জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা ফেরানোর কথা বলে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূতকরণের উদ্যোগ নেয়। পাঁচটি দুর্বল ব্যাংককে ভালো পাঁচটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করতে একের পর এক ঘোষণাও আসে। কিন্তু ডুবতে বসা পদ্মা ব্যাংক ছাড়া বাকি চার দুর্বল ব্যাংকই একীভূতকরণের বিপক্ষে। তাদের মধ্যে দুটি ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে। একটি ব্যাংকের কর্মকর্তারা নেমেছেন রাজপথে। আরেকটি ব্যাংকের কর্মকর্তারাও ক্ষুব্ধ।
এদিকে একীভূতকরণের ঘোষণা আসার পর গত দেড় মাসে আমানত তুলে নেওয়ার হিড়িকে অস্বাভাবিকভাবে পুঁজি কমেছে বেসিক, পদ্মা, এক্সিম, বিডিবিএল, পূবালী, এবি ব্যাংক, জনতাসহ অন্তত ২৪টি ব্যাংকের। সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা বাড়তি আমানত তুলে নিয়েছেন গ্রাহকেরা।
এ বিষয়ে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর আজকের পত্রিকাকে বলেন ‘বাংলাদেশ ব্যাংক একীভূত করা নিয়ে তড়িঘড়ি করছে। এতে আমানতকারী, স্টেকহোল্ডার, ব্যাংকার ও পরিচালকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। সঠিকভাবে একীভূত না হলে ব্যাংক খাতের ওপর আস্থা কমে যাবে, গ্রাহক টাকা তুলে নেবেন। বিপদে পড়বে পুরো ব্যাংক খাত।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, ‘জোর করে ব্যাংক একীভূতকরণের কারণে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। এটা মোটেও ভালো কাজ হচ্ছে না।’
ঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুসারে, এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে পদ্মা ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংক, সিটি ব্যাংকের সঙ্গে বেসিক ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) এবং সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (বিডিবিএল) একীভূত হওয়ার কথা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একীভূতকরণ নীতিমালা অনুযায়ী, একীভূত হওয়া দুর্বল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) চাকরি হারাবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, বেসিক, ন্যাশনাল ও বিডিবিএল ব্যাংকের কর্তৃপক্ষের কোনো সম্মতি ছাড়াই একীভূতকরণের ঘোষণা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে সব দুর্বল ব্যাংকেই গ্রাহকেরা আমানত তুলে নিতে তোড়জোড় শুরু করেছেন। ব্যাংকাররা চাকরি নিয়ে উদ্বিগ্নে পড়েছেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ ব্যাংকও নতুন করে একীভূত করার ঘোষণা থেকে পিছু হটেছে। কিন্তু তাতে গ্রাহক ও ব্যাংকারদের মধ্যে আস্থা ফেরেনি।
এ বিষয়ে ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ন্যাশনাল ব্যাংক একটি সুসংগঠিত ব্যাংক। একটি বিশেষ পরিবারের আধিপত্যের কারণে কিছু শাখার বড় ঋণ আদায় হচ্ছিল না। গ্রাহকের টাকার নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার পরে দায়িত্ব নিয়েছি। এখন তো ওই পরিবারে কর্তৃত্ব নেই। ব্যাংকের প্রায় ৩০০ শাখা-উপশাখার মধ্যে হাতে গোনা ১১-১২টি শাখা ছাড়া সবগুলো মুনাফায়। খেলাপি আদায়ও বেড়েছে। এই পর্যায়ে একীভূত না হয়ে সময় নিয়ে একীভূত করা যেতে পারে।’
বেসিক ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবু মো. মোফাজ্জাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হওয়ার খবরে ইতিমধ্যে ২ হাজার কোটি টাকার বেশি আমানত তুলে নিয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। ব্যাংকের কর্মকর্তারাও আতঙ্কিত। তাঁরা কীভাবে বেসরকারি ব্যাংকে একীভূত হবেন? এ জন্য ব্যাংকের পর্ষদ একীভূত না হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের সম্মতি ছাড়াই একীভূতের ঘোষণা দিয়েছে। এ জন্য প্রতিবাদপত্র দিয়েছি।’
এদিকে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূতকরণের সিদ্ধান্তের পরে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাজধানী ও রাজশাহীতে বিক্ষোভ করেছেন। এ ছাড়া বিডিবিএল ব্যাংকের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘সোনালী ব্যাংকের বিশাল অঙ্কের খেলাপির দায় আমরা কেন নেব? তাদের রয়েছে হল-মার্কসহ নানা আলোচিত কেলেঙ্কারি। এসব বাদে পদোন্নতি এবং পদায়ন নিয়ে ঝামেলা হবে। তারা সুযোগ নেবে। অবিচার হবে।’
এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে পদ্মা ব্যাংকের একীভূতকরণের ঘোষণা আসে সর্বপ্রথম, গত ১৪ মার্চ। তার পরের পরিস্থিতি সম্পর্কে বেসরকারি ব্যাংক উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) চেয়ারম্যান এবং এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ‘ব্যাংক একীভূত নিয়ে শুরুতে উদ্যোক্তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছিল। সেটা কিছুটা কেটেছে।
তবে ব্যাংকারদের চাকরি হারানো ও আমানতকারীদের সঞ্চয় খোয়া নিয়ে শঙ্কা চলছে। আমাদের আশ্বাসের পরও আতঙ্কে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিচ্ছেন অনেকে। এটা তো আমার ক্ষেত্রেও হতো। পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যাংকগুলো চেষ্টা করছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জোরালো ভূমিকা রাখা উচিত।’
এসব বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, ব্যাংক একীভূতকরণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। কোনো ব্যাংক স্বেচ্ছায় না হলে জোর করে একীভূত করার এখতিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রয়েছে। তবে সেটা এখন করা হচ্ছে না।
ন্যাশনালসহ ১০টি ব্যাংক স্বেচ্ছায় একীভূত হতে আগ্রহ দেখিয়েছে। এর মধ্যে কোনো ব্যাংক ভালো হলে একীভূত হবে না। এমনকি যদি সব ব্যাংক ভালো হয়, তবে কোনো ব্যাংকই একীভূত না-ও হতে পারে।
সার্বিক বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যাংক একীভূতকরণ একটি জটিল বিষয়। এটার মানে এক ব্যাংককে আরেক ব্যাংক কিনে নেওয়া নয়। দুই ব্যাংকের সম্মতিতে একীভূত (মার্জার) হতে হয়। এর জন্য বিশদ নিরীক্ষা দরকার। সময় দিতে হবে। স্বাধীনতা দিতে হবে। জোরপূর্বক চাপিয়ে দিলে একীভূত হবে না। সেটা হবে কেনা বা দখল। কেন্দ্রীয় ব্যাংককে একীভূতের সঠিক নীতিমালা করতে হবে। তা না করলে পুরো খাতে অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে। এতে গ্রাহক আতঙ্কিত হবেন। ব্যাংকারদের চাকরির নিশ্চয়তা দিতে হবে। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক সেটা করছে না।’

ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা ফেরানোর কথা বলে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূতকরণের উদ্যোগ নেয়। পাঁচটি দুর্বল ব্যাংককে ভালো পাঁচটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করতে একের পর এক ঘোষণাও আসে। কিন্তু ডুবতে বসা পদ্মা ব্যাংক ছাড়া বাকি চার দুর্বল ব্যাংকই একীভূতকরণের বিপক্ষে। তাদের মধ্যে দুটি ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে। একটি ব্যাংকের কর্মকর্তারা নেমেছেন রাজপথে। আরেকটি ব্যাংকের কর্মকর্তারাও ক্ষুব্ধ।
এদিকে একীভূতকরণের ঘোষণা আসার পর গত দেড় মাসে আমানত তুলে নেওয়ার হিড়িকে অস্বাভাবিকভাবে পুঁজি কমেছে বেসিক, পদ্মা, এক্সিম, বিডিবিএল, পূবালী, এবি ব্যাংক, জনতাসহ অন্তত ২৪টি ব্যাংকের। সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা বাড়তি আমানত তুলে নিয়েছেন গ্রাহকেরা।
এ বিষয়ে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর আজকের পত্রিকাকে বলেন ‘বাংলাদেশ ব্যাংক একীভূত করা নিয়ে তড়িঘড়ি করছে। এতে আমানতকারী, স্টেকহোল্ডার, ব্যাংকার ও পরিচালকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। সঠিকভাবে একীভূত না হলে ব্যাংক খাতের ওপর আস্থা কমে যাবে, গ্রাহক টাকা তুলে নেবেন। বিপদে পড়বে পুরো ব্যাংক খাত।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, ‘জোর করে ব্যাংক একীভূতকরণের কারণে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। এটা মোটেও ভালো কাজ হচ্ছে না।’
ঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুসারে, এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে পদ্মা ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংক, সিটি ব্যাংকের সঙ্গে বেসিক ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) এবং সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (বিডিবিএল) একীভূত হওয়ার কথা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একীভূতকরণ নীতিমালা অনুযায়ী, একীভূত হওয়া দুর্বল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) চাকরি হারাবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, বেসিক, ন্যাশনাল ও বিডিবিএল ব্যাংকের কর্তৃপক্ষের কোনো সম্মতি ছাড়াই একীভূতকরণের ঘোষণা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে সব দুর্বল ব্যাংকেই গ্রাহকেরা আমানত তুলে নিতে তোড়জোড় শুরু করেছেন। ব্যাংকাররা চাকরি নিয়ে উদ্বিগ্নে পড়েছেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ ব্যাংকও নতুন করে একীভূত করার ঘোষণা থেকে পিছু হটেছে। কিন্তু তাতে গ্রাহক ও ব্যাংকারদের মধ্যে আস্থা ফেরেনি।
এ বিষয়ে ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ন্যাশনাল ব্যাংক একটি সুসংগঠিত ব্যাংক। একটি বিশেষ পরিবারের আধিপত্যের কারণে কিছু শাখার বড় ঋণ আদায় হচ্ছিল না। গ্রাহকের টাকার নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার পরে দায়িত্ব নিয়েছি। এখন তো ওই পরিবারে কর্তৃত্ব নেই। ব্যাংকের প্রায় ৩০০ শাখা-উপশাখার মধ্যে হাতে গোনা ১১-১২টি শাখা ছাড়া সবগুলো মুনাফায়। খেলাপি আদায়ও বেড়েছে। এই পর্যায়ে একীভূত না হয়ে সময় নিয়ে একীভূত করা যেতে পারে।’
বেসিক ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবু মো. মোফাজ্জাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হওয়ার খবরে ইতিমধ্যে ২ হাজার কোটি টাকার বেশি আমানত তুলে নিয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। ব্যাংকের কর্মকর্তারাও আতঙ্কিত। তাঁরা কীভাবে বেসরকারি ব্যাংকে একীভূত হবেন? এ জন্য ব্যাংকের পর্ষদ একীভূত না হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের সম্মতি ছাড়াই একীভূতের ঘোষণা দিয়েছে। এ জন্য প্রতিবাদপত্র দিয়েছি।’
এদিকে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূতকরণের সিদ্ধান্তের পরে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাজধানী ও রাজশাহীতে বিক্ষোভ করেছেন। এ ছাড়া বিডিবিএল ব্যাংকের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘সোনালী ব্যাংকের বিশাল অঙ্কের খেলাপির দায় আমরা কেন নেব? তাদের রয়েছে হল-মার্কসহ নানা আলোচিত কেলেঙ্কারি। এসব বাদে পদোন্নতি এবং পদায়ন নিয়ে ঝামেলা হবে। তারা সুযোগ নেবে। অবিচার হবে।’
এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে পদ্মা ব্যাংকের একীভূতকরণের ঘোষণা আসে সর্বপ্রথম, গত ১৪ মার্চ। তার পরের পরিস্থিতি সম্পর্কে বেসরকারি ব্যাংক উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) চেয়ারম্যান এবং এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ‘ব্যাংক একীভূত নিয়ে শুরুতে উদ্যোক্তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছিল। সেটা কিছুটা কেটেছে।
তবে ব্যাংকারদের চাকরি হারানো ও আমানতকারীদের সঞ্চয় খোয়া নিয়ে শঙ্কা চলছে। আমাদের আশ্বাসের পরও আতঙ্কে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিচ্ছেন অনেকে। এটা তো আমার ক্ষেত্রেও হতো। পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যাংকগুলো চেষ্টা করছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জোরালো ভূমিকা রাখা উচিত।’
এসব বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, ব্যাংক একীভূতকরণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। কোনো ব্যাংক স্বেচ্ছায় না হলে জোর করে একীভূত করার এখতিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রয়েছে। তবে সেটা এখন করা হচ্ছে না।
ন্যাশনালসহ ১০টি ব্যাংক স্বেচ্ছায় একীভূত হতে আগ্রহ দেখিয়েছে। এর মধ্যে কোনো ব্যাংক ভালো হলে একীভূত হবে না। এমনকি যদি সব ব্যাংক ভালো হয়, তবে কোনো ব্যাংকই একীভূত না-ও হতে পারে।
সার্বিক বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যাংক একীভূতকরণ একটি জটিল বিষয়। এটার মানে এক ব্যাংককে আরেক ব্যাংক কিনে নেওয়া নয়। দুই ব্যাংকের সম্মতিতে একীভূত (মার্জার) হতে হয়। এর জন্য বিশদ নিরীক্ষা দরকার। সময় দিতে হবে। স্বাধীনতা দিতে হবে। জোরপূর্বক চাপিয়ে দিলে একীভূত হবে না। সেটা হবে কেনা বা দখল। কেন্দ্রীয় ব্যাংককে একীভূতের সঠিক নীতিমালা করতে হবে। তা না করলে পুরো খাতে অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে। এতে গ্রাহক আতঙ্কিত হবেন। ব্যাংকারদের চাকরির নিশ্চয়তা দিতে হবে। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক সেটা করছে না।’
জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা ফেরানোর কথা বলে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূতকরণের উদ্যোগ নেয়। পাঁচটি দুর্বল ব্যাংককে ভালো পাঁচটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করতে একের পর এক ঘোষণাও আসে। কিন্তু ডুবতে বসা পদ্মা ব্যাংক ছাড়া বাকি চার দুর্বল ব্যাংকই একীভূতকরণের বিপক্ষে। তাদের মধ্যে দুটি ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে। একটি ব্যাংকের কর্মকর্তারা নেমেছেন রাজপথে। আরেকটি ব্যাংকের কর্মকর্তারাও ক্ষুব্ধ।
এদিকে একীভূতকরণের ঘোষণা আসার পর গত দেড় মাসে আমানত তুলে নেওয়ার হিড়িকে অস্বাভাবিকভাবে পুঁজি কমেছে বেসিক, পদ্মা, এক্সিম, বিডিবিএল, পূবালী, এবি ব্যাংক, জনতাসহ অন্তত ২৪টি ব্যাংকের। সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা বাড়তি আমানত তুলে নিয়েছেন গ্রাহকেরা।
এ বিষয়ে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর আজকের পত্রিকাকে বলেন ‘বাংলাদেশ ব্যাংক একীভূত করা নিয়ে তড়িঘড়ি করছে। এতে আমানতকারী, স্টেকহোল্ডার, ব্যাংকার ও পরিচালকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। সঠিকভাবে একীভূত না হলে ব্যাংক খাতের ওপর আস্থা কমে যাবে, গ্রাহক টাকা তুলে নেবেন। বিপদে পড়বে পুরো ব্যাংক খাত।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, ‘জোর করে ব্যাংক একীভূতকরণের কারণে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। এটা মোটেও ভালো কাজ হচ্ছে না।’
ঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুসারে, এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে পদ্মা ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংক, সিটি ব্যাংকের সঙ্গে বেসিক ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) এবং সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (বিডিবিএল) একীভূত হওয়ার কথা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একীভূতকরণ নীতিমালা অনুযায়ী, একীভূত হওয়া দুর্বল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) চাকরি হারাবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, বেসিক, ন্যাশনাল ও বিডিবিএল ব্যাংকের কর্তৃপক্ষের কোনো সম্মতি ছাড়াই একীভূতকরণের ঘোষণা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে সব দুর্বল ব্যাংকেই গ্রাহকেরা আমানত তুলে নিতে তোড়জোড় শুরু করেছেন। ব্যাংকাররা চাকরি নিয়ে উদ্বিগ্নে পড়েছেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ ব্যাংকও নতুন করে একীভূত করার ঘোষণা থেকে পিছু হটেছে। কিন্তু তাতে গ্রাহক ও ব্যাংকারদের মধ্যে আস্থা ফেরেনি।
এ বিষয়ে ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ন্যাশনাল ব্যাংক একটি সুসংগঠিত ব্যাংক। একটি বিশেষ পরিবারের আধিপত্যের কারণে কিছু শাখার বড় ঋণ আদায় হচ্ছিল না। গ্রাহকের টাকার নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার পরে দায়িত্ব নিয়েছি। এখন তো ওই পরিবারে কর্তৃত্ব নেই। ব্যাংকের প্রায় ৩০০ শাখা-উপশাখার মধ্যে হাতে গোনা ১১-১২টি শাখা ছাড়া সবগুলো মুনাফায়। খেলাপি আদায়ও বেড়েছে। এই পর্যায়ে একীভূত না হয়ে সময় নিয়ে একীভূত করা যেতে পারে।’
বেসিক ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবু মো. মোফাজ্জাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হওয়ার খবরে ইতিমধ্যে ২ হাজার কোটি টাকার বেশি আমানত তুলে নিয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। ব্যাংকের কর্মকর্তারাও আতঙ্কিত। তাঁরা কীভাবে বেসরকারি ব্যাংকে একীভূত হবেন? এ জন্য ব্যাংকের পর্ষদ একীভূত না হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের সম্মতি ছাড়াই একীভূতের ঘোষণা দিয়েছে। এ জন্য প্রতিবাদপত্র দিয়েছি।’
এদিকে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূতকরণের সিদ্ধান্তের পরে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাজধানী ও রাজশাহীতে বিক্ষোভ করেছেন। এ ছাড়া বিডিবিএল ব্যাংকের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘সোনালী ব্যাংকের বিশাল অঙ্কের খেলাপির দায় আমরা কেন নেব? তাদের রয়েছে হল-মার্কসহ নানা আলোচিত কেলেঙ্কারি। এসব বাদে পদোন্নতি এবং পদায়ন নিয়ে ঝামেলা হবে। তারা সুযোগ নেবে। অবিচার হবে।’
এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে পদ্মা ব্যাংকের একীভূতকরণের ঘোষণা আসে সর্বপ্রথম, গত ১৪ মার্চ। তার পরের পরিস্থিতি সম্পর্কে বেসরকারি ব্যাংক উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) চেয়ারম্যান এবং এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ‘ব্যাংক একীভূত নিয়ে শুরুতে উদ্যোক্তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছিল। সেটা কিছুটা কেটেছে।
তবে ব্যাংকারদের চাকরি হারানো ও আমানতকারীদের সঞ্চয় খোয়া নিয়ে শঙ্কা চলছে। আমাদের আশ্বাসের পরও আতঙ্কে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিচ্ছেন অনেকে। এটা তো আমার ক্ষেত্রেও হতো। পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যাংকগুলো চেষ্টা করছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জোরালো ভূমিকা রাখা উচিত।’
এসব বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, ব্যাংক একীভূতকরণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। কোনো ব্যাংক স্বেচ্ছায় না হলে জোর করে একীভূত করার এখতিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রয়েছে। তবে সেটা এখন করা হচ্ছে না।
ন্যাশনালসহ ১০টি ব্যাংক স্বেচ্ছায় একীভূত হতে আগ্রহ দেখিয়েছে। এর মধ্যে কোনো ব্যাংক ভালো হলে একীভূত হবে না। এমনকি যদি সব ব্যাংক ভালো হয়, তবে কোনো ব্যাংকই একীভূত না-ও হতে পারে।
সার্বিক বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যাংক একীভূতকরণ একটি জটিল বিষয়। এটার মানে এক ব্যাংককে আরেক ব্যাংক কিনে নেওয়া নয়। দুই ব্যাংকের সম্মতিতে একীভূত (মার্জার) হতে হয়। এর জন্য বিশদ নিরীক্ষা দরকার। সময় দিতে হবে। স্বাধীনতা দিতে হবে। জোরপূর্বক চাপিয়ে দিলে একীভূত হবে না। সেটা হবে কেনা বা দখল। কেন্দ্রীয় ব্যাংককে একীভূতের সঠিক নীতিমালা করতে হবে। তা না করলে পুরো খাতে অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে। এতে গ্রাহক আতঙ্কিত হবেন। ব্যাংকারদের চাকরির নিশ্চয়তা দিতে হবে। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক সেটা করছে না।’

ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা ফেরানোর কথা বলে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূতকরণের উদ্যোগ নেয়। পাঁচটি দুর্বল ব্যাংককে ভালো পাঁচটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করতে একের পর এক ঘোষণাও আসে। কিন্তু ডুবতে বসা পদ্মা ব্যাংক ছাড়া বাকি চার দুর্বল ব্যাংকই একীভূতকরণের বিপক্ষে। তাদের মধ্যে দুটি ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে। একটি ব্যাংকের কর্মকর্তারা নেমেছেন রাজপথে। আরেকটি ব্যাংকের কর্মকর্তারাও ক্ষুব্ধ।
এদিকে একীভূতকরণের ঘোষণা আসার পর গত দেড় মাসে আমানত তুলে নেওয়ার হিড়িকে অস্বাভাবিকভাবে পুঁজি কমেছে বেসিক, পদ্মা, এক্সিম, বিডিবিএল, পূবালী, এবি ব্যাংক, জনতাসহ অন্তত ২৪টি ব্যাংকের। সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা বাড়তি আমানত তুলে নিয়েছেন গ্রাহকেরা।
এ বিষয়ে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর আজকের পত্রিকাকে বলেন ‘বাংলাদেশ ব্যাংক একীভূত করা নিয়ে তড়িঘড়ি করছে। এতে আমানতকারী, স্টেকহোল্ডার, ব্যাংকার ও পরিচালকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। সঠিকভাবে একীভূত না হলে ব্যাংক খাতের ওপর আস্থা কমে যাবে, গ্রাহক টাকা তুলে নেবেন। বিপদে পড়বে পুরো ব্যাংক খাত।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, ‘জোর করে ব্যাংক একীভূতকরণের কারণে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। এটা মোটেও ভালো কাজ হচ্ছে না।’
ঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুসারে, এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে পদ্মা ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংক, সিটি ব্যাংকের সঙ্গে বেসিক ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) এবং সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (বিডিবিএল) একীভূত হওয়ার কথা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একীভূতকরণ নীতিমালা অনুযায়ী, একীভূত হওয়া দুর্বল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) চাকরি হারাবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, বেসিক, ন্যাশনাল ও বিডিবিএল ব্যাংকের কর্তৃপক্ষের কোনো সম্মতি ছাড়াই একীভূতকরণের ঘোষণা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে সব দুর্বল ব্যাংকেই গ্রাহকেরা আমানত তুলে নিতে তোড়জোড় শুরু করেছেন। ব্যাংকাররা চাকরি নিয়ে উদ্বিগ্নে পড়েছেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ ব্যাংকও নতুন করে একীভূত করার ঘোষণা থেকে পিছু হটেছে। কিন্তু তাতে গ্রাহক ও ব্যাংকারদের মধ্যে আস্থা ফেরেনি।
এ বিষয়ে ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ন্যাশনাল ব্যাংক একটি সুসংগঠিত ব্যাংক। একটি বিশেষ পরিবারের আধিপত্যের কারণে কিছু শাখার বড় ঋণ আদায় হচ্ছিল না। গ্রাহকের টাকার নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার পরে দায়িত্ব নিয়েছি। এখন তো ওই পরিবারে কর্তৃত্ব নেই। ব্যাংকের প্রায় ৩০০ শাখা-উপশাখার মধ্যে হাতে গোনা ১১-১২টি শাখা ছাড়া সবগুলো মুনাফায়। খেলাপি আদায়ও বেড়েছে। এই পর্যায়ে একীভূত না হয়ে সময় নিয়ে একীভূত করা যেতে পারে।’
বেসিক ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবু মো. মোফাজ্জাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হওয়ার খবরে ইতিমধ্যে ২ হাজার কোটি টাকার বেশি আমানত তুলে নিয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। ব্যাংকের কর্মকর্তারাও আতঙ্কিত। তাঁরা কীভাবে বেসরকারি ব্যাংকে একীভূত হবেন? এ জন্য ব্যাংকের পর্ষদ একীভূত না হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের সম্মতি ছাড়াই একীভূতের ঘোষণা দিয়েছে। এ জন্য প্রতিবাদপত্র দিয়েছি।’
এদিকে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূতকরণের সিদ্ধান্তের পরে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাজধানী ও রাজশাহীতে বিক্ষোভ করেছেন। এ ছাড়া বিডিবিএল ব্যাংকের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘সোনালী ব্যাংকের বিশাল অঙ্কের খেলাপির দায় আমরা কেন নেব? তাদের রয়েছে হল-মার্কসহ নানা আলোচিত কেলেঙ্কারি। এসব বাদে পদোন্নতি এবং পদায়ন নিয়ে ঝামেলা হবে। তারা সুযোগ নেবে। অবিচার হবে।’
এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে পদ্মা ব্যাংকের একীভূতকরণের ঘোষণা আসে সর্বপ্রথম, গত ১৪ মার্চ। তার পরের পরিস্থিতি সম্পর্কে বেসরকারি ব্যাংক উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) চেয়ারম্যান এবং এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ‘ব্যাংক একীভূত নিয়ে শুরুতে উদ্যোক্তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছিল। সেটা কিছুটা কেটেছে।
তবে ব্যাংকারদের চাকরি হারানো ও আমানতকারীদের সঞ্চয় খোয়া নিয়ে শঙ্কা চলছে। আমাদের আশ্বাসের পরও আতঙ্কে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিচ্ছেন অনেকে। এটা তো আমার ক্ষেত্রেও হতো। পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যাংকগুলো চেষ্টা করছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জোরালো ভূমিকা রাখা উচিত।’
এসব বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, ব্যাংক একীভূতকরণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। কোনো ব্যাংক স্বেচ্ছায় না হলে জোর করে একীভূত করার এখতিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রয়েছে। তবে সেটা এখন করা হচ্ছে না।
ন্যাশনালসহ ১০টি ব্যাংক স্বেচ্ছায় একীভূত হতে আগ্রহ দেখিয়েছে। এর মধ্যে কোনো ব্যাংক ভালো হলে একীভূত হবে না। এমনকি যদি সব ব্যাংক ভালো হয়, তবে কোনো ব্যাংকই একীভূত না-ও হতে পারে।
সার্বিক বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যাংক একীভূতকরণ একটি জটিল বিষয়। এটার মানে এক ব্যাংককে আরেক ব্যাংক কিনে নেওয়া নয়। দুই ব্যাংকের সম্মতিতে একীভূত (মার্জার) হতে হয়। এর জন্য বিশদ নিরীক্ষা দরকার। সময় দিতে হবে। স্বাধীনতা দিতে হবে। জোরপূর্বক চাপিয়ে দিলে একীভূত হবে না। সেটা হবে কেনা বা দখল। কেন্দ্রীয় ব্যাংককে একীভূতের সঠিক নীতিমালা করতে হবে। তা না করলে পুরো খাতে অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে। এতে গ্রাহক আতঙ্কিত হবেন। ব্যাংকারদের চাকরির নিশ্চয়তা দিতে হবে। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক সেটা করছে না।’

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
১৬ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
২০ ঘণ্টা আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
২০ ঘণ্টা আগে
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার বড় হলেও বাস্তব অগ্রগতি একেবারেই হতাশাজনক।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর—এই পাঁচ মাসে উন্নয়ন ব্যয় হয়েছে ২৮ হাজার ৪৩ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের মাত্র ১১.৭৫ শতাংশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ব্যয় ছিল ৩৪ হাজার ২১৫ কোটি টাকা বা ১২ দশমিক ২৯ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় পিছিয়ে আছে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর থেকে স্পষ্ট হচ্ছে, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প যেন এগোচ্ছেই না। সরকারি তহবিল, বৈদেশিক সহায়তা ও সংস্থাগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন—প্রকল্প বাস্তবায়নে উন্নয়ন ব্যয়ের এ তিন উৎসের প্রতিটিতেই যেন মন্থরতা লক্ষণীয়।
শুধু অর্থবছরের সার্বিক পরিস্থিতিই নয়, এডিপির মাসওয়ারি অগ্রগতি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, নভেম্বর মাসের তথ্য আরও চিন্তার। এই এক মাসে বাস্তবায়ন হয়েছে ৮ হাজার ১৬৫ কোটি টাকার মতো, যেখানে আগের বছরের নভেম্বরেই ব্যয় ছিল ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি। এক মাসেই ব্যয় কমে গেছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রগতির হার মাত্র ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এই ধীরগতি কোনো স্বাভাবিক মৌসুমি প্রবণতা নয়; বরং প্রকল্প ব্যবস্থাপনার ভেতরে জমে থাকা নানা অচলাবস্থার ফল।
প্রকল্প অনুমোদনে বিলম্ব, টেন্ডারপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়া, দক্ষ ঠিকাদারের অভাব, মাঠপর্যায়ে প্রকৌশল বিভাগগুলোর সংকোচন—এসব মিলেই উন্নয়ন ব্যয় জমে থাকছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকার পরিবর্তনের পর প্রশাসনে তৈরি হওয়া মন্থরতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বিধা। আইএমইডি কর্মকর্তারা বলছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ে পুরো প্রশাসনিক কাঠামো একধরনের অচল অবস্থায় ছিল, যার ধাক্কা এখনো পুরোপুরি কাটেনি।
মন্ত্রণালয়ভিত্তিক ব্যয়ে বৈষম্যও স্পষ্ট। বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও সংসদবিষয়ক সচিবালয় মন্ত্রণালয় পাঁচ মাসে এক টাকাও ব্যয় করতে পারেনি। কিছু বিভাগ অগ্রগতি দেখালেও, তা সমগ্র চিত্র বদলে দেওয়ার মতো নয়। বিপরীতে খাদ্য মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ ১৩২.৭৮ শতাংশ ব্যয় করেছে, যা বরাদ্দের চেয়েও বেশি ব্যয়—এটি চলমান প্রকল্পগুলোর প্রকৃত অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য আছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আইএমইডির মতে, প্রকৃত ব্যয় ও আর্থিক প্রতিবেদনের মধ্যকার এ ধরনের ব্যবধান ভবিষ্যতে প্রকল্প মূল্যায়নকে আরও জটিল করে তুলবে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলছেন, ‘বাস্তবায়নের হার স্পষ্টতই কম। শুধু সংখ্যা নয়, কেন এই অবস্থা, সেটাই এখন সবচেয়ে জরুরি প্রশ্ন।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, সামনের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন থাকায় ব্যবস্থাপনায় আরও ধীরতা দেখা দিতে পারে। ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক মুস্তফা কে মুজেরী এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, অর্থবছরের শুরুতে সাধারণত কিছুটা ধীরতা দেখা গেলেও এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। নির্বাচনকালীন প্রশাসন সাধারণত ঝুঁকিনির্ভর হয় না, ফলে প্রকল্পের গতি আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
সব মিলে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, প্রশাসনিক দ্বিধা এবং মাঠপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণহীনতা মিলিয়ে এডিপি বাস্তবায়ন যে পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে, তা দিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন খুব কঠিন—এমনটি ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পনা কমিশনের ভেতরেও।
চলতি অর্থবছরে এডিপি বরাদ্দ ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু প্রথম পাঁচ মাসে যে গতি দেখা গেছে, তাতে বছরের শেষে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন আদৌ সম্ভব হবে কি না, সে প্রশ্ন এখন আরও তীব্র হয়ে উঠছে।

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার বড় হলেও বাস্তব অগ্রগতি একেবারেই হতাশাজনক।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর—এই পাঁচ মাসে উন্নয়ন ব্যয় হয়েছে ২৮ হাজার ৪৩ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের মাত্র ১১.৭৫ শতাংশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ব্যয় ছিল ৩৪ হাজার ২১৫ কোটি টাকা বা ১২ দশমিক ২৯ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় পিছিয়ে আছে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর থেকে স্পষ্ট হচ্ছে, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প যেন এগোচ্ছেই না। সরকারি তহবিল, বৈদেশিক সহায়তা ও সংস্থাগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন—প্রকল্প বাস্তবায়নে উন্নয়ন ব্যয়ের এ তিন উৎসের প্রতিটিতেই যেন মন্থরতা লক্ষণীয়।
শুধু অর্থবছরের সার্বিক পরিস্থিতিই নয়, এডিপির মাসওয়ারি অগ্রগতি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, নভেম্বর মাসের তথ্য আরও চিন্তার। এই এক মাসে বাস্তবায়ন হয়েছে ৮ হাজার ১৬৫ কোটি টাকার মতো, যেখানে আগের বছরের নভেম্বরেই ব্যয় ছিল ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি। এক মাসেই ব্যয় কমে গেছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রগতির হার মাত্র ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এই ধীরগতি কোনো স্বাভাবিক মৌসুমি প্রবণতা নয়; বরং প্রকল্প ব্যবস্থাপনার ভেতরে জমে থাকা নানা অচলাবস্থার ফল।
প্রকল্প অনুমোদনে বিলম্ব, টেন্ডারপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়া, দক্ষ ঠিকাদারের অভাব, মাঠপর্যায়ে প্রকৌশল বিভাগগুলোর সংকোচন—এসব মিলেই উন্নয়ন ব্যয় জমে থাকছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকার পরিবর্তনের পর প্রশাসনে তৈরি হওয়া মন্থরতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বিধা। আইএমইডি কর্মকর্তারা বলছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ে পুরো প্রশাসনিক কাঠামো একধরনের অচল অবস্থায় ছিল, যার ধাক্কা এখনো পুরোপুরি কাটেনি।
মন্ত্রণালয়ভিত্তিক ব্যয়ে বৈষম্যও স্পষ্ট। বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও সংসদবিষয়ক সচিবালয় মন্ত্রণালয় পাঁচ মাসে এক টাকাও ব্যয় করতে পারেনি। কিছু বিভাগ অগ্রগতি দেখালেও, তা সমগ্র চিত্র বদলে দেওয়ার মতো নয়। বিপরীতে খাদ্য মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ ১৩২.৭৮ শতাংশ ব্যয় করেছে, যা বরাদ্দের চেয়েও বেশি ব্যয়—এটি চলমান প্রকল্পগুলোর প্রকৃত অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য আছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আইএমইডির মতে, প্রকৃত ব্যয় ও আর্থিক প্রতিবেদনের মধ্যকার এ ধরনের ব্যবধান ভবিষ্যতে প্রকল্প মূল্যায়নকে আরও জটিল করে তুলবে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলছেন, ‘বাস্তবায়নের হার স্পষ্টতই কম। শুধু সংখ্যা নয়, কেন এই অবস্থা, সেটাই এখন সবচেয়ে জরুরি প্রশ্ন।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, সামনের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন থাকায় ব্যবস্থাপনায় আরও ধীরতা দেখা দিতে পারে। ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক মুস্তফা কে মুজেরী এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, অর্থবছরের শুরুতে সাধারণত কিছুটা ধীরতা দেখা গেলেও এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। নির্বাচনকালীন প্রশাসন সাধারণত ঝুঁকিনির্ভর হয় না, ফলে প্রকল্পের গতি আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
সব মিলে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, প্রশাসনিক দ্বিধা এবং মাঠপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণহীনতা মিলিয়ে এডিপি বাস্তবায়ন যে পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে, তা দিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন খুব কঠিন—এমনটি ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পনা কমিশনের ভেতরেও।
চলতি অর্থবছরে এডিপি বরাদ্দ ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু প্রথম পাঁচ মাসে যে গতি দেখা গেছে, তাতে বছরের শেষে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন আদৌ সম্ভব হবে কি না, সে প্রশ্ন এখন আরও তীব্র হয়ে উঠছে।

ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা ফেরানোর কথা বলে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূতকরণের উদ্যোগ নেয়। পাঁচটি দুর্বল ব্যাংককে ভালো পাঁচটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করতে একের পর এক ঘোষণাও আসে। কিন্তু ডুবতে বসা পদ্মা ব্যাংক ছাড়া বাকি চার দুর্বল ব্যাংকই একীভূতকরণের বিপক্ষে। তাদের ম
৩০ এপ্রিল ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
২০ ঘণ্টা আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
২০ ঘণ্টা আগে
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার দিনের শুরুতে রুপি ৩৬ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ১৪-এ পৌঁছায়, যা ইতিহাসের সর্বনিম্ন, পরে সামান্য পুনরুদ্ধার হয়। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে এবং ডলারের শক্তি কিছুটা কমেছে, তারপরও রুপির পতন অব্যাহত রয়েছে।
গত ১০টি লেনদেনের দিনে রুপি ৯০ থেকে ৯১-এর মধ্যে ওঠানামা করেছে। শুধু গত পাঁচ দিনে রুপির মান ডলারের তুলনায় ১ শতাংশ কমেছে। মুদ্রা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের বিপরীতে রুপির দাম চলতি মাসে ৯২ ছাড়িয়ে যাবে।
আজ মঙ্গলবার আন্তব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা রুপি ৯০ দশমিক ৮৭ থেকে লেনদেন শুরু হয়। পরে ৯০ দশমিক ৭৬ থেকে ৯১ দশমিক ১৪-এর মধ্যে ওঠানামা করে। শেষে ৯১ দশমিক ০১-এ বন্ধ হয়। গত সোমবার রুপি ৯০ দশমিক ৭৮-এ বন্ধ হয়েছিল, যা আগের দিনের তুলনায় ২৯ পয়সা কম।
ফিনরেক্স ট্রেজারি অ্যাডভাইজার্সের হেড অব ট্রেজারি অনিল কুমার বানসালি বলেন, ‘ডলারের ক্রয় অব্যাহত থাকায় রুপি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের নতুন বাণিজ্য প্রস্তাব মেনে না নেওয়ায় চুক্তি স্থগিত রয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার দিনের শুরুতে রুপি ৩৬ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ১৪-এ পৌঁছায়, যা ইতিহাসের সর্বনিম্ন, পরে সামান্য পুনরুদ্ধার হয়। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে এবং ডলারের শক্তি কিছুটা কমেছে, তারপরও রুপির পতন অব্যাহত রয়েছে।
গত ১০টি লেনদেনের দিনে রুপি ৯০ থেকে ৯১-এর মধ্যে ওঠানামা করেছে। শুধু গত পাঁচ দিনে রুপির মান ডলারের তুলনায় ১ শতাংশ কমেছে। মুদ্রা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের বিপরীতে রুপির দাম চলতি মাসে ৯২ ছাড়িয়ে যাবে।
আজ মঙ্গলবার আন্তব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা রুপি ৯০ দশমিক ৮৭ থেকে লেনদেন শুরু হয়। পরে ৯০ দশমিক ৭৬ থেকে ৯১ দশমিক ১৪-এর মধ্যে ওঠানামা করে। শেষে ৯১ দশমিক ০১-এ বন্ধ হয়। গত সোমবার রুপি ৯০ দশমিক ৭৮-এ বন্ধ হয়েছিল, যা আগের দিনের তুলনায় ২৯ পয়সা কম।
ফিনরেক্স ট্রেজারি অ্যাডভাইজার্সের হেড অব ট্রেজারি অনিল কুমার বানসালি বলেন, ‘ডলারের ক্রয় অব্যাহত থাকায় রুপি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের নতুন বাণিজ্য প্রস্তাব মেনে না নেওয়ায় চুক্তি স্থগিত রয়েছে।’

ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা ফেরানোর কথা বলে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূতকরণের উদ্যোগ নেয়। পাঁচটি দুর্বল ব্যাংককে ভালো পাঁচটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করতে একের পর এক ঘোষণাও আসে। কিন্তু ডুবতে বসা পদ্মা ব্যাংক ছাড়া বাকি চার দুর্বল ব্যাংকই একীভূতকরণের বিপক্ষে। তাদের ম
৩০ এপ্রিল ২০২৪
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
১৬ ঘণ্টা আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
২০ ঘণ্টা আগে
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
পেপ্যালের প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স ক্রিস বলেন, ‘পুঁজির নিরাপত্তা ছোট ব্যবসাগুলোর বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা। পেপ্যাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা ছোট ব্যবসার উন্নয়ন এবং মার্কিন অর্থনীতিতে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারব।’
১৯৯৮ সালে ইলন মাস্ক ও পিটার থিয়েল পেপ্যাল প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ৪ লাখ ২০ হাজারের বেশি গ্রাহককে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে। মার্কিন ব্যাংকিং লাইসেন্স পাওয়ার পর কোম্পানি তৃতীয় পক্ষের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে গ্রাহকের আমানতকে ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে বিমার আওতায় আনতে পারবে।
পেপ্যালের আবেদন এসেছে এমন সময়ে, যখন একাধিক ক্রিপ্টো কোম্পানি এবং নিওব্যাংক এই বছরে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি সুবিধা নিয়ে নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকিং খাতে প্রবেশের সুযোগ গ্রহণের চেষ্টা করছে। এ বছরের মধ্যে নুবাঙ্ক, কয়েনবেসসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকিং চার্টারের জন্য আবেদন করেছে।

ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
পেপ্যালের প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স ক্রিস বলেন, ‘পুঁজির নিরাপত্তা ছোট ব্যবসাগুলোর বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা। পেপ্যাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা ছোট ব্যবসার উন্নয়ন এবং মার্কিন অর্থনীতিতে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারব।’
১৯৯৮ সালে ইলন মাস্ক ও পিটার থিয়েল পেপ্যাল প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ৪ লাখ ২০ হাজারের বেশি গ্রাহককে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে। মার্কিন ব্যাংকিং লাইসেন্স পাওয়ার পর কোম্পানি তৃতীয় পক্ষের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে গ্রাহকের আমানতকে ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে বিমার আওতায় আনতে পারবে।
পেপ্যালের আবেদন এসেছে এমন সময়ে, যখন একাধিক ক্রিপ্টো কোম্পানি এবং নিওব্যাংক এই বছরে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি সুবিধা নিয়ে নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকিং খাতে প্রবেশের সুযোগ গ্রহণের চেষ্টা করছে। এ বছরের মধ্যে নুবাঙ্ক, কয়েনবেসসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকিং চার্টারের জন্য আবেদন করেছে।

ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা ফেরানোর কথা বলে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূতকরণের উদ্যোগ নেয়। পাঁচটি দুর্বল ব্যাংককে ভালো পাঁচটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করতে একের পর এক ঘোষণাও আসে। কিন্তু ডুবতে বসা পদ্মা ব্যাংক ছাড়া বাকি চার দুর্বল ব্যাংকই একীভূতকরণের বিপক্ষে। তাদের ম
৩০ এপ্রিল ২০২৪
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
১৬ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
২০ ঘণ্টা আগে
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে ১৪ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ৩ হাজার ৪৪২ টাকা এবং ১২ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ১ হাজার ৫০ টাকা। এই দাম বাড়ানোর ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৪১১ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৬৩ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা।

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে ১৪ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ৩ হাজার ৪৪২ টাকা এবং ১২ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ১ হাজার ৫০ টাকা। এই দাম বাড়ানোর ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৪১১ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৬৩ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা।

ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা ফেরানোর কথা বলে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূতকরণের উদ্যোগ নেয়। পাঁচটি দুর্বল ব্যাংককে ভালো পাঁচটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করতে একের পর এক ঘোষণাও আসে। কিন্তু ডুবতে বসা পদ্মা ব্যাংক ছাড়া বাকি চার দুর্বল ব্যাংকই একীভূতকরণের বিপক্ষে। তাদের ম
৩০ এপ্রিল ২০২৪
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
১৬ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
২০ ঘণ্টা আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
২০ ঘণ্টা আগে