তোফাজ্জল হোসেন রুবেল, ঢাকা
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের অনেক জনপ্রতিনিধি দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছেন। কেউ কেউ নিজ এলাকায় আতঙ্ক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ আর নাগরিকত্ব সনদ দেওয়ার ক্ষেত্রে অর্থ আদায়ের অভিযোগ অনেক পুরোনো। এর বাইরেও তৃণমূলের অনেক জনপ্রতিনিধি জড়িয়ে পড়ছেন ধর্ষণ, খুন, অস্ত্র ও মাদক কারবারের মতো গুরুতর ফৌজদারি অপরাধে। কেউ কেউ রোহিঙ্গা নাগরিকদেরও বেআইনিভাবে নাগরিকত্ব সনদ দিচ্ছেন। অপরাধে জড়িয়ে পড়া কোনো কোনো জনপ্রতিনিধিকে শাস্তির আওতায় আনা হলেও সুফল মিলছে না।
স্থানীয় সরকার বিভাগ বলছে, অপরাধে জড়িয়ে পড়া প্রতিনিধিদের বিষয়ে শক্ত অবস্থানে সরকার। কিন্তু অনেক জনপ্রতিনিধি সাময়িক বরখাস্ত বা বরখাস্ত হওয়ার পর আদালতের মাধ্যমে সরকারি আদেশ স্থগিত করে দায়িত্বে ফিরছেন। এতে কিছুটা বিরূপ বার্তা যাচ্ছে সব মহলে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্থানীয় কোনো কোনো জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ পাচ্ছি। তদন্ত সাপেক্ষে কাউকে কাউকে বরখাস্ত, গ্রেপ্তারসহ নানা ধরনের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। জনপ্রতিনিধিদের অপরাধের ক্ষেত্রে সরকার কঠোর অবস্থানে আছে।’
স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে জানা যায়, তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের নানা অনিয়ম-অন্যায়ের বিষয়ে শত শত অভিযোগ জমা পড়ছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত এক বছরে বিভিন্ন পর্যায়ের দুই শতাধিক জনপ্রতিনিধিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গাইবান্ধার জেলা প্রশাসকের এক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ১২ এপ্রিল স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে পলাশবাড়ী উপজেলার পবনাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমানকে। জেলা প্রশাসকের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ওই ইউপি চেয়ারম্যান ২০২১-২২ অর্থবছরে ১ লাখ ৯৭ হাজার টাকা খাজনা আদায় করে তা সরকারি কোষাগারে জমা দেননি। বয়স্ক ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ইউসুফপুর ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মাসুদ রানা ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য সাগরী বেগমকে গত ৭ মার্চ স্থানীয় সরকার বিভাগ সাময়িক বরখাস্ত করে। কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবিরের বিরুদ্ধে গত ৮ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে একটি অভিযোগ আসে স্থানীয় সরকার বিভাগে। এ জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে প্রতিটি জন্মনিবন্ধনে ৩ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসককে চিঠি দেওয়া হয়। একটি ফৌজদারি মামলায় জেলহাজতে যাওয়ায় গত ৬ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র মো. তাজকিন আহমেদকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। একটি হত্যা মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল হওয়ায় খুলনার কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী ইউপির চেয়ারম্যানকে সম্প্রতি সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সূত্রমতে, গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার আগানগর ইউপির চেয়ারম্যান মো. হুমায়ূন কবিরের বিরুদ্ধে ২৩ লাখ ৭৪ হাজার ৯৬০ টাকা অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ করেন ওই ইউপির ৯ সদস্য।
স্থানীয় সরকার বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা জানান, নানা অনিয়মের অভিযোগে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার হাসাদহ ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সোহেল রানাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছিল স্থানীয় সরকার বিভাগ। আদালতের এক আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ৯ এপ্রিল স্থানীয় সরকার বিভাগ তাঁকে পুনর্বহাল করতে বাধ্য হয়। সরকারি ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে ২০২১ সালের ১৫ এপ্রিল সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের আন্দারমানিক ইউপির চেয়ারম্যান কাজী সহিদুল ইসলামকে। আদালত থেকে স্থগিতাদেশ নিয়ে তিনি আবার স্বপদে ফিরেছেন। দেশে করোনাভাইরাস মহামারি শুরু হওয়ার পর ত্রাণসামগ্রী ও অর্থ বিতরণ না করে হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ৩৫ জন ইউপি চেয়ারম্যান, ৬৬ জন ইউপি সদস্য, ১ জন জেলা পরিষদ সদস্য, ৪ পৌর কাউন্সিলর, ১ জন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ ১০৭ জনকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁদের একটি বড় অংশ আবার স্বপদে ফিরতে শুরু করেছেন। তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন-১৯৭৪-এর ধারা (২৫)১ মামলাও করা হয়েছিল। তারপরও তাঁদের রুখতে পারেনি সরকার।
জানা যায়, কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা (উত্তর) ইউপির সদস্য সেলিম মোল্লার বিরুদ্ধে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আটটি ফৌজদারি মামলা ছিল। ছয়টি মামলাই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে। সে বছরের ২৩ এপ্রিল সেলিম মোল্লাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছিল স্থানীয় সরকার বিভাগ। মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার চালা ইউপির সদস্য মোশারফ হোসেন অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হওয়ার পর ২০১৮ সালে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।
স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে আরও জানা যায়, কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে এ দেশের নাগরিকত্ব সনদ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে কিছু জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে। এমন অভিযোগে এরই মধ্যে ৮-১০ জন ইউপি চেয়ারম্যানকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. নূরে আলম সিদ্দিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা যখন যেখানে অভিযোগ পাচ্ছি, সেখানেই ব্যবস্থা নিচ্ছি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে আমরা নানা অনিয়ম-অপরাধের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি। যেকোনো অনিয়ম-অপরাধের বিষয়ে সরকার অত্যন্ত শক্ত অবস্থানে রয়েছে।’
সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য শামসুজ্জামান সেলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মূলত রাজনৈতিক মদদ পেয়ে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা তাদের ক্ষমতা দেখিয়ে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছেন। অনেক ক্ষেত্রে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও তাঁদের সুবিধা দিচ্ছে। ফলে তাঁরা আইনের ফাঁক গলিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। সরকারের উচিত, এই জনপ্রতিনিধিদের রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয় বন্ধ করা।’
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের অনেক জনপ্রতিনিধি দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছেন। কেউ কেউ নিজ এলাকায় আতঙ্ক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ আর নাগরিকত্ব সনদ দেওয়ার ক্ষেত্রে অর্থ আদায়ের অভিযোগ অনেক পুরোনো। এর বাইরেও তৃণমূলের অনেক জনপ্রতিনিধি জড়িয়ে পড়ছেন ধর্ষণ, খুন, অস্ত্র ও মাদক কারবারের মতো গুরুতর ফৌজদারি অপরাধে। কেউ কেউ রোহিঙ্গা নাগরিকদেরও বেআইনিভাবে নাগরিকত্ব সনদ দিচ্ছেন। অপরাধে জড়িয়ে পড়া কোনো কোনো জনপ্রতিনিধিকে শাস্তির আওতায় আনা হলেও সুফল মিলছে না।
স্থানীয় সরকার বিভাগ বলছে, অপরাধে জড়িয়ে পড়া প্রতিনিধিদের বিষয়ে শক্ত অবস্থানে সরকার। কিন্তু অনেক জনপ্রতিনিধি সাময়িক বরখাস্ত বা বরখাস্ত হওয়ার পর আদালতের মাধ্যমে সরকারি আদেশ স্থগিত করে দায়িত্বে ফিরছেন। এতে কিছুটা বিরূপ বার্তা যাচ্ছে সব মহলে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্থানীয় কোনো কোনো জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ পাচ্ছি। তদন্ত সাপেক্ষে কাউকে কাউকে বরখাস্ত, গ্রেপ্তারসহ নানা ধরনের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। জনপ্রতিনিধিদের অপরাধের ক্ষেত্রে সরকার কঠোর অবস্থানে আছে।’
স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে জানা যায়, তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের নানা অনিয়ম-অন্যায়ের বিষয়ে শত শত অভিযোগ জমা পড়ছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত এক বছরে বিভিন্ন পর্যায়ের দুই শতাধিক জনপ্রতিনিধিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গাইবান্ধার জেলা প্রশাসকের এক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ১২ এপ্রিল স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে পলাশবাড়ী উপজেলার পবনাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমানকে। জেলা প্রশাসকের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ওই ইউপি চেয়ারম্যান ২০২১-২২ অর্থবছরে ১ লাখ ৯৭ হাজার টাকা খাজনা আদায় করে তা সরকারি কোষাগারে জমা দেননি। বয়স্ক ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ইউসুফপুর ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মাসুদ রানা ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য সাগরী বেগমকে গত ৭ মার্চ স্থানীয় সরকার বিভাগ সাময়িক বরখাস্ত করে। কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবিরের বিরুদ্ধে গত ৮ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে একটি অভিযোগ আসে স্থানীয় সরকার বিভাগে। এ জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে প্রতিটি জন্মনিবন্ধনে ৩ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসককে চিঠি দেওয়া হয়। একটি ফৌজদারি মামলায় জেলহাজতে যাওয়ায় গত ৬ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র মো. তাজকিন আহমেদকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। একটি হত্যা মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল হওয়ায় খুলনার কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী ইউপির চেয়ারম্যানকে সম্প্রতি সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সূত্রমতে, গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার আগানগর ইউপির চেয়ারম্যান মো. হুমায়ূন কবিরের বিরুদ্ধে ২৩ লাখ ৭৪ হাজার ৯৬০ টাকা অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ করেন ওই ইউপির ৯ সদস্য।
স্থানীয় সরকার বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা জানান, নানা অনিয়মের অভিযোগে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার হাসাদহ ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সোহেল রানাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছিল স্থানীয় সরকার বিভাগ। আদালতের এক আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ৯ এপ্রিল স্থানীয় সরকার বিভাগ তাঁকে পুনর্বহাল করতে বাধ্য হয়। সরকারি ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে ২০২১ সালের ১৫ এপ্রিল সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের আন্দারমানিক ইউপির চেয়ারম্যান কাজী সহিদুল ইসলামকে। আদালত থেকে স্থগিতাদেশ নিয়ে তিনি আবার স্বপদে ফিরেছেন। দেশে করোনাভাইরাস মহামারি শুরু হওয়ার পর ত্রাণসামগ্রী ও অর্থ বিতরণ না করে হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ৩৫ জন ইউপি চেয়ারম্যান, ৬৬ জন ইউপি সদস্য, ১ জন জেলা পরিষদ সদস্য, ৪ পৌর কাউন্সিলর, ১ জন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ ১০৭ জনকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁদের একটি বড় অংশ আবার স্বপদে ফিরতে শুরু করেছেন। তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন-১৯৭৪-এর ধারা (২৫)১ মামলাও করা হয়েছিল। তারপরও তাঁদের রুখতে পারেনি সরকার।
জানা যায়, কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা (উত্তর) ইউপির সদস্য সেলিম মোল্লার বিরুদ্ধে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আটটি ফৌজদারি মামলা ছিল। ছয়টি মামলাই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে। সে বছরের ২৩ এপ্রিল সেলিম মোল্লাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছিল স্থানীয় সরকার বিভাগ। মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার চালা ইউপির সদস্য মোশারফ হোসেন অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হওয়ার পর ২০১৮ সালে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।
স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে আরও জানা যায়, কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে এ দেশের নাগরিকত্ব সনদ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে কিছু জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে। এমন অভিযোগে এরই মধ্যে ৮-১০ জন ইউপি চেয়ারম্যানকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. নূরে আলম সিদ্দিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা যখন যেখানে অভিযোগ পাচ্ছি, সেখানেই ব্যবস্থা নিচ্ছি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে আমরা নানা অনিয়ম-অপরাধের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি। যেকোনো অনিয়ম-অপরাধের বিষয়ে সরকার অত্যন্ত শক্ত অবস্থানে রয়েছে।’
সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য শামসুজ্জামান সেলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মূলত রাজনৈতিক মদদ পেয়ে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা তাদের ক্ষমতা দেখিয়ে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছেন। অনেক ক্ষেত্রে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও তাঁদের সুবিধা দিচ্ছে। ফলে তাঁরা আইনের ফাঁক গলিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। সরকারের উচিত, এই জনপ্রতিনিধিদের রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয় বন্ধ করা।’
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
১৫ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
১৫ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১৫ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১৯ দিন আগে