মন্টি বৈষ্ণব

রাজশাহীর মেয়ে শবনম রেজা মিতু। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান মিতু ছোটবেলা থেকে বেড়ে উঠেছেন রাজশাহীতে। মিতু পড়ালেখা করেছেন রাজশাহীর নবাবগঞ্জ সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় এবং রাজশাহী নিউ গভর্নমেন্ট ডিগ্রি কলেজ থেকে। এর পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মনোবিজ্ঞানে মাস্টার্স করেন।
জীবন প্রবাহের অনেক ঘটনাচক্রের চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আজ মিতু সফল নারী উদ্যোক্তা। তাঁর প্রতিষ্ঠানের নাম ‘কল্প বসন’। ২০১৪ সাল থেকেই মিতুর ইচ্ছা ছিল একটা বুটিক হাউস দেওয়ার। কিন্তু বিয়ে-সংসারের কাজের চাপে সে ইচ্ছা অপূর্ণ থেকে যায়। আর দিন শেষে মিতুর পরিচয় গিয়ে দাঁড়ায় একজন গৃহিণী হিসেবে। সেই বুটিক হাউস থেকে যায় কল্পজগতেই। কিন্তু জীবন তো থেমে থাকে না। দৃঢ়তা থাকলে সবই বাস্তবে রূপ দেওয়া সম্ভব। মিতুর ‘কল্প বসন’ তারই প্রমাণ।
একটা সময় সংসারের নিয়মনীতির বেড়াজাল অতিষ্ঠ করে তোলে মিতুর জীবন। বেরিয়ে আসেন সেই বেড়াজাল থেকে। একমাত্র সন্তান নিয়ে শুরু হয় তাঁর একার লড়াই। ধীরে ধীরে মানসিক পীড়নে অসুস্থও হয়ে পড়েন। জীবনের স্বস্তির নিশ্বাসটুকু যখন তিনি হারিয়ে ফেললেন, ঠিক তখনই সন্তানের কথা চিন্তা করে ভাবেন জীবনে বেঁচে থাকতে হলে নিজেকে সুস্থ রাখতে হবে, আর কিছু একটা করতে হবে। সেই উপলব্ধি থেকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর শক্তি ফিরে পান। পরিকল্পনা করেন উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশের। আর সেই স্বপ্নের জায়গা থেকে নিজের এলাকার ঐতিহ্যের সঙ্গে দেশি পণ্য রাজশাহী সিল্ক নিয়ে শুরু করেন অনলাইনভিত্তিক শপিং প্ল্যাটফর্ম ‘কল্প বসন’।
‘কল্প বসন’-এর শুরুর গল্পটা মিতুর কাছ থেকে শুনতে চাইলে বলেন, ‘২০২০ সালে করোনার সময়ে জীবনের কঠিন বাস্তবতায় ১৩ অক্টোবর থেকে শুরু করি রাজশাহী সিল্ক নিয়ে আমার ছোট উদ্যোগ—কল্প বসন। দেখতে দেখতে এক বছর হয়ে গেছে। এখন আমার মাসিক আয় প্রায় ১৫ হাজার টাকা।’
চাকরিকে প্রাধান্য না দিয়ে দেশি পণ্যের উদ্যোক্তা হিসেবেই নিজেকে গড়তে চেয়েছেন মিতু। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘আমার একমাত্র সন্তান, আর নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার ইচ্ছা থেকেই উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখেছি। এ ক্ষেত্রে আরেকটা বিষয় কাজ কাজ করে। সেটা হলো, আমাদের সমাজ বাস্তবতায় নারীরা চাইলে নিজের সন্তানকে একাই বড় করে তুলতে পারে। এ ক্ষেত্রে নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়াটা খুব জরুরি। উদ্যোক্তা হওয়ার কারণে নিজের সন্তানের দেখভালের দায়িত্ব নিতে পেরেছি। এটা আমার জীবনের জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি।’
তারপরও মানুষের কথা তো থেমে থাকে না। সমাজের অন্য দশজন নারীর মতোই তাঁকেও শুনতে হয় বিচিত্র সব মন্তব্য। এসব ডিঙিয়েই মিতু এগিয়ে যাচ্ছেন তাঁর স্বপ্নের পথে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সমাজ নারীদের চলার পথটা অনেক বেশি কঠিন করে তুলেছে। দেশে একজন নারী উদ্যোক্তা হওয়া সহজ বিষয় নয়। কারণ, সমাজের কিছু মানুষ নারীদের অনলাইনে কাজ করার বিষয়টা ভালোভাবে নিতে পারেন না। প্রায় সময় শুনতে হয়, এত পড়াশোনা করে এখন অনলাইনে কাপড় বেচে, হিজাব পরে লাইভ করে, নারীদের এত ঘরের বাইরে যাওয়া ঠিক না। এর সঙ্গে আছে পণ্যের দাম। ভালো মানের রাজশাহী সিল্ক নিয়ে যেহেতু আমার কাজ, তাই পণ্যের দাম নিয়ে অনেক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু আমি অনেক ধৈর্যশীল। তাই সব ধরনের প্রতিবন্ধকতাকে পেছনে ফেলে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পছন্দ করি। নারী উদ্যোক্তাদের পদে পদে বাধার সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু সে বাধাকে জয় করার সাহস রাখতে হবে নিজের ভেতরে।’
এই লড়াইয়ে পরিবারকে সব সময় পাশে পেয়েছেন মিতু। বললেন, ‘আমার পরিবার আমাকে সব সময় সহযোগিতা করেছে। সব থেকে বড় অবদান আমার আপু সুলতানা শ্যামলীর। সে আমার পাশে শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ছায়ার মতো রয়েছে। কল্প বসনের পরামর্শদাতা হিসেবে আছেন তিনি। তাঁর কথা অনুযায়ী আমি আমার ব্যবসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি। নারী উদ্যোক্তা হতে হলে পরিবারের সাপোর্টটা অনেক দরকার।’
মিতু রাজশাহী সিল্ক নিয়ে কাজ করেন। এর পাশাপাশি তিনি তাঁত, নকশি পণ্য নিয়েও কাজ করেন। মিতুর পরিবার বলতে একমাত্র ছেলে আরাফ আরিয়ান। তাঁকে নিয়ে তাঁর পুরো জগৎ। সকল দুঃখ-কষ্ট দূর করে তিনি ছেলেকে মানবিক মানুষ হিসবে গড়ে তুলতে চান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের নারীরা চাইলে অনেক কিছুই করতে পারে। শুধু সামাজিকতার ভয়ে, কে কখন কী বলবে এসব ভেবে অনেক নারী কিছুই করার সাহস পান না। নারীদের জন্য আমাদের সমাজের চলার পথটা খুব বেশি মসৃণ নয়। আমাদের দেশে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার অনেক কিছুই আছে। শুধু প্রয়োজন ধৈর্য, সাহস, মনোবল ও পরিবারের সহযোগিতা।’
‘কল্প বসন’-এর স্বত্বাধিকারী শবনম রেজা মিতুর কাছে দেশীয় পণ্য রাজশাহী সিল্ক নিয়ে কাজ করার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘আমার কাজটা একটু কঠিন। কারণ, আমার পণ্য, মানে রাজশাহী সিল্ক একটু দামি। রাজশাহী সিল্ককে অনেকেই স্বর্ণের সঙ্গে তুলনা করে। আমি ভালো মানের রাজশাহী সিল্ক নিয়ে কাজ করি। আমি প্রথমে তাঁতির তাঁত থেকে সিল্ক পণ্য সংগ্রহ করি। এর পর নিজে কারিগর দিয়ে ডিজাইন করে তৈরি করি আমার সব সিল্কপণ্য। রাজশাহী সিল্কের বিভিন্ন ধরনের শাড়ি, থ্রিপিস, টুপিস, ওয়ান পিস, ওড়না, ছেলেদের শার্ট, মেয়েদের কুর্তি, মসলিনের টাইডাই, বাটিক, হ্যান্ড প্রিন্ট পণ্য ইত্যাদি রয়েছে পণ্যতালিকায়।
তবে নিজের সিগনেচার পণ্য হিসেবে মনে করেন মটকা সিল্ক শাড়িকে। বললেন, ‘এখানে রয়েছে আমার নিজস্বতার ছোঁয়া। মটকা সিল্কের প্রাইস একটু বেশি। তাই প্রথম দিকে বিক্রি নিয়ে একটু ঝামেলায় পড়তে হয়েছিল। কিন্তু যখন ক্রেতা বুঝেছে শাড়িটা ভালো মানের, তখন থেকে আর কোনো রকম বাধা আসেনি। আমি এই এক বছরে ১৮ পিস মটকা সিল্ক শাড়ি বিক্রি করেছি। সিল্কের পাশাপাশি আমার কিছু নকশি কাজের ড্রেস আছে, যেটা শুধু “কল্প বসন”-এই পাওয়া যায়। এবার শীতে “কল্প বসন”-এর প্রধান চমক রাজশাহী সিল্কের শাল, সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের দেশি শাল। আমি বিশ্বাস করি প্রতিটা নারীর নিজের জন্যই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা দরকার। নারীরা স্বভাবগতভাবেই অনেক গুণের অধিকারী। শুধু দরকার সে গুনের সঠিক ব্যবহার।’
মিতুর জীবনে অনেক বড় অংশ জুড়ে রয়েছে ‘কল্প বসন’। কল্প বসনকে নিয়ে অনেক পরিকল্পনা আছে মিতুর মনে। মিতুর ‘কল্প বসন’-এর একটি শোরুম করার ইচ্ছা রয়েছে তাঁর। সেখানে থাকবে নিজেদের কারখানা, যেখানে কাজ করবেন সুবিধাবঞ্চিত নারীরা। এখন ‘কল্প বসন’-এর কাজের সঙ্গে যুক্ত আছে প্রায় দশ-বারোজন মানুষ। ভবিষ্যতে এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করেন মিতু।

রাজশাহীর মেয়ে শবনম রেজা মিতু। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান মিতু ছোটবেলা থেকে বেড়ে উঠেছেন রাজশাহীতে। মিতু পড়ালেখা করেছেন রাজশাহীর নবাবগঞ্জ সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় এবং রাজশাহী নিউ গভর্নমেন্ট ডিগ্রি কলেজ থেকে। এর পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মনোবিজ্ঞানে মাস্টার্স করেন।
জীবন প্রবাহের অনেক ঘটনাচক্রের চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আজ মিতু সফল নারী উদ্যোক্তা। তাঁর প্রতিষ্ঠানের নাম ‘কল্প বসন’। ২০১৪ সাল থেকেই মিতুর ইচ্ছা ছিল একটা বুটিক হাউস দেওয়ার। কিন্তু বিয়ে-সংসারের কাজের চাপে সে ইচ্ছা অপূর্ণ থেকে যায়। আর দিন শেষে মিতুর পরিচয় গিয়ে দাঁড়ায় একজন গৃহিণী হিসেবে। সেই বুটিক হাউস থেকে যায় কল্পজগতেই। কিন্তু জীবন তো থেমে থাকে না। দৃঢ়তা থাকলে সবই বাস্তবে রূপ দেওয়া সম্ভব। মিতুর ‘কল্প বসন’ তারই প্রমাণ।
একটা সময় সংসারের নিয়মনীতির বেড়াজাল অতিষ্ঠ করে তোলে মিতুর জীবন। বেরিয়ে আসেন সেই বেড়াজাল থেকে। একমাত্র সন্তান নিয়ে শুরু হয় তাঁর একার লড়াই। ধীরে ধীরে মানসিক পীড়নে অসুস্থও হয়ে পড়েন। জীবনের স্বস্তির নিশ্বাসটুকু যখন তিনি হারিয়ে ফেললেন, ঠিক তখনই সন্তানের কথা চিন্তা করে ভাবেন জীবনে বেঁচে থাকতে হলে নিজেকে সুস্থ রাখতে হবে, আর কিছু একটা করতে হবে। সেই উপলব্ধি থেকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর শক্তি ফিরে পান। পরিকল্পনা করেন উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশের। আর সেই স্বপ্নের জায়গা থেকে নিজের এলাকার ঐতিহ্যের সঙ্গে দেশি পণ্য রাজশাহী সিল্ক নিয়ে শুরু করেন অনলাইনভিত্তিক শপিং প্ল্যাটফর্ম ‘কল্প বসন’।
‘কল্প বসন’-এর শুরুর গল্পটা মিতুর কাছ থেকে শুনতে চাইলে বলেন, ‘২০২০ সালে করোনার সময়ে জীবনের কঠিন বাস্তবতায় ১৩ অক্টোবর থেকে শুরু করি রাজশাহী সিল্ক নিয়ে আমার ছোট উদ্যোগ—কল্প বসন। দেখতে দেখতে এক বছর হয়ে গেছে। এখন আমার মাসিক আয় প্রায় ১৫ হাজার টাকা।’
চাকরিকে প্রাধান্য না দিয়ে দেশি পণ্যের উদ্যোক্তা হিসেবেই নিজেকে গড়তে চেয়েছেন মিতু। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘আমার একমাত্র সন্তান, আর নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার ইচ্ছা থেকেই উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখেছি। এ ক্ষেত্রে আরেকটা বিষয় কাজ কাজ করে। সেটা হলো, আমাদের সমাজ বাস্তবতায় নারীরা চাইলে নিজের সন্তানকে একাই বড় করে তুলতে পারে। এ ক্ষেত্রে নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়াটা খুব জরুরি। উদ্যোক্তা হওয়ার কারণে নিজের সন্তানের দেখভালের দায়িত্ব নিতে পেরেছি। এটা আমার জীবনের জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি।’
তারপরও মানুষের কথা তো থেমে থাকে না। সমাজের অন্য দশজন নারীর মতোই তাঁকেও শুনতে হয় বিচিত্র সব মন্তব্য। এসব ডিঙিয়েই মিতু এগিয়ে যাচ্ছেন তাঁর স্বপ্নের পথে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সমাজ নারীদের চলার পথটা অনেক বেশি কঠিন করে তুলেছে। দেশে একজন নারী উদ্যোক্তা হওয়া সহজ বিষয় নয়। কারণ, সমাজের কিছু মানুষ নারীদের অনলাইনে কাজ করার বিষয়টা ভালোভাবে নিতে পারেন না। প্রায় সময় শুনতে হয়, এত পড়াশোনা করে এখন অনলাইনে কাপড় বেচে, হিজাব পরে লাইভ করে, নারীদের এত ঘরের বাইরে যাওয়া ঠিক না। এর সঙ্গে আছে পণ্যের দাম। ভালো মানের রাজশাহী সিল্ক নিয়ে যেহেতু আমার কাজ, তাই পণ্যের দাম নিয়ে অনেক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু আমি অনেক ধৈর্যশীল। তাই সব ধরনের প্রতিবন্ধকতাকে পেছনে ফেলে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পছন্দ করি। নারী উদ্যোক্তাদের পদে পদে বাধার সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু সে বাধাকে জয় করার সাহস রাখতে হবে নিজের ভেতরে।’
এই লড়াইয়ে পরিবারকে সব সময় পাশে পেয়েছেন মিতু। বললেন, ‘আমার পরিবার আমাকে সব সময় সহযোগিতা করেছে। সব থেকে বড় অবদান আমার আপু সুলতানা শ্যামলীর। সে আমার পাশে শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ছায়ার মতো রয়েছে। কল্প বসনের পরামর্শদাতা হিসেবে আছেন তিনি। তাঁর কথা অনুযায়ী আমি আমার ব্যবসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি। নারী উদ্যোক্তা হতে হলে পরিবারের সাপোর্টটা অনেক দরকার।’
মিতু রাজশাহী সিল্ক নিয়ে কাজ করেন। এর পাশাপাশি তিনি তাঁত, নকশি পণ্য নিয়েও কাজ করেন। মিতুর পরিবার বলতে একমাত্র ছেলে আরাফ আরিয়ান। তাঁকে নিয়ে তাঁর পুরো জগৎ। সকল দুঃখ-কষ্ট দূর করে তিনি ছেলেকে মানবিক মানুষ হিসবে গড়ে তুলতে চান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের নারীরা চাইলে অনেক কিছুই করতে পারে। শুধু সামাজিকতার ভয়ে, কে কখন কী বলবে এসব ভেবে অনেক নারী কিছুই করার সাহস পান না। নারীদের জন্য আমাদের সমাজের চলার পথটা খুব বেশি মসৃণ নয়। আমাদের দেশে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার অনেক কিছুই আছে। শুধু প্রয়োজন ধৈর্য, সাহস, মনোবল ও পরিবারের সহযোগিতা।’
‘কল্প বসন’-এর স্বত্বাধিকারী শবনম রেজা মিতুর কাছে দেশীয় পণ্য রাজশাহী সিল্ক নিয়ে কাজ করার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘আমার কাজটা একটু কঠিন। কারণ, আমার পণ্য, মানে রাজশাহী সিল্ক একটু দামি। রাজশাহী সিল্ককে অনেকেই স্বর্ণের সঙ্গে তুলনা করে। আমি ভালো মানের রাজশাহী সিল্ক নিয়ে কাজ করি। আমি প্রথমে তাঁতির তাঁত থেকে সিল্ক পণ্য সংগ্রহ করি। এর পর নিজে কারিগর দিয়ে ডিজাইন করে তৈরি করি আমার সব সিল্কপণ্য। রাজশাহী সিল্কের বিভিন্ন ধরনের শাড়ি, থ্রিপিস, টুপিস, ওয়ান পিস, ওড়না, ছেলেদের শার্ট, মেয়েদের কুর্তি, মসলিনের টাইডাই, বাটিক, হ্যান্ড প্রিন্ট পণ্য ইত্যাদি রয়েছে পণ্যতালিকায়।
তবে নিজের সিগনেচার পণ্য হিসেবে মনে করেন মটকা সিল্ক শাড়িকে। বললেন, ‘এখানে রয়েছে আমার নিজস্বতার ছোঁয়া। মটকা সিল্কের প্রাইস একটু বেশি। তাই প্রথম দিকে বিক্রি নিয়ে একটু ঝামেলায় পড়তে হয়েছিল। কিন্তু যখন ক্রেতা বুঝেছে শাড়িটা ভালো মানের, তখন থেকে আর কোনো রকম বাধা আসেনি। আমি এই এক বছরে ১৮ পিস মটকা সিল্ক শাড়ি বিক্রি করেছি। সিল্কের পাশাপাশি আমার কিছু নকশি কাজের ড্রেস আছে, যেটা শুধু “কল্প বসন”-এই পাওয়া যায়। এবার শীতে “কল্প বসন”-এর প্রধান চমক রাজশাহী সিল্কের শাল, সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের দেশি শাল। আমি বিশ্বাস করি প্রতিটা নারীর নিজের জন্যই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা দরকার। নারীরা স্বভাবগতভাবেই অনেক গুণের অধিকারী। শুধু দরকার সে গুনের সঠিক ব্যবহার।’
মিতুর জীবনে অনেক বড় অংশ জুড়ে রয়েছে ‘কল্প বসন’। কল্প বসনকে নিয়ে অনেক পরিকল্পনা আছে মিতুর মনে। মিতুর ‘কল্প বসন’-এর একটি শোরুম করার ইচ্ছা রয়েছে তাঁর। সেখানে থাকবে নিজেদের কারখানা, যেখানে কাজ করবেন সুবিধাবঞ্চিত নারীরা। এখন ‘কল্প বসন’-এর কাজের সঙ্গে যুক্ত আছে প্রায় দশ-বারোজন মানুষ। ভবিষ্যতে এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করেন মিতু।
মন্টি বৈষ্ণব

রাজশাহীর মেয়ে শবনম রেজা মিতু। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান মিতু ছোটবেলা থেকে বেড়ে উঠেছেন রাজশাহীতে। মিতু পড়ালেখা করেছেন রাজশাহীর নবাবগঞ্জ সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় এবং রাজশাহী নিউ গভর্নমেন্ট ডিগ্রি কলেজ থেকে। এর পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মনোবিজ্ঞানে মাস্টার্স করেন।
জীবন প্রবাহের অনেক ঘটনাচক্রের চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আজ মিতু সফল নারী উদ্যোক্তা। তাঁর প্রতিষ্ঠানের নাম ‘কল্প বসন’। ২০১৪ সাল থেকেই মিতুর ইচ্ছা ছিল একটা বুটিক হাউস দেওয়ার। কিন্তু বিয়ে-সংসারের কাজের চাপে সে ইচ্ছা অপূর্ণ থেকে যায়। আর দিন শেষে মিতুর পরিচয় গিয়ে দাঁড়ায় একজন গৃহিণী হিসেবে। সেই বুটিক হাউস থেকে যায় কল্পজগতেই। কিন্তু জীবন তো থেমে থাকে না। দৃঢ়তা থাকলে সবই বাস্তবে রূপ দেওয়া সম্ভব। মিতুর ‘কল্প বসন’ তারই প্রমাণ।
একটা সময় সংসারের নিয়মনীতির বেড়াজাল অতিষ্ঠ করে তোলে মিতুর জীবন। বেরিয়ে আসেন সেই বেড়াজাল থেকে। একমাত্র সন্তান নিয়ে শুরু হয় তাঁর একার লড়াই। ধীরে ধীরে মানসিক পীড়নে অসুস্থও হয়ে পড়েন। জীবনের স্বস্তির নিশ্বাসটুকু যখন তিনি হারিয়ে ফেললেন, ঠিক তখনই সন্তানের কথা চিন্তা করে ভাবেন জীবনে বেঁচে থাকতে হলে নিজেকে সুস্থ রাখতে হবে, আর কিছু একটা করতে হবে। সেই উপলব্ধি থেকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর শক্তি ফিরে পান। পরিকল্পনা করেন উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশের। আর সেই স্বপ্নের জায়গা থেকে নিজের এলাকার ঐতিহ্যের সঙ্গে দেশি পণ্য রাজশাহী সিল্ক নিয়ে শুরু করেন অনলাইনভিত্তিক শপিং প্ল্যাটফর্ম ‘কল্প বসন’।
‘কল্প বসন’-এর শুরুর গল্পটা মিতুর কাছ থেকে শুনতে চাইলে বলেন, ‘২০২০ সালে করোনার সময়ে জীবনের কঠিন বাস্তবতায় ১৩ অক্টোবর থেকে শুরু করি রাজশাহী সিল্ক নিয়ে আমার ছোট উদ্যোগ—কল্প বসন। দেখতে দেখতে এক বছর হয়ে গেছে। এখন আমার মাসিক আয় প্রায় ১৫ হাজার টাকা।’
চাকরিকে প্রাধান্য না দিয়ে দেশি পণ্যের উদ্যোক্তা হিসেবেই নিজেকে গড়তে চেয়েছেন মিতু। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘আমার একমাত্র সন্তান, আর নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার ইচ্ছা থেকেই উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখেছি। এ ক্ষেত্রে আরেকটা বিষয় কাজ কাজ করে। সেটা হলো, আমাদের সমাজ বাস্তবতায় নারীরা চাইলে নিজের সন্তানকে একাই বড় করে তুলতে পারে। এ ক্ষেত্রে নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়াটা খুব জরুরি। উদ্যোক্তা হওয়ার কারণে নিজের সন্তানের দেখভালের দায়িত্ব নিতে পেরেছি। এটা আমার জীবনের জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি।’
তারপরও মানুষের কথা তো থেমে থাকে না। সমাজের অন্য দশজন নারীর মতোই তাঁকেও শুনতে হয় বিচিত্র সব মন্তব্য। এসব ডিঙিয়েই মিতু এগিয়ে যাচ্ছেন তাঁর স্বপ্নের পথে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সমাজ নারীদের চলার পথটা অনেক বেশি কঠিন করে তুলেছে। দেশে একজন নারী উদ্যোক্তা হওয়া সহজ বিষয় নয়। কারণ, সমাজের কিছু মানুষ নারীদের অনলাইনে কাজ করার বিষয়টা ভালোভাবে নিতে পারেন না। প্রায় সময় শুনতে হয়, এত পড়াশোনা করে এখন অনলাইনে কাপড় বেচে, হিজাব পরে লাইভ করে, নারীদের এত ঘরের বাইরে যাওয়া ঠিক না। এর সঙ্গে আছে পণ্যের দাম। ভালো মানের রাজশাহী সিল্ক নিয়ে যেহেতু আমার কাজ, তাই পণ্যের দাম নিয়ে অনেক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু আমি অনেক ধৈর্যশীল। তাই সব ধরনের প্রতিবন্ধকতাকে পেছনে ফেলে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পছন্দ করি। নারী উদ্যোক্তাদের পদে পদে বাধার সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু সে বাধাকে জয় করার সাহস রাখতে হবে নিজের ভেতরে।’
এই লড়াইয়ে পরিবারকে সব সময় পাশে পেয়েছেন মিতু। বললেন, ‘আমার পরিবার আমাকে সব সময় সহযোগিতা করেছে। সব থেকে বড় অবদান আমার আপু সুলতানা শ্যামলীর। সে আমার পাশে শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ছায়ার মতো রয়েছে। কল্প বসনের পরামর্শদাতা হিসেবে আছেন তিনি। তাঁর কথা অনুযায়ী আমি আমার ব্যবসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি। নারী উদ্যোক্তা হতে হলে পরিবারের সাপোর্টটা অনেক দরকার।’
মিতু রাজশাহী সিল্ক নিয়ে কাজ করেন। এর পাশাপাশি তিনি তাঁত, নকশি পণ্য নিয়েও কাজ করেন। মিতুর পরিবার বলতে একমাত্র ছেলে আরাফ আরিয়ান। তাঁকে নিয়ে তাঁর পুরো জগৎ। সকল দুঃখ-কষ্ট দূর করে তিনি ছেলেকে মানবিক মানুষ হিসবে গড়ে তুলতে চান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের নারীরা চাইলে অনেক কিছুই করতে পারে। শুধু সামাজিকতার ভয়ে, কে কখন কী বলবে এসব ভেবে অনেক নারী কিছুই করার সাহস পান না। নারীদের জন্য আমাদের সমাজের চলার পথটা খুব বেশি মসৃণ নয়। আমাদের দেশে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার অনেক কিছুই আছে। শুধু প্রয়োজন ধৈর্য, সাহস, মনোবল ও পরিবারের সহযোগিতা।’
‘কল্প বসন’-এর স্বত্বাধিকারী শবনম রেজা মিতুর কাছে দেশীয় পণ্য রাজশাহী সিল্ক নিয়ে কাজ করার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘আমার কাজটা একটু কঠিন। কারণ, আমার পণ্য, মানে রাজশাহী সিল্ক একটু দামি। রাজশাহী সিল্ককে অনেকেই স্বর্ণের সঙ্গে তুলনা করে। আমি ভালো মানের রাজশাহী সিল্ক নিয়ে কাজ করি। আমি প্রথমে তাঁতির তাঁত থেকে সিল্ক পণ্য সংগ্রহ করি। এর পর নিজে কারিগর দিয়ে ডিজাইন করে তৈরি করি আমার সব সিল্কপণ্য। রাজশাহী সিল্কের বিভিন্ন ধরনের শাড়ি, থ্রিপিস, টুপিস, ওয়ান পিস, ওড়না, ছেলেদের শার্ট, মেয়েদের কুর্তি, মসলিনের টাইডাই, বাটিক, হ্যান্ড প্রিন্ট পণ্য ইত্যাদি রয়েছে পণ্যতালিকায়।
তবে নিজের সিগনেচার পণ্য হিসেবে মনে করেন মটকা সিল্ক শাড়িকে। বললেন, ‘এখানে রয়েছে আমার নিজস্বতার ছোঁয়া। মটকা সিল্কের প্রাইস একটু বেশি। তাই প্রথম দিকে বিক্রি নিয়ে একটু ঝামেলায় পড়তে হয়েছিল। কিন্তু যখন ক্রেতা বুঝেছে শাড়িটা ভালো মানের, তখন থেকে আর কোনো রকম বাধা আসেনি। আমি এই এক বছরে ১৮ পিস মটকা সিল্ক শাড়ি বিক্রি করেছি। সিল্কের পাশাপাশি আমার কিছু নকশি কাজের ড্রেস আছে, যেটা শুধু “কল্প বসন”-এই পাওয়া যায়। এবার শীতে “কল্প বসন”-এর প্রধান চমক রাজশাহী সিল্কের শাল, সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের দেশি শাল। আমি বিশ্বাস করি প্রতিটা নারীর নিজের জন্যই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা দরকার। নারীরা স্বভাবগতভাবেই অনেক গুণের অধিকারী। শুধু দরকার সে গুনের সঠিক ব্যবহার।’
মিতুর জীবনে অনেক বড় অংশ জুড়ে রয়েছে ‘কল্প বসন’। কল্প বসনকে নিয়ে অনেক পরিকল্পনা আছে মিতুর মনে। মিতুর ‘কল্প বসন’-এর একটি শোরুম করার ইচ্ছা রয়েছে তাঁর। সেখানে থাকবে নিজেদের কারখানা, যেখানে কাজ করবেন সুবিধাবঞ্চিত নারীরা। এখন ‘কল্প বসন’-এর কাজের সঙ্গে যুক্ত আছে প্রায় দশ-বারোজন মানুষ। ভবিষ্যতে এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করেন মিতু।

রাজশাহীর মেয়ে শবনম রেজা মিতু। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান মিতু ছোটবেলা থেকে বেড়ে উঠেছেন রাজশাহীতে। মিতু পড়ালেখা করেছেন রাজশাহীর নবাবগঞ্জ সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় এবং রাজশাহী নিউ গভর্নমেন্ট ডিগ্রি কলেজ থেকে। এর পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মনোবিজ্ঞানে মাস্টার্স করেন।
জীবন প্রবাহের অনেক ঘটনাচক্রের চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আজ মিতু সফল নারী উদ্যোক্তা। তাঁর প্রতিষ্ঠানের নাম ‘কল্প বসন’। ২০১৪ সাল থেকেই মিতুর ইচ্ছা ছিল একটা বুটিক হাউস দেওয়ার। কিন্তু বিয়ে-সংসারের কাজের চাপে সে ইচ্ছা অপূর্ণ থেকে যায়। আর দিন শেষে মিতুর পরিচয় গিয়ে দাঁড়ায় একজন গৃহিণী হিসেবে। সেই বুটিক হাউস থেকে যায় কল্পজগতেই। কিন্তু জীবন তো থেমে থাকে না। দৃঢ়তা থাকলে সবই বাস্তবে রূপ দেওয়া সম্ভব। মিতুর ‘কল্প বসন’ তারই প্রমাণ।
একটা সময় সংসারের নিয়মনীতির বেড়াজাল অতিষ্ঠ করে তোলে মিতুর জীবন। বেরিয়ে আসেন সেই বেড়াজাল থেকে। একমাত্র সন্তান নিয়ে শুরু হয় তাঁর একার লড়াই। ধীরে ধীরে মানসিক পীড়নে অসুস্থও হয়ে পড়েন। জীবনের স্বস্তির নিশ্বাসটুকু যখন তিনি হারিয়ে ফেললেন, ঠিক তখনই সন্তানের কথা চিন্তা করে ভাবেন জীবনে বেঁচে থাকতে হলে নিজেকে সুস্থ রাখতে হবে, আর কিছু একটা করতে হবে। সেই উপলব্ধি থেকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর শক্তি ফিরে পান। পরিকল্পনা করেন উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশের। আর সেই স্বপ্নের জায়গা থেকে নিজের এলাকার ঐতিহ্যের সঙ্গে দেশি পণ্য রাজশাহী সিল্ক নিয়ে শুরু করেন অনলাইনভিত্তিক শপিং প্ল্যাটফর্ম ‘কল্প বসন’।
‘কল্প বসন’-এর শুরুর গল্পটা মিতুর কাছ থেকে শুনতে চাইলে বলেন, ‘২০২০ সালে করোনার সময়ে জীবনের কঠিন বাস্তবতায় ১৩ অক্টোবর থেকে শুরু করি রাজশাহী সিল্ক নিয়ে আমার ছোট উদ্যোগ—কল্প বসন। দেখতে দেখতে এক বছর হয়ে গেছে। এখন আমার মাসিক আয় প্রায় ১৫ হাজার টাকা।’
চাকরিকে প্রাধান্য না দিয়ে দেশি পণ্যের উদ্যোক্তা হিসেবেই নিজেকে গড়তে চেয়েছেন মিতু। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘আমার একমাত্র সন্তান, আর নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার ইচ্ছা থেকেই উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখেছি। এ ক্ষেত্রে আরেকটা বিষয় কাজ কাজ করে। সেটা হলো, আমাদের সমাজ বাস্তবতায় নারীরা চাইলে নিজের সন্তানকে একাই বড় করে তুলতে পারে। এ ক্ষেত্রে নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়াটা খুব জরুরি। উদ্যোক্তা হওয়ার কারণে নিজের সন্তানের দেখভালের দায়িত্ব নিতে পেরেছি। এটা আমার জীবনের জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি।’
তারপরও মানুষের কথা তো থেমে থাকে না। সমাজের অন্য দশজন নারীর মতোই তাঁকেও শুনতে হয় বিচিত্র সব মন্তব্য। এসব ডিঙিয়েই মিতু এগিয়ে যাচ্ছেন তাঁর স্বপ্নের পথে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সমাজ নারীদের চলার পথটা অনেক বেশি কঠিন করে তুলেছে। দেশে একজন নারী উদ্যোক্তা হওয়া সহজ বিষয় নয়। কারণ, সমাজের কিছু মানুষ নারীদের অনলাইনে কাজ করার বিষয়টা ভালোভাবে নিতে পারেন না। প্রায় সময় শুনতে হয়, এত পড়াশোনা করে এখন অনলাইনে কাপড় বেচে, হিজাব পরে লাইভ করে, নারীদের এত ঘরের বাইরে যাওয়া ঠিক না। এর সঙ্গে আছে পণ্যের দাম। ভালো মানের রাজশাহী সিল্ক নিয়ে যেহেতু আমার কাজ, তাই পণ্যের দাম নিয়ে অনেক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু আমি অনেক ধৈর্যশীল। তাই সব ধরনের প্রতিবন্ধকতাকে পেছনে ফেলে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পছন্দ করি। নারী উদ্যোক্তাদের পদে পদে বাধার সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু সে বাধাকে জয় করার সাহস রাখতে হবে নিজের ভেতরে।’
এই লড়াইয়ে পরিবারকে সব সময় পাশে পেয়েছেন মিতু। বললেন, ‘আমার পরিবার আমাকে সব সময় সহযোগিতা করেছে। সব থেকে বড় অবদান আমার আপু সুলতানা শ্যামলীর। সে আমার পাশে শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ছায়ার মতো রয়েছে। কল্প বসনের পরামর্শদাতা হিসেবে আছেন তিনি। তাঁর কথা অনুযায়ী আমি আমার ব্যবসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি। নারী উদ্যোক্তা হতে হলে পরিবারের সাপোর্টটা অনেক দরকার।’
মিতু রাজশাহী সিল্ক নিয়ে কাজ করেন। এর পাশাপাশি তিনি তাঁত, নকশি পণ্য নিয়েও কাজ করেন। মিতুর পরিবার বলতে একমাত্র ছেলে আরাফ আরিয়ান। তাঁকে নিয়ে তাঁর পুরো জগৎ। সকল দুঃখ-কষ্ট দূর করে তিনি ছেলেকে মানবিক মানুষ হিসবে গড়ে তুলতে চান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের নারীরা চাইলে অনেক কিছুই করতে পারে। শুধু সামাজিকতার ভয়ে, কে কখন কী বলবে এসব ভেবে অনেক নারী কিছুই করার সাহস পান না। নারীদের জন্য আমাদের সমাজের চলার পথটা খুব বেশি মসৃণ নয়। আমাদের দেশে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার অনেক কিছুই আছে। শুধু প্রয়োজন ধৈর্য, সাহস, মনোবল ও পরিবারের সহযোগিতা।’
‘কল্প বসন’-এর স্বত্বাধিকারী শবনম রেজা মিতুর কাছে দেশীয় পণ্য রাজশাহী সিল্ক নিয়ে কাজ করার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘আমার কাজটা একটু কঠিন। কারণ, আমার পণ্য, মানে রাজশাহী সিল্ক একটু দামি। রাজশাহী সিল্ককে অনেকেই স্বর্ণের সঙ্গে তুলনা করে। আমি ভালো মানের রাজশাহী সিল্ক নিয়ে কাজ করি। আমি প্রথমে তাঁতির তাঁত থেকে সিল্ক পণ্য সংগ্রহ করি। এর পর নিজে কারিগর দিয়ে ডিজাইন করে তৈরি করি আমার সব সিল্কপণ্য। রাজশাহী সিল্কের বিভিন্ন ধরনের শাড়ি, থ্রিপিস, টুপিস, ওয়ান পিস, ওড়না, ছেলেদের শার্ট, মেয়েদের কুর্তি, মসলিনের টাইডাই, বাটিক, হ্যান্ড প্রিন্ট পণ্য ইত্যাদি রয়েছে পণ্যতালিকায়।
তবে নিজের সিগনেচার পণ্য হিসেবে মনে করেন মটকা সিল্ক শাড়িকে। বললেন, ‘এখানে রয়েছে আমার নিজস্বতার ছোঁয়া। মটকা সিল্কের প্রাইস একটু বেশি। তাই প্রথম দিকে বিক্রি নিয়ে একটু ঝামেলায় পড়তে হয়েছিল। কিন্তু যখন ক্রেতা বুঝেছে শাড়িটা ভালো মানের, তখন থেকে আর কোনো রকম বাধা আসেনি। আমি এই এক বছরে ১৮ পিস মটকা সিল্ক শাড়ি বিক্রি করেছি। সিল্কের পাশাপাশি আমার কিছু নকশি কাজের ড্রেস আছে, যেটা শুধু “কল্প বসন”-এই পাওয়া যায়। এবার শীতে “কল্প বসন”-এর প্রধান চমক রাজশাহী সিল্কের শাল, সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের দেশি শাল। আমি বিশ্বাস করি প্রতিটা নারীর নিজের জন্যই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা দরকার। নারীরা স্বভাবগতভাবেই অনেক গুণের অধিকারী। শুধু দরকার সে গুনের সঠিক ব্যবহার।’
মিতুর জীবনে অনেক বড় অংশ জুড়ে রয়েছে ‘কল্প বসন’। কল্প বসনকে নিয়ে অনেক পরিকল্পনা আছে মিতুর মনে। মিতুর ‘কল্প বসন’-এর একটি শোরুম করার ইচ্ছা রয়েছে তাঁর। সেখানে থাকবে নিজেদের কারখানা, যেখানে কাজ করবেন সুবিধাবঞ্চিত নারীরা। এখন ‘কল্প বসন’-এর কাজের সঙ্গে যুক্ত আছে প্রায় দশ-বারোজন মানুষ। ভবিষ্যতে এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করেন মিতু।

বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড (BHL) আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করল অল-নিউ হোন্ডা NX 200—একটি আধুনিক অ্যাডভেঞ্চার-ইনস্পায়ার্ড মোটরসাইকেল, যা রোমাঞ্চপ্রেমী রাইডার, বহুমুখী ব্যবহারকারী এবং দীর্ঘ দূরপথে যাতায়াতকারীদের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের সর্ববৃহৎ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৯ সালের এই দিনে ৮৩ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সমাজসেবায় তাঁর অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছর (২০২৫) তিনি মরণোত্তর ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’-এ ভূষিত হয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
সারা দেশের সাত হাজার ডিস্ট্রিবিউটর ফিল্ড ফোর্সের মধ্য থেকে সেরা পারফরম্যান্সের জন্য ৭০ জনকে বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে ডাক বিভাগের ডিজিটাল আর্থিক লেনদেন সেবা নগদ। রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘নগদ ফিল্ড চ্যাম্পিয়ন ২০২৫’ নামের এই সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
২ দিন আগে
তথ্যসেবা আরও সহজ ও কার্যকর করার লক্ষ্যে ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক স্থাপন করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আসাদুর রহমান এই ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক উদ্বোধন করেন।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড (BHL) আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করল অল-নিউ হোন্ডা NX 200—একটি আধুনিক অ্যাডভেঞ্চার-ইনস্পায়ার্ড মোটরসাইকেল, যা রোমাঞ্চপ্রেমী রাইডার, বহুমুখী ব্যবহারকারী এবং দীর্ঘ দূরপথে যাতায়াতকারীদের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে।
হোন্ডার বিশ্বখ্যাত গ্লোবাল অ্যাডভেঞ্চার লাইনআপের শক্তিশালী ডিজাইন, পরিশীলিত ইঞ্জিন পারফরম্যান্স এবং রাইডারকেন্দ্রিক প্রযুক্তি থেকে অনুপ্রাণিত NX 200 বাংলাদেশের অ্যাডভেঞ্চার ও ট্যুরিং বাইকারদের জন্য নতুন এক মানদণ্ড স্থাপন করবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মি. মিনোরু কাতো, চিফ অফিসার, মোটরসাইকেল ও পাওয়ার প্রোডাক্টস অপারেশনস, হোন্ডা মোটর করপোরেশন লিমিটেড, জাপান—হোন্ডার গ্রাহক ও অংশীদারদের দীর্ঘদিনের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি হোন্ডার বিশ্বব্যাপী ৫০ কোটির বেশি মোটরসাইকেল উৎপাদনের মাইলফলক এবং ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশ হোন্ডার ৫ লাখ ৫০ হাজার ইউনিট বিক্রির অর্জন তুলে ধরেন।
একই সঙ্গে মি. মিনোরু কাতো জানান, বাংলাদেশ হোন্ডা বর্তমানে হোন্ডার একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্লোবাল প্রোডাকশন রিসোর্স হিসেবে স্বীকৃত, যার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মি. সুসুমু মরিসাওয়া বলেন, ‘হোন্ডার লক্ষ্য হলো সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য ও আধুনিক মোটরযানের মাধ্যমে মানুষের জন্য নিরাপদ এবং সহজ যাতায়াতের আনন্দ নিশ্চিত করা।’
গ্রাহকদের পরিবর্তনশীল চাহিদা পূরণে BHL উন্নত ফিচার ও রাইডিং সক্ষমতাসম্পন্ন নতুন মডেল বাজারে আনার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছেন মি. সুসুমু মরিসাওয়া। এ সময় তিনি জানান, গ্লোবাল হোন্ডার সহযোগিতায় অল-নিউ NX 200 মেক্সিকোতে রপ্তানির পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ হোন্ডার চিফ মার্কেটিং অফিসার মি. শাহ মুহাম্মদ আশেকুর রহমান বলেন, ‘NX 200 অ্যাডভেঞ্চার-ট্যুরিং সেগমেন্টে একটি নতুন মানদণ্ড স্থাপন করবে, যা বিভিন্ন ধরনের রাস্তা ও আবহাওয়ায় উন্নত নিয়ন্ত্রণ, আরাম এবং শক্তিশালী পারফরম্যান্স নিশ্চিত করবে।’
অল-নিউ হোন্ডা NX 200 চালিত হচ্ছে ১৮৪.৪ সিসি PGM-FI ইঞ্জিনে (১৬.৫ PS@ ৮৫০০ RPM, ১৫. ১ Nm@ ৬০০০ RPM)। এতে রয়েছে ডুয়াল-চ্যানেল ABS, হোন্ডা সিলেক্টেবল টর্ক কন্ট্রোল (HSTC), অ্যাসিস্ট ও স্লিপার ক্লাচ এবং USB Type-Cসহ ৪.২ ইঞ্চি পূর্ণ ডিজিটাল TFT ডিসপ্লে। এ ছাড়া অল-LED লাইটিং, উচ্চ গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স এবং আরামদায়ক সিটিং প্রিমিয়াম ও আত্মবিশ্বাসী রাইডিং অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে। একই অনুষ্ঠানে BHL, KYT-এর সহযোগিতায় নতুন হোন্ডা হেলমেটও উন্মোচন করে।
অল-নিউ হোন্ডা NX 200 আগামী ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে সারা দেশের সব হোন্ডা অনুমোদিত ডিলার শোরুমে পাওয়া যাবে। মোটরসাইকেলটি পাওয়া যাবে দুটি আকর্ষণীয় রঙে—রেডিয়েন্ট রেড মেটালিক এবং পার্ল ইগনিয়াস ব্ল্যাক। মডেলটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা।

বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড (BHL) আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করল অল-নিউ হোন্ডা NX 200—একটি আধুনিক অ্যাডভেঞ্চার-ইনস্পায়ার্ড মোটরসাইকেল, যা রোমাঞ্চপ্রেমী রাইডার, বহুমুখী ব্যবহারকারী এবং দীর্ঘ দূরপথে যাতায়াতকারীদের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে।
হোন্ডার বিশ্বখ্যাত গ্লোবাল অ্যাডভেঞ্চার লাইনআপের শক্তিশালী ডিজাইন, পরিশীলিত ইঞ্জিন পারফরম্যান্স এবং রাইডারকেন্দ্রিক প্রযুক্তি থেকে অনুপ্রাণিত NX 200 বাংলাদেশের অ্যাডভেঞ্চার ও ট্যুরিং বাইকারদের জন্য নতুন এক মানদণ্ড স্থাপন করবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মি. মিনোরু কাতো, চিফ অফিসার, মোটরসাইকেল ও পাওয়ার প্রোডাক্টস অপারেশনস, হোন্ডা মোটর করপোরেশন লিমিটেড, জাপান—হোন্ডার গ্রাহক ও অংশীদারদের দীর্ঘদিনের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি হোন্ডার বিশ্বব্যাপী ৫০ কোটির বেশি মোটরসাইকেল উৎপাদনের মাইলফলক এবং ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশ হোন্ডার ৫ লাখ ৫০ হাজার ইউনিট বিক্রির অর্জন তুলে ধরেন।
একই সঙ্গে মি. মিনোরু কাতো জানান, বাংলাদেশ হোন্ডা বর্তমানে হোন্ডার একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্লোবাল প্রোডাকশন রিসোর্স হিসেবে স্বীকৃত, যার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মি. সুসুমু মরিসাওয়া বলেন, ‘হোন্ডার লক্ষ্য হলো সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য ও আধুনিক মোটরযানের মাধ্যমে মানুষের জন্য নিরাপদ এবং সহজ যাতায়াতের আনন্দ নিশ্চিত করা।’
গ্রাহকদের পরিবর্তনশীল চাহিদা পূরণে BHL উন্নত ফিচার ও রাইডিং সক্ষমতাসম্পন্ন নতুন মডেল বাজারে আনার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছেন মি. সুসুমু মরিসাওয়া। এ সময় তিনি জানান, গ্লোবাল হোন্ডার সহযোগিতায় অল-নিউ NX 200 মেক্সিকোতে রপ্তানির পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ হোন্ডার চিফ মার্কেটিং অফিসার মি. শাহ মুহাম্মদ আশেকুর রহমান বলেন, ‘NX 200 অ্যাডভেঞ্চার-ট্যুরিং সেগমেন্টে একটি নতুন মানদণ্ড স্থাপন করবে, যা বিভিন্ন ধরনের রাস্তা ও আবহাওয়ায় উন্নত নিয়ন্ত্রণ, আরাম এবং শক্তিশালী পারফরম্যান্স নিশ্চিত করবে।’
অল-নিউ হোন্ডা NX 200 চালিত হচ্ছে ১৮৪.৪ সিসি PGM-FI ইঞ্জিনে (১৬.৫ PS@ ৮৫০০ RPM, ১৫. ১ Nm@ ৬০০০ RPM)। এতে রয়েছে ডুয়াল-চ্যানেল ABS, হোন্ডা সিলেক্টেবল টর্ক কন্ট্রোল (HSTC), অ্যাসিস্ট ও স্লিপার ক্লাচ এবং USB Type-Cসহ ৪.২ ইঞ্চি পূর্ণ ডিজিটাল TFT ডিসপ্লে। এ ছাড়া অল-LED লাইটিং, উচ্চ গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স এবং আরামদায়ক সিটিং প্রিমিয়াম ও আত্মবিশ্বাসী রাইডিং অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে। একই অনুষ্ঠানে BHL, KYT-এর সহযোগিতায় নতুন হোন্ডা হেলমেটও উন্মোচন করে।
অল-নিউ হোন্ডা NX 200 আগামী ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে সারা দেশের সব হোন্ডা অনুমোদিত ডিলার শোরুমে পাওয়া যাবে। মোটরসাইকেলটি পাওয়া যাবে দুটি আকর্ষণীয় রঙে—রেডিয়েন্ট রেড মেটালিক এবং পার্ল ইগনিয়াস ব্ল্যাক। মডেলটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা।

রাজশাহীর মেয়ে শবনম রেজা মিতু। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান মিতু ছোটবেলা থেকে বেড়ে উঠেছেন রাজশাহীতে। ২০১৪ সাল থেকেই মিতুর ইচ্ছা ছিল একটা বুটিক হাউস দেওয়ার। কিন্তু বিয়ে-সংসারের কাজের চাপে সে ইচ্ছা অপূর্ণ থেকে যায়। সেই বুটিক হাউস থেকে যায় কল্পজগতেই।
১৭ অক্টোবর ২০২১
বিশ্বের সর্ববৃহৎ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৯ সালের এই দিনে ৮৩ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সমাজসেবায় তাঁর অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছর (২০২৫) তিনি মরণোত্তর ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’-এ ভূষিত হয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
সারা দেশের সাত হাজার ডিস্ট্রিবিউটর ফিল্ড ফোর্সের মধ্য থেকে সেরা পারফরম্যান্সের জন্য ৭০ জনকে বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে ডাক বিভাগের ডিজিটাল আর্থিক লেনদেন সেবা নগদ। রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘নগদ ফিল্ড চ্যাম্পিয়ন ২০২৫’ নামের এই সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
২ দিন আগে
তথ্যসেবা আরও সহজ ও কার্যকর করার লক্ষ্যে ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক স্থাপন করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আসাদুর রহমান এই ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক উদ্বোধন করেন।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্বের সর্ববৃহৎ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৯ সালের এই দিনে ৮৩ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সমাজসেবায় তাঁর অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছর (২০২৫) তিনি মরণোত্তর ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’-এ ভূষিত হয়েছেন।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ শেষে যখন বাংলাদেশের অর্থনীতি পুরোপুরি বিপর্যস্ত, তখন ১৯৭২ সালের শুরুতে ৩৬ বছর বয়সে স্যার ফজলে হাসান আবেদ দেশে ফিরে আসেন। ভারত থেকে আসা শরণার্থীদের পুনর্বাসনের লক্ষে সুনামগঞ্জের দুর্গম এলাকা শাল্লা থেকে তিনি ব্র্যাকের যাত্রা শুরু করেন। সেই ক্ষুদ্র উদ্যোগ আজ মহীরুহে পরিণত হয়েছে, যা বিশ্বের এশিয়া ও আফ্রিকার ১৪টি দেশের প্রায় সাড়ে ১৪ কোটি মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে।
১৯৩৬ সালে জন্মগ্রহণ করা ফজলে হাসান আবেদ ১৯৬২ সালে লন্ডন থেকে কস্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্ট ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৭০ সালের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ তার জীবনের গতিপথ বদলে দেয়। শেল অয়েল কোম্পানির সিনিয়র এক্সিকিউটিভের চাকরি ছেড়ে তিনি লন্ডনে চলে যান এবং সেখানে মুক্তিযুদ্ধে সহায়তার জন্য ‘অ্যাকশন বাংলাদেশ’ ও ‘হেলপ বাংলাদেশ’ নামে দুটি সংগঠন গড়ে তোলেন।
স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ক্ষুদ্রঋণ, দক্ষতা উন্নয়ন এবং মানবাধিকারের মতো বহুমুখী কার্যক্রমের মাধ্যমে তিনি দরিদ্র মানুষের ক্ষমতায়ন ঘটিয়েছেন। কাজের উদ্ভাবনী এবং টেকসই বৈশিষ্ট্যের কারণে জেনেভাভিত্তিক ‘এনজিও অ্যাডভাইজার’ ২০২০ সালে টানা পাঁচবারের মতো ব্র্যাককে বিশ্বের শীর্ষ এনজিও হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

বিশ্বের সর্ববৃহৎ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৯ সালের এই দিনে ৮৩ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সমাজসেবায় তাঁর অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছর (২০২৫) তিনি মরণোত্তর ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’-এ ভূষিত হয়েছেন।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ শেষে যখন বাংলাদেশের অর্থনীতি পুরোপুরি বিপর্যস্ত, তখন ১৯৭২ সালের শুরুতে ৩৬ বছর বয়সে স্যার ফজলে হাসান আবেদ দেশে ফিরে আসেন। ভারত থেকে আসা শরণার্থীদের পুনর্বাসনের লক্ষে সুনামগঞ্জের দুর্গম এলাকা শাল্লা থেকে তিনি ব্র্যাকের যাত্রা শুরু করেন। সেই ক্ষুদ্র উদ্যোগ আজ মহীরুহে পরিণত হয়েছে, যা বিশ্বের এশিয়া ও আফ্রিকার ১৪টি দেশের প্রায় সাড়ে ১৪ কোটি মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে।
১৯৩৬ সালে জন্মগ্রহণ করা ফজলে হাসান আবেদ ১৯৬২ সালে লন্ডন থেকে কস্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্ট ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৭০ সালের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ তার জীবনের গতিপথ বদলে দেয়। শেল অয়েল কোম্পানির সিনিয়র এক্সিকিউটিভের চাকরি ছেড়ে তিনি লন্ডনে চলে যান এবং সেখানে মুক্তিযুদ্ধে সহায়তার জন্য ‘অ্যাকশন বাংলাদেশ’ ও ‘হেলপ বাংলাদেশ’ নামে দুটি সংগঠন গড়ে তোলেন।
স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ক্ষুদ্রঋণ, দক্ষতা উন্নয়ন এবং মানবাধিকারের মতো বহুমুখী কার্যক্রমের মাধ্যমে তিনি দরিদ্র মানুষের ক্ষমতায়ন ঘটিয়েছেন। কাজের উদ্ভাবনী এবং টেকসই বৈশিষ্ট্যের কারণে জেনেভাভিত্তিক ‘এনজিও অ্যাডভাইজার’ ২০২০ সালে টানা পাঁচবারের মতো ব্র্যাককে বিশ্বের শীর্ষ এনজিও হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

রাজশাহীর মেয়ে শবনম রেজা মিতু। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান মিতু ছোটবেলা থেকে বেড়ে উঠেছেন রাজশাহীতে। ২০১৪ সাল থেকেই মিতুর ইচ্ছা ছিল একটা বুটিক হাউস দেওয়ার। কিন্তু বিয়ে-সংসারের কাজের চাপে সে ইচ্ছা অপূর্ণ থেকে যায়। সেই বুটিক হাউস থেকে যায় কল্পজগতেই।
১৭ অক্টোবর ২০২১
বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড (BHL) আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করল অল-নিউ হোন্ডা NX 200—একটি আধুনিক অ্যাডভেঞ্চার-ইনস্পায়ার্ড মোটরসাইকেল, যা রোমাঞ্চপ্রেমী রাইডার, বহুমুখী ব্যবহারকারী এবং দীর্ঘ দূরপথে যাতায়াতকারীদের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
সারা দেশের সাত হাজার ডিস্ট্রিবিউটর ফিল্ড ফোর্সের মধ্য থেকে সেরা পারফরম্যান্সের জন্য ৭০ জনকে বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে ডাক বিভাগের ডিজিটাল আর্থিক লেনদেন সেবা নগদ। রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘নগদ ফিল্ড চ্যাম্পিয়ন ২০২৫’ নামের এই সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
২ দিন আগে
তথ্যসেবা আরও সহজ ও কার্যকর করার লক্ষ্যে ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক স্থাপন করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আসাদুর রহমান এই ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক উদ্বোধন করেন।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সারা দেশের সাত হাজার ডিস্ট্রিবিউটর ফিল্ড ফোর্সের মধ্য থেকে সেরা পারফরম্যান্সের জন্য ৭০ জনকে বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে ডাক বিভাগের ডিজিটাল আর্থিক লেনদেন সেবা নগদ।
রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘নগদ ফিল্ড চ্যাম্পিয়ন ২০২৫’ নামের এই সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠান চলাকালে ডিস্ট্রিবিউটর ফিল্ড ফোর্সদের পারফরম্যান্সের জন্য বিশেষ বোনাসের ঘোষণা দেন বাংলাদেশ ব্যাংকনিযুক্ত নগদের প্রশাসক মো. মোতাছিম বিল্লাহ। ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে ৭০ জনের নগদ অ্যাকাউন্টে চলে যায় এই অর্থ।
দেশের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে ঢাকায় আসা-যাওয়া, খাওয়া, হোটেলে অবস্থানসহ অন্য সব খরচ নগদের পক্ষ থেকে বহন করা হয়।
সেরা পারফর্মারদের অভিনন্দন জানিয়ে নগদের প্রশাসক মো. মোতাছিম বিল্লাহ বলেন, অনেক চ্যালেঞ্জের মাঝেও বাজারে নগদ একটা ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছে। বাংলাদেশে ক্যাশলেস লেনদেনের আরও প্রসার ঘটাতে নগদ ভূমিকা রাখবে বলে সরকারের নীতিনির্ধারকদের প্রত্যাশা রয়েছে। সুতরাং, যত অপপ্রচারই নগদকে নিয়ে হোক না কেন, সেসবে কান না দিয়ে নগদের সাফল্যের জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে।
নগদের সেবার প্রসার ঘটাতে এ সময় মোতাছিম বিল্লাহ ডিস্ট্রিবিউটর ফিল্ড ফোর্সদের কাছ থেকে নগদ বিষয়ে পরামর্শ ও সুপারিশ জানতে চান। তাঁদের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে নগদ প্রশাসক বলেন, অল্প সময়ের ভেতরই সেবার কলেবর আরও বাড়বে নগদে। ফলে লেনদেনের অঙ্ক যেমন অনেক গুণ বাড়বে, একই সঙ্গে গ্রাহকেরাও অনেক বেশি উপকৃত হবেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকনিযুক্ত নগদের জ্যেষ্ঠ সহযোগী প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান, ডাক বিভাগনিযুক্ত নগদের জ্যেষ্ঠ সহযোগী প্রশাসক মো. আবু তালেব, নগদের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার মোহাম্মদ শাহীন সারওয়ার ভূঁইয়া বক্তব্য দেন।
বক্তারা বলেন, আগামী বছরে বিদেশ থেকে আসা রেমিট্যান্স, বাংলা কিউআর, সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লেনদেনের জন্য আন্তসংযোগ গেম চেঞ্জারের ভূমিকা পালন করবে নগদ। ফলে ২০২৬ সাল নগদের সেরা সাফল্যের বছর হবে বলেও মনে করেন তাঁরা।

সারা দেশের সাত হাজার ডিস্ট্রিবিউটর ফিল্ড ফোর্সের মধ্য থেকে সেরা পারফরম্যান্সের জন্য ৭০ জনকে বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে ডাক বিভাগের ডিজিটাল আর্থিক লেনদেন সেবা নগদ।
রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘নগদ ফিল্ড চ্যাম্পিয়ন ২০২৫’ নামের এই সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠান চলাকালে ডিস্ট্রিবিউটর ফিল্ড ফোর্সদের পারফরম্যান্সের জন্য বিশেষ বোনাসের ঘোষণা দেন বাংলাদেশ ব্যাংকনিযুক্ত নগদের প্রশাসক মো. মোতাছিম বিল্লাহ। ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে ৭০ জনের নগদ অ্যাকাউন্টে চলে যায় এই অর্থ।
দেশের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে ঢাকায় আসা-যাওয়া, খাওয়া, হোটেলে অবস্থানসহ অন্য সব খরচ নগদের পক্ষ থেকে বহন করা হয়।
সেরা পারফর্মারদের অভিনন্দন জানিয়ে নগদের প্রশাসক মো. মোতাছিম বিল্লাহ বলেন, অনেক চ্যালেঞ্জের মাঝেও বাজারে নগদ একটা ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছে। বাংলাদেশে ক্যাশলেস লেনদেনের আরও প্রসার ঘটাতে নগদ ভূমিকা রাখবে বলে সরকারের নীতিনির্ধারকদের প্রত্যাশা রয়েছে। সুতরাং, যত অপপ্রচারই নগদকে নিয়ে হোক না কেন, সেসবে কান না দিয়ে নগদের সাফল্যের জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে।
নগদের সেবার প্রসার ঘটাতে এ সময় মোতাছিম বিল্লাহ ডিস্ট্রিবিউটর ফিল্ড ফোর্সদের কাছ থেকে নগদ বিষয়ে পরামর্শ ও সুপারিশ জানতে চান। তাঁদের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে নগদ প্রশাসক বলেন, অল্প সময়ের ভেতরই সেবার কলেবর আরও বাড়বে নগদে। ফলে লেনদেনের অঙ্ক যেমন অনেক গুণ বাড়বে, একই সঙ্গে গ্রাহকেরাও অনেক বেশি উপকৃত হবেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকনিযুক্ত নগদের জ্যেষ্ঠ সহযোগী প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান, ডাক বিভাগনিযুক্ত নগদের জ্যেষ্ঠ সহযোগী প্রশাসক মো. আবু তালেব, নগদের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার মোহাম্মদ শাহীন সারওয়ার ভূঁইয়া বক্তব্য দেন।
বক্তারা বলেন, আগামী বছরে বিদেশ থেকে আসা রেমিট্যান্স, বাংলা কিউআর, সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লেনদেনের জন্য আন্তসংযোগ গেম চেঞ্জারের ভূমিকা পালন করবে নগদ। ফলে ২০২৬ সাল নগদের সেরা সাফল্যের বছর হবে বলেও মনে করেন তাঁরা।

রাজশাহীর মেয়ে শবনম রেজা মিতু। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান মিতু ছোটবেলা থেকে বেড়ে উঠেছেন রাজশাহীতে। ২০১৪ সাল থেকেই মিতুর ইচ্ছা ছিল একটা বুটিক হাউস দেওয়ার। কিন্তু বিয়ে-সংসারের কাজের চাপে সে ইচ্ছা অপূর্ণ থেকে যায়। সেই বুটিক হাউস থেকে যায় কল্পজগতেই।
১৭ অক্টোবর ২০২১
বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড (BHL) আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করল অল-নিউ হোন্ডা NX 200—একটি আধুনিক অ্যাডভেঞ্চার-ইনস্পায়ার্ড মোটরসাইকেল, যা রোমাঞ্চপ্রেমী রাইডার, বহুমুখী ব্যবহারকারী এবং দীর্ঘ দূরপথে যাতায়াতকারীদের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের সর্ববৃহৎ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৯ সালের এই দিনে ৮৩ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সমাজসেবায় তাঁর অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছর (২০২৫) তিনি মরণোত্তর ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’-এ ভূষিত হয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
তথ্যসেবা আরও সহজ ও কার্যকর করার লক্ষ্যে ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক স্থাপন করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আসাদুর রহমান এই ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক উদ্বোধন করেন।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

তথ্যসেবা আরও সহজ ও কার্যকর করার লক্ষ্যে ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক স্থাপন করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আসাদুর রহমান এই ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিএসইর প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা ড. আসিফুর রহমান, প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা মো. ছামিউল ইসলাম, প্রধান রেগুলেটরি কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়াসহ ডিএসইর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় মোহাম্মদ আসাদুর রহমান বলেন, ইনফরমেশন হেল্প ডেস্কের মাধ্যমে পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্ট তথ্য প্রদান আরও সহজ হবে এবং বিনিয়োগকারী ও অন্য অংশীজনদের বিভিন্ন জিজ্ঞাসার দ্রুত ও কার্যকর সমাধান নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এর ফলে ডিএসইর সেবার মান আরও গ্রাহকবান্ধব ও স্বচ্ছ হবে।
ডিএসইর এমডি আশা প্রকাশ করেন, এই হেল্প ডেস্ক ডিএসইর বাজার অংশগ্রহণকারীদের আস্থা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
পুঁজিবাজারসংক্রান্ত সব ধরনের তথ্যের জন্য +৮৮-০২-৪১০৪০১৮৯, ০৯৬৬৬৭০২০৭০ নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।

তথ্যসেবা আরও সহজ ও কার্যকর করার লক্ষ্যে ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক স্থাপন করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আসাদুর রহমান এই ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিএসইর প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা ড. আসিফুর রহমান, প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা মো. ছামিউল ইসলাম, প্রধান রেগুলেটরি কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়াসহ ডিএসইর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় মোহাম্মদ আসাদুর রহমান বলেন, ইনফরমেশন হেল্প ডেস্কের মাধ্যমে পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্ট তথ্য প্রদান আরও সহজ হবে এবং বিনিয়োগকারী ও অন্য অংশীজনদের বিভিন্ন জিজ্ঞাসার দ্রুত ও কার্যকর সমাধান নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এর ফলে ডিএসইর সেবার মান আরও গ্রাহকবান্ধব ও স্বচ্ছ হবে।
ডিএসইর এমডি আশা প্রকাশ করেন, এই হেল্প ডেস্ক ডিএসইর বাজার অংশগ্রহণকারীদের আস্থা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
পুঁজিবাজারসংক্রান্ত সব ধরনের তথ্যের জন্য +৮৮-০২-৪১০৪০১৮৯, ০৯৬৬৬৭০২০৭০ নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।

রাজশাহীর মেয়ে শবনম রেজা মিতু। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান মিতু ছোটবেলা থেকে বেড়ে উঠেছেন রাজশাহীতে। ২০১৪ সাল থেকেই মিতুর ইচ্ছা ছিল একটা বুটিক হাউস দেওয়ার। কিন্তু বিয়ে-সংসারের কাজের চাপে সে ইচ্ছা অপূর্ণ থেকে যায়। সেই বুটিক হাউস থেকে যায় কল্পজগতেই।
১৭ অক্টোবর ২০২১
বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড (BHL) আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করল অল-নিউ হোন্ডা NX 200—একটি আধুনিক অ্যাডভেঞ্চার-ইনস্পায়ার্ড মোটরসাইকেল, যা রোমাঞ্চপ্রেমী রাইডার, বহুমুখী ব্যবহারকারী এবং দীর্ঘ দূরপথে যাতায়াতকারীদের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের সর্ববৃহৎ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৯ সালের এই দিনে ৮৩ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সমাজসেবায় তাঁর অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছর (২০২৫) তিনি মরণোত্তর ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’-এ ভূষিত হয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
সারা দেশের সাত হাজার ডিস্ট্রিবিউটর ফিল্ড ফোর্সের মধ্য থেকে সেরা পারফরম্যান্সের জন্য ৭০ জনকে বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে ডাক বিভাগের ডিজিটাল আর্থিক লেনদেন সেবা নগদ। রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘নগদ ফিল্ড চ্যাম্পিয়ন ২০২৫’ নামের এই সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
২ দিন আগে