বিজ্ঞপ্তি
কোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নির্ভর করে মোট জনসংখ্যার কতজন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করছে, তার ওপর। জনসংখ্যার দিক দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বে অষ্টম। এই বিপুল জনসংখ্যার অর্ধেকই নারী। সুতরাং, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেরও পূর্বশর্ত হচ্ছে, কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। বাংলাদেশে বিদ্যমান আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংক আর্থিকসহ বিভিন্ন খাতে নারীদের অন্তর্ভুক্তি এবং অংশগ্রহণ নিশ্চিতে কাজ করে আসছে।
ব্র্যাক ব্যাংক বিশ্বাস করে, কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ, ক্ষমতায়ন, অন্তর্ভুক্তি এবং নারীদের জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি ব্যতীত কোনো দেশেই প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়। সে লক্ষ্যেই ব্র্যাক ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের রূপকল্প এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন সময়ে গৃহীত উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে ব্র্যাক ব্যাংক আর্থিক, সামাজিক, প্রচারণামূলক, অংশগ্রহণমূলক ইত্যাদি বিস্তৃত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সব ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ এবং ক্ষমতায়ন নিশ্চিতে দেশে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
ব্র্যাক ব্যাংক এমন একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান, যা সব ক্ষেত্রে নারীদের অগ্রাধিকার দেয়। নিজেদের প্রতিষ্ঠানের নারী কর্মীদের জন্য অনুকূল, সহযোগিতামূলক ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার পাশাপাশি নারী গ্রাহকদের বিশেষায়িত ব্যাংকিং সুবিধা দেওয়ার মাধ্যমে তাঁদের স্বাবলম্বিতা ও আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করে আসছে ব্যাংকটি।
‘নারীর সমঅধিকার, সমসুযোগ, এগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগ’ এই প্রতিপাদ্যে ৮ মার্চ পালিত হবে এবারের আন্তর্জাতিক নারী দিবস। নারীর অগ্রযাত্রায় নিবেদিতভাবে কাজ করা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংকের কয়েকটি নারীমুখী উদ্যোগের চিত্র তুলে ধরা হলো:
‘তারা’ নারী গ্রাহকদের জন্য এক বিশেষায়িত সেগমেন্ট
নারী গ্রাহকদের বিশেষায়িত ব্যাংকিং সেবা দেওয়ার জন্য রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংকের বিশেষ ব্যাংকিং প্রপোজিশন ‘তারা’। ‘তারা’ গ্রাহকদের জন্য আকর্ষণীয় সব ব্যাংকিং সেবা নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছে সারা দেশের নারীদের দোরগোড়ায়। ‘তারা’ চাকরিজীবী, উদ্যোক্তা, গৃহিণীসহ সব নারীর যেকোনো ব্যাংকিং প্রয়োজন পূরণ করছে। তারা সঞ্চয়ী হিসাবের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারমূলক ইন্টারেস্ট, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য চলতি হিসাব, স্বল্পসুদে ব্যবসায় ও রিটেইল লোন এবং প্রসেসিং ফির ওপর ছাড়সহ গ্রাহকদের নানান সুবিধা দিচ্ছে। তারা গ্রাহকেরা ব্যাংকের শাখাগুলোতে বিশেষ ডেস্ক ও ক্যাশ কাউন্টার, প্রিমিয়াম ব্যাংকিং সেবা এবং কলসেন্টার ও পার্টনার আউটলেটগুলোতে বিশেষ সুবিধা উপভোগ করে থাকেন।
এটি নারীদের সঠিক অর্থায়ন পরিকল্পনা, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন ও জীবনের লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করছে। সর্বোপরি সমাজে নারীদের ক্ষমতায়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। তারা কেবল একটি সল্যুশনই নয়, এটি নারীর অমিত সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে এবং তাঁদের স্বপ্নপূরণের পথে একটি কার্যকর প্ল্যাটফর্মও। এ ছাড়া তারা নারী গ্রাহকদের পেশাদারি দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কর্মশালার আয়োজন করছে। তারার নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্ম নারীদের জন্য অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টি করছে; ব্যবসায় সম্ভাবনাময় নারীদের প্রশিক্ষণের জন্য পরিচালনা করছে ‘উদ্যোক্তা ১০১’। নারী ফ্রিল্যান্সারদের জন্য রয়েছে ‘স্বাবলম্বী তারা’ শীর্ষক বিশেষায়িত প্রোগ্রাম, যার অধীনে দেশের ৮ বিভাগের ১ হাজার ৬০০-এরও অধিক নারীদের ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ব্র্যাক ব্যাংক।
নারী সহকর্মীদের জন্য ‘তারা ফোরাম’
নারী কর্মকর্তাদের জন্য ব্র্যাক ব্যাংকের আছে ‘তারা ফোরাম’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম। এ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংকে কর্মরত নারীরা পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়সহ নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট এবং কর্মক্ষেত্রে উৎকর্ষতা সাধনে সহায়তা পাচ্ছেন। ব্র্যাক ব্যাংককে বাংলাদেশের সবচেয়ে নারীবান্ধব ব্যাংক হিসেবে গড়ে তোলাই এই প্ল্যাটফর্মের মূল উদ্দেশ্য। ১ হাজার ২০০ জনের বেশি নারী কর্মকর্তা নিয়ে গঠিত ‘তারা ফোরাম’ হচ্ছে প্রাইভেট সেক্টরে নারী ব্যাংকারদের সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম।
নারী কর্মকর্তা নিয়োগে অন্যতম
ব্র্যাক ব্যাংকে রয়েছে ১০ হাজারেরও বেশি কর্মী। এই মোট কর্মীর ১৬ ভাগই নারী এবং এই হার ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতেও রয়েছে নারীদের পদচারণা। পরিচালনা পর্ষদে আছেন তিনজন নারী পরিচালক। দেশের প্রথম এবং একমাত্র নারী চিফ টেকনোলজি অফিসার (সিটিও) রয়েছে এই ব্র্যাক ব্যাংকেই। এই জন্যই ক্যারিয়ার চয়েসে যেসব নারী ব্যাংককে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন, তাঁদের প্রথম পছন্দের তালিকায় রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক। নারী-পুরুষের সমান অবদান এবং অংশগ্রহণের মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ইতিমধ্যেই সব ক্ষেত্রে সাসটেইনেবল ব্যাংক হিসেবে নিজেদের সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে ব্যাংকটি।
আমানত ও ঋণে নারী গ্রাহকদের অগ্রাধিকার
আমাদের দেশের নারীদের একটা বড় অংশই আনুষ্ঠানিক আর্থিক সেবার বাইরে রয়েছেন। আর্থিক খাতে তাঁদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিতকরণ এবং জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নারীর ক্ষমতায়ন এবং উন্নয়নে ব্র্যাক ব্যাংক নিয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। সে লক্ষ্যকে সামনে রেখেই শুধু ডিপিএস কিংবা এফডিআরের ক্ষেত্রেই নয়, ঋণের ক্ষেত্রেও নারীরা ব্র্যাক ব্যাংকে বিশেষ অগ্রাধিকার পেয়ে থাকেন। ডিপিএস কিংবা এফডিআরের ক্ষেত্রে ইন্ডাস্ট্রি অ্যাভারেজের চেয়ে ওপরে এবং ঋণের ক্ষেত্রে ইন্ডাস্ট্রি অ্যাভারেজের চেয়ে কম সুদহার কার্যকর করা হয় ব্যাংকের নারী, তথা ‘তারা’ গ্রাহকদের জন্য। ৩ লাখেরও বেশি নারী গ্রাহকদের সুবিধাজনক ব্যাংকিং সেবা দিয়ে ইতিমধ্যেই গ্রাহকদের সর্বোচ্চ আস্থা অর্জন করে নিয়েছে ব্যাংকটি।
নারী উদ্যোক্তা তৈরিতে পথিকৃৎ
বর্তমানে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নারীরা ক্ষুদ্র কিংবা মাঝারি পরিসরে ব্যবসায়ের উদ্যোগ নিচ্ছেন। নারীদের ব্যবসায় উদ্যোগের এই হার নিয়মিতই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই উদ্যোগগুলোর প্রধান বাধাই হচ্ছে অর্থায়ন সমস্যা। একটি এসএমইকেন্দ্রিক ব্যাংক হিসেবে নারী এসএমইদের উদ্যোগগুলো যাতে সফল হতে পারে, সেই লক্ষ্যে বিশেষ সুবিধায় অর্থায়নের পাশাপাশি নারী উদ্যোক্তাদের পেশাদার উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে থাকে ব্র্যাক ব্যাংক ‘তারা’ ও ‘উইমেন ইন্টারপ্রেনার সেল’।
নারীদের ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট নিশ্চিতকরণ
ব্যাংকের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে নারী গ্রাহকদের উপস্থিতি লক্ষণীয়, যা ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ‘আস্থা’ ডিজিটাল ব্যাংকিং অ্যাপটি বর্তমান ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রিতে নিয়ে এসেছে গ্রাহক সেবার এক নতুন মাত্রা। গ্রাহকদের দৈনন্দিন প্রায় সব ধরনের ব্যাংকিং প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম এই অ্যাপটি সহজেই ব্যবহারযোগ্য এবং অত্যন্ত দ্রুত কাজ করতে সক্ষম। বর্তমানে এর সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫ লাখ ৪২ হাজার ৩৬০ জন, যার ১৮ শতাংশই নারী।
‘আস্থা’ অ্যাপ ছাড়াও ব্যাংকের অন্যান্য ডিজিটাল চ্যানেলেও নারীদের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশে নারীদের ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট নিশ্চিতকরণে ব্যাংকের বিস্তৃত নেটওয়ার্ক কাজে লাগানোর মাধ্যমে বছরব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি এবং কর্মশালার আয়োজন করে থাকে ব্র্যাক ব্যাংক। নারী উদ্যোক্তাদের ডিজিটাল ও আর্থিক-অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন থেকে ফান্ড পেয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক। এর আওতায় প্রান্তিক অঞ্চলের নারীদের জন্য ডিজিটাল চ্যানেলে উপস্থিতি বৃদ্ধি, অর্থায়নের সুবিধা, বাজারে প্রবেশাধিকার এবং সক্ষমতা উন্নয়ন কার্যক্রম নিশ্চিত করার কৌশলগত উদ্দেশ্য বিস্তৃত ও জোরদার করতে কাজ করছে ব্র্যাক ব্যাংক।
নারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অনন্য
ব্যাংকের গ্রাহক কিংবা কর্মকর্তা নারীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি ব্র্যাক ব্যাংক সব সময় যত্নশীল। ‘তারা’ গ্রাহকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে বছরব্যাপী ব্র্যাক ব্যাংক বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে থাকে। এসব কর্মসূচিতে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দিয়ে থাকেন দেশ-বিদেশের স্বনামধন্য চিকিৎসকেরা, যেখানে গ্রাহকেরা ফ্রি রেজিস্ট্রেশন করেই সেবা নিতে পারেন। ব্যাংকের তারা গ্রাহকদের জন্য রয়েছে ১২ মাসের জন্য আকর্ষণীয় হেলথ ইনস্যুরেন্স প্যাকেজ, যা একদম বিনা মূল্যে। ব্র্যাক ব্যাংক কর্তৃক আয়োজিত ‘ব্রেস্ট ক্যানসার অ্যাওয়ারনেস’ প্রোগ্রাম আরও একটি উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ, যেখান থেকে তারা গ্রাহকেরা ব্রেস্ট ক্যানসার-সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উপকৃত হয়ে থাকেন। এ ছাড়া গ্রাহকেরা যেকোনো সময় ভার্চুয়ালি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে পারেন।
কোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নির্ভর করে মোট জনসংখ্যার কতজন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করছে, তার ওপর। জনসংখ্যার দিক দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বে অষ্টম। এই বিপুল জনসংখ্যার অর্ধেকই নারী। সুতরাং, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেরও পূর্বশর্ত হচ্ছে, কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। বাংলাদেশে বিদ্যমান আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংক আর্থিকসহ বিভিন্ন খাতে নারীদের অন্তর্ভুক্তি এবং অংশগ্রহণ নিশ্চিতে কাজ করে আসছে।
ব্র্যাক ব্যাংক বিশ্বাস করে, কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ, ক্ষমতায়ন, অন্তর্ভুক্তি এবং নারীদের জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি ব্যতীত কোনো দেশেই প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়। সে লক্ষ্যেই ব্র্যাক ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের রূপকল্প এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন সময়ে গৃহীত উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে ব্র্যাক ব্যাংক আর্থিক, সামাজিক, প্রচারণামূলক, অংশগ্রহণমূলক ইত্যাদি বিস্তৃত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সব ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ এবং ক্ষমতায়ন নিশ্চিতে দেশে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
ব্র্যাক ব্যাংক এমন একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান, যা সব ক্ষেত্রে নারীদের অগ্রাধিকার দেয়। নিজেদের প্রতিষ্ঠানের নারী কর্মীদের জন্য অনুকূল, সহযোগিতামূলক ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার পাশাপাশি নারী গ্রাহকদের বিশেষায়িত ব্যাংকিং সুবিধা দেওয়ার মাধ্যমে তাঁদের স্বাবলম্বিতা ও আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করে আসছে ব্যাংকটি।
‘নারীর সমঅধিকার, সমসুযোগ, এগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগ’ এই প্রতিপাদ্যে ৮ মার্চ পালিত হবে এবারের আন্তর্জাতিক নারী দিবস। নারীর অগ্রযাত্রায় নিবেদিতভাবে কাজ করা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংকের কয়েকটি নারীমুখী উদ্যোগের চিত্র তুলে ধরা হলো:
‘তারা’ নারী গ্রাহকদের জন্য এক বিশেষায়িত সেগমেন্ট
নারী গ্রাহকদের বিশেষায়িত ব্যাংকিং সেবা দেওয়ার জন্য রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংকের বিশেষ ব্যাংকিং প্রপোজিশন ‘তারা’। ‘তারা’ গ্রাহকদের জন্য আকর্ষণীয় সব ব্যাংকিং সেবা নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছে সারা দেশের নারীদের দোরগোড়ায়। ‘তারা’ চাকরিজীবী, উদ্যোক্তা, গৃহিণীসহ সব নারীর যেকোনো ব্যাংকিং প্রয়োজন পূরণ করছে। তারা সঞ্চয়ী হিসাবের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারমূলক ইন্টারেস্ট, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য চলতি হিসাব, স্বল্পসুদে ব্যবসায় ও রিটেইল লোন এবং প্রসেসিং ফির ওপর ছাড়সহ গ্রাহকদের নানান সুবিধা দিচ্ছে। তারা গ্রাহকেরা ব্যাংকের শাখাগুলোতে বিশেষ ডেস্ক ও ক্যাশ কাউন্টার, প্রিমিয়াম ব্যাংকিং সেবা এবং কলসেন্টার ও পার্টনার আউটলেটগুলোতে বিশেষ সুবিধা উপভোগ করে থাকেন।
এটি নারীদের সঠিক অর্থায়ন পরিকল্পনা, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন ও জীবনের লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করছে। সর্বোপরি সমাজে নারীদের ক্ষমতায়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। তারা কেবল একটি সল্যুশনই নয়, এটি নারীর অমিত সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে এবং তাঁদের স্বপ্নপূরণের পথে একটি কার্যকর প্ল্যাটফর্মও। এ ছাড়া তারা নারী গ্রাহকদের পেশাদারি দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কর্মশালার আয়োজন করছে। তারার নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্ম নারীদের জন্য অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টি করছে; ব্যবসায় সম্ভাবনাময় নারীদের প্রশিক্ষণের জন্য পরিচালনা করছে ‘উদ্যোক্তা ১০১’। নারী ফ্রিল্যান্সারদের জন্য রয়েছে ‘স্বাবলম্বী তারা’ শীর্ষক বিশেষায়িত প্রোগ্রাম, যার অধীনে দেশের ৮ বিভাগের ১ হাজার ৬০০-এরও অধিক নারীদের ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ব্র্যাক ব্যাংক।
নারী সহকর্মীদের জন্য ‘তারা ফোরাম’
নারী কর্মকর্তাদের জন্য ব্র্যাক ব্যাংকের আছে ‘তারা ফোরাম’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম। এ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংকে কর্মরত নারীরা পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়সহ নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট এবং কর্মক্ষেত্রে উৎকর্ষতা সাধনে সহায়তা পাচ্ছেন। ব্র্যাক ব্যাংককে বাংলাদেশের সবচেয়ে নারীবান্ধব ব্যাংক হিসেবে গড়ে তোলাই এই প্ল্যাটফর্মের মূল উদ্দেশ্য। ১ হাজার ২০০ জনের বেশি নারী কর্মকর্তা নিয়ে গঠিত ‘তারা ফোরাম’ হচ্ছে প্রাইভেট সেক্টরে নারী ব্যাংকারদের সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম।
নারী কর্মকর্তা নিয়োগে অন্যতম
ব্র্যাক ব্যাংকে রয়েছে ১০ হাজারেরও বেশি কর্মী। এই মোট কর্মীর ১৬ ভাগই নারী এবং এই হার ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতেও রয়েছে নারীদের পদচারণা। পরিচালনা পর্ষদে আছেন তিনজন নারী পরিচালক। দেশের প্রথম এবং একমাত্র নারী চিফ টেকনোলজি অফিসার (সিটিও) রয়েছে এই ব্র্যাক ব্যাংকেই। এই জন্যই ক্যারিয়ার চয়েসে যেসব নারী ব্যাংককে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন, তাঁদের প্রথম পছন্দের তালিকায় রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক। নারী-পুরুষের সমান অবদান এবং অংশগ্রহণের মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ইতিমধ্যেই সব ক্ষেত্রে সাসটেইনেবল ব্যাংক হিসেবে নিজেদের সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে ব্যাংকটি।
আমানত ও ঋণে নারী গ্রাহকদের অগ্রাধিকার
আমাদের দেশের নারীদের একটা বড় অংশই আনুষ্ঠানিক আর্থিক সেবার বাইরে রয়েছেন। আর্থিক খাতে তাঁদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিতকরণ এবং জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নারীর ক্ষমতায়ন এবং উন্নয়নে ব্র্যাক ব্যাংক নিয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। সে লক্ষ্যকে সামনে রেখেই শুধু ডিপিএস কিংবা এফডিআরের ক্ষেত্রেই নয়, ঋণের ক্ষেত্রেও নারীরা ব্র্যাক ব্যাংকে বিশেষ অগ্রাধিকার পেয়ে থাকেন। ডিপিএস কিংবা এফডিআরের ক্ষেত্রে ইন্ডাস্ট্রি অ্যাভারেজের চেয়ে ওপরে এবং ঋণের ক্ষেত্রে ইন্ডাস্ট্রি অ্যাভারেজের চেয়ে কম সুদহার কার্যকর করা হয় ব্যাংকের নারী, তথা ‘তারা’ গ্রাহকদের জন্য। ৩ লাখেরও বেশি নারী গ্রাহকদের সুবিধাজনক ব্যাংকিং সেবা দিয়ে ইতিমধ্যেই গ্রাহকদের সর্বোচ্চ আস্থা অর্জন করে নিয়েছে ব্যাংকটি।
নারী উদ্যোক্তা তৈরিতে পথিকৃৎ
বর্তমানে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নারীরা ক্ষুদ্র কিংবা মাঝারি পরিসরে ব্যবসায়ের উদ্যোগ নিচ্ছেন। নারীদের ব্যবসায় উদ্যোগের এই হার নিয়মিতই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই উদ্যোগগুলোর প্রধান বাধাই হচ্ছে অর্থায়ন সমস্যা। একটি এসএমইকেন্দ্রিক ব্যাংক হিসেবে নারী এসএমইদের উদ্যোগগুলো যাতে সফল হতে পারে, সেই লক্ষ্যে বিশেষ সুবিধায় অর্থায়নের পাশাপাশি নারী উদ্যোক্তাদের পেশাদার উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে থাকে ব্র্যাক ব্যাংক ‘তারা’ ও ‘উইমেন ইন্টারপ্রেনার সেল’।
নারীদের ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট নিশ্চিতকরণ
ব্যাংকের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে নারী গ্রাহকদের উপস্থিতি লক্ষণীয়, যা ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ‘আস্থা’ ডিজিটাল ব্যাংকিং অ্যাপটি বর্তমান ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রিতে নিয়ে এসেছে গ্রাহক সেবার এক নতুন মাত্রা। গ্রাহকদের দৈনন্দিন প্রায় সব ধরনের ব্যাংকিং প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম এই অ্যাপটি সহজেই ব্যবহারযোগ্য এবং অত্যন্ত দ্রুত কাজ করতে সক্ষম। বর্তমানে এর সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫ লাখ ৪২ হাজার ৩৬০ জন, যার ১৮ শতাংশই নারী।
‘আস্থা’ অ্যাপ ছাড়াও ব্যাংকের অন্যান্য ডিজিটাল চ্যানেলেও নারীদের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশে নারীদের ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট নিশ্চিতকরণে ব্যাংকের বিস্তৃত নেটওয়ার্ক কাজে লাগানোর মাধ্যমে বছরব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি এবং কর্মশালার আয়োজন করে থাকে ব্র্যাক ব্যাংক। নারী উদ্যোক্তাদের ডিজিটাল ও আর্থিক-অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন থেকে ফান্ড পেয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক। এর আওতায় প্রান্তিক অঞ্চলের নারীদের জন্য ডিজিটাল চ্যানেলে উপস্থিতি বৃদ্ধি, অর্থায়নের সুবিধা, বাজারে প্রবেশাধিকার এবং সক্ষমতা উন্নয়ন কার্যক্রম নিশ্চিত করার কৌশলগত উদ্দেশ্য বিস্তৃত ও জোরদার করতে কাজ করছে ব্র্যাক ব্যাংক।
নারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অনন্য
ব্যাংকের গ্রাহক কিংবা কর্মকর্তা নারীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি ব্র্যাক ব্যাংক সব সময় যত্নশীল। ‘তারা’ গ্রাহকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে বছরব্যাপী ব্র্যাক ব্যাংক বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে থাকে। এসব কর্মসূচিতে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দিয়ে থাকেন দেশ-বিদেশের স্বনামধন্য চিকিৎসকেরা, যেখানে গ্রাহকেরা ফ্রি রেজিস্ট্রেশন করেই সেবা নিতে পারেন। ব্যাংকের তারা গ্রাহকদের জন্য রয়েছে ১২ মাসের জন্য আকর্ষণীয় হেলথ ইনস্যুরেন্স প্যাকেজ, যা একদম বিনা মূল্যে। ব্র্যাক ব্যাংক কর্তৃক আয়োজিত ‘ব্রেস্ট ক্যানসার অ্যাওয়ারনেস’ প্রোগ্রাম আরও একটি উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ, যেখান থেকে তারা গ্রাহকেরা ব্রেস্ট ক্যানসার-সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উপকৃত হয়ে থাকেন। এ ছাড়া গ্রাহকেরা যেকোনো সময় ভার্চুয়ালি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে পারেন।
দেশে গাড়ি বানাতে কোন যন্ত্রাংশের দাম কেমন হবে, সেই বিষয়ে জানতে চেয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। বিশেষ করে কোন দেশের অথবা কোম্পানির চেসিস ভালো হবে, কোনটির দাম কত পড়বে। সাধারণত ভারত থেকে আমদানি করা একটি চেসিসের দাম আনুমানিক ৪৩ লাখ টাকা। ভারী যানবাহনের জন্য কিছু উন্নত মডেলের দাম ৮৩ লাখ টাকা।
২ ঘণ্টা আগেএমিরেটস এয়ারলাইনের বহরে যুক্ত হতে যাচ্ছে প্রথম এয়ারবাস এ৩৫০। গতকাল সোমবার ফ্রান্সে এয়ারবাস প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এমিরেটসের কাছে এয়ারবাসটি ডেলিভারি করা হয়। এমিরেটস ইতিমধ্যে
৪ ঘণ্টা আগেট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণায় প্রয়োজনে মেক্সিকো ও চীনের ওপর শতভাগ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন। এ ছাড়া তিনি বলেছিলেন, শুল্ক ও অন্যান্য বিধিনিষেধের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সর্বাধিক সুবিধাপ্রাপ্ত দেশ (মোস্ট–ফেভারড নেশন) চীন। চীনের এই বিশেষ সুবিধা তিনি রাখবেন না।
৮ ঘণ্টা আগেআদানির ঘুষ দুর্নীতি নিয়ে ভারতের পার্লামেন্টেও উত্তেজনা ছড়িয়েছে। গতকাল সোমবার আইনপ্রণেতারা আদানির বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে আলোচনার দাবি তুললে হট্টগোল শুরু হয়, পরে অধিবেশন স্থগিত করা হয়।
৯ ঘণ্টা আগে