মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার
জীবনের অবসাদ দূর করতে, নতুন করে উদ্দীপ্ত হতে সারা দেশের মানুষ ছুটে আসেন পর্যটননগরী কক্সবাজারে। এখানকার পাহাড়-সমুদ্রের নৈসর্গিক সৌন্দর্য মানুষকে কাছে টানে। কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার কারণে ছোট্ট এই শহর কতটুকু নিরাপদ, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
প্রায় প্রতিদিনই মূল শহর, শহরতলিতে এবং আশপাশের উপজেলায় খুন, ছিনতাই, কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাতের ঘটনা ঘটছে। গতকাল বুধবার পর্যন্ত দুই সপ্তাহে তিন রোহিঙ্গাসহ এখানে খুন হয়েছেন অন্তত আটজন। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন খুন হয়েছেন শহরে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে।
গত মঙ্গলবার রাতে আবুল কালাম (৪৫) নামের এক ব্যবসায়ী বাসা থেকে ওষুধ কিনতে বের হয়ে শহরের বিজিবি ক্যাম্প এলাকায় ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন। ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে আবুল কালামের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পরিবার ও পুলিশ।
সোমবার ভোরে ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ এলাকায় তারেকুল ইসলাম (১৭) নামের এক মুদিদোকানদার ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন। একই দিন শহরের অদূরে চৌফলদণ্ডী সেতু এলাকা থেকে মোহাম্মদ সায়েম (২০) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁকে খুন করে সেখানে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের চেরাংঘর বাজারে মোর্শেদ আলী নামের এক যুবককে প্রকাশ্যে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সরকারি একটি সেচ প্রকল্পের পরিচালনা নিয়ে বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল মোস্তফা আলালসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।
এর আগের দিন ৮ এপ্রিল টেকনাফের হোয়াইক্ষ্যং ইউনিয়নের চাকমারকূল রোহিঙ্গা শিবিরে ছৈয়দুর রহমান (৩২) খুন হয়েছেন। তাঁকে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রী সানজিদা বেগম ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে ক্যাম্পে নিয়োজিত এপিবিএন পুলিশ।
১১ এপ্রিল টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্বামী মোহাম্মদ ইয়াসিনের হাতে পারভীন আক্তার (১৮) খুন হন। গতকাল বেলা দেড়টার দিকে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জাহেদ উল্লাহকে (৩০) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। সামান্য বিষয়ে তর্কাতর্কি থেকে প্রতিপক্ষ তাঁকে ছুরিকাঘাতে খুন করে।
৪ এপ্রিল পিএমখালী ইউনিয়নের পশ্চিম জুমছড়ি গ্রামে ফুটবল খেলার প্রাইজবন্ডের টাকা ভাগ-বাঁটোয়ারাকে কেন্দ্র করে মো. জাহাঙ্গীর (২২) নামের এক যুবক ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন। গত ২৮ মার্চ শহরের সিটি কলেজ এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে খুন হন কলেজছাত্র রিদুয়ান ছিদ্দিকী (১৮)।
অপরাধ বেড়ে যাওয়ায় রোববার জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন খোদ কমিটির সদস্যরা। কমিটির সদস্যরা বলছেন, প্রতিমাসে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা হয়। সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত বছরের পর বছর বাস্তবায়ন না হওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে।
স্থানীয় প্রবীণ আইনজীবী তোফোয়েল আহমেদ বলেন, কক্সবাজার শহরে সূর্য ডোবার পর কেউ নিরাপদ নয়। প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে খুনের ঘটনা। এই পরিস্থিতি থেকে প্রতিকারের উপায় খুঁজে বের করা দরকার।
কক্সবাজার প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহের বলেন, ‘জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির রোববারের সভায় বলেছি, পরিস্থিতি ভয়াবহ, কিছু একটা করেন। এর এক দিন পরেই শহরে ছিনতাইকারীর হাতে এক ব্যবসায়ী খুন হলেন।’
আবু তাহের মন্তব্য করে বলেন, ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গারা বেরিয়ে শ্রমবাজার দখল করে নিচ্ছে। এই ভারসাম্যহীনতার কারণেও অপরাধ বাড়ছে।
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতেও কিশোর গ্যাং রোধে অভিযান জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান।
জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, রোববারের সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া কিশোর গ্যাং রোধে এলাকাভিত্তিক তথ্য নেওয়া এবং মাদক পাচার প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
জীবনের অবসাদ দূর করতে, নতুন করে উদ্দীপ্ত হতে সারা দেশের মানুষ ছুটে আসেন পর্যটননগরী কক্সবাজারে। এখানকার পাহাড়-সমুদ্রের নৈসর্গিক সৌন্দর্য মানুষকে কাছে টানে। কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার কারণে ছোট্ট এই শহর কতটুকু নিরাপদ, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
প্রায় প্রতিদিনই মূল শহর, শহরতলিতে এবং আশপাশের উপজেলায় খুন, ছিনতাই, কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাতের ঘটনা ঘটছে। গতকাল বুধবার পর্যন্ত দুই সপ্তাহে তিন রোহিঙ্গাসহ এখানে খুন হয়েছেন অন্তত আটজন। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন খুন হয়েছেন শহরে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে।
গত মঙ্গলবার রাতে আবুল কালাম (৪৫) নামের এক ব্যবসায়ী বাসা থেকে ওষুধ কিনতে বের হয়ে শহরের বিজিবি ক্যাম্প এলাকায় ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন। ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে আবুল কালামের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পরিবার ও পুলিশ।
সোমবার ভোরে ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ এলাকায় তারেকুল ইসলাম (১৭) নামের এক মুদিদোকানদার ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন। একই দিন শহরের অদূরে চৌফলদণ্ডী সেতু এলাকা থেকে মোহাম্মদ সায়েম (২০) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁকে খুন করে সেখানে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের চেরাংঘর বাজারে মোর্শেদ আলী নামের এক যুবককে প্রকাশ্যে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সরকারি একটি সেচ প্রকল্পের পরিচালনা নিয়ে বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল মোস্তফা আলালসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।
এর আগের দিন ৮ এপ্রিল টেকনাফের হোয়াইক্ষ্যং ইউনিয়নের চাকমারকূল রোহিঙ্গা শিবিরে ছৈয়দুর রহমান (৩২) খুন হয়েছেন। তাঁকে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রী সানজিদা বেগম ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে ক্যাম্পে নিয়োজিত এপিবিএন পুলিশ।
১১ এপ্রিল টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্বামী মোহাম্মদ ইয়াসিনের হাতে পারভীন আক্তার (১৮) খুন হন। গতকাল বেলা দেড়টার দিকে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জাহেদ উল্লাহকে (৩০) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। সামান্য বিষয়ে তর্কাতর্কি থেকে প্রতিপক্ষ তাঁকে ছুরিকাঘাতে খুন করে।
৪ এপ্রিল পিএমখালী ইউনিয়নের পশ্চিম জুমছড়ি গ্রামে ফুটবল খেলার প্রাইজবন্ডের টাকা ভাগ-বাঁটোয়ারাকে কেন্দ্র করে মো. জাহাঙ্গীর (২২) নামের এক যুবক ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন। গত ২৮ মার্চ শহরের সিটি কলেজ এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে খুন হন কলেজছাত্র রিদুয়ান ছিদ্দিকী (১৮)।
অপরাধ বেড়ে যাওয়ায় রোববার জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন খোদ কমিটির সদস্যরা। কমিটির সদস্যরা বলছেন, প্রতিমাসে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা হয়। সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত বছরের পর বছর বাস্তবায়ন না হওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে।
স্থানীয় প্রবীণ আইনজীবী তোফোয়েল আহমেদ বলেন, কক্সবাজার শহরে সূর্য ডোবার পর কেউ নিরাপদ নয়। প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে খুনের ঘটনা। এই পরিস্থিতি থেকে প্রতিকারের উপায় খুঁজে বের করা দরকার।
কক্সবাজার প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহের বলেন, ‘জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির রোববারের সভায় বলেছি, পরিস্থিতি ভয়াবহ, কিছু একটা করেন। এর এক দিন পরেই শহরে ছিনতাইকারীর হাতে এক ব্যবসায়ী খুন হলেন।’
আবু তাহের মন্তব্য করে বলেন, ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গারা বেরিয়ে শ্রমবাজার দখল করে নিচ্ছে। এই ভারসাম্যহীনতার কারণেও অপরাধ বাড়ছে।
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতেও কিশোর গ্যাং রোধে অভিযান জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান।
জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, রোববারের সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া কিশোর গ্যাং রোধে এলাকাভিত্তিক তথ্য নেওয়া এবং মাদক পাচার প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
১৫ ঘণ্টা আগেরাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
২১ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
২১ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
২২ দিন আগে