মন্টি বৈষ্ণব, ঢাকা
নারী উদ্যোক্তা এ্যানি বিশ্বাস থাকেন চট্টগ্রামে। চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে ইতিহাস বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। কিন্তু স্নাতকোত্তর শেষ করার পর প্রতিযোগিতাপূর্ণ চাকরির বাজারে চাকরির পেছনে হন্যে হয়ে ছুটতে ছুটতে একপর্যায়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। স্বপ্ন ছিল সরকারি চাকরি করার, পরিবারের পাশে দাঁড়াবার। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। একপর্যায়ে প্রচণ্ড হতাশায় এ্যানি নিজের পায়ে দাঁড়ানোর প্রবল ইচ্ছেটা হারিয়ে ফেলেন।
তবে এ্যানিকে তাঁর হতাশায় জীবনকে খুব বেশি দিন বহন করতে হয়নি। মন খারাপের একপর্যায়ে অনলাইনে নারী উদ্যোক্তাদের সাহসিকতা দেখে নিজেও সাহসী হয়ে শুরু করেন অনলাইনভিত্তিক শপিং প্ল্যাটফর্ম ‘আবার অরণ্যে’-এর যাত্রা।
চরম হতাশার জীবন থেকে বের হয়ে নতুন উদ্যমে কাজ শুরুর গল্পটা জানতে চাইলে এ্যানি বলেন, ‘নিজের একটা পরিচয় তৈরির ইচ্ছা থেকেই উদ্যোক্তার হওয়া। স্নাতকোত্তর শেষের পর চাকরি না পেয়ে খুব নিরাশ হয়ে পড়েছিলাম। একদিকে সংসার, অন্যদিকে নিজের খরচ। সবকিছু মিলিয়ে অস্থির সময় কাটাতাম। সে সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো দেখতাম। এসব প্ল্যাটফর্মে একেক নারীর একেক কাজে পারদর্শিতা দেখে ভালো লাগত। নারী উদ্যোক্তাদের সৃষ্টিশীল কাজকর্ম দেখতে দেখতে কোথাও যেন সাহস পাই যে, আমিও পারব। সেই ভালো লাগার জায়গা থেকে এক সময় নিজেকে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরির আত্মবিশ্বাস খুঁজে পাই। ধীরে ধীরে নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রস্তুত করতে থাকি এবং উদ্যোক্তা জীবনে প্রবেশ করি।’
এই উদ্যোগের শুরুর সময়ের পরিস্থিতি, আর বর্তমানে কাজের পরিধির বিষয়ে জানতে চাইলে এ্যনি বলেন, ‘শুরুতে কোন ধরনের পণ্য নিয়ে কাজ করব, তা নিয়ে পরিবারের সবার সঙ্গে কথা বলি। কিন্তু হাতে তেমন টাকা ছিল না। ২০২০ সালের জুন মাসে নিজের জমানো ১০ হাজার টাকা দিয়ে কাজে নামি। এখন পর্যন্ত “আবার অরণ্যে”-এর পণ্য ৫ লাখ টাকার বেশি বিক্রি হয়েছে। প্রতি মাসে উপার্জন নির্দিষ্ট না। কখনো কম, কখনো বেশি। এই পর্যন্ত মাসে সর্বোচ্চ আয় হয়েছে ৫০ হাজার টাকা।’
কেন এই উদ্যোগের নাম ‘আবার অরণ্যে’? এ কি গৌতম ঘোষের সিনেমার নাম থেকে এসেছে, নাকি অন্য কোনো কারণ আছে এর পেছনে। শোনা যাক এ্যানির কাছ থেকেই—‘অরণ্য আমার খুব পছন্দ। অরণ্যের ভালো থাকার ওপর নির্ভর করে পৃথিবীর সুস্থ থাকা, আমাদের ভালো থাকা। যেসব পণ্য নিয়ে কাজ করব বলে ভেবেছিলাম, সেগুলোর সঙ্গে অরণ্য ও প্রকৃতির মিল খুঁজে পেয়েছিলাম। তাই এ নাম নির্বাচন করেছি। ভেজালমুক্ত ভালো মানের পণ্য সরবরাহই আমার লক্ষ্য। সর্বোপরি দেশীয়, খাঁটি ও ভেজালমুক্ত পণ্য ভোক্তার দোরগোড়ায় পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে স্বাবলম্বী করার জন্যই আমার এই উদ্যোগ।’
আবার অরণ্যের পণ্যতালিকায় আছে কী, যাকে এর উদ্যোক্তা বলছেন প্রকৃতিবান্ধব? এ তালিকায় আছে খাঁটি সরের ঘি, সুন্দরবনের মধু, কালোজিরা ফুলের মধু, ঘানি ভাঙা সরিষার তেল, দেশীয় পাহাড়ি কাজুবাদাম ইত্যাদি। এসব পণ্য নিজ তৈরি না করলেও সরাসরি উৎপাদকের কাছ থেকে পণ্যের মান যাচাই করে সংগ্রহ করেন। এসব পণ্যের আদান-প্রদানে ক্রেতারা যেন ভালো মানের পণ্য পান, সে বিষয়ে সব সময় সতর্ক থাকেন এ্যানি। আবার অরণ্যের পণ্যগুলো ডেলিভারি দেওয়ার জন্য ২-৩ জন কাজ করেন।
এ্যানি তাঁর ব্যবসার ক্ষেত্রে কেমন পরিবেশ পেয়েছেন জানতে চাইলে বলেন, ‘পরিবারের বেশির ভাগ সদস্যের কাছ থেকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা পেয়েছি। বন্ধুমহল ও আত্মীয় পরিজনেরাও পাশে ছিলেন। যেমন, কখনো ডেলিভারি দেওয়ার লোক খুঁজে না পেলে বাবা নিজে গিয়ে পণ্য ক্রেতার কাছে পৌঁছে দিয়ে আসেন।’ তিনি বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে কুরিয়ার সার্ভিসগুলোর কথা বলতে হয়। তারা পণ্য ক্রেতার কাছে সঠিক সময়ে এবং ঠিকঠাক পৌঁছাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান অপেশাদার আচরণ করে। এতে উদ্যোক্তাদের ক্ষতির মুখে পড়তে হয়।’
বিদ্যমান সমাজ বাস্তবতায় উদ্যোক্তা হিসেবে লড়াইয়ের কথা শুনতে চাইলে এ্যানি বলেন, ‘নারী হিসেবে প্রতিবন্ধকতা তো রয়েছেই, অনলাইনে পণ্য বিক্রির কাজকে অনেকে কাজ হিসেবে ভাবতে পারেন না। অথচ বিদেশে এ চর্চা অনেক আগেই শুরু হয়েছে। এ বিবেচনায় আমরা এখনো অনেক পেছনে পড়ে আছি। অনেক ক্ষেত্রেই এ ধরনের কাজকে নিরুৎসাহিত করা হয়। এ ক্ষেত্রে অনেকে বাধাও দিয়েছে। এগিয়ে যাওয়ার অবশ্য যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।’
‘আবার অরণ্যে’ নিয়ে অনেক দূর যেতে চান এ্যানি বিশ্বাস। দুটি স্বপ্নের কথা উল্লেখ করলেন আলাপে। প্রথমটি, নিজের একটি ঠিকানা তৈরি করা। আর দ্বিতীয়টি, ‘আবার অরণ্যে’ নামে একটি শো-রুম খোলা।
নারী উদ্যোক্তা এ্যানি বিশ্বাস থাকেন চট্টগ্রামে। চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে ইতিহাস বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। কিন্তু স্নাতকোত্তর শেষ করার পর প্রতিযোগিতাপূর্ণ চাকরির বাজারে চাকরির পেছনে হন্যে হয়ে ছুটতে ছুটতে একপর্যায়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। স্বপ্ন ছিল সরকারি চাকরি করার, পরিবারের পাশে দাঁড়াবার। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। একপর্যায়ে প্রচণ্ড হতাশায় এ্যানি নিজের পায়ে দাঁড়ানোর প্রবল ইচ্ছেটা হারিয়ে ফেলেন।
তবে এ্যানিকে তাঁর হতাশায় জীবনকে খুব বেশি দিন বহন করতে হয়নি। মন খারাপের একপর্যায়ে অনলাইনে নারী উদ্যোক্তাদের সাহসিকতা দেখে নিজেও সাহসী হয়ে শুরু করেন অনলাইনভিত্তিক শপিং প্ল্যাটফর্ম ‘আবার অরণ্যে’-এর যাত্রা।
চরম হতাশার জীবন থেকে বের হয়ে নতুন উদ্যমে কাজ শুরুর গল্পটা জানতে চাইলে এ্যানি বলেন, ‘নিজের একটা পরিচয় তৈরির ইচ্ছা থেকেই উদ্যোক্তার হওয়া। স্নাতকোত্তর শেষের পর চাকরি না পেয়ে খুব নিরাশ হয়ে পড়েছিলাম। একদিকে সংসার, অন্যদিকে নিজের খরচ। সবকিছু মিলিয়ে অস্থির সময় কাটাতাম। সে সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো দেখতাম। এসব প্ল্যাটফর্মে একেক নারীর একেক কাজে পারদর্শিতা দেখে ভালো লাগত। নারী উদ্যোক্তাদের সৃষ্টিশীল কাজকর্ম দেখতে দেখতে কোথাও যেন সাহস পাই যে, আমিও পারব। সেই ভালো লাগার জায়গা থেকে এক সময় নিজেকে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরির আত্মবিশ্বাস খুঁজে পাই। ধীরে ধীরে নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রস্তুত করতে থাকি এবং উদ্যোক্তা জীবনে প্রবেশ করি।’
এই উদ্যোগের শুরুর সময়ের পরিস্থিতি, আর বর্তমানে কাজের পরিধির বিষয়ে জানতে চাইলে এ্যনি বলেন, ‘শুরুতে কোন ধরনের পণ্য নিয়ে কাজ করব, তা নিয়ে পরিবারের সবার সঙ্গে কথা বলি। কিন্তু হাতে তেমন টাকা ছিল না। ২০২০ সালের জুন মাসে নিজের জমানো ১০ হাজার টাকা দিয়ে কাজে নামি। এখন পর্যন্ত “আবার অরণ্যে”-এর পণ্য ৫ লাখ টাকার বেশি বিক্রি হয়েছে। প্রতি মাসে উপার্জন নির্দিষ্ট না। কখনো কম, কখনো বেশি। এই পর্যন্ত মাসে সর্বোচ্চ আয় হয়েছে ৫০ হাজার টাকা।’
কেন এই উদ্যোগের নাম ‘আবার অরণ্যে’? এ কি গৌতম ঘোষের সিনেমার নাম থেকে এসেছে, নাকি অন্য কোনো কারণ আছে এর পেছনে। শোনা যাক এ্যানির কাছ থেকেই—‘অরণ্য আমার খুব পছন্দ। অরণ্যের ভালো থাকার ওপর নির্ভর করে পৃথিবীর সুস্থ থাকা, আমাদের ভালো থাকা। যেসব পণ্য নিয়ে কাজ করব বলে ভেবেছিলাম, সেগুলোর সঙ্গে অরণ্য ও প্রকৃতির মিল খুঁজে পেয়েছিলাম। তাই এ নাম নির্বাচন করেছি। ভেজালমুক্ত ভালো মানের পণ্য সরবরাহই আমার লক্ষ্য। সর্বোপরি দেশীয়, খাঁটি ও ভেজালমুক্ত পণ্য ভোক্তার দোরগোড়ায় পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে স্বাবলম্বী করার জন্যই আমার এই উদ্যোগ।’
আবার অরণ্যের পণ্যতালিকায় আছে কী, যাকে এর উদ্যোক্তা বলছেন প্রকৃতিবান্ধব? এ তালিকায় আছে খাঁটি সরের ঘি, সুন্দরবনের মধু, কালোজিরা ফুলের মধু, ঘানি ভাঙা সরিষার তেল, দেশীয় পাহাড়ি কাজুবাদাম ইত্যাদি। এসব পণ্য নিজ তৈরি না করলেও সরাসরি উৎপাদকের কাছ থেকে পণ্যের মান যাচাই করে সংগ্রহ করেন। এসব পণ্যের আদান-প্রদানে ক্রেতারা যেন ভালো মানের পণ্য পান, সে বিষয়ে সব সময় সতর্ক থাকেন এ্যানি। আবার অরণ্যের পণ্যগুলো ডেলিভারি দেওয়ার জন্য ২-৩ জন কাজ করেন।
এ্যানি তাঁর ব্যবসার ক্ষেত্রে কেমন পরিবেশ পেয়েছেন জানতে চাইলে বলেন, ‘পরিবারের বেশির ভাগ সদস্যের কাছ থেকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা পেয়েছি। বন্ধুমহল ও আত্মীয় পরিজনেরাও পাশে ছিলেন। যেমন, কখনো ডেলিভারি দেওয়ার লোক খুঁজে না পেলে বাবা নিজে গিয়ে পণ্য ক্রেতার কাছে পৌঁছে দিয়ে আসেন।’ তিনি বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে কুরিয়ার সার্ভিসগুলোর কথা বলতে হয়। তারা পণ্য ক্রেতার কাছে সঠিক সময়ে এবং ঠিকঠাক পৌঁছাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান অপেশাদার আচরণ করে। এতে উদ্যোক্তাদের ক্ষতির মুখে পড়তে হয়।’
বিদ্যমান সমাজ বাস্তবতায় উদ্যোক্তা হিসেবে লড়াইয়ের কথা শুনতে চাইলে এ্যানি বলেন, ‘নারী হিসেবে প্রতিবন্ধকতা তো রয়েছেই, অনলাইনে পণ্য বিক্রির কাজকে অনেকে কাজ হিসেবে ভাবতে পারেন না। অথচ বিদেশে এ চর্চা অনেক আগেই শুরু হয়েছে। এ বিবেচনায় আমরা এখনো অনেক পেছনে পড়ে আছি। অনেক ক্ষেত্রেই এ ধরনের কাজকে নিরুৎসাহিত করা হয়। এ ক্ষেত্রে অনেকে বাধাও দিয়েছে। এগিয়ে যাওয়ার অবশ্য যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।’
‘আবার অরণ্যে’ নিয়ে অনেক দূর যেতে চান এ্যানি বিশ্বাস। দুটি স্বপ্নের কথা উল্লেখ করলেন আলাপে। প্রথমটি, নিজের একটি ঠিকানা তৈরি করা। আর দ্বিতীয়টি, ‘আবার অরণ্যে’ নামে একটি শো-রুম খোলা।
বেশ কিছু দিন ধরেই কেনিয়াতে ছাত্র–জনতা আদানির সঙ্গে সরকারের ‘গোপন’ চুক্তির প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। পরে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে। অবশেষে আদানি শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে ২৫০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থমূল্যের দুটি চুক্তি বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে আফ্রিকার দেশ কেনিয়া।
৪ ঘণ্টা আগেঘুষের নোটে সাগর আদানি ঘুষের পরিমাণ, কাকে ঘুষ দেওয়া হয়েছে এবং কত মেগাওয়াট বিদ্যুতের বিনিময়ে এটি হয়েছে—তার বিবরণ উল্লেখ করেছেন। তিনি মেগাওয়াট প্রতি ঘুষের হারও উল্লেখ করেছেন। ২০২০ সালে একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে সাগর আদানি বলেন, ‘হ্যাঁ...কিন্তু বিষয়টা দৃশ্যমান হওয়ার ঠেকানো বেশ কঠিন।’
৫ ঘণ্টা আগেগৌতম আদানি, ভারতীয় কনগ্লোমারেট আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তিদের একজন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বহু-বিলিয়ন ডলারের জালিয়াতি এবং ঘুষ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ভারত সরকারের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার মাধ্যমে দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের চুক্তি বাগিয়েছে
৬ ঘণ্টা আগেব্যাংকিং খাতে যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পদোন্নতি দীর্ঘদিনের প্রথা। তবে এবার নতুন নীতিমালায় আরোপিত কঠোর শর্ত—ব্যাংকিং ডিপ্লোমা, মাস্টার্স ডিগ্রি ও গবেষণাপত্র প্রকাশের বাধ্যবাধকতা—সরকারি ব্যাংকের ২৫৮ কর্মকর্তার জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) পদে পদোন্নতি নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে।
৬ ঘণ্টা আগে