আয়নাল হোসেন
পাইকারি বাজারে পিস হিসেবে তরমুজ কিনে কেজি দরে বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। রাজধানীর হাজারীবাগের আড়তে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১০ থেকে ১৫ কেজি ওজনের একেকটি তরমুজ ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই তরমুজ খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৯০০ টাকায়। রাজধানীর কয়েকটি আড়ত ও খুচরা বাজার ঘুরে একই চিত্র দেখা গেছে।
হাজারীবাগ ফলের আড়তের ভাই ভাই ফল ভান্ডারের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী জানান, চার থেকে সাড়ে চার কেজি ওজনের ১০০টি তরমুজ তাঁরা বিক্রি করছেন ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকা। অর্থাৎ প্রতিটি তরমুজের গড়ে দাম পড়ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। এর সঙ্গে ১০ শতাংশ আড়তদারি, কুলি খরচ, পরিবহন খরচ আছে। সব খরচ যোগ করে দাম আসে ১৩৬ থেকে ১৫৬ টাকা। কিন্তু খুচরা বিক্রেতারা কেজিতে ২৬ থেকে ৩৫ টাকা লাভে তরমুজ বিক্রি করছেন।
খুলনা দাকোপ এলাকার কৃষক আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে গতকাল হাজারীবাগ বেড়িবাঁধ আড়তে আজকের পত্রিকার প্রতিবেদকের কথা হয়। তিনি বলেন, তাঁরা সাতজন মিলে ৩৫ বিঘা জমিতে এ বছর তরমুজ চাষ করেছিলেন। প্রতি বিঘা জমিতে বীজ, সার ও অন্যান্য খরচ বাবদ সর্বমোট ব্যয় হয়েছে ২৮ থেকে ৩০ হাজার টাকা। প্রতি বিঘা জমিতে চার থেকে সাড়ে চার কেজি ওজনের তরমুজ উৎপাদন হয়েছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০টি। এতে তাঁর প্রতি তরমুজে খরচ পড়েছে ২১ টাকা ৪৩ পয়সা থেকে ২৩ টাকা ৩৩ পয়সা। সে হিসাবে প্রতি কেজি তরমুজ উৎপাদনে খরচ পড়ছে ৫ টাকা ১৮ পয়সা থেকে ৫ টাকা ৩৬ পয়সা। সেই তরমুজ ঢাকায় বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে। এতে কৃষক থেকে খুচরা বিক্রেতা পর্যায়ে প্রতি কেজিতে মুনাফা হচ্ছে ৫৪ টাকা ৮২ পয়সা থেকে ৬৪ টাকা ৮২ পয়সা।
আড়তদার আলী হোসেন জানান, তরমুজে বেশি মুনাফা করছেন স্থানীয় পর্যায়ের ফড়িয়ারা। খুলনা অঞ্চলের ফড়িয়া আরশাদ আলী জানান, জমি থেকে তরমুজ তোলার খরচ রয়েছে। এরপর তা নদী বা ট্রাক স্ট্যান্ডে আনার খরচ রয়েছে। ঢাকায় আনতে ট্রাক ভাড়া পড়ছে ২৫ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। প্রতিটি তরমুজ ঘাট থেকে ট্রাকে বা ট্রলারে তুলতে ৫ টাকা এবং নামাতে আরও ৫ টাকা দিতে হচ্ছে। এতে প্রতি পিস তরমুজ ঢাকায় আনতে তাঁদের খরচ পড়ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। রাস্তায় অনেক তরমুজ নষ্ট হয়ে যায়। কতগুলো ফেটে যায়। এসব তরমুজ সামান্য দামে বিক্রি করতে হয়।
আজিমপুর কবরস্থান সংলগ্ন সড়কে তরমুজ বিক্রি করছেন এনায়েত হোসেন। সাড়ে চার কেজি ওজনের একটি তরমুজ তিনি ৩৫০ টাকা দাম হাঁকছেন। এত বেশি দাম কেন? এ প্রশ্নের জবাবে খরচের লম্বা ফিরিস্তি দেন এনায়েত। ওয়াইজঘাট আড়ত থেকে ১০ শতাংশ আড়তদারি দিয়েছেন, গাড়ি ভাড়া ২০০ টাকা। সড়কে বিক্রি করায় পুলিশকে কিছু টাকা দিতে হচ্ছে। এছাড়া প্রায়ই নষ্ট তরমুজ বের হয়। আবার অনেক সময় ভেতরে সাদা বের হয়। এসব কারণে তাঁদেরকে একটু বাড়তি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে বলে বুঝানোর চেষ্টা করেন এনায়েত হোসেন।
তরমুজের অস্বাভাবিক দামের বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, তরমুজের অস্বাভাবিক মূল্যের বিষয়টি তাঁদের নজরে এসেছে। বাজারে এই সময় দেশি ফলের সরবরাহ কম থাকার কারণে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী সুযোগ নিচ্ছেন। বাজারে তরমুজের ঘাটতি নেই। তারা হিসাব করে দেখেছেন ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি কেজি তরমুজ সর্বোচ্চ ৪০ টাকা হতে পারে। অথচ তারা ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি করছে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাঁদের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানও চলছে বলে জানান কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ।
তরমুজের অস্বাভাবিক দাম সম্পর্কে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন কৃষক, আড়তদার ও ফড়িয়ারা। তাঁদের তথ্য অনুযায়ী এ বছর তরমুজের আবাদ বেশি হলেও উৎপাদন কম হয়েছে। প্রতিটি তরমুজের ওজন হওয়ার কথা ছিল ১০ থেকে ১২ কেজি। অনাবৃষ্টির কারণে তা চার থেকে সাড়ে চার কেজি পর্যন্ত হয়েছে। এছাড়া বাজারে দেশি অন্য ফলের অভাব, রমজান মাস এবং গ্রীষ্মের দাবদাহের কারণে মানুষ তরমুজ বেশি খাচ্ছেন। সব মিলে এবার তরমুজের দাম একটু বেশিই।
পাইকারি বাজারে পিস হিসেবে তরমুজ কিনে কেজি দরে বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। রাজধানীর হাজারীবাগের আড়তে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১০ থেকে ১৫ কেজি ওজনের একেকটি তরমুজ ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই তরমুজ খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৯০০ টাকায়। রাজধানীর কয়েকটি আড়ত ও খুচরা বাজার ঘুরে একই চিত্র দেখা গেছে।
হাজারীবাগ ফলের আড়তের ভাই ভাই ফল ভান্ডারের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী জানান, চার থেকে সাড়ে চার কেজি ওজনের ১০০টি তরমুজ তাঁরা বিক্রি করছেন ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকা। অর্থাৎ প্রতিটি তরমুজের গড়ে দাম পড়ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। এর সঙ্গে ১০ শতাংশ আড়তদারি, কুলি খরচ, পরিবহন খরচ আছে। সব খরচ যোগ করে দাম আসে ১৩৬ থেকে ১৫৬ টাকা। কিন্তু খুচরা বিক্রেতারা কেজিতে ২৬ থেকে ৩৫ টাকা লাভে তরমুজ বিক্রি করছেন।
খুলনা দাকোপ এলাকার কৃষক আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে গতকাল হাজারীবাগ বেড়িবাঁধ আড়তে আজকের পত্রিকার প্রতিবেদকের কথা হয়। তিনি বলেন, তাঁরা সাতজন মিলে ৩৫ বিঘা জমিতে এ বছর তরমুজ চাষ করেছিলেন। প্রতি বিঘা জমিতে বীজ, সার ও অন্যান্য খরচ বাবদ সর্বমোট ব্যয় হয়েছে ২৮ থেকে ৩০ হাজার টাকা। প্রতি বিঘা জমিতে চার থেকে সাড়ে চার কেজি ওজনের তরমুজ উৎপাদন হয়েছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০টি। এতে তাঁর প্রতি তরমুজে খরচ পড়েছে ২১ টাকা ৪৩ পয়সা থেকে ২৩ টাকা ৩৩ পয়সা। সে হিসাবে প্রতি কেজি তরমুজ উৎপাদনে খরচ পড়ছে ৫ টাকা ১৮ পয়সা থেকে ৫ টাকা ৩৬ পয়সা। সেই তরমুজ ঢাকায় বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে। এতে কৃষক থেকে খুচরা বিক্রেতা পর্যায়ে প্রতি কেজিতে মুনাফা হচ্ছে ৫৪ টাকা ৮২ পয়সা থেকে ৬৪ টাকা ৮২ পয়সা।
আড়তদার আলী হোসেন জানান, তরমুজে বেশি মুনাফা করছেন স্থানীয় পর্যায়ের ফড়িয়ারা। খুলনা অঞ্চলের ফড়িয়া আরশাদ আলী জানান, জমি থেকে তরমুজ তোলার খরচ রয়েছে। এরপর তা নদী বা ট্রাক স্ট্যান্ডে আনার খরচ রয়েছে। ঢাকায় আনতে ট্রাক ভাড়া পড়ছে ২৫ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। প্রতিটি তরমুজ ঘাট থেকে ট্রাকে বা ট্রলারে তুলতে ৫ টাকা এবং নামাতে আরও ৫ টাকা দিতে হচ্ছে। এতে প্রতি পিস তরমুজ ঢাকায় আনতে তাঁদের খরচ পড়ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। রাস্তায় অনেক তরমুজ নষ্ট হয়ে যায়। কতগুলো ফেটে যায়। এসব তরমুজ সামান্য দামে বিক্রি করতে হয়।
আজিমপুর কবরস্থান সংলগ্ন সড়কে তরমুজ বিক্রি করছেন এনায়েত হোসেন। সাড়ে চার কেজি ওজনের একটি তরমুজ তিনি ৩৫০ টাকা দাম হাঁকছেন। এত বেশি দাম কেন? এ প্রশ্নের জবাবে খরচের লম্বা ফিরিস্তি দেন এনায়েত। ওয়াইজঘাট আড়ত থেকে ১০ শতাংশ আড়তদারি দিয়েছেন, গাড়ি ভাড়া ২০০ টাকা। সড়কে বিক্রি করায় পুলিশকে কিছু টাকা দিতে হচ্ছে। এছাড়া প্রায়ই নষ্ট তরমুজ বের হয়। আবার অনেক সময় ভেতরে সাদা বের হয়। এসব কারণে তাঁদেরকে একটু বাড়তি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে বলে বুঝানোর চেষ্টা করেন এনায়েত হোসেন।
তরমুজের অস্বাভাবিক দামের বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, তরমুজের অস্বাভাবিক মূল্যের বিষয়টি তাঁদের নজরে এসেছে। বাজারে এই সময় দেশি ফলের সরবরাহ কম থাকার কারণে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী সুযোগ নিচ্ছেন। বাজারে তরমুজের ঘাটতি নেই। তারা হিসাব করে দেখেছেন ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি কেজি তরমুজ সর্বোচ্চ ৪০ টাকা হতে পারে। অথচ তারা ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি করছে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাঁদের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানও চলছে বলে জানান কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ।
তরমুজের অস্বাভাবিক দাম সম্পর্কে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন কৃষক, আড়তদার ও ফড়িয়ারা। তাঁদের তথ্য অনুযায়ী এ বছর তরমুজের আবাদ বেশি হলেও উৎপাদন কম হয়েছে। প্রতিটি তরমুজের ওজন হওয়ার কথা ছিল ১০ থেকে ১২ কেজি। অনাবৃষ্টির কারণে তা চার থেকে সাড়ে চার কেজি পর্যন্ত হয়েছে। এছাড়া বাজারে দেশি অন্য ফলের অভাব, রমজান মাস এবং গ্রীষ্মের দাবদাহের কারণে মানুষ তরমুজ বেশি খাচ্ছেন। সব মিলে এবার তরমুজের দাম একটু বেশিই।
অর্থনীতিবিদ ড. সেলিম রায়হান বলেছেন, এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলমের আন্তর্জাতিক সালিসে যাওয়ার হুমকিতে ভয় পাওয়ার কারণ নেই। দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শ্বেতপত্র প্রকাশের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
১৩ ঘণ্টা আগেবেশ কিছু দিন ধরেই কেনিয়াতে ছাত্র–জনতা আদানির সঙ্গে সরকারের ‘গোপন’ চুক্তির প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। পরে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে। অবশেষে আদানি শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে ২৫০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থমূল্যের দুটি চুক্তি বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে আফ্রিকার দেশ কেনিয়া।
১৮ ঘণ্টা আগেঘুষের নোটে সাগর আদানি ঘুষের পরিমাণ, কাকে ঘুষ দেওয়া হয়েছে এবং কত মেগাওয়াট বিদ্যুতের বিনিময়ে এটি হয়েছে—তার বিবরণ উল্লেখ করেছেন। তিনি মেগাওয়াট প্রতি ঘুষের হারও উল্লেখ করেছেন। ২০২০ সালে একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে সাগর আদানি বলেন, ‘হ্যাঁ...কিন্তু বিষয়টা দৃশ্যমান হওয়ার ঠেকানো বেশ কঠিন।’
১৯ ঘণ্টা আগেগৌতম আদানি, ভারতীয় কনগ্লোমারেট আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তিদের একজন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বহু-বিলিয়ন ডলারের জালিয়াতি এবং ঘুষ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ভারত সরকারের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার মাধ্যমে দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের চুক্তি বাগিয়েছে
১৯ ঘণ্টা আগে