মন্টি বৈষ্ণব

স্বপ্ন তো কত রকম হয়। সামনে এগোনোর স্বপ্ন, সুখের স্বপ্ন, জয়ের স্বপ্ন ইত্যাদি বড় বিস্তৃত সব স্বপ্নের ভিড়ে হারিয়ে যেতে বসে ছোট ছোট স্বপ্নের দল। একেবারে নিজের এক ট্রাক আইসক্রিম থাকবে, আর বসে বসে কেবল খাওয়া—এমন স্বপ্ন তো কতজনই দেখেছে শৈশবে। দেখেছে নানা রঙের নানা ঢঙের পোশাকের স্বপ্নও। সময়ের ধুলা জমে এসব স্বপ্ন অনেক সময়ই হারিয়ে যায়, ঝাপসা হয়ে যায়। কিন্তু কেউ কেউ থাকে, যারা এমন সব স্বপ্নকেই ফের জাগিয়ে তোলেন জীবন-জয়ের পথে। তেমনই একজন সুমাইয়া সুলতানা শ্রবণা।
পরিবারের একমাত্র সন্তান সুমাইয়া সুলতানা শ্রবণা বরাবরই স্বাধীনচেতা। সুমাইয়া বর্তমানে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি প্রথম বর্ষে পড়ালেখা করছেন। পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। তাই অনেক আগে থেকেই নিজের দায়িত্ব নিজেই নিয়েছেন। টিউশনি করে চালাতেন তাঁর পড়ালেখার খরচ। কিন্তু বাদ সাধল করোনাভাইরাস। গত বছর করোনার সময় স্থবির হয়ে পড়ল পুরো দেশ। সে সময় প্রয়োজনের বাইরে তেমন কেউ ঘরের বাইরে যাওয়ার কথা চিন্তা করতে পারত না। ফলে সেই কঠিন সময়ে বন্ধ হয়ে পড়ে সুমাইয়ার টিউশনি। এতে তাঁর পরিবারে আর্থিক অসচ্ছলতা দেখা দেয়। পরিবারের এই দুঃসময়ে সুমাইয়া ছোটবেলার শখকে পেশা বানিয়ে শুরু করেন অনলাইনভিত্তিক শপিং প্ল্যাটফর্ম ‘স্বপ্নপিরাণ’-এর যাত্রা।
শুনলে অবাক হতে হয় সুমাইয়া মাত্র ২৫০ টাকা কাপড় ও সুতা কিনে শুরু করেছিলেন তাঁর এই স্বপ্নযাত্রা। শৈশবের শখ ও নিজের ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন মিলিয়ে নাম দেন—স্বপ্নপিরাণ। এই স্বপ্ন শুধু নিজের কাছেই রাখতে চান না। তাঁর বানানো ‘পিরাণ’ বা জামার সঙ্গে যেন মিশে যায় তাঁর স্বপ্ন, যেন নকশার খাঁজে খাঁজে সেই স্বপ্ন সবাইকে ছুঁয়ে যায়—সেই আশাতেই এই নাম দিয়েছেন তিনি। বাগেরহাটের মেয়ে শ্রবণার লক্ষ্য সাশ্রয়ী মূল্যের এমন পোশাক বানানো, যা সবার স্বপ্নকে ছুঁতে পারে।
শেখাটা কিন্তু পরিবার থেকেই। ঢাকার বাসিন্দা শ্রবণার বাবা চাকরিজীবী, আর মা গৃহিণী। না, ভুল বলা হলো। মায়ের বুটিক শপ ছিল। বলা যায়, মায়ের সেই কাপড়-সুতা, আর সুঁইয়েই একটু একটু করে হয়েছে শ্রবণের স্বপ্নের বুনন। সুমাইয়া বলেন, ‘বহু বছর ধরে মায়ের বুটিক শপ ছিল। তাই ছোটবেলা থেকে কাপড়, সুতা, সেলাই মেশিনের শব্দের ভেতরই তাঁর বড় হওয়া। সেই ছোটবেলা থেকে নিজের জন্য নতুন নতুন ডিজাইনের জামা তৈরি করতে ভালো লাগত। পরিবারের কারণে আমি বেশ আগে থেকেই নিজের দায়িত্ব নিজে নিয়েছি। কিন্তু করোনাকালে আমার টিউশনি বন্ধ হয়ে যায়। এতে আমি বিপাকে পড়ি। টিউশনির টাকা দিয়ে চলত আমার লেখাপড়ার খরচ। করোনাকালে যখন টিউশনি বন্ধ হয়, তখন পরিবারের অর্থনৈতিক সমস্যা বেড়ে যায়। তাই সে সময় একদমই শূন্য হাতে শুরু করি স্বপ্নপিরাণ-এর যাত্রা।’
শ্রবণা দেশীয় সুতির একরঙা কাপড়ের ওপর প্যাচওয়ার্কের (বিভিন্ন রং ও প্রিন্টের কাপড় জোড়া দিয়ে যে ডিজাইন করা হয়) নকশা দিয়ে লেডিস কুর্তি, ওড়না স্কার্ফ, থ্রিপিস, বেবি ড্রেস, শীতের শাল, জ্যাকেট, ব্যাগ, ছেলেদের ফতুয়া তৈরি করেন। বর্তমানে তাঁর ‘স্বপ্নপিরাণ’-এর কাজে দুজন কর্মী নিযুক্ত আছেন। সুমাইয়ার ভবিষ্যতে ভিন্ন ভিন্ন ডিজাইনের পোশাক তৈরির ইচ্ছা আছে। এ ছাড়া ব্যবসার ক্ষেত্রে ক্রেতাদের পছন্দকে প্রাধান্য দেন তিনি। ক্রেতাদের পছন্দ অনুযায়ী কাস্টমাইজ অর্ডারও নেন তিনি। পোশাকের দাম ঠিক করার সময় খেয়াল রাখেন যেন তা সাশ্রয়ী হয়। ফলে পোশাকপ্রতি তাঁর মুনাফা বেশ কম বলে দাবি করলেন তিনি। কারণ বললেন, ‘আমি চাই আমার তৈরি পোশাক সাশ্রয়ী হোক, যাতে সব পেশার মানুষ স্বপ্নপিরাণ-এর পণ্য কিনতে পারেন।’
নিজের স্বপ্নের পথে এই যাত্রায় সমালোচনা যেমন শুনেছেন, তেমনি সহযোগিতাও পেয়েছেন। বলার অপেক্ষা রাখে না, সহযোগিতা এসেছ মুখ্যত পরিবার ও কাছের বন্ধুদের কাছ থেকে। শ্রবণা বলেন, ‘উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়স্বজন সবারই মোটামুটি সহযোগিতা পেয়েছি। তবে মা ও দুই বন্ধু টুকটুকি, আর অরণির কথা না বললেই নয়। এরা শুরু থেকে আমার স্বপ্নপিরাণের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। নতুন নতুন ডিজাইন করতে মা সাহায্য করেছেন বেশি। ড্রেস তৈরি, আর টেইলরের বিষয়গুলো মা বেশি দেখেন। এ ছাড়া টুকিটাকি কাজে মায়ের সহযোগিতা তো সব সময় পেয়ে এসেছি।’
প্রতিবন্ধকতার কথা উঠলে, তাকে ঠিক তেমন করেই উহ্য রাখতে চাইলেন, যেমন করে তিনি একে অগ্রাহ্য করে এগিয়ে গেছেন। এ বিষয়ে তাঁর অবস্থান বেশ স্পষ্ট—‘সমাজে চলার পথে মেয়েদের কাজে কোনো না কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকেই। অপর্যাপ্ত বিনিয়োগ, রাস্তাঘাটে হেনস্তা, সমাজের মানুষদের কটুকথা, আত্মীয়স্বজনের বাঁকা চোখে দেখা—এগুলো আমার চলার পথে বরাবরই ছিল। আমি এসব ঝামেলাকে পাত্তা না দিয়ে সাহস নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে গেছি।’
বলতে বলতে শ্রবণার চোখেমুখে ঠিক সেই আত্মবিশ্বাস ফুটে উঠল, যা তাঁকে এ অবস্থানে নিয়ে এসেছে। পরিবারের দুর্দিনে নিজের কাঁধেই কিছু দায় নিয়ে নেওয়ার মতো সাহস এই বয়সী অনেকেরই থাকে না। শ্রবণার সে সাহস আছে এবং অন্যকে স্বপ্নের পথে চালিত করার সাহসও দেখাচ্ছেন তিনি। তাঁর স্বপ্নপিরাণে এখন আরও দুজন কর্মী কাজ করেন। মাত্র ২৫০ টাকায় যে প্রতিষ্ঠানের যাত্রা হয়েছিল, তার মাসিক আয় এখন ৫ হাজার টাকার বেশি। নিজের পড়ার খরচ নিজেই সামলাতে পারছেন তিনি। বললেন, ‘আত্মবিশ্বাসই মূল। উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য এটিই সবচেয়ে বেশি দরকার। যে নারীর আত্মবিশ্বাস আছে, তাঁর পক্ষে সবকিছুই করা সম্ভব।’
সুমাইয়া সুলতানা শ্রবণা এখনো তাঁর স্বপ্নের পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে পারেননি। মাত্র চলতে শুরু করেছেন বলা যায়। বলা যায়, এখনো বহু পথ বাকি। তিনি চান তাঁর প্রতিষ্ঠান অনেকের কর্মসংস্থান করবে। চান বহু মানুষের স্বপ্নের আশ্রয় হতে।

স্বপ্ন তো কত রকম হয়। সামনে এগোনোর স্বপ্ন, সুখের স্বপ্ন, জয়ের স্বপ্ন ইত্যাদি বড় বিস্তৃত সব স্বপ্নের ভিড়ে হারিয়ে যেতে বসে ছোট ছোট স্বপ্নের দল। একেবারে নিজের এক ট্রাক আইসক্রিম থাকবে, আর বসে বসে কেবল খাওয়া—এমন স্বপ্ন তো কতজনই দেখেছে শৈশবে। দেখেছে নানা রঙের নানা ঢঙের পোশাকের স্বপ্নও। সময়ের ধুলা জমে এসব স্বপ্ন অনেক সময়ই হারিয়ে যায়, ঝাপসা হয়ে যায়। কিন্তু কেউ কেউ থাকে, যারা এমন সব স্বপ্নকেই ফের জাগিয়ে তোলেন জীবন-জয়ের পথে। তেমনই একজন সুমাইয়া সুলতানা শ্রবণা।
পরিবারের একমাত্র সন্তান সুমাইয়া সুলতানা শ্রবণা বরাবরই স্বাধীনচেতা। সুমাইয়া বর্তমানে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি প্রথম বর্ষে পড়ালেখা করছেন। পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। তাই অনেক আগে থেকেই নিজের দায়িত্ব নিজেই নিয়েছেন। টিউশনি করে চালাতেন তাঁর পড়ালেখার খরচ। কিন্তু বাদ সাধল করোনাভাইরাস। গত বছর করোনার সময় স্থবির হয়ে পড়ল পুরো দেশ। সে সময় প্রয়োজনের বাইরে তেমন কেউ ঘরের বাইরে যাওয়ার কথা চিন্তা করতে পারত না। ফলে সেই কঠিন সময়ে বন্ধ হয়ে পড়ে সুমাইয়ার টিউশনি। এতে তাঁর পরিবারে আর্থিক অসচ্ছলতা দেখা দেয়। পরিবারের এই দুঃসময়ে সুমাইয়া ছোটবেলার শখকে পেশা বানিয়ে শুরু করেন অনলাইনভিত্তিক শপিং প্ল্যাটফর্ম ‘স্বপ্নপিরাণ’-এর যাত্রা।
শুনলে অবাক হতে হয় সুমাইয়া মাত্র ২৫০ টাকা কাপড় ও সুতা কিনে শুরু করেছিলেন তাঁর এই স্বপ্নযাত্রা। শৈশবের শখ ও নিজের ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন মিলিয়ে নাম দেন—স্বপ্নপিরাণ। এই স্বপ্ন শুধু নিজের কাছেই রাখতে চান না। তাঁর বানানো ‘পিরাণ’ বা জামার সঙ্গে যেন মিশে যায় তাঁর স্বপ্ন, যেন নকশার খাঁজে খাঁজে সেই স্বপ্ন সবাইকে ছুঁয়ে যায়—সেই আশাতেই এই নাম দিয়েছেন তিনি। বাগেরহাটের মেয়ে শ্রবণার লক্ষ্য সাশ্রয়ী মূল্যের এমন পোশাক বানানো, যা সবার স্বপ্নকে ছুঁতে পারে।
শেখাটা কিন্তু পরিবার থেকেই। ঢাকার বাসিন্দা শ্রবণার বাবা চাকরিজীবী, আর মা গৃহিণী। না, ভুল বলা হলো। মায়ের বুটিক শপ ছিল। বলা যায়, মায়ের সেই কাপড়-সুতা, আর সুঁইয়েই একটু একটু করে হয়েছে শ্রবণের স্বপ্নের বুনন। সুমাইয়া বলেন, ‘বহু বছর ধরে মায়ের বুটিক শপ ছিল। তাই ছোটবেলা থেকে কাপড়, সুতা, সেলাই মেশিনের শব্দের ভেতরই তাঁর বড় হওয়া। সেই ছোটবেলা থেকে নিজের জন্য নতুন নতুন ডিজাইনের জামা তৈরি করতে ভালো লাগত। পরিবারের কারণে আমি বেশ আগে থেকেই নিজের দায়িত্ব নিজে নিয়েছি। কিন্তু করোনাকালে আমার টিউশনি বন্ধ হয়ে যায়। এতে আমি বিপাকে পড়ি। টিউশনির টাকা দিয়ে চলত আমার লেখাপড়ার খরচ। করোনাকালে যখন টিউশনি বন্ধ হয়, তখন পরিবারের অর্থনৈতিক সমস্যা বেড়ে যায়। তাই সে সময় একদমই শূন্য হাতে শুরু করি স্বপ্নপিরাণ-এর যাত্রা।’
শ্রবণা দেশীয় সুতির একরঙা কাপড়ের ওপর প্যাচওয়ার্কের (বিভিন্ন রং ও প্রিন্টের কাপড় জোড়া দিয়ে যে ডিজাইন করা হয়) নকশা দিয়ে লেডিস কুর্তি, ওড়না স্কার্ফ, থ্রিপিস, বেবি ড্রেস, শীতের শাল, জ্যাকেট, ব্যাগ, ছেলেদের ফতুয়া তৈরি করেন। বর্তমানে তাঁর ‘স্বপ্নপিরাণ’-এর কাজে দুজন কর্মী নিযুক্ত আছেন। সুমাইয়ার ভবিষ্যতে ভিন্ন ভিন্ন ডিজাইনের পোশাক তৈরির ইচ্ছা আছে। এ ছাড়া ব্যবসার ক্ষেত্রে ক্রেতাদের পছন্দকে প্রাধান্য দেন তিনি। ক্রেতাদের পছন্দ অনুযায়ী কাস্টমাইজ অর্ডারও নেন তিনি। পোশাকের দাম ঠিক করার সময় খেয়াল রাখেন যেন তা সাশ্রয়ী হয়। ফলে পোশাকপ্রতি তাঁর মুনাফা বেশ কম বলে দাবি করলেন তিনি। কারণ বললেন, ‘আমি চাই আমার তৈরি পোশাক সাশ্রয়ী হোক, যাতে সব পেশার মানুষ স্বপ্নপিরাণ-এর পণ্য কিনতে পারেন।’
নিজের স্বপ্নের পথে এই যাত্রায় সমালোচনা যেমন শুনেছেন, তেমনি সহযোগিতাও পেয়েছেন। বলার অপেক্ষা রাখে না, সহযোগিতা এসেছ মুখ্যত পরিবার ও কাছের বন্ধুদের কাছ থেকে। শ্রবণা বলেন, ‘উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়স্বজন সবারই মোটামুটি সহযোগিতা পেয়েছি। তবে মা ও দুই বন্ধু টুকটুকি, আর অরণির কথা না বললেই নয়। এরা শুরু থেকে আমার স্বপ্নপিরাণের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। নতুন নতুন ডিজাইন করতে মা সাহায্য করেছেন বেশি। ড্রেস তৈরি, আর টেইলরের বিষয়গুলো মা বেশি দেখেন। এ ছাড়া টুকিটাকি কাজে মায়ের সহযোগিতা তো সব সময় পেয়ে এসেছি।’
প্রতিবন্ধকতার কথা উঠলে, তাকে ঠিক তেমন করেই উহ্য রাখতে চাইলেন, যেমন করে তিনি একে অগ্রাহ্য করে এগিয়ে গেছেন। এ বিষয়ে তাঁর অবস্থান বেশ স্পষ্ট—‘সমাজে চলার পথে মেয়েদের কাজে কোনো না কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকেই। অপর্যাপ্ত বিনিয়োগ, রাস্তাঘাটে হেনস্তা, সমাজের মানুষদের কটুকথা, আত্মীয়স্বজনের বাঁকা চোখে দেখা—এগুলো আমার চলার পথে বরাবরই ছিল। আমি এসব ঝামেলাকে পাত্তা না দিয়ে সাহস নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে গেছি।’
বলতে বলতে শ্রবণার চোখেমুখে ঠিক সেই আত্মবিশ্বাস ফুটে উঠল, যা তাঁকে এ অবস্থানে নিয়ে এসেছে। পরিবারের দুর্দিনে নিজের কাঁধেই কিছু দায় নিয়ে নেওয়ার মতো সাহস এই বয়সী অনেকেরই থাকে না। শ্রবণার সে সাহস আছে এবং অন্যকে স্বপ্নের পথে চালিত করার সাহসও দেখাচ্ছেন তিনি। তাঁর স্বপ্নপিরাণে এখন আরও দুজন কর্মী কাজ করেন। মাত্র ২৫০ টাকায় যে প্রতিষ্ঠানের যাত্রা হয়েছিল, তার মাসিক আয় এখন ৫ হাজার টাকার বেশি। নিজের পড়ার খরচ নিজেই সামলাতে পারছেন তিনি। বললেন, ‘আত্মবিশ্বাসই মূল। উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য এটিই সবচেয়ে বেশি দরকার। যে নারীর আত্মবিশ্বাস আছে, তাঁর পক্ষে সবকিছুই করা সম্ভব।’
সুমাইয়া সুলতানা শ্রবণা এখনো তাঁর স্বপ্নের পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে পারেননি। মাত্র চলতে শুরু করেছেন বলা যায়। বলা যায়, এখনো বহু পথ বাকি। তিনি চান তাঁর প্রতিষ্ঠান অনেকের কর্মসংস্থান করবে। চান বহু মানুষের স্বপ্নের আশ্রয় হতে।
মন্টি বৈষ্ণব

স্বপ্ন তো কত রকম হয়। সামনে এগোনোর স্বপ্ন, সুখের স্বপ্ন, জয়ের স্বপ্ন ইত্যাদি বড় বিস্তৃত সব স্বপ্নের ভিড়ে হারিয়ে যেতে বসে ছোট ছোট স্বপ্নের দল। একেবারে নিজের এক ট্রাক আইসক্রিম থাকবে, আর বসে বসে কেবল খাওয়া—এমন স্বপ্ন তো কতজনই দেখেছে শৈশবে। দেখেছে নানা রঙের নানা ঢঙের পোশাকের স্বপ্নও। সময়ের ধুলা জমে এসব স্বপ্ন অনেক সময়ই হারিয়ে যায়, ঝাপসা হয়ে যায়। কিন্তু কেউ কেউ থাকে, যারা এমন সব স্বপ্নকেই ফের জাগিয়ে তোলেন জীবন-জয়ের পথে। তেমনই একজন সুমাইয়া সুলতানা শ্রবণা।
পরিবারের একমাত্র সন্তান সুমাইয়া সুলতানা শ্রবণা বরাবরই স্বাধীনচেতা। সুমাইয়া বর্তমানে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি প্রথম বর্ষে পড়ালেখা করছেন। পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। তাই অনেক আগে থেকেই নিজের দায়িত্ব নিজেই নিয়েছেন। টিউশনি করে চালাতেন তাঁর পড়ালেখার খরচ। কিন্তু বাদ সাধল করোনাভাইরাস। গত বছর করোনার সময় স্থবির হয়ে পড়ল পুরো দেশ। সে সময় প্রয়োজনের বাইরে তেমন কেউ ঘরের বাইরে যাওয়ার কথা চিন্তা করতে পারত না। ফলে সেই কঠিন সময়ে বন্ধ হয়ে পড়ে সুমাইয়ার টিউশনি। এতে তাঁর পরিবারে আর্থিক অসচ্ছলতা দেখা দেয়। পরিবারের এই দুঃসময়ে সুমাইয়া ছোটবেলার শখকে পেশা বানিয়ে শুরু করেন অনলাইনভিত্তিক শপিং প্ল্যাটফর্ম ‘স্বপ্নপিরাণ’-এর যাত্রা।
শুনলে অবাক হতে হয় সুমাইয়া মাত্র ২৫০ টাকা কাপড় ও সুতা কিনে শুরু করেছিলেন তাঁর এই স্বপ্নযাত্রা। শৈশবের শখ ও নিজের ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন মিলিয়ে নাম দেন—স্বপ্নপিরাণ। এই স্বপ্ন শুধু নিজের কাছেই রাখতে চান না। তাঁর বানানো ‘পিরাণ’ বা জামার সঙ্গে যেন মিশে যায় তাঁর স্বপ্ন, যেন নকশার খাঁজে খাঁজে সেই স্বপ্ন সবাইকে ছুঁয়ে যায়—সেই আশাতেই এই নাম দিয়েছেন তিনি। বাগেরহাটের মেয়ে শ্রবণার লক্ষ্য সাশ্রয়ী মূল্যের এমন পোশাক বানানো, যা সবার স্বপ্নকে ছুঁতে পারে।
শেখাটা কিন্তু পরিবার থেকেই। ঢাকার বাসিন্দা শ্রবণার বাবা চাকরিজীবী, আর মা গৃহিণী। না, ভুল বলা হলো। মায়ের বুটিক শপ ছিল। বলা যায়, মায়ের সেই কাপড়-সুতা, আর সুঁইয়েই একটু একটু করে হয়েছে শ্রবণের স্বপ্নের বুনন। সুমাইয়া বলেন, ‘বহু বছর ধরে মায়ের বুটিক শপ ছিল। তাই ছোটবেলা থেকে কাপড়, সুতা, সেলাই মেশিনের শব্দের ভেতরই তাঁর বড় হওয়া। সেই ছোটবেলা থেকে নিজের জন্য নতুন নতুন ডিজাইনের জামা তৈরি করতে ভালো লাগত। পরিবারের কারণে আমি বেশ আগে থেকেই নিজের দায়িত্ব নিজে নিয়েছি। কিন্তু করোনাকালে আমার টিউশনি বন্ধ হয়ে যায়। এতে আমি বিপাকে পড়ি। টিউশনির টাকা দিয়ে চলত আমার লেখাপড়ার খরচ। করোনাকালে যখন টিউশনি বন্ধ হয়, তখন পরিবারের অর্থনৈতিক সমস্যা বেড়ে যায়। তাই সে সময় একদমই শূন্য হাতে শুরু করি স্বপ্নপিরাণ-এর যাত্রা।’
শ্রবণা দেশীয় সুতির একরঙা কাপড়ের ওপর প্যাচওয়ার্কের (বিভিন্ন রং ও প্রিন্টের কাপড় জোড়া দিয়ে যে ডিজাইন করা হয়) নকশা দিয়ে লেডিস কুর্তি, ওড়না স্কার্ফ, থ্রিপিস, বেবি ড্রেস, শীতের শাল, জ্যাকেট, ব্যাগ, ছেলেদের ফতুয়া তৈরি করেন। বর্তমানে তাঁর ‘স্বপ্নপিরাণ’-এর কাজে দুজন কর্মী নিযুক্ত আছেন। সুমাইয়ার ভবিষ্যতে ভিন্ন ভিন্ন ডিজাইনের পোশাক তৈরির ইচ্ছা আছে। এ ছাড়া ব্যবসার ক্ষেত্রে ক্রেতাদের পছন্দকে প্রাধান্য দেন তিনি। ক্রেতাদের পছন্দ অনুযায়ী কাস্টমাইজ অর্ডারও নেন তিনি। পোশাকের দাম ঠিক করার সময় খেয়াল রাখেন যেন তা সাশ্রয়ী হয়। ফলে পোশাকপ্রতি তাঁর মুনাফা বেশ কম বলে দাবি করলেন তিনি। কারণ বললেন, ‘আমি চাই আমার তৈরি পোশাক সাশ্রয়ী হোক, যাতে সব পেশার মানুষ স্বপ্নপিরাণ-এর পণ্য কিনতে পারেন।’
নিজের স্বপ্নের পথে এই যাত্রায় সমালোচনা যেমন শুনেছেন, তেমনি সহযোগিতাও পেয়েছেন। বলার অপেক্ষা রাখে না, সহযোগিতা এসেছ মুখ্যত পরিবার ও কাছের বন্ধুদের কাছ থেকে। শ্রবণা বলেন, ‘উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়স্বজন সবারই মোটামুটি সহযোগিতা পেয়েছি। তবে মা ও দুই বন্ধু টুকটুকি, আর অরণির কথা না বললেই নয়। এরা শুরু থেকে আমার স্বপ্নপিরাণের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। নতুন নতুন ডিজাইন করতে মা সাহায্য করেছেন বেশি। ড্রেস তৈরি, আর টেইলরের বিষয়গুলো মা বেশি দেখেন। এ ছাড়া টুকিটাকি কাজে মায়ের সহযোগিতা তো সব সময় পেয়ে এসেছি।’
প্রতিবন্ধকতার কথা উঠলে, তাকে ঠিক তেমন করেই উহ্য রাখতে চাইলেন, যেমন করে তিনি একে অগ্রাহ্য করে এগিয়ে গেছেন। এ বিষয়ে তাঁর অবস্থান বেশ স্পষ্ট—‘সমাজে চলার পথে মেয়েদের কাজে কোনো না কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকেই। অপর্যাপ্ত বিনিয়োগ, রাস্তাঘাটে হেনস্তা, সমাজের মানুষদের কটুকথা, আত্মীয়স্বজনের বাঁকা চোখে দেখা—এগুলো আমার চলার পথে বরাবরই ছিল। আমি এসব ঝামেলাকে পাত্তা না দিয়ে সাহস নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে গেছি।’
বলতে বলতে শ্রবণার চোখেমুখে ঠিক সেই আত্মবিশ্বাস ফুটে উঠল, যা তাঁকে এ অবস্থানে নিয়ে এসেছে। পরিবারের দুর্দিনে নিজের কাঁধেই কিছু দায় নিয়ে নেওয়ার মতো সাহস এই বয়সী অনেকেরই থাকে না। শ্রবণার সে সাহস আছে এবং অন্যকে স্বপ্নের পথে চালিত করার সাহসও দেখাচ্ছেন তিনি। তাঁর স্বপ্নপিরাণে এখন আরও দুজন কর্মী কাজ করেন। মাত্র ২৫০ টাকায় যে প্রতিষ্ঠানের যাত্রা হয়েছিল, তার মাসিক আয় এখন ৫ হাজার টাকার বেশি। নিজের পড়ার খরচ নিজেই সামলাতে পারছেন তিনি। বললেন, ‘আত্মবিশ্বাসই মূল। উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য এটিই সবচেয়ে বেশি দরকার। যে নারীর আত্মবিশ্বাস আছে, তাঁর পক্ষে সবকিছুই করা সম্ভব।’
সুমাইয়া সুলতানা শ্রবণা এখনো তাঁর স্বপ্নের পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে পারেননি। মাত্র চলতে শুরু করেছেন বলা যায়। বলা যায়, এখনো বহু পথ বাকি। তিনি চান তাঁর প্রতিষ্ঠান অনেকের কর্মসংস্থান করবে। চান বহু মানুষের স্বপ্নের আশ্রয় হতে।

স্বপ্ন তো কত রকম হয়। সামনে এগোনোর স্বপ্ন, সুখের স্বপ্ন, জয়ের স্বপ্ন ইত্যাদি বড় বিস্তৃত সব স্বপ্নের ভিড়ে হারিয়ে যেতে বসে ছোট ছোট স্বপ্নের দল। একেবারে নিজের এক ট্রাক আইসক্রিম থাকবে, আর বসে বসে কেবল খাওয়া—এমন স্বপ্ন তো কতজনই দেখেছে শৈশবে। দেখেছে নানা রঙের নানা ঢঙের পোশাকের স্বপ্নও। সময়ের ধুলা জমে এসব স্বপ্ন অনেক সময়ই হারিয়ে যায়, ঝাপসা হয়ে যায়। কিন্তু কেউ কেউ থাকে, যারা এমন সব স্বপ্নকেই ফের জাগিয়ে তোলেন জীবন-জয়ের পথে। তেমনই একজন সুমাইয়া সুলতানা শ্রবণা।
পরিবারের একমাত্র সন্তান সুমাইয়া সুলতানা শ্রবণা বরাবরই স্বাধীনচেতা। সুমাইয়া বর্তমানে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি প্রথম বর্ষে পড়ালেখা করছেন। পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। তাই অনেক আগে থেকেই নিজের দায়িত্ব নিজেই নিয়েছেন। টিউশনি করে চালাতেন তাঁর পড়ালেখার খরচ। কিন্তু বাদ সাধল করোনাভাইরাস। গত বছর করোনার সময় স্থবির হয়ে পড়ল পুরো দেশ। সে সময় প্রয়োজনের বাইরে তেমন কেউ ঘরের বাইরে যাওয়ার কথা চিন্তা করতে পারত না। ফলে সেই কঠিন সময়ে বন্ধ হয়ে পড়ে সুমাইয়ার টিউশনি। এতে তাঁর পরিবারে আর্থিক অসচ্ছলতা দেখা দেয়। পরিবারের এই দুঃসময়ে সুমাইয়া ছোটবেলার শখকে পেশা বানিয়ে শুরু করেন অনলাইনভিত্তিক শপিং প্ল্যাটফর্ম ‘স্বপ্নপিরাণ’-এর যাত্রা।
শুনলে অবাক হতে হয় সুমাইয়া মাত্র ২৫০ টাকা কাপড় ও সুতা কিনে শুরু করেছিলেন তাঁর এই স্বপ্নযাত্রা। শৈশবের শখ ও নিজের ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন মিলিয়ে নাম দেন—স্বপ্নপিরাণ। এই স্বপ্ন শুধু নিজের কাছেই রাখতে চান না। তাঁর বানানো ‘পিরাণ’ বা জামার সঙ্গে যেন মিশে যায় তাঁর স্বপ্ন, যেন নকশার খাঁজে খাঁজে সেই স্বপ্ন সবাইকে ছুঁয়ে যায়—সেই আশাতেই এই নাম দিয়েছেন তিনি। বাগেরহাটের মেয়ে শ্রবণার লক্ষ্য সাশ্রয়ী মূল্যের এমন পোশাক বানানো, যা সবার স্বপ্নকে ছুঁতে পারে।
শেখাটা কিন্তু পরিবার থেকেই। ঢাকার বাসিন্দা শ্রবণার বাবা চাকরিজীবী, আর মা গৃহিণী। না, ভুল বলা হলো। মায়ের বুটিক শপ ছিল। বলা যায়, মায়ের সেই কাপড়-সুতা, আর সুঁইয়েই একটু একটু করে হয়েছে শ্রবণের স্বপ্নের বুনন। সুমাইয়া বলেন, ‘বহু বছর ধরে মায়ের বুটিক শপ ছিল। তাই ছোটবেলা থেকে কাপড়, সুতা, সেলাই মেশিনের শব্দের ভেতরই তাঁর বড় হওয়া। সেই ছোটবেলা থেকে নিজের জন্য নতুন নতুন ডিজাইনের জামা তৈরি করতে ভালো লাগত। পরিবারের কারণে আমি বেশ আগে থেকেই নিজের দায়িত্ব নিজে নিয়েছি। কিন্তু করোনাকালে আমার টিউশনি বন্ধ হয়ে যায়। এতে আমি বিপাকে পড়ি। টিউশনির টাকা দিয়ে চলত আমার লেখাপড়ার খরচ। করোনাকালে যখন টিউশনি বন্ধ হয়, তখন পরিবারের অর্থনৈতিক সমস্যা বেড়ে যায়। তাই সে সময় একদমই শূন্য হাতে শুরু করি স্বপ্নপিরাণ-এর যাত্রা।’
শ্রবণা দেশীয় সুতির একরঙা কাপড়ের ওপর প্যাচওয়ার্কের (বিভিন্ন রং ও প্রিন্টের কাপড় জোড়া দিয়ে যে ডিজাইন করা হয়) নকশা দিয়ে লেডিস কুর্তি, ওড়না স্কার্ফ, থ্রিপিস, বেবি ড্রেস, শীতের শাল, জ্যাকেট, ব্যাগ, ছেলেদের ফতুয়া তৈরি করেন। বর্তমানে তাঁর ‘স্বপ্নপিরাণ’-এর কাজে দুজন কর্মী নিযুক্ত আছেন। সুমাইয়ার ভবিষ্যতে ভিন্ন ভিন্ন ডিজাইনের পোশাক তৈরির ইচ্ছা আছে। এ ছাড়া ব্যবসার ক্ষেত্রে ক্রেতাদের পছন্দকে প্রাধান্য দেন তিনি। ক্রেতাদের পছন্দ অনুযায়ী কাস্টমাইজ অর্ডারও নেন তিনি। পোশাকের দাম ঠিক করার সময় খেয়াল রাখেন যেন তা সাশ্রয়ী হয়। ফলে পোশাকপ্রতি তাঁর মুনাফা বেশ কম বলে দাবি করলেন তিনি। কারণ বললেন, ‘আমি চাই আমার তৈরি পোশাক সাশ্রয়ী হোক, যাতে সব পেশার মানুষ স্বপ্নপিরাণ-এর পণ্য কিনতে পারেন।’
নিজের স্বপ্নের পথে এই যাত্রায় সমালোচনা যেমন শুনেছেন, তেমনি সহযোগিতাও পেয়েছেন। বলার অপেক্ষা রাখে না, সহযোগিতা এসেছ মুখ্যত পরিবার ও কাছের বন্ধুদের কাছ থেকে। শ্রবণা বলেন, ‘উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়স্বজন সবারই মোটামুটি সহযোগিতা পেয়েছি। তবে মা ও দুই বন্ধু টুকটুকি, আর অরণির কথা না বললেই নয়। এরা শুরু থেকে আমার স্বপ্নপিরাণের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। নতুন নতুন ডিজাইন করতে মা সাহায্য করেছেন বেশি। ড্রেস তৈরি, আর টেইলরের বিষয়গুলো মা বেশি দেখেন। এ ছাড়া টুকিটাকি কাজে মায়ের সহযোগিতা তো সব সময় পেয়ে এসেছি।’
প্রতিবন্ধকতার কথা উঠলে, তাকে ঠিক তেমন করেই উহ্য রাখতে চাইলেন, যেমন করে তিনি একে অগ্রাহ্য করে এগিয়ে গেছেন। এ বিষয়ে তাঁর অবস্থান বেশ স্পষ্ট—‘সমাজে চলার পথে মেয়েদের কাজে কোনো না কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকেই। অপর্যাপ্ত বিনিয়োগ, রাস্তাঘাটে হেনস্তা, সমাজের মানুষদের কটুকথা, আত্মীয়স্বজনের বাঁকা চোখে দেখা—এগুলো আমার চলার পথে বরাবরই ছিল। আমি এসব ঝামেলাকে পাত্তা না দিয়ে সাহস নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে গেছি।’
বলতে বলতে শ্রবণার চোখেমুখে ঠিক সেই আত্মবিশ্বাস ফুটে উঠল, যা তাঁকে এ অবস্থানে নিয়ে এসেছে। পরিবারের দুর্দিনে নিজের কাঁধেই কিছু দায় নিয়ে নেওয়ার মতো সাহস এই বয়সী অনেকেরই থাকে না। শ্রবণার সে সাহস আছে এবং অন্যকে স্বপ্নের পথে চালিত করার সাহসও দেখাচ্ছেন তিনি। তাঁর স্বপ্নপিরাণে এখন আরও দুজন কর্মী কাজ করেন। মাত্র ২৫০ টাকায় যে প্রতিষ্ঠানের যাত্রা হয়েছিল, তার মাসিক আয় এখন ৫ হাজার টাকার বেশি। নিজের পড়ার খরচ নিজেই সামলাতে পারছেন তিনি। বললেন, ‘আত্মবিশ্বাসই মূল। উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য এটিই সবচেয়ে বেশি দরকার। যে নারীর আত্মবিশ্বাস আছে, তাঁর পক্ষে সবকিছুই করা সম্ভব।’
সুমাইয়া সুলতানা শ্রবণা এখনো তাঁর স্বপ্নের পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে পারেননি। মাত্র চলতে শুরু করেছেন বলা যায়। বলা যায়, এখনো বহু পথ বাকি। তিনি চান তাঁর প্রতিষ্ঠান অনেকের কর্মসংস্থান করবে। চান বহু মানুষের স্বপ্নের আশ্রয় হতে।

বাজারে নতুন অ্যাডভেঞ্চার-ইনস্পায়ার্ড মোটরসাইকেল ‘অল-নিউ হোন্ডা এনএক্স ২০০’ নিয়ে এসেছে বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড। রোমাঞ্চপ্রেমী রাইডার, দূরপথের যাত্রী এবং বহুমুখী ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে এই বাইক।
২১ মিনিট আগে
বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) ২০২৫-২৭ মেয়াদের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবার নির্বাচিত হয়েছেন শওকত আজিজ রাসেল। তিনি আম্বার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং দেশের টেক্সটাইল শিল্পে একজন উদ্যোক্তা।
২২ মিনিট আগে
বছরের শেষ দিকে ভ্রমণ ও চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাতায়াত বেড়ে যাওয়ায় খোলাবাজারে ডলারের চাহিদা বেড়েছে। বাড়তি চাপের কারণে আজ শনিবার খোলাবাজারে প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছে ১২৬ টাকা পর্যন্ত।
২৭ মিনিট আগে
র্যাংগস ইলেকট্রনিকস লিমিটেড এবং রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। ১৭ ডিসেম্বর বিকেলে রাজধানীর রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই চুক্তি সম্পন্ন হয়।
৪৪ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাজারে নতুন অ্যাডভেঞ্চার-ইনস্পায়ার্ড মোটরসাইকেল ‘অল-নিউ হোন্ডা এনএক্স ২০০’ নিয়ে এসেছে বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড। রোমাঞ্চপ্রেমী রাইডার, দূরপথের যাত্রী এবং বহুমুখী ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে এই বাইক।
আজ শনিবার হোন্ডার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হোন্ডা এনএক্স ২০০ হোন্ডার বিশ্বখ্যাত অ্যাডভেঞ্চার লাইনআপের ডিজাইন, উন্নত ইঞ্জিন পারফরম্যান্স এবং রাইডারকেন্দ্রিক প্রযুক্তি থেকে অনুপ্রাণিত। বাইকটি বিভিন্ন রাস্তা ও আবহাওয়ায় শক্তিশালী নিয়ন্ত্রণ, আরামদায়ক রাইড এবং শক্তিশালী পারফরম্যান্স নিশ্চিত করবে। মডেলটির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হোন্ডা মোটর করপোরেশন লিমিটেড জাপানের চিফ অফিসার মিনোরু কাতো গ্রাহক ও অংশীদারদের দীর্ঘদিনের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশে হোন্ডার বিক্রির সংখ্যা ৫ লাখ ৫০ হাজার ইউনিট ছাড়িয়েছে।
বাংলাদেশ হোন্ডার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুসুমু মরিসাওয়া বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য এবং আধুনিক মোটরযানের মাধ্যমে নিরাপদ ও সহজ যাতায়াত নিশ্চিত করা।’
হোন্ডার চিফ মার্কেটিং অফিসার শাহ মুহাম্মদ আশেকুর রহমান বলেন, এনএক্স ২০০ অ্যাডভেঞ্চার-ট্যুরিং সেগমেন্টে একটি নতুন মানদণ্ড স্থাপন করবে, যা বিভিন্ন ধরনের রাস্তা ও আবহাওয়ায় উন্নত নিয়ন্ত্রণ, আরাম এবং শক্তিশালী পারফরম্যান্স নিশ্চিত করবে।

বাজারে নতুন অ্যাডভেঞ্চার-ইনস্পায়ার্ড মোটরসাইকেল ‘অল-নিউ হোন্ডা এনএক্স ২০০’ নিয়ে এসেছে বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড। রোমাঞ্চপ্রেমী রাইডার, দূরপথের যাত্রী এবং বহুমুখী ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে এই বাইক।
আজ শনিবার হোন্ডার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হোন্ডা এনএক্স ২০০ হোন্ডার বিশ্বখ্যাত অ্যাডভেঞ্চার লাইনআপের ডিজাইন, উন্নত ইঞ্জিন পারফরম্যান্স এবং রাইডারকেন্দ্রিক প্রযুক্তি থেকে অনুপ্রাণিত। বাইকটি বিভিন্ন রাস্তা ও আবহাওয়ায় শক্তিশালী নিয়ন্ত্রণ, আরামদায়ক রাইড এবং শক্তিশালী পারফরম্যান্স নিশ্চিত করবে। মডেলটির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হোন্ডা মোটর করপোরেশন লিমিটেড জাপানের চিফ অফিসার মিনোরু কাতো গ্রাহক ও অংশীদারদের দীর্ঘদিনের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশে হোন্ডার বিক্রির সংখ্যা ৫ লাখ ৫০ হাজার ইউনিট ছাড়িয়েছে।
বাংলাদেশ হোন্ডার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুসুমু মরিসাওয়া বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য এবং আধুনিক মোটরযানের মাধ্যমে নিরাপদ ও সহজ যাতায়াত নিশ্চিত করা।’
হোন্ডার চিফ মার্কেটিং অফিসার শাহ মুহাম্মদ আশেকুর রহমান বলেন, এনএক্স ২০০ অ্যাডভেঞ্চার-ট্যুরিং সেগমেন্টে একটি নতুন মানদণ্ড স্থাপন করবে, যা বিভিন্ন ধরনের রাস্তা ও আবহাওয়ায় উন্নত নিয়ন্ত্রণ, আরাম এবং শক্তিশালী পারফরম্যান্স নিশ্চিত করবে।

স্বপ্ন তো কত রকম হয়। সামনে এগোনোর স্বপ্ন, সুখের স্বপ্ন, জয়ের স্বপ্ন ইত্যাদি বড় বিস্তৃত সব স্বপ্নের ভিড়ে হারিয়ে যেতে বসে ছোট ছোট স্বপ্নের দল। একেবারে নিজের এক ট্রাক আইসক্রিম থাকবে, আর বসে বসে কেবল খাওয়া—এমন স্বপ্ন তো কতজনই দেখেছে শৈশবে। দেখেছে নানা রঙের নানা ঢঙের পোশাকের স্বপ্নও। সময়ের ধুলো জমে এসব স
২২ নভেম্বর ২০২১
বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) ২০২৫-২৭ মেয়াদের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবার নির্বাচিত হয়েছেন শওকত আজিজ রাসেল। তিনি আম্বার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং দেশের টেক্সটাইল শিল্পে একজন উদ্যোক্তা।
২২ মিনিট আগে
বছরের শেষ দিকে ভ্রমণ ও চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাতায়াত বেড়ে যাওয়ায় খোলাবাজারে ডলারের চাহিদা বেড়েছে। বাড়তি চাপের কারণে আজ শনিবার খোলাবাজারে প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছে ১২৬ টাকা পর্যন্ত।
২৭ মিনিট আগে
র্যাংগস ইলেকট্রনিকস লিমিটেড এবং রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। ১৭ ডিসেম্বর বিকেলে রাজধানীর রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই চুক্তি সম্পন্ন হয়।
৪৪ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) ২০২৫-২৭ মেয়াদের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবার নির্বাচিত হয়েছেন শওকত আজিজ রাসেল। তিনি আম্বার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং দেশের টেক্সটাইল শিল্পে একজন উদ্যোক্তা।
গত ২৫ নভেম্বর বিটিএমএর গুলশান কার্যালয়ে প্রার্থীদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বিটিএমএ।
এতে বলা হয়, বিটিএমএর তিনজন ভাইস প্রেসিডেন্টও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁরা হলেন ইয়ার্ন ম্যানুফ্যাকচারিং ক্যাটাগরি থেকে মো. শামীম ইসলাম, ফ্যাব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারিং ক্যাটাগরি থেকে মো. আবুল কালাম ও টেক্সটাইল প্রোডাক্ট প্রসেসের ক্যাটাগরি থেকে শফিকুল ইসলাম সরকার।

বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) ২০২৫-২৭ মেয়াদের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবার নির্বাচিত হয়েছেন শওকত আজিজ রাসেল। তিনি আম্বার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং দেশের টেক্সটাইল শিল্পে একজন উদ্যোক্তা।
গত ২৫ নভেম্বর বিটিএমএর গুলশান কার্যালয়ে প্রার্থীদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বিটিএমএ।
এতে বলা হয়, বিটিএমএর তিনজন ভাইস প্রেসিডেন্টও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁরা হলেন ইয়ার্ন ম্যানুফ্যাকচারিং ক্যাটাগরি থেকে মো. শামীম ইসলাম, ফ্যাব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারিং ক্যাটাগরি থেকে মো. আবুল কালাম ও টেক্সটাইল প্রোডাক্ট প্রসেসের ক্যাটাগরি থেকে শফিকুল ইসলাম সরকার।

স্বপ্ন তো কত রকম হয়। সামনে এগোনোর স্বপ্ন, সুখের স্বপ্ন, জয়ের স্বপ্ন ইত্যাদি বড় বিস্তৃত সব স্বপ্নের ভিড়ে হারিয়ে যেতে বসে ছোট ছোট স্বপ্নের দল। একেবারে নিজের এক ট্রাক আইসক্রিম থাকবে, আর বসে বসে কেবল খাওয়া—এমন স্বপ্ন তো কতজনই দেখেছে শৈশবে। দেখেছে নানা রঙের নানা ঢঙের পোশাকের স্বপ্নও। সময়ের ধুলো জমে এসব স
২২ নভেম্বর ২০২১
বাজারে নতুন অ্যাডভেঞ্চার-ইনস্পায়ার্ড মোটরসাইকেল ‘অল-নিউ হোন্ডা এনএক্স ২০০’ নিয়ে এসেছে বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড। রোমাঞ্চপ্রেমী রাইডার, দূরপথের যাত্রী এবং বহুমুখী ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে এই বাইক।
২১ মিনিট আগে
বছরের শেষ দিকে ভ্রমণ ও চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাতায়াত বেড়ে যাওয়ায় খোলাবাজারে ডলারের চাহিদা বেড়েছে। বাড়তি চাপের কারণে আজ শনিবার খোলাবাজারে প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছে ১২৬ টাকা পর্যন্ত।
২৭ মিনিট আগে
র্যাংগস ইলেকট্রনিকস লিমিটেড এবং রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। ১৭ ডিসেম্বর বিকেলে রাজধানীর রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই চুক্তি সম্পন্ন হয়।
৪৪ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বছরের শেষ দিকে ভ্রমণ ও চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাতায়াত বেড়ে যাওয়ায় খোলাবাজারে ডলারের চাহিদা বেড়েছে। বাড়তি চাপের কারণে আজ শনিবার খোলাবাজারে প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছে ১২৬ টাকা পর্যন্ত।
অথচ গত সপ্তাহে সর্বোচ্চ দর ছিল ১২৪ টাকা ৮০ পয়সা। অর্থাৎ, মাত্র একদিনের ব্যবধানে দাম বেড়েছে কমপক্ষে ১ টাকা ২০ পয়সা। অর্থাৎ, ব্যাংকের নির্ধারিত দরের (১২২ টাকা ৩০ পয়সা) তুলনায় খোলাবাজারে ডলারের দাম এখন ৩ টাকা ৭০ পয়সা বেশি।
সরেজমিনে রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন ও ফকিরাপুল এলাকা ঘুরে দেখা যায়, খোলাবাজারে নগদ ডলারের সরবরাহ যথেষ্ট থাকলেও মূলত চাহিদার চাপে দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহে মানি চেঞ্জারগুলো প্রতি ডলার কিনেছিল ১২৩ টাকা ৮০ পয়সায়, বিক্রি করেছে ১২৪ টাকা ৮০ পয়সায়। কিন্তু গতকাল খোলাবাজারে ঘোষিত দর হিসাবে ক্রয়মূল্য ছিল ১২৪ টাকা ২০ পয়সা এবং বিক্রয়মূল্য ছিল ১২৫ টাকা ২০ পয়সা। শনিবার ছুটির দিন থাকায় নতুন দর আজ রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়া কথা রয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাধারণত বছর শেষে মানুষ ভ্রমণ ও চিকিৎসার জন্য অপেক্ষাকৃত বেশি বিদেশে যায়। ফলে ডলারের চাহিদা বেড়ে যায়। এবার ভারত, ভুটান ও মালয়েশিয়াসহ কয়েকটি দেশ ভিসায় কড়াকড়ি করছে। এতে করে বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা কমে যাওয়ার কথা। কিন্তু এসব দেশের বাইরে থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরসহ ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোতে যাচ্ছেন অনেকে। এই দেশগুলোতে ভারতের তুলনায় বেশি ডলার খরচ হয়। অনেকে ব্যাংক থেকে ডলার না পেয়ে খোলাবাজার থেকে কিনছেন। পাশাপাশি একটা গোষ্ঠী নগদ ডলার কিনে হাতে রাখছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে খোলাবাজারে বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়েছে। মূলত এর ফলে দাম বেড়েছে।
গত বৃহস্পতিবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ ডলার কেনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রতি ডলারের বিনিময় হার ছিল ১২২ দশমিক ২৯ টাকা থেকে ১২২ দশমিক ৩০ টাকা পর্যন্ত। সব মিলিয়ে চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এ পর্যন্ত নিলাম পদ্ধতির মাধ্যমে মোট ২৮৭ কোটি ১৫ লাখ ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মানি চেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব গৌতম দে বলেন, ‘ভারতসহ কয়েকটি দেশ ভিসায় কড়াকড়ি করছে। অনেকে বিকল্প হিসেবে অন্য দেশে যাওয়ার কথা ভাবছেন। এতে খোলাবাজারে ডলারের চাহিদা বেড়েছে। আমরা আনুষ্ঠানিকবাবে ১২৫ টাকা ২০ পয়সা পর্যন্ত ডলার বিক্রি করছি। এর বেশি কেউ নিচ্ছে বলে জানা নেই। আর নতুন ঘোষিত দর রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকে অবহিত করা হবে।’

বছরের শেষ দিকে ভ্রমণ ও চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাতায়াত বেড়ে যাওয়ায় খোলাবাজারে ডলারের চাহিদা বেড়েছে। বাড়তি চাপের কারণে আজ শনিবার খোলাবাজারে প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছে ১২৬ টাকা পর্যন্ত।
অথচ গত সপ্তাহে সর্বোচ্চ দর ছিল ১২৪ টাকা ৮০ পয়সা। অর্থাৎ, মাত্র একদিনের ব্যবধানে দাম বেড়েছে কমপক্ষে ১ টাকা ২০ পয়সা। অর্থাৎ, ব্যাংকের নির্ধারিত দরের (১২২ টাকা ৩০ পয়সা) তুলনায় খোলাবাজারে ডলারের দাম এখন ৩ টাকা ৭০ পয়সা বেশি।
সরেজমিনে রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন ও ফকিরাপুল এলাকা ঘুরে দেখা যায়, খোলাবাজারে নগদ ডলারের সরবরাহ যথেষ্ট থাকলেও মূলত চাহিদার চাপে দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহে মানি চেঞ্জারগুলো প্রতি ডলার কিনেছিল ১২৩ টাকা ৮০ পয়সায়, বিক্রি করেছে ১২৪ টাকা ৮০ পয়সায়। কিন্তু গতকাল খোলাবাজারে ঘোষিত দর হিসাবে ক্রয়মূল্য ছিল ১২৪ টাকা ২০ পয়সা এবং বিক্রয়মূল্য ছিল ১২৫ টাকা ২০ পয়সা। শনিবার ছুটির দিন থাকায় নতুন দর আজ রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়া কথা রয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাধারণত বছর শেষে মানুষ ভ্রমণ ও চিকিৎসার জন্য অপেক্ষাকৃত বেশি বিদেশে যায়। ফলে ডলারের চাহিদা বেড়ে যায়। এবার ভারত, ভুটান ও মালয়েশিয়াসহ কয়েকটি দেশ ভিসায় কড়াকড়ি করছে। এতে করে বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা কমে যাওয়ার কথা। কিন্তু এসব দেশের বাইরে থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরসহ ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোতে যাচ্ছেন অনেকে। এই দেশগুলোতে ভারতের তুলনায় বেশি ডলার খরচ হয়। অনেকে ব্যাংক থেকে ডলার না পেয়ে খোলাবাজার থেকে কিনছেন। পাশাপাশি একটা গোষ্ঠী নগদ ডলার কিনে হাতে রাখছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে খোলাবাজারে বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়েছে। মূলত এর ফলে দাম বেড়েছে।
গত বৃহস্পতিবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ ডলার কেনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রতি ডলারের বিনিময় হার ছিল ১২২ দশমিক ২৯ টাকা থেকে ১২২ দশমিক ৩০ টাকা পর্যন্ত। সব মিলিয়ে চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এ পর্যন্ত নিলাম পদ্ধতির মাধ্যমে মোট ২৮৭ কোটি ১৫ লাখ ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মানি চেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব গৌতম দে বলেন, ‘ভারতসহ কয়েকটি দেশ ভিসায় কড়াকড়ি করছে। অনেকে বিকল্প হিসেবে অন্য দেশে যাওয়ার কথা ভাবছেন। এতে খোলাবাজারে ডলারের চাহিদা বেড়েছে। আমরা আনুষ্ঠানিকবাবে ১২৫ টাকা ২০ পয়সা পর্যন্ত ডলার বিক্রি করছি। এর বেশি কেউ নিচ্ছে বলে জানা নেই। আর নতুন ঘোষিত দর রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকে অবহিত করা হবে।’

স্বপ্ন তো কত রকম হয়। সামনে এগোনোর স্বপ্ন, সুখের স্বপ্ন, জয়ের স্বপ্ন ইত্যাদি বড় বিস্তৃত সব স্বপ্নের ভিড়ে হারিয়ে যেতে বসে ছোট ছোট স্বপ্নের দল। একেবারে নিজের এক ট্রাক আইসক্রিম থাকবে, আর বসে বসে কেবল খাওয়া—এমন স্বপ্ন তো কতজনই দেখেছে শৈশবে। দেখেছে নানা রঙের নানা ঢঙের পোশাকের স্বপ্নও। সময়ের ধুলো জমে এসব স
২২ নভেম্বর ২০২১
বাজারে নতুন অ্যাডভেঞ্চার-ইনস্পায়ার্ড মোটরসাইকেল ‘অল-নিউ হোন্ডা এনএক্স ২০০’ নিয়ে এসেছে বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড। রোমাঞ্চপ্রেমী রাইডার, দূরপথের যাত্রী এবং বহুমুখী ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে এই বাইক।
২১ মিনিট আগে
বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) ২০২৫-২৭ মেয়াদের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবার নির্বাচিত হয়েছেন শওকত আজিজ রাসেল। তিনি আম্বার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং দেশের টেক্সটাইল শিল্পে একজন উদ্যোক্তা।
২২ মিনিট আগে
র্যাংগস ইলেকট্রনিকস লিমিটেড এবং রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। ১৭ ডিসেম্বর বিকেলে রাজধানীর রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই চুক্তি সম্পন্ন হয়।
৪৪ মিনিট আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

র্যাংগস ইলেকট্রনিকস লিমিটেড এবং রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। ১৭ ডিসেম্বর বিকেলে রাজধানীর রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই চুক্তি সম্পন্ন হয়।
অনুষ্ঠানে র্যাংগস ইলেকট্রনিকস লিমিটেডের পক্ষে সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার জানে আলম এবং রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনের পক্ষে ক্লাস্টার জেনারেল ম্যানেজার ডুকো এভারেন ডি ভ্রিস নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এ এন এম মনজুরুল হক মজুমদার, র্যাংগস গ্রুপ অব কোম্পানিজের অ্যাডভাইজর মেজর (অব.) মোহাম্মদ সোলায়মান তালুকদার এবং র্যাংগস ইলেকট্রনিকস লিমিটেডের হেড অব পিআর অ্যান্ড এক্সটারনাল অ্যাফেয়ার্স রাহেল রাব্বি।
এ ছাড়া রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনের ডিরেক্টর অব ফিন্যান্স শফিকুল ইসলাম, সিনিয়র মার্কেটিং ম্যানেজার মনফুজা মাসুদ চৌধুরী, অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর অব সেলস শামীম আল মামুনসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এই সমঝোতা স্মারকের আওতায় র্যাংগস ইলেকট্রনিকস লিমিটেডের গ্রাহক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনের সেবাগ্রহীতারা বিশেষ সুবিধা ও প্রণোদনা উপভোগ করবেন। পাশাপাশি ভবিষ্যতে দুই প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে বিভিন্ন করপোরেট ও সামাজিক কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও জোরদার করবে।
সংশ্লিষ্টরা আশা প্রকাশ করেন, এই চুক্তির মাধ্যমে উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি দীর্ঘমেয়াদি, কার্যকর ও ফলপ্রসূ অংশীদারত্ব গড়ে উঠবে।

র্যাংগস ইলেকট্রনিকস লিমিটেড এবং রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। ১৭ ডিসেম্বর বিকেলে রাজধানীর রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই চুক্তি সম্পন্ন হয়।
অনুষ্ঠানে র্যাংগস ইলেকট্রনিকস লিমিটেডের পক্ষে সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার জানে আলম এবং রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনের পক্ষে ক্লাস্টার জেনারেল ম্যানেজার ডুকো এভারেন ডি ভ্রিস নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এ এন এম মনজুরুল হক মজুমদার, র্যাংগস গ্রুপ অব কোম্পানিজের অ্যাডভাইজর মেজর (অব.) মোহাম্মদ সোলায়মান তালুকদার এবং র্যাংগস ইলেকট্রনিকস লিমিটেডের হেড অব পিআর অ্যান্ড এক্সটারনাল অ্যাফেয়ার্স রাহেল রাব্বি।
এ ছাড়া রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনের ডিরেক্টর অব ফিন্যান্স শফিকুল ইসলাম, সিনিয়র মার্কেটিং ম্যানেজার মনফুজা মাসুদ চৌধুরী, অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর অব সেলস শামীম আল মামুনসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এই সমঝোতা স্মারকের আওতায় র্যাংগস ইলেকট্রনিকস লিমিটেডের গ্রাহক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনের সেবাগ্রহীতারা বিশেষ সুবিধা ও প্রণোদনা উপভোগ করবেন। পাশাপাশি ভবিষ্যতে দুই প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে বিভিন্ন করপোরেট ও সামাজিক কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও জোরদার করবে।
সংশ্লিষ্টরা আশা প্রকাশ করেন, এই চুক্তির মাধ্যমে উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি দীর্ঘমেয়াদি, কার্যকর ও ফলপ্রসূ অংশীদারত্ব গড়ে উঠবে।

স্বপ্ন তো কত রকম হয়। সামনে এগোনোর স্বপ্ন, সুখের স্বপ্ন, জয়ের স্বপ্ন ইত্যাদি বড় বিস্তৃত সব স্বপ্নের ভিড়ে হারিয়ে যেতে বসে ছোট ছোট স্বপ্নের দল। একেবারে নিজের এক ট্রাক আইসক্রিম থাকবে, আর বসে বসে কেবল খাওয়া—এমন স্বপ্ন তো কতজনই দেখেছে শৈশবে। দেখেছে নানা রঙের নানা ঢঙের পোশাকের স্বপ্নও। সময়ের ধুলো জমে এসব স
২২ নভেম্বর ২০২১
বাজারে নতুন অ্যাডভেঞ্চার-ইনস্পায়ার্ড মোটরসাইকেল ‘অল-নিউ হোন্ডা এনএক্স ২০০’ নিয়ে এসেছে বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড। রোমাঞ্চপ্রেমী রাইডার, দূরপথের যাত্রী এবং বহুমুখী ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে এই বাইক।
২১ মিনিট আগে
বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) ২০২৫-২৭ মেয়াদের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবার নির্বাচিত হয়েছেন শওকত আজিজ রাসেল। তিনি আম্বার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং দেশের টেক্সটাইল শিল্পে একজন উদ্যোক্তা।
২২ মিনিট আগে
বছরের শেষ দিকে ভ্রমণ ও চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাতায়াত বেড়ে যাওয়ায় খোলাবাজারে ডলারের চাহিদা বেড়েছে। বাড়তি চাপের কারণে আজ শনিবার খোলাবাজারে প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছে ১২৬ টাকা পর্যন্ত।
২৭ মিনিট আগে