রমজানের পণ্য আমদানিতে ঋণপত্রে মার্জিনের শর্ত শিথিল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
Thumbnail image
ফাইল ছবি

পবিত্র রমজান উপলক্ষে চাল, গম, পেঁয়াজ, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি, ডিম, ছোলা, মটর, মসলা এবং খেজুর আমদানির ক্ষেত্রে ঋণপত্র (এলসি) খোলায় মার্জিন সংরক্ষণের শর্ত শিথিল করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, এসব পণ্য আমদানিতে আগের মতো ১০০ ভাগ মার্জিন সংরক্ষণ করতে হবে না। ব্যাংক ও গ্রাহকের সম্পর্কের ভিত্তিতে মার্জিন সংরক্ষণের সুযোগ রাখা হয়েছে।

এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর করার কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যা আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

এ বিষয়ে আজ বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ডলার-সংকট সামলাতে গত ১৭ জানুয়ারি শতভাগ মার্জিন সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যদিও ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ব্যাংক-গ্রাহকের সম্পর্কের ভিত্তিতে নগদ মার্জিনের হার নির্ধারণ করতে নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মূলত সহজীকরণের মাধ্যমে মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখাসহ প্রয়োজনীয় সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে আমদানি ঋণপত্রের নগদ মার্জিন কমাতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা আজকের পত্রিকাকে বলেন, এলসি মার্জিন শিথিল করার কারণে আমদানিকারকদের নগদ টাকা কম লাগবে। এতে আমদানি খরচও কম হবে। এ সুবিধার কারণে বাজারে এসব পণ্যের দাম কিছুটা হলেও কমার কথা। ডলার-সংকটে সাম্প্রতিক সময়ে এসব পণ্যের এলসি খোলা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। ফলে ডাল, ভোজ্যতেল, ছোলা, খেজুরসহ বিভিন্ন ফলের এলসি খুলতে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এমনিতেই দেশের সার্বিক আমদানি কমে গেছে। আগামী রোজায় প্রয়োজনীয় পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত