মন্টি বৈষ্ণব

ছকেবাঁধা জীবনে কাজ করতে করতে অনেকেই হাঁপিয়ে ওঠেন। তখন নিজের ইচ্ছেমতো জীবনটা সাজাতে না পারার অনুশোচনা দেখা দেয় কখনো কখনো। এতে জীবনে সাফল্য থাকলেও মন খুঁজে বেড়ায় অন্য কোনো কিছুর, যা একান্তই নিজের। যেখানে থাকবে কাজের একাগ্রতা আর ভালোবাসা। জীবনপ্রবাহের কঠিন বাস্তবতায় তেমনি এক পরিস্থিতিতে উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন বাগেরহাটের ঝুমকি বসু।
নারী উদ্যোক্তা ঝুমকি বসুর গ্রামের বাড়ি বাগেরহাট জেলার কার্ত্তিকদিয়া গ্রামে। সেখানেই তাঁর শৈশবের দিন কাটে। এইচএসসি পাস করার পর পড়াশোনার জন্য চলে যান কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এরপর স্নাতকোত্তর করেন ঢাকার ইডেন কলেজ থেকে। উদ্ভিদবিজ্ঞান বিষয়ে পড়ার পাশাপাশি আইন নিয়েও পড়ালেখা করেন। একসময় আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন ঢাকা আইনজীবী সমিতিতে। এর মধ্যে বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হিসেবে চাকরি শুরু করেন। পাঁচ বছর চাকরি করার পর সন্তান ‘গদ্য’ জন্মের পর তাঁর পক্ষে চাকরি করা আর সম্ভব হয়ে ওঠেনি। অন্য কোনো উপায় না পেয়ে ছেড়ে দেন চাকরি।
ঝুমকি বুঝতে পেরেছিলেন, সংসার-সন্তান সামলে বাসার বাইরে গিয়ে চাকরি করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হবে না। তখন মনে মনে একটা কিছু করার তাগিদ অনুভব করতে থাকেন। ছেলে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজের কিছু একটা করার সুপ্ত ইচ্ছেটাও জেগে ওঠে। একদিন বাজারে কেনাকাটা করতে গিয়ে কিছু কাঠের নকশা ও রং কিনে আনেন ঝুমকি। কারণ, সামনে ছিল ছেলের জন্মদিন। নিজের জন্য তৈরি করলেন হাতে বানানো কিছু গয়না। সেদিন অনুষ্ঠানে সবাই গয়নার প্রশংসা করলেন। আর সেই প্রশংসায় ঝুমকি বসু উৎসাহিত হয়ে সিদ্ধান্ত নেন অনলাইন ব্যবসা শুরু করার।
নারী উদ্যোক্তা ঝুমকি বসুর কাছে রূপসার শুরুর গল্পের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘সত্যি বলতে কি, ব্যবসার কথা যখন পরিবারের সদস্যদের প্রথম জানাই, তখন সবাই অনেক অবাক হন। প্রথমে পরিবারের কারও খুব একটা সহযোগিতা ছিল না। এমনকি আমার মা শুনেই বললেন, এত পড়ালেখা করে শেষে তুই গয়না বানাবি? মায়ের এ কথা শুনে আমার খুব মন খারাপ হয়েছিল। কিন্তু দমে যাইনি। এরপর পূজার সময় নিজে ডিজাইন করে বাড়ির সবাইকে শাড়ি, পাঞ্জাবি, ফতুয়া, ব্লাউজ ও গয়না বানিয়ে দিলাম। সেগুলো দেখে পরিবারের সবাই খুব প্রশংসা করল। আশপাশের মানুষেরও সমাদর পেলাম। এতে মনে মনে সাহস আরও বেড়ে গেল। অতি আবেগে পরদিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খুলে ফেললাম একটা পেজ। সময়টা ছিল ২০১৯ সাল। সে বছরের মে মাসে শুরু করলাম অনলাইনভিত্তিক শপিং প্ল্যাটফর্ম ‘রূপসা’র যাত্রা।’

অনলাইন প্রতিষ্ঠানের জন্য কেন রূপসা নামটি পছন্দ করলেন? এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অনেকেই বলেন “রূপসা” কি আপনার মেয়ের নাম? আমি বলি, হ্যাঁ, রূপসা আমার মেয়ে, আমি রূপসাকে প্রতিনিয়ত গড়ে তুলছি পরম মমতায়। আবার অনেকে জানতে চান, আপনি দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ বলেই কি আপনার প্রতিষ্ঠানের নাম রূপসা? এ কথা সত্যি যে, দক্ষিণের মানুষ হিসেবে আমি রূপসার জোয়ার-ভাটা দেখে বড় হয়েছি। তাই এই নদীর ওপর আমার টান থাকবে, তা খুব স্বাভাবিক। এ ছাড়া “রূপসা” নামের এক চমৎকার তাৎপর্য আছে, যা আমার পেজের পণ্যের সঙ্গে মিলে যায়। “রূপসা” শব্দের অর্থ রূপসী।’
উদ্যোক্তার পাশাপাশি ঝুমকি বসু একজন আইনজীবী। এ ছাড়া তিনি দীর্ঘ সতেরো বছর বাংলাদেশ বেতারের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করছেন। এর পাশাপাশি তিনি টুকটাক লেখালিখিও করেন। আগামী বছর অমর একুশে গ্রন্থমেলায় আসবে ঝুমকি বসুর প্রথম গল্পগ্রন্থ, এমনটাই জানা গেল।
পরিবার সম্পর্কে জানতে চাইলে ঝুমকি বলেন, ‘আমরা দুই বোন। মা অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা। বাবা একসময় ব্যবসা করতেন। এখন বয়স হয়েছে তাই অবসরেই আছেন। বোন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। আমার স্বামী একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের জয়েন্ট নিউজ এডিটর এবং লেখালিখি করেন। একমাত্র সন্তান ‘গদ্য’ দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ছে। আমার মাসহ পরিবারের সবাই এখন ‘রূপসা’র কাজে সহযোগিতা করেন। সত্যি বলতে কি, প্রথমে কেউ ব্যাপারটায় তেমন গুরুত্ব দেননি। পড়াশোনা করলেই চাকরি করতে হবে—এটাই ছিল সবার বদ্ধমূল ধারণা। কিন্তু সময় গড়ানোর পর সবার ধারণা বদলে গেল। এখন আমার বাবা-মা, বোন, শাশুড়িমা, স্বামী এমনকি আমার সাত বছরের শিশুসন্তানও আমাকে সহযোগিতা করে। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কিছু গ্রুপ আমার পরিচিতি বাড়াতে যথেষ্ট সহযোগিতা করছে।’
রূপসার শুরুটা কীভাবে হলো আর এখন কী কী পণ্য তৈরি করছেন—জানতে চাইলে ঝুমকি বলেন, ‘প্রথমে কাজ শুরু করি হাতে তৈরি বিভিন্ন গয়না দিয়ে। আমি নিজে টিপ পরতে খুব ভালোবাসি। পেজের প্রথম দিকে টিপ নিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম। তখন টিপ হয়ে যায় আমার পেজের সিগনেচার প্রোডাক্ট। এরপর নিজে ডিজাইন করে ব্লকপ্রিন্টের শাড়ি, পাঞ্জাবি, ব্লাউজ ও বাচ্চাদের শাড়িও করতে শুরু করলাম। এ ছাড়া জামদানি ব্লকের মাস্ক করেছি। সেগুলোও অনেকে বেশ পছন্দ করছেন। আবার কাঠের নানা পণ্য যেমন: জুয়েলারি বক্স, কয়েন বক্স, কাঠের সিঁদুর বক্স, মেডিসিন বক্স নিয়েও কাজ করছি।’
উ

দ্যোক্তা হওয়ার যাত্রা কতটা কঠিন ছিল? ঝুমকি বলেন, ‘কারও কথায় কান না দিয়ে আমার মন যা চেয়েছে তাই করেছি। এখন ব্যবসা আমার নিজের। এখানে সময়ের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। আমি আমার কাজের সবকিছু তদারকি করতে পারছি। আর ঠিকই সময় বের করে ফেলতে পারছি। সন্তানকে স্কুলে দিয়ে রূপসার বিভিন্ন পণ্য তৈরি করি, ঘুম পাড়িয়ে ব্যবসার নানা কাজ করি। মোটকথা আমি আমার মতো করে সময়টা বের করে নিচ্ছি। এই সুযোগটা চাকরিতে ছিল না।’
সংসারের কাজের পাশাপাশি কীভাবে ব্যবসার কাজে সময় দেন—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সময় ম্যানেজ করা আমার সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা। আমার সন্তানকে সব সময় দেখভাল করতে হয়। কারণ, সে এখনো বেশ ছোট। বাসায় তার দেখাশোনা ছাড়াও তাকে স্কুলে নিয়ে যেতে হয়। অনেক সময় আমাকে বাইরে গিয়ে কারিগর দিয়ে কাজ করাতে হয়। আবার অনেক সময় বিভিন্ন প্রোডাক্ট সংগ্রহ করার জন্য বাইরে যেতে হয়। সন্তানকে বাসায় একা রেখে আমি বের হতে পারি না, আমাকে অপেক্ষা করতে হয় শুক্রবারের জন্য। আমার স্বামীর অফিস ছুটির দিনে শুধু আমি বাইরের কাজ করতে পারি। আমার পুরোটা সময় যদি আমি রূপসার পেছনে ব্যয় করতে পারতাম, তাহলে অনেক ভালো হতো। কিন্তু সংসার-সন্তান সামলে পুরোটা সময় দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠে না।’
এ দেশের সমাজ বাস্তবতায় নারীদের মূল্যায়নই-বা কেমন? এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঝুমকি শোনান, ‘আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে নারীর সর্বস্তরের অংশগ্রহণ এখনো সুনিশ্চিত হয়নি। সব কাজে নারীর অংশগ্রহণ সমাজ স্বাভাবিকভাবে নিতে পারে না। কিছু মানুষের একটা ধারণা যে, ব্যবসা নারীর জন্য নয়। কিন্তু এই ধারণা ভেঙে দিয়েছে আজকের নারীসমাজ। অর্থনীতিতে নারীর অবদান এখন ব্যাপকভাবে বেড়েছে, বিশেষ করে করোনাকালে। ঘরে বসে সংসার সামলে শুধু গৃহিণী না হয়ে নারীরা যে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারে, তা আজকের ই-কমার্স এবং এফ-কমার্স খাতে চোখ রাখলেই বুঝতে পারা যায়।’
সেই সঙ্গে উদ্যোক্তা হওয়ার পথের কাঁটাগুলোও মনে করিয়ে দিয়েছেন ঝুমকি। তিনি বলছিলেন, ‘উদ্যোক্তা হতে হলে অনেক কটু কথা শুনতে হয়, বিশেষ করে ব্যবসা শুরুর প্রথম দিকে। কিন্তু সেসব কথা শুনে পিছিয়ে পড়লে বা মন খারাপ করলে চলবে না। নিজের স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। মানুষের কথাকে গুরুত্ব না দিয়ে নিজে কী করতে চাই, সেটা ঠিক করতে হবে। আর ধৈর্য ধরে কাজ করে যেতে পারলে সফলতা আসবেই।’
ঝুমকি বলেন, ‘আমি রূপসার কাজ শুরু করি মাত্র পাঁচ শ টাকা দিয়ে। আর এখন প্রতি মাসে গড় আয় প্রায় ৫০ হাজার টাকা। বর্তমানে সার্বক্ষণিকভাবে দুজন শ্রমিক আমার সঙ্গে কাজ করছেন। তবে আমার যখন যেমন কাজের চাপ থাকে, সেই অনুযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা বাড়াই। অনলাইনে বিক্রির পাশাপাশি বিভিন্ন মেলায় অংশ নিয়েও আমি ব্যাপক সাড়া পেয়েছি।’
ঝুমকির স্বপ্ন, ‘রূপসা’ একদিন দেশ ছাপিয়ে বিদেশেও দাপিয়ে বেড়াবে। সেই স্বপ্নপূরণের ইঙ্গিত অবশ্য মিলছে। দুই বছর ধরে ইউরোপ ও আমেরিকায় যেতে শুরু করেছে রূপসার পণ্য। ‘রূপসা’কে একটি ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিত করে তুলতে চান ঝুমকি। সেই লক্ষ্যেই চলছে পথচলা।

ছকেবাঁধা জীবনে কাজ করতে করতে অনেকেই হাঁপিয়ে ওঠেন। তখন নিজের ইচ্ছেমতো জীবনটা সাজাতে না পারার অনুশোচনা দেখা দেয় কখনো কখনো। এতে জীবনে সাফল্য থাকলেও মন খুঁজে বেড়ায় অন্য কোনো কিছুর, যা একান্তই নিজের। যেখানে থাকবে কাজের একাগ্রতা আর ভালোবাসা। জীবনপ্রবাহের কঠিন বাস্তবতায় তেমনি এক পরিস্থিতিতে উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন বাগেরহাটের ঝুমকি বসু।
নারী উদ্যোক্তা ঝুমকি বসুর গ্রামের বাড়ি বাগেরহাট জেলার কার্ত্তিকদিয়া গ্রামে। সেখানেই তাঁর শৈশবের দিন কাটে। এইচএসসি পাস করার পর পড়াশোনার জন্য চলে যান কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এরপর স্নাতকোত্তর করেন ঢাকার ইডেন কলেজ থেকে। উদ্ভিদবিজ্ঞান বিষয়ে পড়ার পাশাপাশি আইন নিয়েও পড়ালেখা করেন। একসময় আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন ঢাকা আইনজীবী সমিতিতে। এর মধ্যে বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হিসেবে চাকরি শুরু করেন। পাঁচ বছর চাকরি করার পর সন্তান ‘গদ্য’ জন্মের পর তাঁর পক্ষে চাকরি করা আর সম্ভব হয়ে ওঠেনি। অন্য কোনো উপায় না পেয়ে ছেড়ে দেন চাকরি।
ঝুমকি বুঝতে পেরেছিলেন, সংসার-সন্তান সামলে বাসার বাইরে গিয়ে চাকরি করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হবে না। তখন মনে মনে একটা কিছু করার তাগিদ অনুভব করতে থাকেন। ছেলে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজের কিছু একটা করার সুপ্ত ইচ্ছেটাও জেগে ওঠে। একদিন বাজারে কেনাকাটা করতে গিয়ে কিছু কাঠের নকশা ও রং কিনে আনেন ঝুমকি। কারণ, সামনে ছিল ছেলের জন্মদিন। নিজের জন্য তৈরি করলেন হাতে বানানো কিছু গয়না। সেদিন অনুষ্ঠানে সবাই গয়নার প্রশংসা করলেন। আর সেই প্রশংসায় ঝুমকি বসু উৎসাহিত হয়ে সিদ্ধান্ত নেন অনলাইন ব্যবসা শুরু করার।
নারী উদ্যোক্তা ঝুমকি বসুর কাছে রূপসার শুরুর গল্পের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘সত্যি বলতে কি, ব্যবসার কথা যখন পরিবারের সদস্যদের প্রথম জানাই, তখন সবাই অনেক অবাক হন। প্রথমে পরিবারের কারও খুব একটা সহযোগিতা ছিল না। এমনকি আমার মা শুনেই বললেন, এত পড়ালেখা করে শেষে তুই গয়না বানাবি? মায়ের এ কথা শুনে আমার খুব মন খারাপ হয়েছিল। কিন্তু দমে যাইনি। এরপর পূজার সময় নিজে ডিজাইন করে বাড়ির সবাইকে শাড়ি, পাঞ্জাবি, ফতুয়া, ব্লাউজ ও গয়না বানিয়ে দিলাম। সেগুলো দেখে পরিবারের সবাই খুব প্রশংসা করল। আশপাশের মানুষেরও সমাদর পেলাম। এতে মনে মনে সাহস আরও বেড়ে গেল। অতি আবেগে পরদিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খুলে ফেললাম একটা পেজ। সময়টা ছিল ২০১৯ সাল। সে বছরের মে মাসে শুরু করলাম অনলাইনভিত্তিক শপিং প্ল্যাটফর্ম ‘রূপসা’র যাত্রা।’

অনলাইন প্রতিষ্ঠানের জন্য কেন রূপসা নামটি পছন্দ করলেন? এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অনেকেই বলেন “রূপসা” কি আপনার মেয়ের নাম? আমি বলি, হ্যাঁ, রূপসা আমার মেয়ে, আমি রূপসাকে প্রতিনিয়ত গড়ে তুলছি পরম মমতায়। আবার অনেকে জানতে চান, আপনি দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ বলেই কি আপনার প্রতিষ্ঠানের নাম রূপসা? এ কথা সত্যি যে, দক্ষিণের মানুষ হিসেবে আমি রূপসার জোয়ার-ভাটা দেখে বড় হয়েছি। তাই এই নদীর ওপর আমার টান থাকবে, তা খুব স্বাভাবিক। এ ছাড়া “রূপসা” নামের এক চমৎকার তাৎপর্য আছে, যা আমার পেজের পণ্যের সঙ্গে মিলে যায়। “রূপসা” শব্দের অর্থ রূপসী।’
উদ্যোক্তার পাশাপাশি ঝুমকি বসু একজন আইনজীবী। এ ছাড়া তিনি দীর্ঘ সতেরো বছর বাংলাদেশ বেতারের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করছেন। এর পাশাপাশি তিনি টুকটাক লেখালিখিও করেন। আগামী বছর অমর একুশে গ্রন্থমেলায় আসবে ঝুমকি বসুর প্রথম গল্পগ্রন্থ, এমনটাই জানা গেল।
পরিবার সম্পর্কে জানতে চাইলে ঝুমকি বলেন, ‘আমরা দুই বোন। মা অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা। বাবা একসময় ব্যবসা করতেন। এখন বয়স হয়েছে তাই অবসরেই আছেন। বোন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। আমার স্বামী একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের জয়েন্ট নিউজ এডিটর এবং লেখালিখি করেন। একমাত্র সন্তান ‘গদ্য’ দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ছে। আমার মাসহ পরিবারের সবাই এখন ‘রূপসা’র কাজে সহযোগিতা করেন। সত্যি বলতে কি, প্রথমে কেউ ব্যাপারটায় তেমন গুরুত্ব দেননি। পড়াশোনা করলেই চাকরি করতে হবে—এটাই ছিল সবার বদ্ধমূল ধারণা। কিন্তু সময় গড়ানোর পর সবার ধারণা বদলে গেল। এখন আমার বাবা-মা, বোন, শাশুড়িমা, স্বামী এমনকি আমার সাত বছরের শিশুসন্তানও আমাকে সহযোগিতা করে। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কিছু গ্রুপ আমার পরিচিতি বাড়াতে যথেষ্ট সহযোগিতা করছে।’
রূপসার শুরুটা কীভাবে হলো আর এখন কী কী পণ্য তৈরি করছেন—জানতে চাইলে ঝুমকি বলেন, ‘প্রথমে কাজ শুরু করি হাতে তৈরি বিভিন্ন গয়না দিয়ে। আমি নিজে টিপ পরতে খুব ভালোবাসি। পেজের প্রথম দিকে টিপ নিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম। তখন টিপ হয়ে যায় আমার পেজের সিগনেচার প্রোডাক্ট। এরপর নিজে ডিজাইন করে ব্লকপ্রিন্টের শাড়ি, পাঞ্জাবি, ব্লাউজ ও বাচ্চাদের শাড়িও করতে শুরু করলাম। এ ছাড়া জামদানি ব্লকের মাস্ক করেছি। সেগুলোও অনেকে বেশ পছন্দ করছেন। আবার কাঠের নানা পণ্য যেমন: জুয়েলারি বক্স, কয়েন বক্স, কাঠের সিঁদুর বক্স, মেডিসিন বক্স নিয়েও কাজ করছি।’
উ

দ্যোক্তা হওয়ার যাত্রা কতটা কঠিন ছিল? ঝুমকি বলেন, ‘কারও কথায় কান না দিয়ে আমার মন যা চেয়েছে তাই করেছি। এখন ব্যবসা আমার নিজের। এখানে সময়ের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। আমি আমার কাজের সবকিছু তদারকি করতে পারছি। আর ঠিকই সময় বের করে ফেলতে পারছি। সন্তানকে স্কুলে দিয়ে রূপসার বিভিন্ন পণ্য তৈরি করি, ঘুম পাড়িয়ে ব্যবসার নানা কাজ করি। মোটকথা আমি আমার মতো করে সময়টা বের করে নিচ্ছি। এই সুযোগটা চাকরিতে ছিল না।’
সংসারের কাজের পাশাপাশি কীভাবে ব্যবসার কাজে সময় দেন—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সময় ম্যানেজ করা আমার সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা। আমার সন্তানকে সব সময় দেখভাল করতে হয়। কারণ, সে এখনো বেশ ছোট। বাসায় তার দেখাশোনা ছাড়াও তাকে স্কুলে নিয়ে যেতে হয়। অনেক সময় আমাকে বাইরে গিয়ে কারিগর দিয়ে কাজ করাতে হয়। আবার অনেক সময় বিভিন্ন প্রোডাক্ট সংগ্রহ করার জন্য বাইরে যেতে হয়। সন্তানকে বাসায় একা রেখে আমি বের হতে পারি না, আমাকে অপেক্ষা করতে হয় শুক্রবারের জন্য। আমার স্বামীর অফিস ছুটির দিনে শুধু আমি বাইরের কাজ করতে পারি। আমার পুরোটা সময় যদি আমি রূপসার পেছনে ব্যয় করতে পারতাম, তাহলে অনেক ভালো হতো। কিন্তু সংসার-সন্তান সামলে পুরোটা সময় দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠে না।’
এ দেশের সমাজ বাস্তবতায় নারীদের মূল্যায়নই-বা কেমন? এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঝুমকি শোনান, ‘আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে নারীর সর্বস্তরের অংশগ্রহণ এখনো সুনিশ্চিত হয়নি। সব কাজে নারীর অংশগ্রহণ সমাজ স্বাভাবিকভাবে নিতে পারে না। কিছু মানুষের একটা ধারণা যে, ব্যবসা নারীর জন্য নয়। কিন্তু এই ধারণা ভেঙে দিয়েছে আজকের নারীসমাজ। অর্থনীতিতে নারীর অবদান এখন ব্যাপকভাবে বেড়েছে, বিশেষ করে করোনাকালে। ঘরে বসে সংসার সামলে শুধু গৃহিণী না হয়ে নারীরা যে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারে, তা আজকের ই-কমার্স এবং এফ-কমার্স খাতে চোখ রাখলেই বুঝতে পারা যায়।’
সেই সঙ্গে উদ্যোক্তা হওয়ার পথের কাঁটাগুলোও মনে করিয়ে দিয়েছেন ঝুমকি। তিনি বলছিলেন, ‘উদ্যোক্তা হতে হলে অনেক কটু কথা শুনতে হয়, বিশেষ করে ব্যবসা শুরুর প্রথম দিকে। কিন্তু সেসব কথা শুনে পিছিয়ে পড়লে বা মন খারাপ করলে চলবে না। নিজের স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। মানুষের কথাকে গুরুত্ব না দিয়ে নিজে কী করতে চাই, সেটা ঠিক করতে হবে। আর ধৈর্য ধরে কাজ করে যেতে পারলে সফলতা আসবেই।’
ঝুমকি বলেন, ‘আমি রূপসার কাজ শুরু করি মাত্র পাঁচ শ টাকা দিয়ে। আর এখন প্রতি মাসে গড় আয় প্রায় ৫০ হাজার টাকা। বর্তমানে সার্বক্ষণিকভাবে দুজন শ্রমিক আমার সঙ্গে কাজ করছেন। তবে আমার যখন যেমন কাজের চাপ থাকে, সেই অনুযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা বাড়াই। অনলাইনে বিক্রির পাশাপাশি বিভিন্ন মেলায় অংশ নিয়েও আমি ব্যাপক সাড়া পেয়েছি।’
ঝুমকির স্বপ্ন, ‘রূপসা’ একদিন দেশ ছাপিয়ে বিদেশেও দাপিয়ে বেড়াবে। সেই স্বপ্নপূরণের ইঙ্গিত অবশ্য মিলছে। দুই বছর ধরে ইউরোপ ও আমেরিকায় যেতে শুরু করেছে রূপসার পণ্য। ‘রূপসা’কে একটি ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিত করে তুলতে চান ঝুমকি। সেই লক্ষ্যেই চলছে পথচলা।
মন্টি বৈষ্ণব

ছকেবাঁধা জীবনে কাজ করতে করতে অনেকেই হাঁপিয়ে ওঠেন। তখন নিজের ইচ্ছেমতো জীবনটা সাজাতে না পারার অনুশোচনা দেখা দেয় কখনো কখনো। এতে জীবনে সাফল্য থাকলেও মন খুঁজে বেড়ায় অন্য কোনো কিছুর, যা একান্তই নিজের। যেখানে থাকবে কাজের একাগ্রতা আর ভালোবাসা। জীবনপ্রবাহের কঠিন বাস্তবতায় তেমনি এক পরিস্থিতিতে উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন বাগেরহাটের ঝুমকি বসু।
নারী উদ্যোক্তা ঝুমকি বসুর গ্রামের বাড়ি বাগেরহাট জেলার কার্ত্তিকদিয়া গ্রামে। সেখানেই তাঁর শৈশবের দিন কাটে। এইচএসসি পাস করার পর পড়াশোনার জন্য চলে যান কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এরপর স্নাতকোত্তর করেন ঢাকার ইডেন কলেজ থেকে। উদ্ভিদবিজ্ঞান বিষয়ে পড়ার পাশাপাশি আইন নিয়েও পড়ালেখা করেন। একসময় আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন ঢাকা আইনজীবী সমিতিতে। এর মধ্যে বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হিসেবে চাকরি শুরু করেন। পাঁচ বছর চাকরি করার পর সন্তান ‘গদ্য’ জন্মের পর তাঁর পক্ষে চাকরি করা আর সম্ভব হয়ে ওঠেনি। অন্য কোনো উপায় না পেয়ে ছেড়ে দেন চাকরি।
ঝুমকি বুঝতে পেরেছিলেন, সংসার-সন্তান সামলে বাসার বাইরে গিয়ে চাকরি করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হবে না। তখন মনে মনে একটা কিছু করার তাগিদ অনুভব করতে থাকেন। ছেলে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজের কিছু একটা করার সুপ্ত ইচ্ছেটাও জেগে ওঠে। একদিন বাজারে কেনাকাটা করতে গিয়ে কিছু কাঠের নকশা ও রং কিনে আনেন ঝুমকি। কারণ, সামনে ছিল ছেলের জন্মদিন। নিজের জন্য তৈরি করলেন হাতে বানানো কিছু গয়না। সেদিন অনুষ্ঠানে সবাই গয়নার প্রশংসা করলেন। আর সেই প্রশংসায় ঝুমকি বসু উৎসাহিত হয়ে সিদ্ধান্ত নেন অনলাইন ব্যবসা শুরু করার।
নারী উদ্যোক্তা ঝুমকি বসুর কাছে রূপসার শুরুর গল্পের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘সত্যি বলতে কি, ব্যবসার কথা যখন পরিবারের সদস্যদের প্রথম জানাই, তখন সবাই অনেক অবাক হন। প্রথমে পরিবারের কারও খুব একটা সহযোগিতা ছিল না। এমনকি আমার মা শুনেই বললেন, এত পড়ালেখা করে শেষে তুই গয়না বানাবি? মায়ের এ কথা শুনে আমার খুব মন খারাপ হয়েছিল। কিন্তু দমে যাইনি। এরপর পূজার সময় নিজে ডিজাইন করে বাড়ির সবাইকে শাড়ি, পাঞ্জাবি, ফতুয়া, ব্লাউজ ও গয়না বানিয়ে দিলাম। সেগুলো দেখে পরিবারের সবাই খুব প্রশংসা করল। আশপাশের মানুষেরও সমাদর পেলাম। এতে মনে মনে সাহস আরও বেড়ে গেল। অতি আবেগে পরদিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খুলে ফেললাম একটা পেজ। সময়টা ছিল ২০১৯ সাল। সে বছরের মে মাসে শুরু করলাম অনলাইনভিত্তিক শপিং প্ল্যাটফর্ম ‘রূপসা’র যাত্রা।’

অনলাইন প্রতিষ্ঠানের জন্য কেন রূপসা নামটি পছন্দ করলেন? এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অনেকেই বলেন “রূপসা” কি আপনার মেয়ের নাম? আমি বলি, হ্যাঁ, রূপসা আমার মেয়ে, আমি রূপসাকে প্রতিনিয়ত গড়ে তুলছি পরম মমতায়। আবার অনেকে জানতে চান, আপনি দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ বলেই কি আপনার প্রতিষ্ঠানের নাম রূপসা? এ কথা সত্যি যে, দক্ষিণের মানুষ হিসেবে আমি রূপসার জোয়ার-ভাটা দেখে বড় হয়েছি। তাই এই নদীর ওপর আমার টান থাকবে, তা খুব স্বাভাবিক। এ ছাড়া “রূপসা” নামের এক চমৎকার তাৎপর্য আছে, যা আমার পেজের পণ্যের সঙ্গে মিলে যায়। “রূপসা” শব্দের অর্থ রূপসী।’
উদ্যোক্তার পাশাপাশি ঝুমকি বসু একজন আইনজীবী। এ ছাড়া তিনি দীর্ঘ সতেরো বছর বাংলাদেশ বেতারের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করছেন। এর পাশাপাশি তিনি টুকটাক লেখালিখিও করেন। আগামী বছর অমর একুশে গ্রন্থমেলায় আসবে ঝুমকি বসুর প্রথম গল্পগ্রন্থ, এমনটাই জানা গেল।
পরিবার সম্পর্কে জানতে চাইলে ঝুমকি বলেন, ‘আমরা দুই বোন। মা অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা। বাবা একসময় ব্যবসা করতেন। এখন বয়স হয়েছে তাই অবসরেই আছেন। বোন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। আমার স্বামী একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের জয়েন্ট নিউজ এডিটর এবং লেখালিখি করেন। একমাত্র সন্তান ‘গদ্য’ দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ছে। আমার মাসহ পরিবারের সবাই এখন ‘রূপসা’র কাজে সহযোগিতা করেন। সত্যি বলতে কি, প্রথমে কেউ ব্যাপারটায় তেমন গুরুত্ব দেননি। পড়াশোনা করলেই চাকরি করতে হবে—এটাই ছিল সবার বদ্ধমূল ধারণা। কিন্তু সময় গড়ানোর পর সবার ধারণা বদলে গেল। এখন আমার বাবা-মা, বোন, শাশুড়িমা, স্বামী এমনকি আমার সাত বছরের শিশুসন্তানও আমাকে সহযোগিতা করে। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কিছু গ্রুপ আমার পরিচিতি বাড়াতে যথেষ্ট সহযোগিতা করছে।’
রূপসার শুরুটা কীভাবে হলো আর এখন কী কী পণ্য তৈরি করছেন—জানতে চাইলে ঝুমকি বলেন, ‘প্রথমে কাজ শুরু করি হাতে তৈরি বিভিন্ন গয়না দিয়ে। আমি নিজে টিপ পরতে খুব ভালোবাসি। পেজের প্রথম দিকে টিপ নিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম। তখন টিপ হয়ে যায় আমার পেজের সিগনেচার প্রোডাক্ট। এরপর নিজে ডিজাইন করে ব্লকপ্রিন্টের শাড়ি, পাঞ্জাবি, ব্লাউজ ও বাচ্চাদের শাড়িও করতে শুরু করলাম। এ ছাড়া জামদানি ব্লকের মাস্ক করেছি। সেগুলোও অনেকে বেশ পছন্দ করছেন। আবার কাঠের নানা পণ্য যেমন: জুয়েলারি বক্স, কয়েন বক্স, কাঠের সিঁদুর বক্স, মেডিসিন বক্স নিয়েও কাজ করছি।’
উ

দ্যোক্তা হওয়ার যাত্রা কতটা কঠিন ছিল? ঝুমকি বলেন, ‘কারও কথায় কান না দিয়ে আমার মন যা চেয়েছে তাই করেছি। এখন ব্যবসা আমার নিজের। এখানে সময়ের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। আমি আমার কাজের সবকিছু তদারকি করতে পারছি। আর ঠিকই সময় বের করে ফেলতে পারছি। সন্তানকে স্কুলে দিয়ে রূপসার বিভিন্ন পণ্য তৈরি করি, ঘুম পাড়িয়ে ব্যবসার নানা কাজ করি। মোটকথা আমি আমার মতো করে সময়টা বের করে নিচ্ছি। এই সুযোগটা চাকরিতে ছিল না।’
সংসারের কাজের পাশাপাশি কীভাবে ব্যবসার কাজে সময় দেন—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সময় ম্যানেজ করা আমার সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা। আমার সন্তানকে সব সময় দেখভাল করতে হয়। কারণ, সে এখনো বেশ ছোট। বাসায় তার দেখাশোনা ছাড়াও তাকে স্কুলে নিয়ে যেতে হয়। অনেক সময় আমাকে বাইরে গিয়ে কারিগর দিয়ে কাজ করাতে হয়। আবার অনেক সময় বিভিন্ন প্রোডাক্ট সংগ্রহ করার জন্য বাইরে যেতে হয়। সন্তানকে বাসায় একা রেখে আমি বের হতে পারি না, আমাকে অপেক্ষা করতে হয় শুক্রবারের জন্য। আমার স্বামীর অফিস ছুটির দিনে শুধু আমি বাইরের কাজ করতে পারি। আমার পুরোটা সময় যদি আমি রূপসার পেছনে ব্যয় করতে পারতাম, তাহলে অনেক ভালো হতো। কিন্তু সংসার-সন্তান সামলে পুরোটা সময় দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠে না।’
এ দেশের সমাজ বাস্তবতায় নারীদের মূল্যায়নই-বা কেমন? এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঝুমকি শোনান, ‘আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে নারীর সর্বস্তরের অংশগ্রহণ এখনো সুনিশ্চিত হয়নি। সব কাজে নারীর অংশগ্রহণ সমাজ স্বাভাবিকভাবে নিতে পারে না। কিছু মানুষের একটা ধারণা যে, ব্যবসা নারীর জন্য নয়। কিন্তু এই ধারণা ভেঙে দিয়েছে আজকের নারীসমাজ। অর্থনীতিতে নারীর অবদান এখন ব্যাপকভাবে বেড়েছে, বিশেষ করে করোনাকালে। ঘরে বসে সংসার সামলে শুধু গৃহিণী না হয়ে নারীরা যে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারে, তা আজকের ই-কমার্স এবং এফ-কমার্স খাতে চোখ রাখলেই বুঝতে পারা যায়।’
সেই সঙ্গে উদ্যোক্তা হওয়ার পথের কাঁটাগুলোও মনে করিয়ে দিয়েছেন ঝুমকি। তিনি বলছিলেন, ‘উদ্যোক্তা হতে হলে অনেক কটু কথা শুনতে হয়, বিশেষ করে ব্যবসা শুরুর প্রথম দিকে। কিন্তু সেসব কথা শুনে পিছিয়ে পড়লে বা মন খারাপ করলে চলবে না। নিজের স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। মানুষের কথাকে গুরুত্ব না দিয়ে নিজে কী করতে চাই, সেটা ঠিক করতে হবে। আর ধৈর্য ধরে কাজ করে যেতে পারলে সফলতা আসবেই।’
ঝুমকি বলেন, ‘আমি রূপসার কাজ শুরু করি মাত্র পাঁচ শ টাকা দিয়ে। আর এখন প্রতি মাসে গড় আয় প্রায় ৫০ হাজার টাকা। বর্তমানে সার্বক্ষণিকভাবে দুজন শ্রমিক আমার সঙ্গে কাজ করছেন। তবে আমার যখন যেমন কাজের চাপ থাকে, সেই অনুযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা বাড়াই। অনলাইনে বিক্রির পাশাপাশি বিভিন্ন মেলায় অংশ নিয়েও আমি ব্যাপক সাড়া পেয়েছি।’
ঝুমকির স্বপ্ন, ‘রূপসা’ একদিন দেশ ছাপিয়ে বিদেশেও দাপিয়ে বেড়াবে। সেই স্বপ্নপূরণের ইঙ্গিত অবশ্য মিলছে। দুই বছর ধরে ইউরোপ ও আমেরিকায় যেতে শুরু করেছে রূপসার পণ্য। ‘রূপসা’কে একটি ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিত করে তুলতে চান ঝুমকি। সেই লক্ষ্যেই চলছে পথচলা।

ছকেবাঁধা জীবনে কাজ করতে করতে অনেকেই হাঁপিয়ে ওঠেন। তখন নিজের ইচ্ছেমতো জীবনটা সাজাতে না পারার অনুশোচনা দেখা দেয় কখনো কখনো। এতে জীবনে সাফল্য থাকলেও মন খুঁজে বেড়ায় অন্য কোনো কিছুর, যা একান্তই নিজের। যেখানে থাকবে কাজের একাগ্রতা আর ভালোবাসা। জীবনপ্রবাহের কঠিন বাস্তবতায় তেমনি এক পরিস্থিতিতে উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন বাগেরহাটের ঝুমকি বসু।
নারী উদ্যোক্তা ঝুমকি বসুর গ্রামের বাড়ি বাগেরহাট জেলার কার্ত্তিকদিয়া গ্রামে। সেখানেই তাঁর শৈশবের দিন কাটে। এইচএসসি পাস করার পর পড়াশোনার জন্য চলে যান কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এরপর স্নাতকোত্তর করেন ঢাকার ইডেন কলেজ থেকে। উদ্ভিদবিজ্ঞান বিষয়ে পড়ার পাশাপাশি আইন নিয়েও পড়ালেখা করেন। একসময় আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন ঢাকা আইনজীবী সমিতিতে। এর মধ্যে বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হিসেবে চাকরি শুরু করেন। পাঁচ বছর চাকরি করার পর সন্তান ‘গদ্য’ জন্মের পর তাঁর পক্ষে চাকরি করা আর সম্ভব হয়ে ওঠেনি। অন্য কোনো উপায় না পেয়ে ছেড়ে দেন চাকরি।
ঝুমকি বুঝতে পেরেছিলেন, সংসার-সন্তান সামলে বাসার বাইরে গিয়ে চাকরি করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হবে না। তখন মনে মনে একটা কিছু করার তাগিদ অনুভব করতে থাকেন। ছেলে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজের কিছু একটা করার সুপ্ত ইচ্ছেটাও জেগে ওঠে। একদিন বাজারে কেনাকাটা করতে গিয়ে কিছু কাঠের নকশা ও রং কিনে আনেন ঝুমকি। কারণ, সামনে ছিল ছেলের জন্মদিন। নিজের জন্য তৈরি করলেন হাতে বানানো কিছু গয়না। সেদিন অনুষ্ঠানে সবাই গয়নার প্রশংসা করলেন। আর সেই প্রশংসায় ঝুমকি বসু উৎসাহিত হয়ে সিদ্ধান্ত নেন অনলাইন ব্যবসা শুরু করার।
নারী উদ্যোক্তা ঝুমকি বসুর কাছে রূপসার শুরুর গল্পের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘সত্যি বলতে কি, ব্যবসার কথা যখন পরিবারের সদস্যদের প্রথম জানাই, তখন সবাই অনেক অবাক হন। প্রথমে পরিবারের কারও খুব একটা সহযোগিতা ছিল না। এমনকি আমার মা শুনেই বললেন, এত পড়ালেখা করে শেষে তুই গয়না বানাবি? মায়ের এ কথা শুনে আমার খুব মন খারাপ হয়েছিল। কিন্তু দমে যাইনি। এরপর পূজার সময় নিজে ডিজাইন করে বাড়ির সবাইকে শাড়ি, পাঞ্জাবি, ফতুয়া, ব্লাউজ ও গয়না বানিয়ে দিলাম। সেগুলো দেখে পরিবারের সবাই খুব প্রশংসা করল। আশপাশের মানুষেরও সমাদর পেলাম। এতে মনে মনে সাহস আরও বেড়ে গেল। অতি আবেগে পরদিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খুলে ফেললাম একটা পেজ। সময়টা ছিল ২০১৯ সাল। সে বছরের মে মাসে শুরু করলাম অনলাইনভিত্তিক শপিং প্ল্যাটফর্ম ‘রূপসা’র যাত্রা।’

অনলাইন প্রতিষ্ঠানের জন্য কেন রূপসা নামটি পছন্দ করলেন? এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অনেকেই বলেন “রূপসা” কি আপনার মেয়ের নাম? আমি বলি, হ্যাঁ, রূপসা আমার মেয়ে, আমি রূপসাকে প্রতিনিয়ত গড়ে তুলছি পরম মমতায়। আবার অনেকে জানতে চান, আপনি দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ বলেই কি আপনার প্রতিষ্ঠানের নাম রূপসা? এ কথা সত্যি যে, দক্ষিণের মানুষ হিসেবে আমি রূপসার জোয়ার-ভাটা দেখে বড় হয়েছি। তাই এই নদীর ওপর আমার টান থাকবে, তা খুব স্বাভাবিক। এ ছাড়া “রূপসা” নামের এক চমৎকার তাৎপর্য আছে, যা আমার পেজের পণ্যের সঙ্গে মিলে যায়। “রূপসা” শব্দের অর্থ রূপসী।’
উদ্যোক্তার পাশাপাশি ঝুমকি বসু একজন আইনজীবী। এ ছাড়া তিনি দীর্ঘ সতেরো বছর বাংলাদেশ বেতারের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করছেন। এর পাশাপাশি তিনি টুকটাক লেখালিখিও করেন। আগামী বছর অমর একুশে গ্রন্থমেলায় আসবে ঝুমকি বসুর প্রথম গল্পগ্রন্থ, এমনটাই জানা গেল।
পরিবার সম্পর্কে জানতে চাইলে ঝুমকি বলেন, ‘আমরা দুই বোন। মা অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা। বাবা একসময় ব্যবসা করতেন। এখন বয়স হয়েছে তাই অবসরেই আছেন। বোন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। আমার স্বামী একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের জয়েন্ট নিউজ এডিটর এবং লেখালিখি করেন। একমাত্র সন্তান ‘গদ্য’ দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ছে। আমার মাসহ পরিবারের সবাই এখন ‘রূপসা’র কাজে সহযোগিতা করেন। সত্যি বলতে কি, প্রথমে কেউ ব্যাপারটায় তেমন গুরুত্ব দেননি। পড়াশোনা করলেই চাকরি করতে হবে—এটাই ছিল সবার বদ্ধমূল ধারণা। কিন্তু সময় গড়ানোর পর সবার ধারণা বদলে গেল। এখন আমার বাবা-মা, বোন, শাশুড়িমা, স্বামী এমনকি আমার সাত বছরের শিশুসন্তানও আমাকে সহযোগিতা করে। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কিছু গ্রুপ আমার পরিচিতি বাড়াতে যথেষ্ট সহযোগিতা করছে।’
রূপসার শুরুটা কীভাবে হলো আর এখন কী কী পণ্য তৈরি করছেন—জানতে চাইলে ঝুমকি বলেন, ‘প্রথমে কাজ শুরু করি হাতে তৈরি বিভিন্ন গয়না দিয়ে। আমি নিজে টিপ পরতে খুব ভালোবাসি। পেজের প্রথম দিকে টিপ নিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম। তখন টিপ হয়ে যায় আমার পেজের সিগনেচার প্রোডাক্ট। এরপর নিজে ডিজাইন করে ব্লকপ্রিন্টের শাড়ি, পাঞ্জাবি, ব্লাউজ ও বাচ্চাদের শাড়িও করতে শুরু করলাম। এ ছাড়া জামদানি ব্লকের মাস্ক করেছি। সেগুলোও অনেকে বেশ পছন্দ করছেন। আবার কাঠের নানা পণ্য যেমন: জুয়েলারি বক্স, কয়েন বক্স, কাঠের সিঁদুর বক্স, মেডিসিন বক্স নিয়েও কাজ করছি।’
উ

দ্যোক্তা হওয়ার যাত্রা কতটা কঠিন ছিল? ঝুমকি বলেন, ‘কারও কথায় কান না দিয়ে আমার মন যা চেয়েছে তাই করেছি। এখন ব্যবসা আমার নিজের। এখানে সময়ের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। আমি আমার কাজের সবকিছু তদারকি করতে পারছি। আর ঠিকই সময় বের করে ফেলতে পারছি। সন্তানকে স্কুলে দিয়ে রূপসার বিভিন্ন পণ্য তৈরি করি, ঘুম পাড়িয়ে ব্যবসার নানা কাজ করি। মোটকথা আমি আমার মতো করে সময়টা বের করে নিচ্ছি। এই সুযোগটা চাকরিতে ছিল না।’
সংসারের কাজের পাশাপাশি কীভাবে ব্যবসার কাজে সময় দেন—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সময় ম্যানেজ করা আমার সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা। আমার সন্তানকে সব সময় দেখভাল করতে হয়। কারণ, সে এখনো বেশ ছোট। বাসায় তার দেখাশোনা ছাড়াও তাকে স্কুলে নিয়ে যেতে হয়। অনেক সময় আমাকে বাইরে গিয়ে কারিগর দিয়ে কাজ করাতে হয়। আবার অনেক সময় বিভিন্ন প্রোডাক্ট সংগ্রহ করার জন্য বাইরে যেতে হয়। সন্তানকে বাসায় একা রেখে আমি বের হতে পারি না, আমাকে অপেক্ষা করতে হয় শুক্রবারের জন্য। আমার স্বামীর অফিস ছুটির দিনে শুধু আমি বাইরের কাজ করতে পারি। আমার পুরোটা সময় যদি আমি রূপসার পেছনে ব্যয় করতে পারতাম, তাহলে অনেক ভালো হতো। কিন্তু সংসার-সন্তান সামলে পুরোটা সময় দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠে না।’
এ দেশের সমাজ বাস্তবতায় নারীদের মূল্যায়নই-বা কেমন? এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঝুমকি শোনান, ‘আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে নারীর সর্বস্তরের অংশগ্রহণ এখনো সুনিশ্চিত হয়নি। সব কাজে নারীর অংশগ্রহণ সমাজ স্বাভাবিকভাবে নিতে পারে না। কিছু মানুষের একটা ধারণা যে, ব্যবসা নারীর জন্য নয়। কিন্তু এই ধারণা ভেঙে দিয়েছে আজকের নারীসমাজ। অর্থনীতিতে নারীর অবদান এখন ব্যাপকভাবে বেড়েছে, বিশেষ করে করোনাকালে। ঘরে বসে সংসার সামলে শুধু গৃহিণী না হয়ে নারীরা যে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারে, তা আজকের ই-কমার্স এবং এফ-কমার্স খাতে চোখ রাখলেই বুঝতে পারা যায়।’
সেই সঙ্গে উদ্যোক্তা হওয়ার পথের কাঁটাগুলোও মনে করিয়ে দিয়েছেন ঝুমকি। তিনি বলছিলেন, ‘উদ্যোক্তা হতে হলে অনেক কটু কথা শুনতে হয়, বিশেষ করে ব্যবসা শুরুর প্রথম দিকে। কিন্তু সেসব কথা শুনে পিছিয়ে পড়লে বা মন খারাপ করলে চলবে না। নিজের স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। মানুষের কথাকে গুরুত্ব না দিয়ে নিজে কী করতে চাই, সেটা ঠিক করতে হবে। আর ধৈর্য ধরে কাজ করে যেতে পারলে সফলতা আসবেই।’
ঝুমকি বলেন, ‘আমি রূপসার কাজ শুরু করি মাত্র পাঁচ শ টাকা দিয়ে। আর এখন প্রতি মাসে গড় আয় প্রায় ৫০ হাজার টাকা। বর্তমানে সার্বক্ষণিকভাবে দুজন শ্রমিক আমার সঙ্গে কাজ করছেন। তবে আমার যখন যেমন কাজের চাপ থাকে, সেই অনুযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা বাড়াই। অনলাইনে বিক্রির পাশাপাশি বিভিন্ন মেলায় অংশ নিয়েও আমি ব্যাপক সাড়া পেয়েছি।’
ঝুমকির স্বপ্ন, ‘রূপসা’ একদিন দেশ ছাপিয়ে বিদেশেও দাপিয়ে বেড়াবে। সেই স্বপ্নপূরণের ইঙ্গিত অবশ্য মিলছে। দুই বছর ধরে ইউরোপ ও আমেরিকায় যেতে শুরু করেছে রূপসার পণ্য। ‘রূপসা’কে একটি ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিত করে তুলতে চান ঝুমকি। সেই লক্ষ্যেই চলছে পথচলা।

বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড (BHL) আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করল অল-নিউ হোন্ডা NX 200—একটি আধুনিক অ্যাডভেঞ্চার-ইনস্পায়ার্ড মোটরসাইকেল, যা রোমাঞ্চপ্রেমী রাইডার, বহুমুখী ব্যবহারকারী এবং দীর্ঘ দূরপথে যাতায়াতকারীদের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের সর্ববৃহৎ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৯ সালের এই দিনে ৮৩ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সমাজসেবায় তাঁর অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছর (২০২৫) তিনি মরণোত্তর ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’-এ ভূষিত হয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
সারা দেশের সাত হাজার ডিস্ট্রিবিউটর ফিল্ড ফোর্সের মধ্য থেকে সেরা পারফরম্যান্সের জন্য ৭০ জনকে বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে ডাক বিভাগের ডিজিটাল আর্থিক লেনদেন সেবা নগদ। রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘নগদ ফিল্ড চ্যাম্পিয়ন ২০২৫’ নামের এই সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
২ দিন আগে
তথ্যসেবা আরও সহজ ও কার্যকর করার লক্ষ্যে ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক স্থাপন করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আসাদুর রহমান এই ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক উদ্বোধন করেন।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড (BHL) আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করল অল-নিউ হোন্ডা NX 200—একটি আধুনিক অ্যাডভেঞ্চার-ইনস্পায়ার্ড মোটরসাইকেল, যা রোমাঞ্চপ্রেমী রাইডার, বহুমুখী ব্যবহারকারী এবং দীর্ঘ দূরপথে যাতায়াতকারীদের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে।
হোন্ডার বিশ্বখ্যাত গ্লোবাল অ্যাডভেঞ্চার লাইনআপের শক্তিশালী ডিজাইন, পরিশীলিত ইঞ্জিন পারফরম্যান্স এবং রাইডারকেন্দ্রিক প্রযুক্তি থেকে অনুপ্রাণিত NX 200 বাংলাদেশের অ্যাডভেঞ্চার ও ট্যুরিং বাইকারদের জন্য নতুন এক মানদণ্ড স্থাপন করবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মি. মিনোরু কাতো, চিফ অফিসার, মোটরসাইকেল ও পাওয়ার প্রোডাক্টস অপারেশনস, হোন্ডা মোটর করপোরেশন লিমিটেড, জাপান—হোন্ডার গ্রাহক ও অংশীদারদের দীর্ঘদিনের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি হোন্ডার বিশ্বব্যাপী ৫০ কোটির বেশি মোটরসাইকেল উৎপাদনের মাইলফলক এবং ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশ হোন্ডার ৫ লাখ ৫০ হাজার ইউনিট বিক্রির অর্জন তুলে ধরেন।
একই সঙ্গে মি. মিনোরু কাতো জানান, বাংলাদেশ হোন্ডা বর্তমানে হোন্ডার একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্লোবাল প্রোডাকশন রিসোর্স হিসেবে স্বীকৃত, যার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মি. সুসুমু মরিসাওয়া বলেন, ‘হোন্ডার লক্ষ্য হলো সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য ও আধুনিক মোটরযানের মাধ্যমে মানুষের জন্য নিরাপদ এবং সহজ যাতায়াতের আনন্দ নিশ্চিত করা।’
গ্রাহকদের পরিবর্তনশীল চাহিদা পূরণে BHL উন্নত ফিচার ও রাইডিং সক্ষমতাসম্পন্ন নতুন মডেল বাজারে আনার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছেন মি. সুসুমু মরিসাওয়া। এ সময় তিনি জানান, গ্লোবাল হোন্ডার সহযোগিতায় অল-নিউ NX 200 মেক্সিকোতে রপ্তানির পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ হোন্ডার চিফ মার্কেটিং অফিসার মি. শাহ মুহাম্মদ আশেকুর রহমান বলেন, ‘NX 200 অ্যাডভেঞ্চার-ট্যুরিং সেগমেন্টে একটি নতুন মানদণ্ড স্থাপন করবে, যা বিভিন্ন ধরনের রাস্তা ও আবহাওয়ায় উন্নত নিয়ন্ত্রণ, আরাম এবং শক্তিশালী পারফরম্যান্স নিশ্চিত করবে।’
অল-নিউ হোন্ডা NX 200 চালিত হচ্ছে ১৮৪.৪ সিসি PGM-FI ইঞ্জিনে (১৬.৫ PS@ ৮৫০০ RPM, ১৫. ১ Nm@ ৬০০০ RPM)। এতে রয়েছে ডুয়াল-চ্যানেল ABS, হোন্ডা সিলেক্টেবল টর্ক কন্ট্রোল (HSTC), অ্যাসিস্ট ও স্লিপার ক্লাচ এবং USB Type-Cসহ ৪.২ ইঞ্চি পূর্ণ ডিজিটাল TFT ডিসপ্লে। এ ছাড়া অল-LED লাইটিং, উচ্চ গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স এবং আরামদায়ক সিটিং প্রিমিয়াম ও আত্মবিশ্বাসী রাইডিং অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে। একই অনুষ্ঠানে BHL, KYT-এর সহযোগিতায় নতুন হোন্ডা হেলমেটও উন্মোচন করে।
অল-নিউ হোন্ডা NX 200 আগামী ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে সারা দেশের সব হোন্ডা অনুমোদিত ডিলার শোরুমে পাওয়া যাবে। মোটরসাইকেলটি পাওয়া যাবে দুটি আকর্ষণীয় রঙে—রেডিয়েন্ট রেড মেটালিক এবং পার্ল ইগনিয়াস ব্ল্যাক। মডেলটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা।

বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড (BHL) আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করল অল-নিউ হোন্ডা NX 200—একটি আধুনিক অ্যাডভেঞ্চার-ইনস্পায়ার্ড মোটরসাইকেল, যা রোমাঞ্চপ্রেমী রাইডার, বহুমুখী ব্যবহারকারী এবং দীর্ঘ দূরপথে যাতায়াতকারীদের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে।
হোন্ডার বিশ্বখ্যাত গ্লোবাল অ্যাডভেঞ্চার লাইনআপের শক্তিশালী ডিজাইন, পরিশীলিত ইঞ্জিন পারফরম্যান্স এবং রাইডারকেন্দ্রিক প্রযুক্তি থেকে অনুপ্রাণিত NX 200 বাংলাদেশের অ্যাডভেঞ্চার ও ট্যুরিং বাইকারদের জন্য নতুন এক মানদণ্ড স্থাপন করবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মি. মিনোরু কাতো, চিফ অফিসার, মোটরসাইকেল ও পাওয়ার প্রোডাক্টস অপারেশনস, হোন্ডা মোটর করপোরেশন লিমিটেড, জাপান—হোন্ডার গ্রাহক ও অংশীদারদের দীর্ঘদিনের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি হোন্ডার বিশ্বব্যাপী ৫০ কোটির বেশি মোটরসাইকেল উৎপাদনের মাইলফলক এবং ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশ হোন্ডার ৫ লাখ ৫০ হাজার ইউনিট বিক্রির অর্জন তুলে ধরেন।
একই সঙ্গে মি. মিনোরু কাতো জানান, বাংলাদেশ হোন্ডা বর্তমানে হোন্ডার একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্লোবাল প্রোডাকশন রিসোর্স হিসেবে স্বীকৃত, যার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মি. সুসুমু মরিসাওয়া বলেন, ‘হোন্ডার লক্ষ্য হলো সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য ও আধুনিক মোটরযানের মাধ্যমে মানুষের জন্য নিরাপদ এবং সহজ যাতায়াতের আনন্দ নিশ্চিত করা।’
গ্রাহকদের পরিবর্তনশীল চাহিদা পূরণে BHL উন্নত ফিচার ও রাইডিং সক্ষমতাসম্পন্ন নতুন মডেল বাজারে আনার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছেন মি. সুসুমু মরিসাওয়া। এ সময় তিনি জানান, গ্লোবাল হোন্ডার সহযোগিতায় অল-নিউ NX 200 মেক্সিকোতে রপ্তানির পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ হোন্ডার চিফ মার্কেটিং অফিসার মি. শাহ মুহাম্মদ আশেকুর রহমান বলেন, ‘NX 200 অ্যাডভেঞ্চার-ট্যুরিং সেগমেন্টে একটি নতুন মানদণ্ড স্থাপন করবে, যা বিভিন্ন ধরনের রাস্তা ও আবহাওয়ায় উন্নত নিয়ন্ত্রণ, আরাম এবং শক্তিশালী পারফরম্যান্স নিশ্চিত করবে।’
অল-নিউ হোন্ডা NX 200 চালিত হচ্ছে ১৮৪.৪ সিসি PGM-FI ইঞ্জিনে (১৬.৫ PS@ ৮৫০০ RPM, ১৫. ১ Nm@ ৬০০০ RPM)। এতে রয়েছে ডুয়াল-চ্যানেল ABS, হোন্ডা সিলেক্টেবল টর্ক কন্ট্রোল (HSTC), অ্যাসিস্ট ও স্লিপার ক্লাচ এবং USB Type-Cসহ ৪.২ ইঞ্চি পূর্ণ ডিজিটাল TFT ডিসপ্লে। এ ছাড়া অল-LED লাইটিং, উচ্চ গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স এবং আরামদায়ক সিটিং প্রিমিয়াম ও আত্মবিশ্বাসী রাইডিং অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে। একই অনুষ্ঠানে BHL, KYT-এর সহযোগিতায় নতুন হোন্ডা হেলমেটও উন্মোচন করে।
অল-নিউ হোন্ডা NX 200 আগামী ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে সারা দেশের সব হোন্ডা অনুমোদিত ডিলার শোরুমে পাওয়া যাবে। মোটরসাইকেলটি পাওয়া যাবে দুটি আকর্ষণীয় রঙে—রেডিয়েন্ট রেড মেটালিক এবং পার্ল ইগনিয়াস ব্ল্যাক। মডেলটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা।

ঝুমকি বলেন, ‘আমি রূপসার কাজ শুরু করি মাত্র পাঁচ শ টাকা দিয়ে। আর এখন প্রতি মাসে গড় আয় প্রায় ৫০ হাজার টাকা। বর্তমানে সার্বক্ষণিকভাবে দুজন শ্রমিক আমার সঙ্গে কাজ করছেন। তবে আমার যখন যেমন কাজের চাপ থাকে, সেই অনুযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা বাড়াই। অনলাইনে বিক্রির পাশাপাশি বিভিন্ন মেলায় অংশ নিয়েও আমি ব্যাপক সাড়া প
২০ ডিসেম্বর ২০২১
বিশ্বের সর্ববৃহৎ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৯ সালের এই দিনে ৮৩ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সমাজসেবায় তাঁর অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছর (২০২৫) তিনি মরণোত্তর ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’-এ ভূষিত হয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
সারা দেশের সাত হাজার ডিস্ট্রিবিউটর ফিল্ড ফোর্সের মধ্য থেকে সেরা পারফরম্যান্সের জন্য ৭০ জনকে বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে ডাক বিভাগের ডিজিটাল আর্থিক লেনদেন সেবা নগদ। রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘নগদ ফিল্ড চ্যাম্পিয়ন ২০২৫’ নামের এই সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
২ দিন আগে
তথ্যসেবা আরও সহজ ও কার্যকর করার লক্ষ্যে ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক স্থাপন করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আসাদুর রহমান এই ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক উদ্বোধন করেন।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্বের সর্ববৃহৎ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৯ সালের এই দিনে ৮৩ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সমাজসেবায় তাঁর অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছর (২০২৫) তিনি মরণোত্তর ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’-এ ভূষিত হয়েছেন।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ শেষে যখন বাংলাদেশের অর্থনীতি পুরোপুরি বিপর্যস্ত, তখন ১৯৭২ সালের শুরুতে ৩৬ বছর বয়সে স্যার ফজলে হাসান আবেদ দেশে ফিরে আসেন। ভারত থেকে আসা শরণার্থীদের পুনর্বাসনের লক্ষে সুনামগঞ্জের দুর্গম এলাকা শাল্লা থেকে তিনি ব্র্যাকের যাত্রা শুরু করেন। সেই ক্ষুদ্র উদ্যোগ আজ মহীরুহে পরিণত হয়েছে, যা বিশ্বের এশিয়া ও আফ্রিকার ১৪টি দেশের প্রায় সাড়ে ১৪ কোটি মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে।
১৯৩৬ সালে জন্মগ্রহণ করা ফজলে হাসান আবেদ ১৯৬২ সালে লন্ডন থেকে কস্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্ট ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৭০ সালের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ তার জীবনের গতিপথ বদলে দেয়। শেল অয়েল কোম্পানির সিনিয়র এক্সিকিউটিভের চাকরি ছেড়ে তিনি লন্ডনে চলে যান এবং সেখানে মুক্তিযুদ্ধে সহায়তার জন্য ‘অ্যাকশন বাংলাদেশ’ ও ‘হেলপ বাংলাদেশ’ নামে দুটি সংগঠন গড়ে তোলেন।
স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ক্ষুদ্রঋণ, দক্ষতা উন্নয়ন এবং মানবাধিকারের মতো বহুমুখী কার্যক্রমের মাধ্যমে তিনি দরিদ্র মানুষের ক্ষমতায়ন ঘটিয়েছেন। কাজের উদ্ভাবনী এবং টেকসই বৈশিষ্ট্যের কারণে জেনেভাভিত্তিক ‘এনজিও অ্যাডভাইজার’ ২০২০ সালে টানা পাঁচবারের মতো ব্র্যাককে বিশ্বের শীর্ষ এনজিও হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

বিশ্বের সর্ববৃহৎ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৯ সালের এই দিনে ৮৩ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সমাজসেবায় তাঁর অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছর (২০২৫) তিনি মরণোত্তর ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’-এ ভূষিত হয়েছেন।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ শেষে যখন বাংলাদেশের অর্থনীতি পুরোপুরি বিপর্যস্ত, তখন ১৯৭২ সালের শুরুতে ৩৬ বছর বয়সে স্যার ফজলে হাসান আবেদ দেশে ফিরে আসেন। ভারত থেকে আসা শরণার্থীদের পুনর্বাসনের লক্ষে সুনামগঞ্জের দুর্গম এলাকা শাল্লা থেকে তিনি ব্র্যাকের যাত্রা শুরু করেন। সেই ক্ষুদ্র উদ্যোগ আজ মহীরুহে পরিণত হয়েছে, যা বিশ্বের এশিয়া ও আফ্রিকার ১৪টি দেশের প্রায় সাড়ে ১৪ কোটি মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে।
১৯৩৬ সালে জন্মগ্রহণ করা ফজলে হাসান আবেদ ১৯৬২ সালে লন্ডন থেকে কস্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্ট ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৭০ সালের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ তার জীবনের গতিপথ বদলে দেয়। শেল অয়েল কোম্পানির সিনিয়র এক্সিকিউটিভের চাকরি ছেড়ে তিনি লন্ডনে চলে যান এবং সেখানে মুক্তিযুদ্ধে সহায়তার জন্য ‘অ্যাকশন বাংলাদেশ’ ও ‘হেলপ বাংলাদেশ’ নামে দুটি সংগঠন গড়ে তোলেন।
স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ক্ষুদ্রঋণ, দক্ষতা উন্নয়ন এবং মানবাধিকারের মতো বহুমুখী কার্যক্রমের মাধ্যমে তিনি দরিদ্র মানুষের ক্ষমতায়ন ঘটিয়েছেন। কাজের উদ্ভাবনী এবং টেকসই বৈশিষ্ট্যের কারণে জেনেভাভিত্তিক ‘এনজিও অ্যাডভাইজার’ ২০২০ সালে টানা পাঁচবারের মতো ব্র্যাককে বিশ্বের শীর্ষ এনজিও হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

ঝুমকি বলেন, ‘আমি রূপসার কাজ শুরু করি মাত্র পাঁচ শ টাকা দিয়ে। আর এখন প্রতি মাসে গড় আয় প্রায় ৫০ হাজার টাকা। বর্তমানে সার্বক্ষণিকভাবে দুজন শ্রমিক আমার সঙ্গে কাজ করছেন। তবে আমার যখন যেমন কাজের চাপ থাকে, সেই অনুযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা বাড়াই। অনলাইনে বিক্রির পাশাপাশি বিভিন্ন মেলায় অংশ নিয়েও আমি ব্যাপক সাড়া প
২০ ডিসেম্বর ২০২১
বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড (BHL) আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করল অল-নিউ হোন্ডা NX 200—একটি আধুনিক অ্যাডভেঞ্চার-ইনস্পায়ার্ড মোটরসাইকেল, যা রোমাঞ্চপ্রেমী রাইডার, বহুমুখী ব্যবহারকারী এবং দীর্ঘ দূরপথে যাতায়াতকারীদের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
সারা দেশের সাত হাজার ডিস্ট্রিবিউটর ফিল্ড ফোর্সের মধ্য থেকে সেরা পারফরম্যান্সের জন্য ৭০ জনকে বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে ডাক বিভাগের ডিজিটাল আর্থিক লেনদেন সেবা নগদ। রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘নগদ ফিল্ড চ্যাম্পিয়ন ২০২৫’ নামের এই সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
২ দিন আগে
তথ্যসেবা আরও সহজ ও কার্যকর করার লক্ষ্যে ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক স্থাপন করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আসাদুর রহমান এই ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক উদ্বোধন করেন।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সারা দেশের সাত হাজার ডিস্ট্রিবিউটর ফিল্ড ফোর্সের মধ্য থেকে সেরা পারফরম্যান্সের জন্য ৭০ জনকে বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে ডাক বিভাগের ডিজিটাল আর্থিক লেনদেন সেবা নগদ।
রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘নগদ ফিল্ড চ্যাম্পিয়ন ২০২৫’ নামের এই সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠান চলাকালে ডিস্ট্রিবিউটর ফিল্ড ফোর্সদের পারফরম্যান্সের জন্য বিশেষ বোনাসের ঘোষণা দেন বাংলাদেশ ব্যাংকনিযুক্ত নগদের প্রশাসক মো. মোতাছিম বিল্লাহ। ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে ৭০ জনের নগদ অ্যাকাউন্টে চলে যায় এই অর্থ।
দেশের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে ঢাকায় আসা-যাওয়া, খাওয়া, হোটেলে অবস্থানসহ অন্য সব খরচ নগদের পক্ষ থেকে বহন করা হয়।
সেরা পারফর্মারদের অভিনন্দন জানিয়ে নগদের প্রশাসক মো. মোতাছিম বিল্লাহ বলেন, অনেক চ্যালেঞ্জের মাঝেও বাজারে নগদ একটা ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছে। বাংলাদেশে ক্যাশলেস লেনদেনের আরও প্রসার ঘটাতে নগদ ভূমিকা রাখবে বলে সরকারের নীতিনির্ধারকদের প্রত্যাশা রয়েছে। সুতরাং, যত অপপ্রচারই নগদকে নিয়ে হোক না কেন, সেসবে কান না দিয়ে নগদের সাফল্যের জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে।
নগদের সেবার প্রসার ঘটাতে এ সময় মোতাছিম বিল্লাহ ডিস্ট্রিবিউটর ফিল্ড ফোর্সদের কাছ থেকে নগদ বিষয়ে পরামর্শ ও সুপারিশ জানতে চান। তাঁদের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে নগদ প্রশাসক বলেন, অল্প সময়ের ভেতরই সেবার কলেবর আরও বাড়বে নগদে। ফলে লেনদেনের অঙ্ক যেমন অনেক গুণ বাড়বে, একই সঙ্গে গ্রাহকেরাও অনেক বেশি উপকৃত হবেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকনিযুক্ত নগদের জ্যেষ্ঠ সহযোগী প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান, ডাক বিভাগনিযুক্ত নগদের জ্যেষ্ঠ সহযোগী প্রশাসক মো. আবু তালেব, নগদের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার মোহাম্মদ শাহীন সারওয়ার ভূঁইয়া বক্তব্য দেন।
বক্তারা বলেন, আগামী বছরে বিদেশ থেকে আসা রেমিট্যান্স, বাংলা কিউআর, সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লেনদেনের জন্য আন্তসংযোগ গেম চেঞ্জারের ভূমিকা পালন করবে নগদ। ফলে ২০২৬ সাল নগদের সেরা সাফল্যের বছর হবে বলেও মনে করেন তাঁরা।

সারা দেশের সাত হাজার ডিস্ট্রিবিউটর ফিল্ড ফোর্সের মধ্য থেকে সেরা পারফরম্যান্সের জন্য ৭০ জনকে বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে ডাক বিভাগের ডিজিটাল আর্থিক লেনদেন সেবা নগদ।
রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘নগদ ফিল্ড চ্যাম্পিয়ন ২০২৫’ নামের এই সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠান চলাকালে ডিস্ট্রিবিউটর ফিল্ড ফোর্সদের পারফরম্যান্সের জন্য বিশেষ বোনাসের ঘোষণা দেন বাংলাদেশ ব্যাংকনিযুক্ত নগদের প্রশাসক মো. মোতাছিম বিল্লাহ। ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে ৭০ জনের নগদ অ্যাকাউন্টে চলে যায় এই অর্থ।
দেশের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে ঢাকায় আসা-যাওয়া, খাওয়া, হোটেলে অবস্থানসহ অন্য সব খরচ নগদের পক্ষ থেকে বহন করা হয়।
সেরা পারফর্মারদের অভিনন্দন জানিয়ে নগদের প্রশাসক মো. মোতাছিম বিল্লাহ বলেন, অনেক চ্যালেঞ্জের মাঝেও বাজারে নগদ একটা ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছে। বাংলাদেশে ক্যাশলেস লেনদেনের আরও প্রসার ঘটাতে নগদ ভূমিকা রাখবে বলে সরকারের নীতিনির্ধারকদের প্রত্যাশা রয়েছে। সুতরাং, যত অপপ্রচারই নগদকে নিয়ে হোক না কেন, সেসবে কান না দিয়ে নগদের সাফল্যের জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে।
নগদের সেবার প্রসার ঘটাতে এ সময় মোতাছিম বিল্লাহ ডিস্ট্রিবিউটর ফিল্ড ফোর্সদের কাছ থেকে নগদ বিষয়ে পরামর্শ ও সুপারিশ জানতে চান। তাঁদের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে নগদ প্রশাসক বলেন, অল্প সময়ের ভেতরই সেবার কলেবর আরও বাড়বে নগদে। ফলে লেনদেনের অঙ্ক যেমন অনেক গুণ বাড়বে, একই সঙ্গে গ্রাহকেরাও অনেক বেশি উপকৃত হবেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকনিযুক্ত নগদের জ্যেষ্ঠ সহযোগী প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান, ডাক বিভাগনিযুক্ত নগদের জ্যেষ্ঠ সহযোগী প্রশাসক মো. আবু তালেব, নগদের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার মোহাম্মদ শাহীন সারওয়ার ভূঁইয়া বক্তব্য দেন।
বক্তারা বলেন, আগামী বছরে বিদেশ থেকে আসা রেমিট্যান্স, বাংলা কিউআর, সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লেনদেনের জন্য আন্তসংযোগ গেম চেঞ্জারের ভূমিকা পালন করবে নগদ। ফলে ২০২৬ সাল নগদের সেরা সাফল্যের বছর হবে বলেও মনে করেন তাঁরা।

ঝুমকি বলেন, ‘আমি রূপসার কাজ শুরু করি মাত্র পাঁচ শ টাকা দিয়ে। আর এখন প্রতি মাসে গড় আয় প্রায় ৫০ হাজার টাকা। বর্তমানে সার্বক্ষণিকভাবে দুজন শ্রমিক আমার সঙ্গে কাজ করছেন। তবে আমার যখন যেমন কাজের চাপ থাকে, সেই অনুযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা বাড়াই। অনলাইনে বিক্রির পাশাপাশি বিভিন্ন মেলায় অংশ নিয়েও আমি ব্যাপক সাড়া প
২০ ডিসেম্বর ২০২১
বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড (BHL) আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করল অল-নিউ হোন্ডা NX 200—একটি আধুনিক অ্যাডভেঞ্চার-ইনস্পায়ার্ড মোটরসাইকেল, যা রোমাঞ্চপ্রেমী রাইডার, বহুমুখী ব্যবহারকারী এবং দীর্ঘ দূরপথে যাতায়াতকারীদের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের সর্ববৃহৎ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৯ সালের এই দিনে ৮৩ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সমাজসেবায় তাঁর অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছর (২০২৫) তিনি মরণোত্তর ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’-এ ভূষিত হয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
তথ্যসেবা আরও সহজ ও কার্যকর করার লক্ষ্যে ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক স্থাপন করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আসাদুর রহমান এই ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক উদ্বোধন করেন।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

তথ্যসেবা আরও সহজ ও কার্যকর করার লক্ষ্যে ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক স্থাপন করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আসাদুর রহমান এই ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিএসইর প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা ড. আসিফুর রহমান, প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা মো. ছামিউল ইসলাম, প্রধান রেগুলেটরি কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়াসহ ডিএসইর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় মোহাম্মদ আসাদুর রহমান বলেন, ইনফরমেশন হেল্প ডেস্কের মাধ্যমে পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্ট তথ্য প্রদান আরও সহজ হবে এবং বিনিয়োগকারী ও অন্য অংশীজনদের বিভিন্ন জিজ্ঞাসার দ্রুত ও কার্যকর সমাধান নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এর ফলে ডিএসইর সেবার মান আরও গ্রাহকবান্ধব ও স্বচ্ছ হবে।
ডিএসইর এমডি আশা প্রকাশ করেন, এই হেল্প ডেস্ক ডিএসইর বাজার অংশগ্রহণকারীদের আস্থা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
পুঁজিবাজারসংক্রান্ত সব ধরনের তথ্যের জন্য +৮৮-০২-৪১০৪০১৮৯, ০৯৬৬৬৭০২০৭০ নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।

তথ্যসেবা আরও সহজ ও কার্যকর করার লক্ষ্যে ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক স্থাপন করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আসাদুর রহমান এই ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিএসইর প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা ড. আসিফুর রহমান, প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা মো. ছামিউল ইসলাম, প্রধান রেগুলেটরি কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়াসহ ডিএসইর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় মোহাম্মদ আসাদুর রহমান বলেন, ইনফরমেশন হেল্প ডেস্কের মাধ্যমে পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্ট তথ্য প্রদান আরও সহজ হবে এবং বিনিয়োগকারী ও অন্য অংশীজনদের বিভিন্ন জিজ্ঞাসার দ্রুত ও কার্যকর সমাধান নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এর ফলে ডিএসইর সেবার মান আরও গ্রাহকবান্ধব ও স্বচ্ছ হবে।
ডিএসইর এমডি আশা প্রকাশ করেন, এই হেল্প ডেস্ক ডিএসইর বাজার অংশগ্রহণকারীদের আস্থা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
পুঁজিবাজারসংক্রান্ত সব ধরনের তথ্যের জন্য +৮৮-০২-৪১০৪০১৮৯, ০৯৬৬৬৭০২০৭০ নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।

ঝুমকি বলেন, ‘আমি রূপসার কাজ শুরু করি মাত্র পাঁচ শ টাকা দিয়ে। আর এখন প্রতি মাসে গড় আয় প্রায় ৫০ হাজার টাকা। বর্তমানে সার্বক্ষণিকভাবে দুজন শ্রমিক আমার সঙ্গে কাজ করছেন। তবে আমার যখন যেমন কাজের চাপ থাকে, সেই অনুযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা বাড়াই। অনলাইনে বিক্রির পাশাপাশি বিভিন্ন মেলায় অংশ নিয়েও আমি ব্যাপক সাড়া প
২০ ডিসেম্বর ২০২১
বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড (BHL) আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করল অল-নিউ হোন্ডা NX 200—একটি আধুনিক অ্যাডভেঞ্চার-ইনস্পায়ার্ড মোটরসাইকেল, যা রোমাঞ্চপ্রেমী রাইডার, বহুমুখী ব্যবহারকারী এবং দীর্ঘ দূরপথে যাতায়াতকারীদের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের সর্ববৃহৎ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৯ সালের এই দিনে ৮৩ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সমাজসেবায় তাঁর অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছর (২০২৫) তিনি মরণোত্তর ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’-এ ভূষিত হয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
সারা দেশের সাত হাজার ডিস্ট্রিবিউটর ফিল্ড ফোর্সের মধ্য থেকে সেরা পারফরম্যান্সের জন্য ৭০ জনকে বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে ডাক বিভাগের ডিজিটাল আর্থিক লেনদেন সেবা নগদ। রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘নগদ ফিল্ড চ্যাম্পিয়ন ২০২৫’ নামের এই সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
২ দিন আগে