Ajker Patrika

ইনসেপ্টার সহযোগিতায় জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধে গণটিকা কার্যক্রম

বিজ্ঞপ্তি
ইনসেপ্টার সহযোগিতায় জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধে গণটিকা কার্যক্রম

জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধে ইনসেপ্টার সহযোগিতায় শোভাযাত্রা ও প্যাপিলোভ্যাক্স গণটিকা কার্যক্রম পালিত হয়েছে। জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধে সচেতনতার মাস উপলক্ষে আজ বুধবার আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজে এ কার্যক্রম পালিত হয়।

এর আগে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি অ্যান্ড অবস বিভাগের আয়োজনে ঢাকার ধানমন্ডিতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা হয়। এতে বিপুলসংখ্যক চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। এই অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধান করে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। 

সকালে শোভাযাত্রায় অংশ নেন আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ডাক্তার এখলাসুর রহমান, ভাইস প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ডাক্তার হাবিবুজ্জামান চৌধুরী, গাইনি অ্যান্ড অবস বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. শেহরিন এফ সিদ্দিকা, মডার্ন হেলথ গ্রুপ-এর উপদেষ্টা মে. জে (অব.) আশরাফ আবদুল্লাহ ইউসুফ, অধ্যাপক ডাক্তার মাসুদা বেগম, অধ্যাপক ডাক্তার আব্দুস সালাম আরিফ, অধ্যাপক ডা. এম আলমগীর চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. জাকিয়া শহীদ, অধ্যাপক ডা. মৌসুমি সেনসহ বিপুলসংখ্যক চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা। 

শোভাযাত্রা শেষে আলোচনা সভা হয়। এরপর গণ টিকা কর্মসূচির আওতায় জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধী ‘প্যাপিলোভ্যাক্স’ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। 

এ সময় আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি অ্যান্ড অবশ বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. শেহরিন এফ সিদ্দিকা বলেন, জরায়ু মুখের ক্যানসার নারী মৃত্যুর অন্যতম কারণ। সময় এসেছে এই মৃত্যু প্রতিরোধের। এ জন্য সবচেয়ে প্রয়োজন গণসচেতনতা তৈরি এবং স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা সবার কাছে নিয়ে যাওয়া। ৯ থেকে ৪৫ বছর বছর পর্যন্ত মেয়েদের সচেতন করা গেলে এবং সঠিক সময়ে ভ্যাকসিন নিশ্চিত করা গেলে আগামী একশত বছরের মধ্যে জরায়ু মুখের ক্যানসার সম্পূর্ণভাবে নির্মল করা সম্ভব হবে।

জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধে টিকা দেওয়া হচ্ছে এক নারীকেপ্রফেসর ডা. শেহরিন এফ সিদ্দিকা আরও বলেন, দেশের প্রথম ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ইনসেপ্টা গত বছর থেকে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জরায়ুমুখ ক্যানসারের ভ্যাকসিন ‘প্যাপিলোভ্যাক্স’ বাজারজাত শুরু করেছে। প্যাপিলোভ্যাক্স ভ্যাকসিন জরায়ুমুখ ক্যানসার থেকে সুরক্ষা দেয়, এটি জরায়ুমুখ ক্যানসারের জন্য দায়ী এইচপিভি ভাইরাসকে প্রতিরোধ করে। 

প্রফেসর ডা. শেহরিন এফ সিদ্দিকা আরও বলেন, বাংলাদেশে ক্যানসারে নারী মৃত্যুর মধ্যে জরায়ুমুখ ক্যানসার দ্বিতীয় প্রধান কারণ। এই ক্যানসারে মৃত্যুর প্রধান কারণ অসচেতনতা এবং অবহেলা। প্রতি বছর দেশে ১১ হাজারের বেশি নারী জরায়ুমুখ ক্যানসারে মারা যায় এবং ৫ কোটিরও বেশি নারী এর ঝুঁকিতে আছে। ৯ থেকে ৪৫ বছর পর্যন্ত সকল সুস্থ নারীকে এই ভ্যাকসিন দেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ জরায়ুমুখের ক্যানসার নির্মূলের পথ অনেকটা এগিয়ে যাবে। এই ভ্যাকসিন দেশে বিদ্যমান অনেক দিনের চাহিদা পূরণে সহায়ক হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত