Ajker Patrika

শেয়ারবাজার থেকে উবে যাচ্ছে বিনিয়োগ, বাড়ছে ক্ষোভ

  • গতকাল এক দিনে সূচক কমেছে প্রায় ৩%। 
  • টানা পতনে সূচক ৪ বছর আগের অবস্থানে। 
  • কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সামনে ক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা।
আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা
আড়াই মাসে ১৭ শতাংশ সূচকের পতন হয়েছে। পুঁজিবাজারের মূলধন কমেছে প্রায় ১০%। পুঁজি হারানো বিনিয়োগকারীরা নেমেছেন রাস্তায়। পুঁজিবাজার সংস্কারের দাবিতে গতকাল রাজধানীর মতিঝিলে বিক্ষোভ করেন তাঁরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
আড়াই মাসে ১৭ শতাংশ সূচকের পতন হয়েছে। পুঁজিবাজারের মূলধন কমেছে প্রায় ১০%। পুঁজি হারানো বিনিয়োগকারীরা নেমেছেন রাস্তায়। পুঁজিবাজার সংস্কারের দাবিতে গতকাল রাজধানীর মতিঝিলে বিক্ষোভ করেন তাঁরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

দীর্ঘদিনের অনিয়মের বলি দেশের পুঁজিবাজার। এখন এর খেসারত দিচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। লাগাতার দরপতনে পুঁজি হারিয়ে দিশেহারা তাঁরা। গত আড়াই মাসে ১৭ শতাংশ সূচক পতনের সঙ্গে পুঁজিবাজারের মূলধন কমেছে প্রায় ১০ শতাংশ। পুঁজি হারানোর এই মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। কিন্তু নিয়ন্ত্রক ও কর্তৃপক্ষের তরফে পর্যাপ্ত বা দৃশ্যমান উদ্যোগ না দেখে ক্ষোভ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। 

এ পরিস্থিতিতেও আশার কথা বলছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম। তিনি গতকাল রোববার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বেশ লম্বা সময় ধরে পুঁজিবাজার পতনমুখী রয়েছে। গত ১৫ বছরের মধ্যে বাজার এখন অবমূল্যায়িত। অন্যদিকে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে। মূল্যস্ফীতি অনেকটা কমে এসেছে। সামগ্রিক অর্থনীতি ধীরে ধীরে স্থিতিশীলতার দিকে যাচ্ছে। এসবের সঙ্গে পুঁজিবাজারও দ্রুত ঘুরে দাঁড়াবে। এই জায়গায় শেয়ার কেনার চাপ আসবে। বিদেশি বিনিয়োগও আসবে।’ 

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরে পুঁজিবাজারে চরম পর্যায়ের কারসাজি, ভালো কোম্পানির অভাব, খারাপ কোম্পানির তালিকাভুক্তি, সরকারসংশ্লিষ্টদের সুবিধা প্রদান, অপরাধের শাস্তি না হওয়ার মতো নানা অনিয়ম ছিল প্রাত্যহিক ঘটনা। এসবের মধ্যে দরপতন ঠেকাতে কৃত্রিম পদ্ধতি হিসেবে আরোপ করা হয়েছিল ফ্লোর প্রাইস। এর মাধ্যমে পুঁজিবাজারের প্রকৃতি বিকৃত করা হয়। তবে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। এরপরই বড় পতনের মুখে পড়ে দেশের পুঁজিবাজার। বিষয়টি সবাই মেনেও নেন বাজার সংশোধনের অংশ হিসেবে। মাঝখানে কিছুটা আশা দেখা গেলেও সেই দরপতন থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি পুঁজিবাজার। 

এই অবস্থায় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পুঁজিবাজার নিয়ে রঙিন স্বপ্ন বুনেছিলেন বিনিয়োগকারীরা। নতুন সরকার, নতুন কমিশন। আশা ছিল, নানামুখী উদ্যোগে ঘুরে দাঁড়াবে পুঁজিবাজার। শুরুটা ভালোই হয়েছিল। ৫ আগস্টের পর টানা চার কর্মদিবসে ডিএসইর সূচক বাড়ে ৭৮৬ পয়েন্ট। তবে এরপর বিনিয়োগকারীর হাসি উবে যায় লাগাতার দরপতনে। 

গতকালও বড় পতন, কমিটি গঠন 
পতনে পতনে এখন পুঁজিবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীর আস্থাহীনতা এমন পর্যায়ে ঠেকেছে যে, গত দুই মাসের মধ্যেই কয়েকবার শতাধিক পয়েন্টের বেশি সূচক কমেছে। গতকাল এক দিনেই কমেছে প্রায় দেড় শ পয়েন্ট বা ৩ শতাংশের কাছাকাছি। এর মধ্য দিয়ে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচকের অবস্থান নেমেছে চার বছরে আগের স্থানে। এমন পরিস্থিতির জন্য বিনিয়োগকারীরা আঙুল তুলেছেন স্টক এক্সচেঞ্জ ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার দিকে। 

ডিএসইতে গতকাল লেনদেন হওয়া ৩৯৬টি কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে ৩৪১টির, বেড়েছে ২৯টির। ২৬টির দর অপরিবর্তিত থাকে। এতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৪৯ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৯১ শতাংশ। সূচকটি অবস্থান করছে ৫ হাজার ৯৬৫ পয়েন্টে। সূচকের অবস্থান এর চেয়ে কম ছিল ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর। ওই দিন ৪ হাজার ৯৩৪ পয়েন্টে নেমেছিল সাধারণ সূচক। 

অবশ্য টানা দরপতনকে অস্বাভাবিক এবং সন্দেহজনক বলে মনে করছে বিএসইসি। তাই গতকাল দরপতনের কারণ তদন্তে চার সদস্যের কমিটি গঠন করেছে সংস্থাটি। বড় পতনের কারণ, বাজার অস্থিতিশীল করতে গুজব ছড়ানো ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা, অন্যান্য বিষয় খতিয়ে দেখা এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়ানোর জন্য সুপারিশ করতে কমিটিকে ১০ কর্মদিবস সময় দেওয়া হয়েছে। 

ক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা রাজপথে
দরপতনের প্রতিবাদ ও বিএসইসি চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে চলতি অক্টোবরের শুরু থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় কর্মসূচি পালন করে আসছেন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা। ৩ অক্টোবর বিএসইসিতে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটে। গতকালও রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে মানববন্ধন করেন বিনিয়োগকারীরা। আজ সোমবার ফের মতিঝিলে ডিএসইর পুরোনো ভবনের সামনে কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। 

বিনিয়োগকারী সানী মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৫ আগস্টের পর থেকে আমার পোর্টফোলিও প্রায় ৫০ শতাংশ নাই হয়ে গেছে। কী যে করব, কী করা উচিত—বুঝতে পারছি না। নিয়ন্ত্রক সংস্থা, স্টক এক্সচেঞ্জ তাদের দায়িত্ব পালন করছে বলে মনে হচ্ছে না?’ 

বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের একাংশের সভাপতি এ কে এম মিজান-উর-রশিদ চৌধুরী বলেন, ‘১৫ বছরে অসুস্থ কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে এনে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। যতগুলো কোম্পানির শেয়ার ইস্যুমূল্যের নিচে অবস্থান করছে, তাদের প্রত্যেককে ধরে বিনিয়োগকারীর টাকা উদ্ধার করে দিতে হবে। তবেই বাজার আস্থা ও আপন গতি ফিরে পাবে। তা ছাড়া আর উপায় নেই।’

কেন এমন হচ্ছে? 
আতঙ্ক ও আস্থাহীনতাই চলমান দরপতনের কারণ বলে জানান মিডওয়ে সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশেকুর রহমান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অবশ্যই অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং গত ১৫ বছরের অনিয়মের প্রতিফলন আছে। এর সঙ্গে এখন যোগ হয়েছে আতঙ্কে শেয়ার বিক্রি। আবার যাঁরা মার্জিন ঋণ নিয়ে শেয়ার কিনেছিলেন, তাঁদেরকে ফোর্সড সেলের মধ্যে পড়তে হচ্ছে।’ 

আশেকুর রহমানের মতে, ‘বাজারে আস্থা বড় ইস্যু। গত দু-তিন দিন থেকে ভালো শেয়ারের দামও পড়ে গেছে। অর্থাৎ, বিনিয়োগকারীরা আস্থা থেকে অনেকখানি দূরে চলে গেছেন। এখন তাঁরা সব শেয়ার বিক্রি করে পুঁজি যতটুকু সম্ভব রক্ষা করার চেষ্টা করছেন।’

বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সহসভাপতি রিয়াদ মতিন বলেন, ‘দেশের সামগ্রিক অবস্থাও এখন পর্যন্ত ঠিক হয়ে আসেনি। বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সম্প্রতি সংবিধান, রাষ্ট্রপতি ইত্যাদি ইস্যু নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি পুরোপুরি স্থিতিশীল, সেটা বলতে পারছি না।’ 

তবে আশার কথা বলছেন ট্রেজার সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা মোস্তফা মাহবুব উল্লাহ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যখন সংকট ছিল, সবাই চুপ ছিল। কিন্তু এখন ধৈর্য ধরার সময়ে অধৈর্য হয়ে যাচ্ছে। ব্যাংকিং খাত অনেকটা গুছিয়ে এসেছে। তবে পুঁজিবাজারের সংস্কার চলছে। এর সুফল পাব।’

বিএসইসি ও ডিএসই যা বলছে
বর্তমান দরপতনের কারণ হিসেবে ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাজারের এই অবস্থা দীর্ঘদিনের ভুল সিদ্ধান্ত, অনিয়মের কারণে। এখন এগুলো ঠিক করা বা নীতিগত অসংগতি দূর করতে সময় লাগছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সব কাজ যে দীর্ঘ মেয়াদে করছি, তা নয়। স্বল্প মেয়াদেও বিনিয়োগকারীদের জন্য কিছু সুবিধা কীভাবে আদায় করা যায়, সেটা নিয়ে কাজ করছি। আজকে (গতকাল) সকালেও আমরা প্রতিনিধিদলসহ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করেছি।

ব্যক্তিগত করদাতার ক্যাপিটাল গেইনের ওপর কর, লেনদেনের ওপর কর, ব্রোকারেজ হাউসের লোকসান কমানোর জন্য অগ্রিম কর (এআই) কীভাবে সমন্বয় করা যায়, সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা আশা করছি, খুব শিগগিরই কিছু ইতিবাচক প্রভাব আসবে।’ 

বিএসইসি কী কাজ করছে—এমন প্রশ্নে সংস্থার মুখপাত্র রেজাউল করিমের বক্তব্য, ‘বিনিয়োগকারীদের আস্থা ও তারল্য বৃদ্ধির জন্য কমিশন কাজ করছে। আগামীতেও করবে। বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে। তাঁদের মতামত নেওয়া হচ্ছে। এসব সুপারিশ সুনির্দিষ্টভাবে বিন্যস্ত করে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে। এ ছাড়াও পুঁজিবাজারে তারল্য বাড়ানোর জন্য আইসিবির সক্ষমতা বাড়াতে সরকারের কাছে আর্থিক বরাদ্দের জন্য কমিশনের পক্ষ থেকেও সুপারিশ করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈঠক: স্মার্টফোনে নগদ সহায়তা ইন্টারনেটে ছাড়ের প্রস্তাব

জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নগদবিহীন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য বাস্তবায়নে স্মার্টফোন কেনা ও ইন্টারনেট ব্যবহারে ভর্তুকি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিউআর কোড চালু থাকলেও কাঙ্ক্ষিত সাড়া না পাওয়ায় বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করে এই নতুন উদ্যোগের কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে নির্দিষ্ট স্মার্টফোনে ব্যবহৃত সিমের ওপর কর ও ভ্যাট কমানোর বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

গতকাল রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এসব প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। বৈঠকে উপস্থিত কর্মকর্তারা জানান, নগদবিহীন লেনদেন প্রসারে একক ও আন্তসংযোগ-ভিত্তিক পেমেন্ট সিস্টেম চালুর বিষয়ে নীতিগতভাবে একমত হন অংশগ্রহণকারীরা। প্রস্তাবগুলো পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত আকারে উপস্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ‘বাংলা কিউআর’ চালুর মাধ্যমে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) অ্যাপ ব্যবহার করে নগদবিহীন লেনদেন শুরু হয়। বর্তমানে এই ব্যবস্থায় ৪৩টি ব্যাংক, ৫টি মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) এবং ৩টি পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার (পিএসপি) যুক্ত রয়েছে। তবে সাধারণ মানুষের মধ্যে এটি এখনো জনপ্রিয়তা পায়নি। গবেষণায় দেখা গেছে, স্মার্টফোনের অভাব, সার্বক্ষণিক ইন্টারনেট ব্যয় এবং অতিরিক্ত চার্জের কারণে প্রান্তিক ও সাধারণ গ্রাহকদের বড় একটি অংশ এই ব্যবস্থার বাইরে রয়ে গেছে।

এই বাস্তবতায় স্মার্টফোন কেনায় নগদ সহায়তা এবং ইন্টারনেট ব্যবহারে বিশেষ ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব গৃহীত হয়। পাশাপাশি মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবাকে সাশ্রয়ী করতে অপারেটরদের জন্য ভ্যাট ও করছাড় দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় আনার সুপারিশ করা হয়েছে।

সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লক্ষ্য অনুযায়ী, ২০২৭ সালের মধ্যে দেশের খুচরা লেনদেনের অন্তত ৭৫ শতাংশ ডিজিটাল মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে। আর ২০৩১ সালের মধ্যে সব ধরনের লেনদেন ক্যাশলেস করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, যা ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১’-এর চার স্তম্ভ—স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজ বাস্তবায়নের অংশ। এই লক্ষ্যে ব্যাংক, এমএফএস, মাইক্রোফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য পেমেন্ট সেবাদাতাকে একটি একক আন্তসংযোগ ব্যবস্থার আওতায় আনার কাজ চলছে। ইন্টারঅপারেবিলিটি পেমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে সহজে টাকা আদান-প্রদানের সুযোগ তৈরিই এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য।

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, দেশকে ক্যাশলেস করতে হলে প্রত্যেক নাগরিকের কাছে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকার মধ্যে স্মার্টফোন পৌঁছাতে হবে। প্রয়োজনে এ জন্য বিশেষ সুবিধাও দেওয়া হবে। একই সঙ্গে শিগগির সব সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দরে ২৪ ঘণ্টা ‘রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট সিস্টেম’ চালুর কথাও জানান তিনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পেমেন্ট সিস্টেম প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেশে এখনো ৭২ শতাংশের বেশি লেনদেন নগদে হচ্ছে। যদিও ছোট ও মাঝারি অঙ্কের লেনদেনে ডিজিটাল ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ছে। অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, ডিজিটাল অবকাঠামো শক্তিশালী করা এবং সাশ্রয়ী প্রযুক্তি নিশ্চিত করা ছাড়া ক্যাশলেস অর্থনীতি গড়া সম্ভব নয়।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নগদনির্ভরতা কমাতে হলে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের প্রতি আস্থা তৈরি করতে হবে। একবার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হলে মুদ্রণ ব্যয়সহ আর্থিক ব্যবস্থাপনার খরচও উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ক্যাশ ইজ কিং’ ধারণা এখনো বাস্তবতা। দেশের অধিকাংশ লেনদেন অনানুষ্ঠানিক খাতে হয়। এসব খাতকে আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থার আওতায় না আনলে ক্যাশলেস সমাজ গড়া কঠিন। নগদে স্বচ্ছন্দ থাকার পুরোনো মানসিকতার কারণে এই রূপান্তরে এখনো বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে আছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অর্থবছরের ৫ মাস: রাজস্ব আদায়ে বড় ঘাটতি

আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা 
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ৪৩
অর্থবছরের ৫ মাস: রাজস্ব আদায়ে বড় ঘাটতি
ছবি: সংগৃহীত

রাজস্ব খাতে ব্যাপক সংস্কার এবং সব খাতে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনা (অটোমেশন) চালুর উদ্যোগের পাশাপাশি কর্মকর্তাদের বাড়তি তৎপরতা সত্ত্বেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) লক্ষ্য অনুযায়ী রাজস্ব আদায় করতে পারছে না। প্রতিমাসে রাজকোষের হিসাবের সঙ্গে মিলিয়ে ঘাটতির ব্যবধান স্পষ্ট হচ্ছে এবং চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর পর্যন্ত সেই ধারাবাহিকতা বজায় আছে।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে ১ লাখ ৭৩ হাজার ২৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে মাত্র ১ লাখ ৪৮ হাজার ৯৭৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ৪৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বা ১৩.৮৯ শতাংশ।

তবে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি চোখে পড়ার মতো—রাজস্ব আদায়ে বৃদ্ধি হয়েছে ১৫.১৫ শতাংশ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে আদায় হয়েছিল ১ লাখ ২৯ হাজার ৩৭৯ কোটি ৬১ লাখ টাকা।

এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, ব্যবসা-বাণিজ্যের ধীরগতির কারণে রাজস্ব আদায় প্রত্যাশার তুলনায় কম হয়েছে। তবে বছরের শেষ দিকে সাধারণত আদায় বাড়ে। করের আওতা বৃদ্ধি, কর পরিপালন জোরদার করা এবং ফাঁকি প্রতিরোধে এনবিআর সক্রিয়।

অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকেরা বলছেন, সামগ্রিক অর্থনৈতিক মন্দাভাব, কাঠামোগত দুর্বলতা ও সক্ষমতার অভাব সরাসরি রাজস্ব আদায়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তা ছাড়া অর্থবছরের মাঝপথে লক্ষ্যমাত্রা একলাফে ৫৫ হাজার কোটি টাকা বাড়ানোর কারণে বাস্তবতার সঙ্গে লক্ষ্যমাত্রার ব্যবধান আরও প্রকট হয়েছে।

চলতি অর্থবছরের জন্য মোট রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা। তবে ১০ নভেম্বর বাজেট মনিটরিং ও সম্পদ কমিটি তা ৫ লাখ ৫৪ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করে। ফলে বাকি সাত মাসে এনবিআরকে ৪ লাখ ৫ হাজার ২৪ কোটি টাকা আদায় করতে হবে।

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিবছর রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি থাকে। প্রধান কারণ হলো এনবিআরের সক্ষমতার চেয়ে বেশি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ। মানবসম্পদ, কারিগরি দক্ষতা ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা পর্যাপ্ত নয়; পাশাপাশি করদাতা এবং করযোগ্য ব্যক্তির মধ্যে বড় ব্যবধান রয়েছে, কর ফাঁকিও প্রচুর। বর্তমান ব্যবসায়িক মন্দা, খরচ বৃদ্ধি, আয় হ্রাস এবং ব্যক্তিগত বিনিয়োগ কমে যাওয়াও রাজস্ব আদায়ে বাধা সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বাড়ানো, অটোমেশন ও সংস্কার দ্রুত বাস্তবায়ন করলে রাজস্ব ফাঁকি রোধ করে আদায় বাড়ানো সম্ভব।

সাবেক আমলা ও জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ফিরোজ মিয়া বলেন, এনবিআরের সামর্থ্যের চেয়ে বেশি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ নতুন কিছু নয়। সম্প্রতি প্রশাসনিক পদে বড় রদবদলের কারণে কার্যক্রম গোছাতে কিছুটা সময় লাগা স্বাভাবিক।

রাজস্ব খাত অনুযায়ী, ভ্যাট থেকে সবচেয়ে বেশি আদায় হয়েছে। প্রথম পাঁচ মাসে ভ্যাট আদায় হয়েছে ৫৮ হাজার ২৩১ কোটি টাকা, যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬২ হাজার ৪৮ কোটি টাকা; ঘাটতি ৩ হাজার ৮১৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা বা ৬.১৫ শতাংশ। আগের বছরের একই সময়ে ভ্যাট আদায়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২১.৯৭ শতাংশ।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাজস্ব আসে আয়কর খাতে। আদায় হয়েছে ৪৭ হাজার ৮৮১ কোটি, লক্ষ্যমাত্রা ৫৯ হাজার ৯৯৫ কোটি ২৫ লাখ; ঘাটতি ২০.১৯ শতাংশ। আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৭ শতাংশ। কাস্টমস বা শুল্ক খাতে ৪২ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা আদায় হয়েছে, লক্ষ্যমাত্রা ৫০ হাজার ৯৭৯ কোটি ৫৬ লাখ; ঘাটতি ১৫.৯১ শতাংশ, তবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫.২৮ শতাংশ।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, রাজস্ব সংগ্রহের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার অপরিহার্য। এনবিআরের মানবসম্পদ, প্রযুক্তি ব্যবহার, প্রক্রিয়ার সরলীকরণ এবং অটোমেশন কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে লক্ষ্য পূরণ করা কঠিন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আদালতের রায়ে ইতিহাস গড়লেন ইলন মাস্ক, সম্পদ ছাড়াল ৭০০ বিলিয়ন ডলার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯: ২৪
টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক। ছবি: সংগৃহীত
টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক। ছবি: সংগৃহীত

পে প্যাকেজ বা বেতন-ভাতাসংক্রান্ত একটি মামলার রায়ের পর টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্কের সম্পদ গত শুক্রবার রাতে ৭৪৯ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে ঠেকেছে।

ফোর্বসের বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী, ডেলাওয়্যার সুপ্রিম কোর্ট মাস্কের ১৩৯ বিলিয়ন ডলার মূল্যের টেসলা স্টক অপশনগুলো পুনর্বহাল করার পরই তাঁর সম্পদে এই বিশাল উল্লম্ফন দেখা যায়।

উল্লেখ্য, গত বছর আদালত এই সুবিধাগুলো বাতিল করেছিলেন।

২০১৮ সালে মাস্কের যে বেতন প্যাকেজের মূল্য ৫৬ বিলিয়ন ডলার ছিল, সেটিই গত শুক্রবার ডেলাওয়্যার সুপ্রিম কোর্ট পুনর্বহাল করেন। এর দুই বছর আগে নিম্ন আদালত ওই পারিশ্রমিক চুক্তিকে ‘অবিশ্বাস্য’ আখ্যা দিয়ে বাতিল করেছিলেন।

সুপ্রিম কোর্ট রায়ে বলেছেন, ২০২৪ সালে দেওয়া যে সিদ্ধান্তে বেতনের প্যাকেজটি বাতিল করা হয়েছিল, তা সঠিক ছিল না এবং মাস্কের প্রতি অন্যায্য ছিল।

এর আগে চলতি সপ্তাহে মহাকাশ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স শেয়ারবাজারে আসতে পারে—এমন প্রতিবেদনের পর মাস্কের সম্পদ ৬০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্য দিয়ে তিনি ইতিহাসে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন।

এদিকে গত নভেম্বরে টেসলার শেয়ারহোল্ডাররা আলাদাভাবে মাস্কের জন্য ১ ট্রিলিয়ন ডলারের একটি পারিশ্রমিক পরিকল্পনা অনুমোদন করেন।

এটি করপোরেট ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বেতন প্যাকেজ। বিনিয়োগকারীরা বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা টেসলাকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও রোবটিকসভিত্তিক এক শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরে মাস্কের পরিকল্পনার প্রতি সমর্থন জানান।

ফোর্বসের তালিকা অনুযায়ী, মাস্কের বর্তমান সম্পদমূল্য গুগলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজের চেয়ে প্রায় ৫০০ বিলিয়ন ডলার বেশি। ল্যারি পেজ বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি।

তথ্যসূত্র: রয়টার্স

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পুঁজিবাজারে নথি জমা এখন এক ক্লিকে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
পুঁজিবাজারে নথি জমা এখন এক ক্লিকে

দীর্ঘদিন ধরে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর তথ্য জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া ছিল জটিল ও সময়সাপেক্ষ। একই তথ্য বারবার ছাপিয়ে আলাদা স্টক এক্সচেঞ্জে জমা দিতে হতো। এ সমস্যার সমাধান হিসেবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সম্প্রতি চালু করেছে সম্পূর্ণ অনলাইনভিত্তিক স্মার্ট সাবমিশন সিস্টেম (এসএসএস)।

নতুন এই সিস্টেমের মাধ্যমে কোম্পানি ও ফান্ডগুলো মূল্য সংবেদনশীল ঘোষণা, আর্থিক প্রতিবেদন ও অন্যান্য রেগুলেটরি ফাইলিং কাগজ ছাড়াই অনলাইনে জমা দিতে পারবে। এতে সময় ও খরচ কমার পাশাপাশি তথ্য ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা এবং ট্র্যাকিং ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

ডিএসই সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হওয়া এই প্ল্যাটফর্ম ধাপে ধাপে সম্প্রসারণ করা হয়েছে। সর্বশেষ দুটি নতুন মডিউল যুক্ত হওয়ায় এখন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে তথ্য একই ডিজিটাল গেটওয়ে দিয়ে জমা দেওয়া সম্ভব। ফলে দ্বৈত সাবমিশনের ঝামেলা প্রায় সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে কাগুজে নথির ওপর নির্ভরতা পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। ডিজিটাল সাবমিশন শুধু সুবিধার বিষয় নয়, এটি বাজার শৃঙ্খলা ও সময়ানুবর্তিতা নিশ্চিত করার একটি কাঠামোগত পরিবর্তন।

ডিএসই জানায়, চায়নিজ কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে কাজ করে প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বাড়ানোর পর সিস্টেমটি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে ভবিষ্যতে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী নতুন ফিচার যুক্ত করা সহজ হবে।

প্রযুক্তিগত দিক থেকে এর গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে ডিএসইর প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা ড. মো. আসিফুর রহমান বলেন, একক ডিজিটাল সাবমিশন পয়েন্ট চালু হওয়ায় ম্যানুয়াল হস্তক্ষেপজনিত ভুল কমবে এবং তথ্য জমার প্রতিটি ধাপ ডিজিটালি যাচাইযোগ্য থাকবে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই উদ্যোগের প্রভাব শুধু স্টক এক্সচেঞ্জেই সীমাবদ্ধ থাকবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত