Ajker Patrika

বাংলাদেশ-আফগানিস্তান সিরিজের স্পনসর ওয়ালটন

ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ওয়ানডে সিরিজে পাওয়ার্ড বাই স্পনসর হিসেবে থাকছে দেশের শীর্ষ এবং স্বনামধন্য টেক জায়ান্ট ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। আরব আমিরাতের শহর শারজায় হবে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ওয়ানডে সিরিজ। তিন ম্যাচের এই সিরিজে টাইটেল স্পনসর হিসেবে থাকছে দেশটির মোবাইল ফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এটিসালাত।

সিরিজের নামকরণ করা হয়েছে ‘এটিসালাত আফগানিস্তান-বাংলাদেশ সিরিজ ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই ওয়ালটন।’ দীর্ঘদিন বাংলাদেশের ক্রিকেটসহ সব ধরনের খেলাধুলাতে পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে ওয়ালটন। গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে দেশের ঘরোয়া, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পৃষ্ঠপোষকতা করছে ক্রীড়াবান্ধব প্রতিষ্ঠানটি।

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল দেশের বাইরে যেখানেই খেলতে যাচ্ছে-সেখানেই থাকছে ওয়ালটন। এর তেমন কোনো ব্যত্যয় হয়নি। বাংলাদেশ জাতীয় দলকে উজ্জীবিত করা এবং খেলাধুলাকে এগিয়ে নেওয়াই প্রতিষ্ঠানটির মূল উদ্দেশ্য।

বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের সবশেষ ভারত সিরিজেও যুক্ত ছিল ওয়ালটন। তারই ধারাবাহিকতায় এবার আফগানিস্তান সিরিজেও পৃষ্ঠপোষকতা বজায় রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি।

পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে ওয়ালটনের অ্যাডিশনাল এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রবিউল ইসলাম মিলটন বলেন, ‘ওয়ালটন ক্রীড়াবান্ধব একটি প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন খেলাধুলার ন্যায় ক্রিকেটেও নিয়মিতভাবে পৃষ্ঠপোষক হিসেবে কাজ করছে। মাদকমুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে ওয়ালটন সব সময় খেলাধুলাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় এই সিরিজেও পৃষ্ঠপোষকতা করছে। ভবিষ্যতেও পৃষ্ঠপোষকতা বজায় রাখবে ওয়ালটন।’

মরুর দেশ আমিরাতের ঐতিহাসিক মাঠ শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ বুধবার থেকে এই সিরিজ শুরু হবে। সিরিজের বাকি দুই ম্যাচ যথাক্রমে ৯ ও ১১ নভেম্বর মাঠে গড়াবে। দিবারাত্রির এই সিরিজের প্রতিটি ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শেখ হাসিনাসহ দণ্ডিতদের বক্তব্য প্রচার করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার

৭ কলেজ নিয়ে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় গঠনে নীতিগত সিদ্ধান্ত, অধ্যাদেশ চূড়ান্তের অপেক্ষা

হঠাৎ বেশ কটি সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইট ডাউন, যা জানা গেল

এনবিআর সদস্য বদিউল আলমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

২২ বছরের অপেক্ষা শেষে ভারতকে হারাল বাংলাদেশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কমোডিটি মার্কেটের উন্নয়নে সহযোগিতার আশ্বাস মালয়েশিয়ার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) কমোডিটি মার্কেটের উন্নয়নে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ শুহাদা ওসমান। গত রোববার চট্টগ্রামে সিএসইর প্রধান কার্যালয় পরিদর্শনকালে তিনি এ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

আজ মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সিএসই।

পরিদর্শনকালে মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ শুহাদা ওসমান বাংলাদেশের ক্যাপিটাল মার্কেট, বিশেষ করে কমোডিটি মার্কেটের ডেভেলপমেন্টের জন্য সহযোগিতা প্রদান, দক্ষতা উন্নয়ন, তথ্যের আদান-প্রদান, ব্যবসায়িক উন্নয়নে কাজ করা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে যৌথভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার সিএসইর বর্তমান ভূমিকা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে রাষ্ট্রদূতকে বিস্তারিত অবহিত করেন। তিনি বাংলাদেশের ক্যাপিটাল মার্কেটে কমোডিটি প্ল্যাটফর্ম চালুকরণের লক্ষ্যে রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে মালয়েশিয়ার সহযোগিতার আশা ব্যক্ত করেন।

সাইফুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ কমোডিটি ট্রেডিংয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র এবং বাংলাদেশ মালয়েশিয়া থেকে ক্রুড পাম অয়েল (অপরিশোধিত পাম তেল) আমদানিকারক দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। এ ছাড়া সিএসই কমোডিটি প্ল্যাটফর্মে ভবিষ্যতে ক্রুড পাম অয়েলের ফিচারস চালু করার আশা করছে।

এ সময় মালয়েশিয়া হাই কমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি হাজওয়ান বিন হাসনল, সিএসইর পরিচালক মোহাম্মদ আখতার পারভেজ, মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম, চিফ রেগুলেটরি অফিসার মোহাম্মদ মেহেদি হাসান, জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন ও মোহাম্মদ মনিরুল হক এবং অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শেখ হাসিনাসহ দণ্ডিতদের বক্তব্য প্রচার করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার

৭ কলেজ নিয়ে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় গঠনে নীতিগত সিদ্ধান্ত, অধ্যাদেশ চূড়ান্তের অপেক্ষা

হঠাৎ বেশ কটি সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইট ডাউন, যা জানা গেল

এনবিআর সদস্য বদিউল আলমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

২২ বছরের অপেক্ষা শেষে ভারতকে হারাল বাংলাদেশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ডলারের সংকট কাটছে, রমজান ঘিরে এলসি খোলা বেড়েছে: বাংলাদেশ ব্যাংক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

দেশে ডলারের সংকট কেটে গেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে ব্যবসায়ীদের পণ্য আমদানির জন্য ডলার সংগ্রহ করতে এখন আর আগের মতো ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে না। ডলারের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় পণ্য আমদানিতে কোনো বাধা নেই। বিশেষ করে আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, যেমন—ছোলা, খেজুর, ডাল, চিনিসহ ছয় ধরনের পণ্যের ঋণপত্র (এলসি) খোলা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।

রমজান মাসে এসব পণ্যের চাহিদা সাধারণত অনেক বেড়ে যায়, তাই ব্যবসায়ীরা আগেভাগেই ভোগ্যপণ্য আমদানির ঋণপত্র খোলার পরিমাণ বাড়িয়েছেন। বর্তমানে ডলারের দরও স্থিতিশীল রয়েছে। আজ মঙ্গলবার ব্যাংকগুলোয় আমদানির জন্য প্রতি ডলারের দাম ছিল ১২২ টাকা ৮০ পয়সা।

আজ বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান এ তথ্য জানিয়েছেন।

মুখপাত্র বলেন, আগামী মাসে পেঁয়াজের নতুন মৌসুম শুরু হবে, তাই পেঁয়াজ, রসুন ও আদা আমদানিতে ঋণপত্র খোলা কিছুটা কমেছে। অবশ্য পেঁয়াজ আমদানিতে বর্তমানে সরকারের অনুমোদনও নেই। তবে রমজানে যে পরিমাণ পণ্যের প্রয়োজন, তার চেয়ে বেশি পণ্য আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছে। সাধারণত পণ্য দেশে আসতে তিন মাসের কম সময় লাগে। সেই হিসাবে রমজানের আগেই বাকি পণ্যের চালান দেশে পৌঁছাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে আরিফ হোসেন খান বলেন, দেশের ব্যাংক খাতকে ঘুরে দাঁড় করানোর জন্য একের পর এক উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় পাঁচটি শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক একীভূত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই পাঁচটি ব্যাংক নিয়ে গঠিত ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’-এর জন্য সরকার ইতিমধ্যে বোর্ড গঠন করেছে। তবে সেই বোর্ডে পরিবর্তন আসতে পারে, যার ইঙ্গিত গভর্নর আগেই দিয়েছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শেখ হাসিনাসহ দণ্ডিতদের বক্তব্য প্রচার করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার

৭ কলেজ নিয়ে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় গঠনে নীতিগত সিদ্ধান্ত, অধ্যাদেশ চূড়ান্তের অপেক্ষা

হঠাৎ বেশ কটি সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইট ডাউন, যা জানা গেল

এনবিআর সদস্য বদিউল আলমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

২২ বছরের অপেক্ষা শেষে ভারতকে হারাল বাংলাদেশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

২৪ বিলিয়ন ডলারে ১৫০ এয়ারবাস কিনছে ফ্লাইদুবাই

এএফপি, দুবাই
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

২৪ বিলিয়ন ডলার মূল্যমানের ১৫০টি এয়ারবাস এ৩২১ নিও কেনার ঘোষণা দিয়েছে স্বল্প খরচের বিমান সংস্থা ফ্লাইদুবাই, যা তাদের বহরকে দ্বিগুণের বেশি বৃদ্ধি করবে। আজ মঙ্গলবার দুবাই এয়ারশোতে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

ফ্লাইদুবাইয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সমঝোতা স্মারকের আওতায় বিমানগুলোর ডেলিভারি ২০৩১ সাল থেকে শুরু হবে। প্রতিষ্ঠানটির ইতিহাসে এটিই প্রথম এয়ারবাস অর্ডার।

দুবাই এয়ারশোতে এক সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান শেখ আহমেদ বিন সাঈদ আল মাকতুম বলেন, বহর সম্প্রসারণ ও বৈচিত্র্য আনতে এই অর্ডার আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।

বর্তমানে রাষ্ট্রমালিকানাধীন দুবাইভিত্তিক এই এয়ারলাইনটির বহরে রয়েছে ৯৫টি বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজ।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নতুন চুক্তিতে ১৫০টি নিশ্চিত অর্ডারের পাশাপাশি রয়েছে আরও ১০০টি অপশন, যা দুবাইয়ের দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধি পরিকল্পনার প্রতি ফ্লাইদুবাইয়ের আস্থাকে প্রতিফলিত করে।

এদিকে একই এয়ারশোতে আবুধাবি ভিত্তিক ইতিহাদও ১৬টি এয়ারবাস কেনার ঘোষণা দিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ছয়টি এ৩৩০-৯০০, সাতটি এ৩৫০-১০০০ এবং তিনটি এ৩৫০ এফ।

গতকাল মঙ্গলবার ফ্লাইদুবাই স্পেসএক্সের সঙ্গে একটি চুক্তিও করেছে, যার মাধ্যমে তাদের পুরো বহরে স্টারলিংক স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা চালু করা হবে। এর আগের দিন এমিরেটসও এ সেবা চালুর ঘোষণা দেয়।

পাশাপাশি গত সোমবার মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় এই দ্বিবার্ষিক এয়ারশোতে ফ্লাইদুবাইয়ের সহপ্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত এমিরেটস ৩৮ বিলিয়ন ডলারের চুক্তিতে ৬৫টি বোয়িং অর্ডার করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শেখ হাসিনাসহ দণ্ডিতদের বক্তব্য প্রচার করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার

৭ কলেজ নিয়ে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় গঠনে নীতিগত সিদ্ধান্ত, অধ্যাদেশ চূড়ান্তের অপেক্ষা

হঠাৎ বেশ কটি সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইট ডাউন, যা জানা গেল

এনবিআর সদস্য বদিউল আলমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

২২ বছরের অপেক্ষা শেষে ভারতকে হারাল বাংলাদেশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সংশোধিত শ্রম আইন প্রত্যাখ্যান কারখানামালিকদের, তিন ইস্যুতে ঘোর আপত্তি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সংশোধিত শ্রম আইন প্রত্যাখ্যান কারখানামালিকদের, তিন ইস্যুতে ঘোর আপত্তি

সংশোধিত শ্রম আইনকে তিনটি ইস্যুতে ‘অযৌক্তিক’ এবং ‘শিল্পের বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন’ উল্লেখ করে একযোগে প্রত্যাখ্যান করেছে তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতের মালিকদের তিন প্রধান সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বিটিএমএ।

তাদের অভিযোগ, টিসিসি ও ওয়ার্কিং কমিটির দীর্ঘ আলোচনায় যে সমঝোতা গড়ে উঠেছিল, সরকার সদ্য জারি করা বাংলাদেশ শ্রম আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এ সেটা মানেনি। বরং একতরফাভাবে এমন কিছু বিধান যুক্ত করেছে, যা শিল্পে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারে। মালিকপক্ষের মতে, এসব পরিবর্তন শ্রমিক-মালিক উভয়ের স্বার্থকেই শেষ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

আজ মঙ্গলবার লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ শ্রম আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশ জারি করার পরপরই টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল খাতের তিন সংগঠনের মালিক-প্রতিনিধিরা রাজধানীর গুলশানে বিটিএমএ ভবনে জরুরি বৈঠকে বসেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু, বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম এবং বিটিএমএ সভাপতি শওকত আজিজ রাসেলসহ অনেকে। সভায় বস্ত্র খাতের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকের মূল অ্যাজেন্ডা ছিল স্পিনিং সেক্টরের চলমান সংকট; তবে আলোচনার বেশির ভাগ সময়জুড়ে প্রাধান্য পায় সদ্য জারি করা শ্রম আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশ। পর্যালোচনা ও আলোচনার পর তিন সংগঠনই সর্বসম্মতভাবে অধ্যাদেশটি প্রত্যাখ্যানের সিদ্ধান্ত নেয়। পরে বিটিএমএ সেক্রেটারি জেনারেল ব্রিগে. জেনা. মো. জাকির হোসেন, এনডিসি, পিএসসি (অব.) স্বাক্ষরিত এক যৌথ আনুষ্ঠানিক বিবৃতির মাধ্যমে সিদ্ধান্তটি জানায়।

জানতে চাইলে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ১২৭টি ধারার মধ্যে ১২৪টিতে ত্রিপক্ষীয় কমিটির বৈঠকে ঐকমত্য হয়েছিল। ‘আমাদের আপত্তি ছিল কেবল তিনটিতে। সরকার আশ্বাস দিয়েছিল এগুলো ঠিক করা হবে; কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিজেদের মতো করে আইন পাস করেছে’—বলেন তিনি। তিনি আশা করেন, সরকার বিষয়গুলো নিয়ে আবার আলোচনায় বসবে।

বিকেএমইএ সভাপতি অভিযোগ করেন, বিদেশি পরামর্শে এমন কিছু প্রস্তাব যুক্ত হয়েছে, যা গার্মেন্টস খাতে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। তাঁর ভাষায়, ‘ত্রিপক্ষীয় কমিটির সিদ্ধান্তও মানা হয়নি। এতে শ্রমিকের স্বার্থও রক্ষা পাবে না।’ তিনি সংশোধনপ্রক্রিয়াকে খাতবিরোধী ‘চক্রান্ত’ উল্লেখ করে অধ্যাদেশটি প্রত্যাখ্যানের কথা জানান।

এর আগে গত ২৩ অক্টোবর সংশোধন নীতিগতভাবে অনুমোদনের পর মালিকপক্ষ সংবাদ সম্মেলন করে এই তিন বিষয়ে আপত্তি জানায় এবং প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ না পাওয়ার অভিযোগ তোলে।

মালিকদের তিন আপত্তি

প্রথম আপত্তি ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে শ্রমিকসংখ্যা পুনর্নির্ধারণ। ত্রিপক্ষীয় আলোচনায় ৫০-৫০০ শ্রমিকের কারখানায় ৫০ জনের সমর্থনে ইউনিয়ন গঠনের প্রস্তাব থাকলেও উপদেষ্টা পরিষদ সেটি পরিবর্তন করে ২০-৩০০ শ্রমিক নির্ধারণ করেছে। মালিকদের দাবি, মাত্র ২০ জন দিয়ে ইউনিয়ন হলে বহিরাগতদের প্রভাব বাড়বে, শিল্পে অন্তর্দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হবে এবং বিনিয়োগকারীরা নিরুৎসাহিত হবেন।

দ্বিতীয় আপত্তি ভবিষ্যৎ তহবিল ও সর্বজনীন পেনশন প্রগতি—উভয় স্কিমে শ্রমিকের একযোগে অংশ নেওয়ার সুযোগ। মালিকপক্ষের মতে, এতে দুটি পৃথক আর্থিক ব্যবস্থা সমান্তরালে পরিচালনা করতে হবে, যা প্রশাসনিক জটিলতা ও ব্যয় বাড়াবে।

তৃতীয় আপত্তি শ্রমিকের সংজ্ঞায় ‘কর্মচারী বা কর্মকর্তা’ যুক্ত করা। তাঁদের দাবি, এতে শ্রমিক ও প্রশাসনিক স্তরে বিভাজন অস্পষ্ট হবে, সিদ্ধান্ত গ্রহণে জটিলতা বাড়বে এবং প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় সমস্যা দেখা দিতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শেখ হাসিনাসহ দণ্ডিতদের বক্তব্য প্রচার করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার

৭ কলেজ নিয়ে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় গঠনে নীতিগত সিদ্ধান্ত, অধ্যাদেশ চূড়ান্তের অপেক্ষা

হঠাৎ বেশ কটি সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইট ডাউন, যা জানা গেল

এনবিআর সদস্য বদিউল আলমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

২২ বছরের অপেক্ষা শেষে ভারতকে হারাল বাংলাদেশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত