Ajker Patrika

৭০০০-এ শুরু পসরায় এখন মাসে বিক্রি লাখ টাকা

মন্টি বৈষ্ণব, ঢাকা
আপডেট : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৬: ৪১
৭০০০-এ শুরু পসরায় এখন মাসে বিক্রি লাখ টাকা

নুসরাত জাহানের শৈশবের বেড়ে ওঠা ঠাকুরগাঁওয়ের ছোট শহরে। পরিবারের ভাইবোনের মধ্যে ছিলেন সবার ছোট ও ভীষণ আদরের। ছোটবেলা থেকেই চঞ্চল। নিজের মতো করে থাকতে পছন্দ করতেন। নিজে নিজেই তৈরি করতেন নানা রকমের জিনিস। সেসবের মধ্যে ছিল বিভিন্ন রকমের হাতের কাজ করা সেলাই, ওয়ালমেট ও উলের তৈরি জিনিস। পাশাপাশি ছবি আঁকতেও পছন্দ করতেন তিনি। এই পছন্দের ক্ষেত্র নিয়েই মাত্র ৭০০০ টাকা পুঁজি নিয়ে শুরু করেন অনলাইনভিত্তিক শপিং প্ল্যাটফর্ম ‘পসরা’, যা থেকে এখন মাসে লাখ টাকার পণ্য বিক্রি করছেন নুসরাত। 

ছোটবেলা থেকে সৃজনশীল নানা দিকে আগ্রহ থাকলেও সেই চিন্তাকে কাজে লাগিয়ে কিছু একটা করবেন—এমনটা কখনো ভাবেননি নুসরাত। আট বছরের টানা চাকরিতে নিজেকে যখন এলোমেলো মনে হলো, তখন ২০২০ সালে শুরু করেন অনলাইনভিত্তিক শপিং প্ল্যাটফর্ম ‘পসরা’-এর যাত্রা। পুঁজি ছিল মাত্র ৭ হাজার টাকা। 

 ‘পসরা’-এর কর্ণধার নুসরাত জাহান চাকরি ছেড়ে উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ শুরু করেন একটা অস্থির সময়ে, যখন দেশে চলছে করোনা মহামারি। ব্যক্তিগত জীবনেও তিনি তখন বেশ এলোমেলো। সে সময় সম্পর্কে নুসরাত বলেন, ‘বলতে গেলে চাকরি জীবনে আমি কখনোই আত্মতুষ্টি পাইনি। সংসার, তিন মাসের সন্তান, চাকরি—সবকিছু মিলে আমার সংসার জীবনের অবস্থা এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল। জীবনের এই কঠিন সময়েই শুরু করলাম উদ্যোক্তাজীবন। উদ্যোক্তা হিসেবে দেড় বছরের জীবনে আমি পেয়েছি অনেক কিছু। নিজের মতো করে টুকটুক করে সংসারের পাশাপাশি পসরাকে এগিয়ে নিয়েছি। এ সময় খুব বেশি সমস্যায় পড়তে হয়নি।’ 

অল্প পুঁজি হাতে নিয়েই লড়াইয়ে নেমেছিলেন নুসরাত। বললেন, ‘আমি পসরা-এর কাজ শুরু করেছিলাম ৭০০০ টাকা দিয়ে। এ টাকা দিয়েছিলেন বড় আপু। টাকাটা দেওয়ার সময় তিনি বলেছিলেন, “টাকাটা এমনভাবে কাজে লাগাবি যেন এটা তোর সম্পদে রূপান্তরিত হয়। ” আপু আসলে আমার বিপদের কথা ভেবেই এ কথা বলেছিলেন। আমি এই ৭ হাজার টাকা দিয়ে মিরপুরের শাড়ির দোকান থেকে শাড়ি কিনে আমার স্কুলের সহকর্মী ও পরিচিতজনের কাছে বিক্রি করি। বলে রাখা ভালো—আমি গামছা-শাড়ি দিয়ে পসরা-এর কাজ শুরু করেছিলাম।’ 

নিজের নকশা করা শাড়ি পরিহিত নুসরাত জাহানএখন অবশ্য নুসরাতের পসরা থেকে অনেক ধরনের পণ্য বিক্রি হয়। নানা রকম পণ্যের সমাহার করবেন বলেই নাকি তিনি এ নাম বেছে নিয়েছিলেন। উদ্যোগের নাম বাছাইয়ের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার পেজের নাম পসরা, যার অর্থ বিভিন্ন রকমের মনোহারী জিনিস। এক-দুটি পণ্যের মধ্যে যেন পসরা আটকে না যায়, সে জন্যই এ নাম বেছে নেওয়া। কেবল পোশাক বা কেবল সাজসজ্জার পণ্য নয়। আমার মন যখন যা চাইবে, তা-ই যেন সব সময় তৈরি করতে পারি।’ 

নুসরাত এখন সেভাবেই কাজ করছেন। প্রায় সব ধরনের শাড়ি নিয়ে কাজ করেন তিনি। তিনি শাড়িতে নিজেই ডিজাইন করেন। জামদানি, মণিপুরী, কাতান, তাঁতের শাড়ি, বিভিন্ন ডিজাইনের গয়না নিজের হাতে তৈরি করেন। আবার শাড়ি, গয়নার পাশাপাশি সালোয়ার-কামিজ, কুর্তি ও ব্লাউজ নিয়েও কাজ করেন তিনি। 

পড়াশোনা শেষে আর দশজনের মতো চাকরিতে ঢুকেছিলেন। চাকরি বলতে শিক্ষকতা। এ পেশার জন্যও যথেষ্ট প্রস্তুতি ছিল তাঁর। নুসরাতের পড়ালেখার শুরু ঠাকুরগাঁওয়ে। ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ঠাকুরগাঁও সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন তিনি। পরিবার থেকে সাহিত্য নিয়ে পড়ার উৎসাহ পান। ভর্তি হন রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজে। সেখান থেকেই বাংলা সাহিত্যে অনার্স-মাস্টার্স সমাপ্ত করেন। এ ছাড়া চাকরির জন্য কলেজ নিবন্ধন পরীক্ষা পাস করেন। পরে খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বিএড পাস করেন। 

নুসরাত এসেছেনও চাকরিজীবী পরিবার থেকে। শুধু তাই নয়, ব্যবসার প্রতি এক ধরনের বিরাগ ছিল তাঁর পরিবারে। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমার পরিবার বরাবরই চাকরিজীবী। ব্যবসা করার বিষয়টাকে পরিবার কখনোই পছন্দ করত না। তাই আমি নিজে সৃজনশীল চিন্তাভাবনার মানুষ হলেও নতুন কিছু করব—এটা কখনোই ভাবিনি। যদিও ছাত্রজীবন থেকেই শাড়ি ও পোশাকে হাতের কাজ করেছি। একপর্যায়ে আমার আট বছরের চাকরিজীবনে আমি যখন দিশেহারা হয়ে পড়লাম। সময়টাকে তখন খুব অস্থির মনে হলো। এই কঠিন সময়ে আমার স্বামী আমাকে অনলাইন ব্যবসা শুরু করতে বলে। তাই শান্তি ও স্থিরতা খুঁজে পেতে স্বামীর কথায় রাজি হয়ে সাহস করে নিজেকে গুছিয়ে জবকে টাটা-বাই দিলাম। শুরু হলো আমার পেজ পসরা-এর যাত্রা। অনেকের কাছ থেকে শুনেছি, (এ ধরনের উদ্যোগ থেকে) পরিচিতরা নাকি কিছু কিনতে চায় না। আমার ক্ষেত্রে অবশ্য বিষয়টি উল্টো ঘটেছে। পসরা থেকে আমার আশপাশের পরিচিতজনেরা প্রতি মুহূর্তে পণ্য কিনছেন।’ 

আর কিনছেন বলেই খুব অল্প সময়ে পসরা একটা জায়গা করে নিতে পেরেছে। সেভাবে স্থায়ী কর্মী নিয়োগ না দিলেও নুসরাতের কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন বেশ কয়েকজন মানুষ, যাদের উপার্জনও এখন পসরা-এর ভালোমন্দে সঙ্গে জড়িয়ে। প্রতিষ্ঠানের লাভ-ক্ষতির বিষয়ে জানতে চাইলে নুসরাত বলেন, পসরা থেকে প্রতি মাসে ৮৫ হাজার থেকে এক-দেড় লাখ টাকার পণ্য বিক্রি হয়। তবে বিভিন্ন উৎসবে আয় আরও বেশি হয়। এখানে ব্লকের কাজের জন্য দুজন, টেইলারিংয়ের জন্য একজন, হাতের কাজের জন্য একজন, আর কেনাকাটার জন্য একজন রয়েছেন। এদের সঙ্গে পসরা চুক্তিবদ্ধ না হলেও তাঁদের কাজের বিপরীতে পারিশ্রমিক দেওয়া হয়। 

পসরার শাড়িগুলো নুসরাত নিজেই ডিজাইন করেনএই এতটা পথ আসতে নুসরাতকে অন্য সব নারীর মতোই একটা কঠিন সময় পার করতে হয়েছে। এ যাত্রায় অবশ্য তিনি সঙ্গে পেয়েছেন তাঁর জীবনসঙ্গী ও ভাইবোনদের। ব্যবসা শুরুর বিষয়ে মা-বাবাকে রাজি করানোটা একটু কঠিন ছিল। এর কারণও রয়েছে। বললেন, ‘পরিবারের সবাই চাকরিজীবী এবং শিক্ষকতা পেশার সঙ্গে বেশি জড়িত। বাবা ছিলেন মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল। মা সহকারী থানা শিক্ষা অফিসার। মা সংস্কৃতিমনা বলে ছোটবেলা থেকেই কবিতা, গানসহ বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলাম। আর বাবার কাছে থেকে পেয়েছি প্রচুর বই পড়ার অভ্যাস। ফলে ব্যবসা নিয়ে পরিবার থেকে সেভাবে উৎসাহ পাওয়াটা কঠিন ছিল।’ 

তবে ছোটবেলা থেকে সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বেড়ে ওঠা এবং বাবার গড়ে দেওয়া বই পড়ার অভ্যাস তাঁকে সুফল দিয়েছে। এমন অভ্যাসের কারণেই ভেতর থেকে দৃঢ়চেতা হয়ে বেড়ে উঠেছেন নুসরাত। আর উদ্যোগ গ্রহণ ও তা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর জীবনসঙ্গী বেশ সহায়ক ভূমিকা রেখেছেন। নিজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে নুসরাত বলেন, ‘এ দেশের সমাজ বাস্তবতায় নারীরা আসলে অনেক পিছিয়ে। প্রায় সময় শুনতে হয়, “তুমিতো এটা করতে পার না। তোমাকে দিয়ে একাজ সম্ভব না। ” আমি আমার মাকে দেখেছি, এ বিষয়ে হার স্বীকার করেননি। তাই আমিও কখনো হারতে শিখিনি। জীবনের প্রতিটি বাস্তবতায় নিজেকে নতুনভাবে তৈরি করেছি। আমার জীবনসঙ্গী কখনোই আমাকে ছোট করে দেখেননি। বরং উৎসাহ দিয়েছেন, বিপদে-আপদে পাশে থেকেছেন। ভাইবোনদের মধ্যে আমি সবার ছোট ও ভীষণ আদরের। যখন ওরা দেখে—আমি পরিশ্রম করছি, লড়াই করছি, তখন ওরা কষ্ট পায়। আর এ লড়াইয়ে জিতে গেলে, আমাকে সফল হতে দেখলে তারা ভীষণ আনন্দিত হয়।’ 

নারী হিসেবে অনলাইন ব্যবসা করতে গিয়ে নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হয় নুসরাতকে। প্রথম প্রথম বেশ মুষড়ে পড়তেন। এখন দৃঢ়তার সঙ্গে বিষয়গুলো মোকাবিলা করেন। নুসরাতে ভাষ্য—‘আমাদের দেশের সমাজ ব্যবস্থায় সত্যি কথা বলতে গেলে সবদিক দিয়েই বাধাগ্রস্ত হয় নারীরা। তাই বলে তো হতাশ হয়ে থেমে থাকা যাবে না। সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয়, পেজের মেসেঞ্জার বা হোয়াটস অ্যাপে। প্রথমদিকে মন ভেঙে যেত। ভাবতাম এসব কারা করে? মাঝরাতে কারা ফোন দেয়? শাড়ি দেখতে চেয়ে লাইভে অন্য প্রান্ত থেকে বীভৎস কিছু দেখায়; অশ্লীল ছবি পাঠায়। এ ছাড়া শো-রুমে যেহেতু একা থাকি, তার সামনে বহু মানুষ এসে উল্টো-পাল্টা কথা বলে।’ 

এত সবকিছুর পরও নুসরাত হতাশ নন। নিজের চেষ্টায়, দৃঢ়তার সঙ্গে সামনে এগিয়ে যেতে চান। স্বপ্ন ‘পসরা’-কে অনেক দূর নিয়ে যাবেন। যারা সমালোচনা করে, যারা বাধা হয়ে দাঁড়ায়, নিজের সাফল্য দিয়েই তাদের জবাব দিতে চান নুসরাত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে আটক ৭

বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে: জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

ওসমান হাদির জানাজা: ১০০০ বডি ওর্ন ক্যামেরা পরবেন পুলিশ সদস্যরা

বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩

মাগুরায় বিটিভির মহাপরিচালক ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জোহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড উন্মোচন করল ‘অল-নিউ হোন্ডা NX 200’

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড উন্মোচন করেছে ‘অল-নিউ হোন্ডা NX 200’ । ছবি: বিজ্ঞপ্তি
বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড উন্মোচন করেছে ‘অল-নিউ হোন্ডা NX 200’ । ছবি: বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড (BHL) আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করল অল-নিউ হোন্ডা NX 200—একটি আধুনিক অ্যাডভেঞ্চার-ইনস্পায়ার্ড মোটরসাইকেল, যা রোমাঞ্চপ্রেমী রাইডার, বহুমুখী ব্যবহারকারী এবং দীর্ঘ দূরপথে যাতায়াতকারীদের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে।

হোন্ডার বিশ্বখ্যাত গ্লোবাল অ্যাডভেঞ্চার লাইনআপের শক্তিশালী ডিজাইন, পরিশীলিত ইঞ্জিন পারফরম্যান্স এবং রাইডারকেন্দ্রিক প্রযুক্তি থেকে অনুপ্রাণিত NX 200 বাংলাদেশের অ্যাডভেঞ্চার ও ট্যুরিং বাইকারদের জন্য নতুন এক মানদণ্ড স্থাপন করবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মি. মিনোরু কাতো, চিফ অফিসার, মোটরসাইকেল ও পাওয়ার প্রোডাক্টস অপারেশনস, হোন্ডা মোটর করপোরেশন লিমিটেড, জাপান—হোন্ডার গ্রাহক ও অংশীদারদের দীর্ঘদিনের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি হোন্ডার বিশ্বব্যাপী ৫০ কোটির বেশি মোটরসাইকেল উৎপাদনের মাইলফলক এবং ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশ হোন্ডার ৫ লাখ ৫০ হাজার ইউনিট বিক্রির অর্জন তুলে ধরেন।

একই সঙ্গে মি. মিনোরু কাতো জানান, বাংলাদেশ হোন্ডা বর্তমানে হোন্ডার একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্লোবাল প্রোডাকশন রিসোর্স হিসেবে স্বীকৃত, যার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মি. সুসুমু মরিসাওয়া বলেন, ‘হোন্ডার লক্ষ্য হলো সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য ও আধুনিক মোটরযানের মাধ্যমে মানুষের জন্য নিরাপদ এবং সহজ যাতায়াতের আনন্দ নিশ্চিত করা।’

গ্রাহকদের পরিবর্তনশীল চাহিদা পূরণে BHL উন্নত ফিচার ও রাইডিং সক্ষমতাসম্পন্ন নতুন মডেল বাজারে আনার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছেন মি. সুসুমু মরিসাওয়া। এ সময় তিনি জানান, গ্লোবাল হোন্ডার সহযোগিতায় অল-নিউ NX 200 মেক্সিকোতে রপ্তানির পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ হোন্ডার চিফ মার্কেটিং অফিসার মি. শাহ মুহাম্মদ আশেকুর রহমান বলেন, ‘NX 200 অ্যাডভেঞ্চার-ট্যুরিং সেগমেন্টে একটি নতুন মানদণ্ড স্থাপন করবে, যা বিভিন্ন ধরনের রাস্তা ও আবহাওয়ায় উন্নত নিয়ন্ত্রণ, আরাম এবং শক্তিশালী পারফরম্যান্স নিশ্চিত করবে।’

অল-নিউ হোন্ডা NX 200 চালিত হচ্ছে ১৮৪.৪ সিসি PGM-FI ইঞ্জিনে (১৬.৫ PS@ ৮৫০০ RPM, ১৫. ১ Nm@ ৬০০০ RPM)। এতে রয়েছে ডুয়াল-চ্যানেল ABS, হোন্ডা সিলেক্টেবল টর্ক কন্ট্রোল (HSTC), অ্যাসিস্ট ও স্লিপার ক্লাচ এবং USB Type-Cসহ ৪.২ ইঞ্চি পূর্ণ ডিজিটাল TFT ডিসপ্লে। এ ছাড়া অল-LED লাইটিং, উচ্চ গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স এবং আরামদায়ক সিটিং প্রিমিয়াম ও আত্মবিশ্বাসী রাইডিং অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে। একই অনুষ্ঠানে BHL, KYT-এর সহযোগিতায় নতুন হোন্ডা হেলমেটও উন্মোচন করে।

অল-নিউ হোন্ডা NX 200 আগামী ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে সারা দেশের সব হোন্ডা অনুমোদিত ডিলার শোরুমে পাওয়া যাবে। মোটরসাইকেলটি পাওয়া যাবে দুটি আকর্ষণীয় রঙে—রেডিয়েন্ট রেড মেটালিক এবং পার্ল ইগনিয়াস ব্ল্যাক। মডেলটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে আটক ৭

বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে: জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

ওসমান হাদির জানাজা: ১০০০ বডি ওর্ন ক্যামেরা পরবেন পুলিশ সদস্যরা

বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩

মাগুরায় বিটিভির মহাপরিচালক ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জোহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ফজলে হাসান আবেদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

বিশ্বের সর্ববৃহৎ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৯ সালের এই দিনে ৮৩ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সমাজসেবায় তাঁর অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছর (২০২৫) তিনি মরণোত্তর ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’-এ ভূষিত হয়েছেন।

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ শেষে যখন বাংলাদেশের অর্থনীতি পুরোপুরি বিপর্যস্ত, তখন ১৯৭২ সালের শুরুতে ৩৬ বছর বয়সে স্যার ফজলে হাসান আবেদ দেশে ফিরে আসেন। ভারত থেকে আসা শরণার্থীদের পুনর্বাসনের লক্ষে সুনামগঞ্জের দুর্গম এলাকা শাল্লা থেকে তিনি ব্র্যাকের যাত্রা শুরু করেন। সেই ক্ষুদ্র উদ্যোগ আজ মহীরুহে পরিণত হয়েছে, যা বিশ্বের এশিয়া ও আফ্রিকার ১৪টি দেশের প্রায় সাড়ে ১৪ কোটি মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে।

১৯৩৬ সালে জন্মগ্রহণ করা ফজলে হাসান আবেদ ১৯৬২ সালে লন্ডন থেকে কস্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্ট ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৭০ সালের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ তার জীবনের গতিপথ বদলে দেয়। শেল অয়েল কোম্পানির সিনিয়র এক্সিকিউটিভের চাকরি ছেড়ে তিনি লন্ডনে চলে যান এবং সেখানে মুক্তিযুদ্ধে সহায়তার জন্য ‘অ্যাকশন বাংলাদেশ’ ও ‘হেলপ বাংলাদেশ’ নামে দুটি সংগঠন গড়ে তোলেন।

স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ক্ষুদ্রঋণ, দক্ষতা উন্নয়ন এবং মানবাধিকারের মতো বহুমুখী কার্যক্রমের মাধ্যমে তিনি দরিদ্র মানুষের ক্ষমতায়ন ঘটিয়েছেন। কাজের উদ্ভাবনী এবং টেকসই বৈশিষ্ট্যের কারণে জেনেভাভিত্তিক ‘এনজিও অ্যাডভাইজার’ ২০২০ সালে টানা পাঁচবারের মতো ব্র্যাককে বিশ্বের শীর্ষ এনজিও হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে আটক ৭

বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে: জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

ওসমান হাদির জানাজা: ১০০০ বডি ওর্ন ক্যামেরা পরবেন পুলিশ সদস্যরা

বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩

মাগুরায় বিটিভির মহাপরিচালক ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জোহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সেরা ফিল্ড ফোর্সদের বিশেষ সম্মাননা দিল নগদ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
সেরা ফিল্ড ফোর্সদের বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে নগদ। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
সেরা ফিল্ড ফোর্সদের বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে নগদ। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

সারা দেশের সাত হাজার ডিস্ট্রিবিউটর ফিল্ড ফোর্সের মধ্য থেকে সেরা পারফরম্যান্সের জন্য ৭০ জনকে বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে ডাক বিভাগের ডিজিটাল আর্থিক লেনদেন সেবা নগদ।

রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘নগদ ফিল্ড চ্যাম্পিয়ন ২০২৫’ নামের এই সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠান চলাকালে ডিস্ট্রিবিউটর ফিল্ড ফোর্সদের পারফরম্যান্সের জন্য বিশেষ বোনাসের ঘোষণা দেন বাংলাদেশ ব্যাংকনিযুক্ত নগদের প্রশাসক মো. মোতাছিম বিল্লাহ। ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে ৭০ জনের নগদ অ্যাকাউন্টে চলে যায় এই অর্থ।

দেশের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে ঢাকায় আসা-যাওয়া, খাওয়া, হোটেলে অবস্থানসহ অন্য সব খরচ নগদের পক্ষ থেকে বহন করা হয়।

সেরা পারফর্মারদের অভিনন্দন জানিয়ে নগদের প্রশাসক মো. মোতাছিম বিল্লাহ বলেন, অনেক চ্যালেঞ্জের মাঝেও বাজারে নগদ একটা ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছে। বাংলাদেশে ক্যাশলেস লেনদেনের আরও প্রসার ঘটাতে নগদ ভূমিকা রাখবে বলে সরকারের নীতিনির্ধারকদের প্রত্যাশা রয়েছে। সুতরাং, যত অপপ্রচারই নগদকে নিয়ে হোক না কেন, সেসবে কান না দিয়ে নগদের সাফল্যের জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে।

নগদের সেবার প্রসার ঘটাতে এ সময় মোতাছিম বিল্লাহ ডিস্ট্রিবিউটর ফিল্ড ফোর্সদের কাছ থেকে নগদ বিষয়ে পরামর্শ ও সুপারিশ জানতে চান। তাঁদের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে নগদ প্রশাসক বলেন, অল্প সময়ের ভেতরই সেবার কলেবর আরও বাড়বে নগদে। ফলে লেনদেনের অঙ্ক যেমন অনেক গুণ বাড়বে, একই সঙ্গে গ্রাহকেরাও অনেক বেশি উপকৃত হবেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকনিযুক্ত নগদের জ্যেষ্ঠ সহযোগী প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান, ডাক বিভাগনিযুক্ত নগদের জ্যেষ্ঠ সহযোগী প্রশাসক মো. আবু তালেব, নগদের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার মোহাম্মদ শাহীন সারওয়ার ভূঁইয়া বক্তব্য দেন।

বক্তারা বলেন, আগামী বছরে বিদেশ থেকে আসা রেমিট্যান্স, বাংলা কিউআর, সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লেনদেনের জন্য আন্তসংযোগ গেম চেঞ্জারের ভূমিকা পালন করবে নগদ। ফলে ২০২৬ সাল নগদের সেরা সাফল্যের বছর হবে বলেও মনে করেন তাঁরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে আটক ৭

বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে: জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

ওসমান হাদির জানাজা: ১০০০ বডি ওর্ন ক্যামেরা পরবেন পুলিশ সদস্যরা

বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩

মাগুরায় বিটিভির মহাপরিচালক ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জোহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক চালু করল ডিএসই

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক চালু করেছে ডিএসই। ছবি: সংগৃহীত
ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক চালু করেছে ডিএসই। ছবি: সংগৃহীত

তথ্যসেবা আরও সহজ ও কার্যকর করার লক্ষ্যে ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক স্থাপন করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আসাদুর রহমান এই ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিএসইর প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা ড. আসিফুর রহমান, প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা মো. ছামিউল ইসলাম, প্রধান রেগুলেটরি কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়াসহ ডিএসইর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় মোহাম্মদ আসাদুর রহমান বলেন, ইনফরমেশন হেল্প ডেস্কের মাধ্যমে পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্ট তথ্য প্রদান আরও সহজ হবে এবং বিনিয়োগকারী ও অন্য অংশীজনদের বিভিন্ন জিজ্ঞাসার দ্রুত ও কার্যকর সমাধান নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এর ফলে ডিএসইর সেবার মান আরও গ্রাহকবান্ধব ও স্বচ্ছ হবে।

ডিএসইর এমডি আশা প্রকাশ করেন, এই হেল্প ডেস্ক ডিএসইর বাজার অংশগ্রহণকারীদের আস্থা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

পুঁজিবাজারসংক্রান্ত সব ধরনের তথ্যের জন্য +৮৮-০২-৪১০৪০১৮৯, ০৯৬৬৬৭০২০৭০ নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে আটক ৭

বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে: জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

ওসমান হাদির জানাজা: ১০০০ বডি ওর্ন ক্যামেরা পরবেন পুলিশ সদস্যরা

বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩

মাগুরায় বিটিভির মহাপরিচালক ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জোহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত