বিকাশ দিদি মুন্নী বড়ুয়ার গল্প সিএনএনে

বিজ্ঞপ্তি
প্রকাশ : ১৯ মার্চ ২০২৩, ২২: ৩২

রাজধানী ঢাকার সবুজবাগ এলাকার বাসিন্দাদের অনেকে চেনেন মুন্নী বড়ুয়াকে। বিকাশ দিদি নামে পরিচিত এই নারী এজেন্টের গল্প এখন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে পৌঁছে গেছে বিশ্ব দরবারে। তাঁর সংগ্রামী জীবন ও একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প সম্প্রতি উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক টেলিভিশন নেটওয়ার্ক সিএনএনে। 

সিএনএনের এই তথ্যচিত্রে মুন্নীকে বলতে শোনা গেছে, কীভাবে একজন নারী নানা আর্থসামাজিক বাধা পেরিয়ে হাল ধরলেন পরিবারের, দেশের বৃহত্তম মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশের একজন এজেন্ট হয়ে বদলে ফেললেন ভাগ্যের চাকা, হলেন একজন সফল উদ্যোক্তা। তিনি বলেন, ‘এলাকায় আমাকে মোটামুটি সবাই চেনেন। কিন্তু আমি চাই আরও অনেকে আমাকে চিনুক, সবাই জানুক একজন নারী তাঁর ইচ্ছাশক্তি দিয়ে অনেক কিছুই করতে পারে, তার পরিবারের জন্য, নিজের জন্যও।’ 

 ১৯৯৬ সালে পরিবারসহ ঢাকায় আসেন মুন্নী। আসার পর স্বামীর মুদি দোকানের আয়ের ওপর ভর করে ভালোই কেটে যাচ্ছিল দিন। কিন্তু হঠাৎ যেন আঁধার নেমে আসে মুন্নী আর তাঁর দুই সন্তানের জীবনে। ২০১২ সালে স্ট্রোকে মারা যান মুন্নীর স্বামী। তিনি বলেন, ‘ওই সময় দোকান চালাতে গিয়ে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি। এমনকি, দোকান হারানোর পর ভ্যানে করে বাসা থেকে মাল টেনে এনে রাস্তার মধ্যে দোকানদারি করেছি।’ 

মুন্নী বলেন, ‘আমি প্রশিক্ষণ নিয়ে বিকাশের এজেন্ট হিসেবে কাজ শুরু করি। টাকা লেনদেনের যেকোনো প্রয়োজনে কিংবা যেকোনো জরুরি মুহূর্তে বিকাশ এজেন্ট হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারছি। বিকাশ দিয়ে লেনদেন অনেক সহজ, নিরাপদ আর ঝামেলাহীন। ব্যাংকে যেতে হয় না, লাইনে দাঁড়াতে হয় না, দিনে-রাতে সব সময় লেনদেন করা যায়।’ 

সিএনএনে মুন্নী আরও বলেন, ‘মানুষের লেনদেনে কাজে আসি বলে সবাই আমাকে ‘বিকাশ দিদি’ বলে ডাকে। আমার দোকানে কেউ এলেই দ্রুত সেবাটা দেওয়ার চেষ্টা করি। মাথায় রাখি লেনদেনটা নিশ্চয়ই কোনো জরুরি কাজে লাগবে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত