাংশ ও মোট রপ্তানির ৫৬ শতাংশের গন্তব্য ইইউ ও যুক্তরাজ্য। ফলে অঞ্চলটিতে চলমান শুল্ক ও কোটামুক্ত বাণিজ্যিক সুবিধা না থাকলে তা রপ্তানি বাণিজ্য এবং প্রতিযোগী সক্ষমতার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে।
বিকল্প প্রয়োজন
এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে শীর্ষস্থানীয় পোশাক রপ্তানিকারক দেশগুলোর তালিকায় থাকতে হলে বাংলাদেশকে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। আর এ ক্ষেত্রে কোনো একটি নির্দিষ্ট বাজারের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর ওপর গুরুত্বারোপ করছেন তাঁরা। একই সঙ্গে আমদানি উৎসের ক্ষেত্রেও বৈচিত্র্য আনার পরামর্শ দিচ্ছেন খাতটির নেতারা।
এ বিষয়ে ইএবি সভাপতি ও সংসদ সদস্য সালাম মুর্শেদী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘করোনা মহামারির কারণে আমরা অনেক পিছিয়ে গেছি। সামনের দিনগুলোতে আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে এবং বাজার সম্প্রসারণে আমাদের এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। পাশাপাশি বাড়াতে হবে সক্ষমতা। এ ক্ষেত্রে বিকল্প আমদানি উৎস ও রপ্তানি গন্তব্য খোঁজার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘কাঁচামাল আমদানির জন্য আমাদের চীন, ভিয়েতনামের বিকল্প উৎস খুঁজতে হবে। এ ছাড়া রপ্তানি বৃদ্ধিতে বিভিন্ন দেশে থাকা দূতাবাসগুলোকে নতুন বাজার সৃষ্টির কাজে লাগাতে হবে।’
তবে আমদানি উৎসের বিকল্প খোঁজার পাশাপাশি দেশেই তৈরি পোশাক উৎপাদনের জন্য দরকারি কাঁচামাল উৎপাদনের ওপর জোর দিলেন বিজিএমইএর এ সাবেক সভাপতি। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বেশির ভাগ রপ্তানি পণ্য, বিশেষ করে তৈরি পোশাক উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামালের অধিকাংশই আমদানিনির্ভর। রপ্তানি পণ্য উৎপাদনে স্থানীয় কাঁচামাল ব্যবহারের বিষয়টির ওপর আমাদের জোর দিতে হবে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি আয়ের প্রায় ৪০ শতাংশই কাঁচামাল আমদানির ব্যয় মেটাতে চলে যায়। এতে অর্থনীতিতে এই খাতের মূল্য সংযোজনের হার তুলনামূলকভাবে কম হচ্ছে।’
দেশেই কাঁচামাল তৈরির বিষয়টি আবার জিএসপি প্লাস সুবিধা পাওয়ার শর্তের মধ্যে রয়েছে। যে অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচকের কথা এতে রয়েছে, সেখানে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কাঁচামালের বিষয়টি বেশ গুরুত্বের সঙ্গে আছে। ফলে এ ক্ষেত্রে মনোযোগ দিলে সাত বছর পর জিএসপি প্লাস সুবিধা পাওয়া-না পাওয়া নিয়ে যে অনিশ্চয়তা রয়েছে, তাও অনেকটা কেটে যাবে।
একই সঙ্গে ইউরোপের বাজারের পাশাপাশি নতুন বাজার খোঁজার ওপরও গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলছেন ব্যবসায়ী নতারা। পোশাক শিল্প উদ্যোক্তারা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্য ও লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর বাজারের দিকে মনোযোগ দেওয়ার কথা বলছেন। এ ক্ষেত্রে নীতি সহায়তার পাশাপাশি জোরালো কূটনৈতিক তৎপরতার কোনো বিকল্প নেই বলেও মত তাঁদের।
এ বিষয়ে বিজিএমইএর সহসভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম বলেন, ইইউভুক্ত দেশগুলোতে জিএসপি প্লাস সুবিধা প্রাপ্তির প্রচেষ্টার পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্য ও লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ওপর জোর দিতে হবে। তিনি বলেন, বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে অবশ্যই আমাদের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন করতে হবে। কাঁচামাল ও যন্ত্রাংশের জন্য চীনসহ প্রতিযোগী দেশগুলোর ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাতে হবে।
এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে তবে কোন দেশগুলোর দিকে নজর দিতে হবে? শহীদুল্লাহ আজিম বলেন, বাজার সম্প্রসারণ ও নতুন বাজার সৃষ্টির জন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো এবং ব্রাজিল, মেক্সিকো, আর্জেন্টিনা, চিলির মতো লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক পর্যায়ে তৎপরতা জোরদার করতে হবে। এসব দেশে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এসব দেশের সঙ্গে ‘অ্যাপারেল ডিপ্লোমেসি’ চালাতে হবে। এ জন্য বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, সাবেক রাষ্ট্রদূত, যারা বাংলাদেশে ছিলেন, তাঁদের মাধ্যমে দেশের পোশাক খাতের অবস্থান তুলে ধরাও জরুরি। পাশাপাশি জিএসপি প্লাসের নতুন নীতিমালায় যাতে রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে জন্য বাংলাদেশকে এখন থেকেই কূটনৈতিকভাবে ইইউর সঙ্গে দেন-দরবার জোরালো করতে হবে। একই সঙ্গে ইউরোপের বাজারে স্থায়ীভাবে শুল্কমুক্ত সুবিধা পেতে ইইউভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির দিকে যেতে হবে।

ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৬ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১১ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১১ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৭ ঘণ্টা আগেরোকন উদ্দীন, ঢাকা

ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজারে বাংলাদেশের অংশ এখনো মাত্র ১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ সাড়ে ৫ শতাংশ।
এই অবস্থান আরও স্পষ্ট হয় ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায়। ইউরোপের তৈরি পোশাক আমদানির প্রায় অর্ধেকই আসে বাংলাদেশ থেকে, আর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও শীর্ষ সরবরাহকারীর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। তবু জাপানের মতো স্থিতিশীল ও উচ্চমূল্যের বাজারে বাংলাদেশ এখনো ব্যবহৃত সুযোগের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে। পরিসংখ্যান তা-ই বলে—এখানে এখনো বড় জায়গা খালি রয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যও সেই সম্ভাবনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়। ২০২৪ অর্থবছরে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার; যার মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ জাপান এখন বাংলাদেশের ১২তম রপ্তানি গন্তব্য।
তবে চলতি অর্থবছরের গত কয়েক মাসের প্রবণতা বাজারের পরিবর্তন আরও স্পষ্ট করে। ইপিবির সর্বশেষ তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে জাপানে রপ্তানি হয়েছে ২২ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ডলার, যেখানে গত বছর একই সময়ে ছিল ১৯ কোটি ৩৯ লাখ ২০ হাজার ডলার। প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়া এ সময়ে দ্বিতীয় বৃহৎ অপ্রচলিত বাজার হলেও সেখানে রপ্তানি কমেছে ৬ শতাংশ। ফলে জাপান এখন অপ্রচলিত রপ্তানি বাজারে সবচেয়ে দ্রুত বাড়তে থাকা গন্তব্য হিসেবে সামনে আসছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান হাসান আরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে এখন সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ও স্থিতিশীল একটি বাজার হলো জাপান। সরকারের পর্যালোচনায়ও বিষয়টি রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে দ্রুত কাজে লাগাতে আগামী জানুয়ারির মধ্যে আমরা দেশটির সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি, যা সম্পন্ন হলে রপ্তানি আশানুরূপ বাড়ানো সম্ভব হবে।’
জাপানের এই উত্থান কাকতাল নয়। রপ্তানিকারকেরা বলছেন, ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি, সরবরাহ-ঝুঁকি ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়ায় আমদানিকারকেরা নতুন বাজারের দিকে ঝুঁকছেন। আর জাপান এমন একটি বাজার, যেখানে মূল্য-সুবিধার পাশাপাশি গুণগত মান, কঠোর কমপ্লায়েন্স এবং দ্রুত বদলে যাওয়া ফ্যাশন-চাহিদার প্রতি গুরুত্ব বেশি। এসব মানদণ্ড পূরণ করতে পারলে বাজারটি দীর্ঘমেয়াদি ও নিশ্চিত প্রবৃদ্ধির সুযোগ দেয়।
কিন্তু এখানেই চ্যালেঞ্জ স্পষ্ট। জাপানি ক্রেতারা ছোট পরিমাণের অর্ডার দেন, মূল্য নিয়ে আগাম ছাড় পাওয়া সহজ নয়, আর প্রতিটি পণ্যের ক্ষেত্রে শতভাগ কমপ্লায়েন্স অপরিহার্য। এ বিষয়ে দেশের অন্যতম প্রস্তুতকারক টিম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহিল নকিব জানান, ‘অর্ডারের কঠোর ইন্সপেকশন বাংলাদেশে জাপানের অর্ডার ধরার সবচেয়ে বড় বাধা। মান নিশ্চিত না হলে তারা একটিও পণ্য নেয় না।’
এই কঠোরতা একদিকে বাধা, আবার অন্যদিকে সুবিধা। কারণ যে প্রতিষ্ঠান একবার জাপানের মান ধরে রাখতে পারে, তাদের জন্য বাজারটি স্থিতিশীল থাকে। জাপানি ব্র্যান্ডগুলো সরবরাহকারী খুব সহজে বদলায় না, ফলে দীর্ঘ মেয়াদে স্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হয়।
বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল মনে করেন, বৈশ্বিক উত্তেজনার এই সময়ে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ও উৎপাদনসক্ষমতা বাড়াতে পারলে অপ্রচলিত বাজারগুলোই ভবিষ্যতের বড় নিরাপত্তা হয়ে উঠবে।

ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজারে বাংলাদেশের অংশ এখনো মাত্র ১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ সাড়ে ৫ শতাংশ।
এই অবস্থান আরও স্পষ্ট হয় ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায়। ইউরোপের তৈরি পোশাক আমদানির প্রায় অর্ধেকই আসে বাংলাদেশ থেকে, আর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও শীর্ষ সরবরাহকারীর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। তবু জাপানের মতো স্থিতিশীল ও উচ্চমূল্যের বাজারে বাংলাদেশ এখনো ব্যবহৃত সুযোগের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে। পরিসংখ্যান তা-ই বলে—এখানে এখনো বড় জায়গা খালি রয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যও সেই সম্ভাবনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়। ২০২৪ অর্থবছরে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার; যার মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ জাপান এখন বাংলাদেশের ১২তম রপ্তানি গন্তব্য।
তবে চলতি অর্থবছরের গত কয়েক মাসের প্রবণতা বাজারের পরিবর্তন আরও স্পষ্ট করে। ইপিবির সর্বশেষ তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে জাপানে রপ্তানি হয়েছে ২২ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ডলার, যেখানে গত বছর একই সময়ে ছিল ১৯ কোটি ৩৯ লাখ ২০ হাজার ডলার। প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়া এ সময়ে দ্বিতীয় বৃহৎ অপ্রচলিত বাজার হলেও সেখানে রপ্তানি কমেছে ৬ শতাংশ। ফলে জাপান এখন অপ্রচলিত রপ্তানি বাজারে সবচেয়ে দ্রুত বাড়তে থাকা গন্তব্য হিসেবে সামনে আসছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান হাসান আরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে এখন সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ও স্থিতিশীল একটি বাজার হলো জাপান। সরকারের পর্যালোচনায়ও বিষয়টি রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে দ্রুত কাজে লাগাতে আগামী জানুয়ারির মধ্যে আমরা দেশটির সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি, যা সম্পন্ন হলে রপ্তানি আশানুরূপ বাড়ানো সম্ভব হবে।’
জাপানের এই উত্থান কাকতাল নয়। রপ্তানিকারকেরা বলছেন, ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি, সরবরাহ-ঝুঁকি ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়ায় আমদানিকারকেরা নতুন বাজারের দিকে ঝুঁকছেন। আর জাপান এমন একটি বাজার, যেখানে মূল্য-সুবিধার পাশাপাশি গুণগত মান, কঠোর কমপ্লায়েন্স এবং দ্রুত বদলে যাওয়া ফ্যাশন-চাহিদার প্রতি গুরুত্ব বেশি। এসব মানদণ্ড পূরণ করতে পারলে বাজারটি দীর্ঘমেয়াদি ও নিশ্চিত প্রবৃদ্ধির সুযোগ দেয়।
কিন্তু এখানেই চ্যালেঞ্জ স্পষ্ট। জাপানি ক্রেতারা ছোট পরিমাণের অর্ডার দেন, মূল্য নিয়ে আগাম ছাড় পাওয়া সহজ নয়, আর প্রতিটি পণ্যের ক্ষেত্রে শতভাগ কমপ্লায়েন্স অপরিহার্য। এ বিষয়ে দেশের অন্যতম প্রস্তুতকারক টিম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহিল নকিব জানান, ‘অর্ডারের কঠোর ইন্সপেকশন বাংলাদেশে জাপানের অর্ডার ধরার সবচেয়ে বড় বাধা। মান নিশ্চিত না হলে তারা একটিও পণ্য নেয় না।’
এই কঠোরতা একদিকে বাধা, আবার অন্যদিকে সুবিধা। কারণ যে প্রতিষ্ঠান একবার জাপানের মান ধরে রাখতে পারে, তাদের জন্য বাজারটি স্থিতিশীল থাকে। জাপানি ব্র্যান্ডগুলো সরবরাহকারী খুব সহজে বদলায় না, ফলে দীর্ঘ মেয়াদে স্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হয়।
বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল মনে করেন, বৈশ্বিক উত্তেজনার এই সময়ে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ও উৎপাদনসক্ষমতা বাড়াতে পারলে অপ্রচলিত বাজারগুলোই ভবিষ্যতের বড় নিরাপত্তা হয়ে উঠবে।

কথা হলো ইউরোপের বাজারের দিকে দেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি খাতটি কেন এভাবে তাকিয়ে আছে? কারণ, এটিই একমাত্র না হলেও বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প রপ্তানির সবচেয়ে বড় গন্তব্য। একইভাবে রপ্তানি ক্ষেত্রে প্রতিযোগী দুই দেশ চীন ও ভিয়েতনামই রয়েছে প্রধান আমদানি উৎস হিসেবে। দুই ক্ষেত্রেই এই নির্ভরতাকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ
২৪ অক্টোবর ২০২১
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১১ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১১ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আট দিনব্যাপী ১২তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় ১৫ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করেছেন উদ্যোক্তারা। পণ্য বিক্রির পাশাপাশি ১৬ কোটি টাকার পণ্যের অর্ডার পেয়েছেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। আজ রোববার আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়েমা শাহীন সুলতানা, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত ইয়াসমিন ও ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রুমী এ আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এর আগে ১১টি জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় প্রায় ৩ হাজার উদ্যোক্তা তাঁদের পণ্য বিক্রি করেছেন। ১১টি পণ্য মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের ৫৭ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি এবং প্রায় ৯৩ কোটি টাকার অর্ডার পেয়েছেন।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
শতভাগ দেশি পণ্যের সবচেয়ে বড় এই আয়োজন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। ৭ ডিসেম্বর মেলার উদ্বোধন করেন শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করেছে প্রায় সাড়ে তিন শ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান, যাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি ৭৪টি প্রতিষ্ঠান।
এ ছাড়া হস্ত ও কারুশিল্পের ৫৪টি, পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্য খাতের ৪০টি; পাটজাত পণ্যের ৩৫টি; কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ২৮টি; শতরঞ্জি, বাঁশ, বেত, হোগলা, সুপারিখোল ও কাঠের ১৫টি; খাদ্যপণ্যের ১৪টি; লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের ১৩টি; জুয়েলারি শিল্পের ৯টি; প্রসাধন খাতের সাতটি; তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা খাতের পাঁচটি; হারবাল–ভেষজশিল্পের পাঁচটি; প্লাস্টিক পণ্যের পাঁচটি; ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস খাতের তিনটি, ফার্নিচার খাতের তিনটি এবং অন্যান্য খাতের ১১টি স্টল।
মেলায় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সেবা প্রদানকারী শিল্প মন্ত্রণালয়ের আটটি দপ্তর-সংস্থাসহ সরকারের প্রায় ১৫টি সংস্থা, প্রায় ৩০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
মেলায় এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ অর্থায়ন, পণ্য রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও পণ্যের হালাল সনদ প্রাপ্তি, পেটেন্ট, শিল্প নকশা, ট্রেড মার্ক ও জি আই স্বীকৃতি, স্কিলস ইকোসিস্টেম বিষয়ে ছয়টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

আট দিনব্যাপী ১২তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় ১৫ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করেছেন উদ্যোক্তারা। পণ্য বিক্রির পাশাপাশি ১৬ কোটি টাকার পণ্যের অর্ডার পেয়েছেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। আজ রোববার আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়েমা শাহীন সুলতানা, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত ইয়াসমিন ও ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রুমী এ আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এর আগে ১১টি জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় প্রায় ৩ হাজার উদ্যোক্তা তাঁদের পণ্য বিক্রি করেছেন। ১১টি পণ্য মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের ৫৭ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি এবং প্রায় ৯৩ কোটি টাকার অর্ডার পেয়েছেন।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
শতভাগ দেশি পণ্যের সবচেয়ে বড় এই আয়োজন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। ৭ ডিসেম্বর মেলার উদ্বোধন করেন শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করেছে প্রায় সাড়ে তিন শ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান, যাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি ৭৪টি প্রতিষ্ঠান।
এ ছাড়া হস্ত ও কারুশিল্পের ৫৪টি, পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্য খাতের ৪০টি; পাটজাত পণ্যের ৩৫টি; কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ২৮টি; শতরঞ্জি, বাঁশ, বেত, হোগলা, সুপারিখোল ও কাঠের ১৫টি; খাদ্যপণ্যের ১৪টি; লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের ১৩টি; জুয়েলারি শিল্পের ৯টি; প্রসাধন খাতের সাতটি; তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা খাতের পাঁচটি; হারবাল–ভেষজশিল্পের পাঁচটি; প্লাস্টিক পণ্যের পাঁচটি; ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস খাতের তিনটি, ফার্নিচার খাতের তিনটি এবং অন্যান্য খাতের ১১টি স্টল।
মেলায় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সেবা প্রদানকারী শিল্প মন্ত্রণালয়ের আটটি দপ্তর-সংস্থাসহ সরকারের প্রায় ১৫টি সংস্থা, প্রায় ৩০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
মেলায় এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ অর্থায়ন, পণ্য রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও পণ্যের হালাল সনদ প্রাপ্তি, পেটেন্ট, শিল্প নকশা, ট্রেড মার্ক ও জি আই স্বীকৃতি, স্কিলস ইকোসিস্টেম বিষয়ে ছয়টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

কথা হলো ইউরোপের বাজারের দিকে দেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি খাতটি কেন এভাবে তাকিয়ে আছে? কারণ, এটিই একমাত্র না হলেও বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প রপ্তানির সবচেয়ে বড় গন্তব্য। একইভাবে রপ্তানি ক্ষেত্রে প্রতিযোগী দুই দেশ চীন ও ভিয়েতনামই রয়েছে প্রধান আমদানি উৎস হিসেবে। দুই ক্ষেত্রেই এই নির্ভরতাকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ
২৪ অক্টোবর ২০২১
ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৬ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১১ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন রমজান মাস সামনে রেখে তাজা ফলের ওপর শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। খেজুরের মতোই এবার আপেল, কমলা, আঙুর, মেস্তারিন, নাশপাতি ইত্যাদি তাজা ফলকে ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করে অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।
সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেওয়া এক চিঠিতে এই সুপারিশ করা হয়। রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপণ্য বিবেচনায় এমন সুপারিশ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আনার আমদানিতে মোট শুল্ক-কর রয়েছে ১২৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আপেল, মাল্টা, আনার ইত্যাদি ফলের স্থানীয় উৎপাদন নেই; তাই এই উচ্চহারে শুল্ক-কর রাখার প্রয়োজনীয়তা সীমিত।
অন্যদিকে উচ্চহারে শুল্ক-কর আরোপের ফলে বৈধ পথে আমদানি কমে তা অবৈধ পথে আমদানিকে উৎসাহিত করতে পারে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে অতিমাত্রায় বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহারের প্রবণতাও বাড়তে পারে। উচ্চ শুল্ক-করের ফলে তাজা ফলের আমদানি কমার ধারা অব্যাহত থাকলে শুধু ভোক্তাসাধারণের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না; ভবিষ্যতে রাজস্ব আহরণও কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
তাজা ফলকে ‘বিলাস পণ্য’ হিসেবে বিবেচনা করে এর ওপর ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে নিত্যপণ্য আইন, ১৯৫৬ অনুযায়ী খাদ্যপণ্য হিসেবে তাজা ফল ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ বিধায় এর ওপর আরোপিত অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার বা যৌক্তিক করা যেতে পারে।

আসন্ন রমজান মাস সামনে রেখে তাজা ফলের ওপর শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। খেজুরের মতোই এবার আপেল, কমলা, আঙুর, মেস্তারিন, নাশপাতি ইত্যাদি তাজা ফলকে ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করে অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।
সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেওয়া এক চিঠিতে এই সুপারিশ করা হয়। রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপণ্য বিবেচনায় এমন সুপারিশ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আনার আমদানিতে মোট শুল্ক-কর রয়েছে ১২৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আপেল, মাল্টা, আনার ইত্যাদি ফলের স্থানীয় উৎপাদন নেই; তাই এই উচ্চহারে শুল্ক-কর রাখার প্রয়োজনীয়তা সীমিত।
অন্যদিকে উচ্চহারে শুল্ক-কর আরোপের ফলে বৈধ পথে আমদানি কমে তা অবৈধ পথে আমদানিকে উৎসাহিত করতে পারে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে অতিমাত্রায় বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহারের প্রবণতাও বাড়তে পারে। উচ্চ শুল্ক-করের ফলে তাজা ফলের আমদানি কমার ধারা অব্যাহত থাকলে শুধু ভোক্তাসাধারণের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না; ভবিষ্যতে রাজস্ব আহরণও কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
তাজা ফলকে ‘বিলাস পণ্য’ হিসেবে বিবেচনা করে এর ওপর ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে নিত্যপণ্য আইন, ১৯৫৬ অনুযায়ী খাদ্যপণ্য হিসেবে তাজা ফল ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ বিধায় এর ওপর আরোপিত অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার বা যৌক্তিক করা যেতে পারে।

কথা হলো ইউরোপের বাজারের দিকে দেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি খাতটি কেন এভাবে তাকিয়ে আছে? কারণ, এটিই একমাত্র না হলেও বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প রপ্তানির সবচেয়ে বড় গন্তব্য। একইভাবে রপ্তানি ক্ষেত্রে প্রতিযোগী দুই দেশ চীন ও ভিয়েতনামই রয়েছে প্রধান আমদানি উৎস হিসেবে। দুই ক্ষেত্রেই এই নির্ভরতাকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ
২৪ অক্টোবর ২০২১
ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৬ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১১ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘দেশে শুধু ভোটাররাই নন, রাজনীতিবিদেরাও এখন বিপন্নতার মধ্যে রয়েছেন।’

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বিপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা উঠে আসে। তবে এর সঙ্গে বড় একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সিপিডির এই ফেলো বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সহিংসতার পর এখন নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত দেড় মাসে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’ প্ল্যাটফর্ম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্-নির্বাচনী সংলাপ আয়োজন করেছে। এসব সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে একটি নাগরিক ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না, এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন।’
সংস্কার এজেন্ডা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্তমানে সংস্কার-সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি এলিট গোষ্ঠী প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে দুর্বল করেছে, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতাহীন অর্থনীতি।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম ও একটি অলিগার্কিক ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমান উদ্যোগটি আলাদা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কমিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে যে গতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সিপিডি ফেলো বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও যোগাযোগ সব সময় পর্যাপ্ত ছিল না। আর শুধু পরিকল্পনার মাধ্যমে সংস্কার সফল করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ।’
তাঁর মতে, সংস্কার শুধু পরিকল্পনা বা উদ্দীপনার বিষয় নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নাগরিকদের সচেতনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘দেশে শুধু ভোটাররাই নন, রাজনীতিবিদেরাও এখন বিপন্নতার মধ্যে রয়েছেন।’

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বিপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা উঠে আসে। তবে এর সঙ্গে বড় একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সিপিডির এই ফেলো বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সহিংসতার পর এখন নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত দেড় মাসে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’ প্ল্যাটফর্ম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্-নির্বাচনী সংলাপ আয়োজন করেছে। এসব সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে একটি নাগরিক ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না, এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন।’
সংস্কার এজেন্ডা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্তমানে সংস্কার-সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি এলিট গোষ্ঠী প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে দুর্বল করেছে, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতাহীন অর্থনীতি।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম ও একটি অলিগার্কিক ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমান উদ্যোগটি আলাদা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কমিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে যে গতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সিপিডি ফেলো বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও যোগাযোগ সব সময় পর্যাপ্ত ছিল না। আর শুধু পরিকল্পনার মাধ্যমে সংস্কার সফল করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ।’
তাঁর মতে, সংস্কার শুধু পরিকল্পনা বা উদ্দীপনার বিষয় নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নাগরিকদের সচেতনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

কথা হলো ইউরোপের বাজারের দিকে দেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি খাতটি কেন এভাবে তাকিয়ে আছে? কারণ, এটিই একমাত্র না হলেও বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প রপ্তানির সবচেয়ে বড় গন্তব্য। একইভাবে রপ্তানি ক্ষেত্রে প্রতিযোগী দুই দেশ চীন ও ভিয়েতনামই রয়েছে প্রধান আমদানি উৎস হিসেবে। দুই ক্ষেত্রেই এই নির্ভরতাকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ
২৪ অক্টোবর ২০২১
ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
৬ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১১ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা তাজা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। গত কয়েক বছরে ডলারের মূল্য, শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে আপেল, কমলা, মেস্তারিন, আঙুর ও নাশপাতি আমদানিতে মোট শুল্ক রয়েছে ১২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
১১ ঘণ্টা আগে