নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নরসিংদীর ব্যবসায়ী রমিজ উদ্দীন (৬৫) গরুর ব্যবসা করতেন। ঘনিষ্ঠ পরিচয়ের সূত্রে তাঁর ব্যবসায়িক সহযোগী হয়েছিলেন স্থানীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন মো. জাকির হোসেন (৩৬)। কিন্তু এক রাতে রমিজকে একটি কলাবাগানে নিয়ে হাতুড়িপেটা করে হত্যা করেন জাকির। এরপর রমিজের সঙ্গে থাকা ৬ লাখ টাকা নিয়ে ফেরেন মসজিদে। ফজরের আজান দেন, নামাজ আদায়ের পর স্থানীয় শিশু-কিশোরদের আরবি পড়ান। এরপর আত্মগোপন করতে চলে যান ৪০ দিনের চিল্লায়। সেই রমিজকে গত মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে গতকাল বুধবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, জাকিরকে লক্ষ্মীপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি আত্মগোপন করতে ৪০ দিনের চিল্লায় সেখানে গিয়েছিলেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি রমিজকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
খন্দকার আল মঈন বলেন, কিশোরগঞ্জের কাটবাড়িয়া ডাউকিয়া মসজিদের দক্ষিণ পাশে গত ৩ অক্টোবর সকাল ছয়টার দিকে একজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। ওই ব্যক্তির পাঞ্জাবির পকেটে থাকা কাগজপত্রের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত করা হয়। তাঁর নাম রমিজ উদ্দীন। এ ঘটনায় তাঁর ছেলে বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেন।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার এই পরিচালক বলেন, পাঁচ বছর যাবৎ নরসিংদীর মনোহরদীর একটি গ্রামের মসজিদে মুয়াজ্জিন হিসেবে কাজ করেছেন জাকির। ওই এলাকায় রমিজ ছিলেন একজন উঠতি ব্যবসায়ী। মূলত অর্থ আত্মসাতের উদ্দেশ্যেই তাঁকে হত্যা করেন জাকির। জিজ্ঞাসাবাদে জাকিরের দেওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, রমিজ উদ্দীনকে কম দামে গরু কেনার ব্যাপারে প্রলুব্ধ করেন জাকির। তাঁর বাড়ি নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী গ্রামে কম দামে গরু পাওয়া যায় বলে জানান তিনি। বিশ্বাস অর্জন করতে রমিজকে ঘটনার ১০-১২ দিন আগে সীমান্তবর্তী গরু কেনাবেচার স্থানে নিয়ে গিয়েছিলেন জাকির। সারা দিন ঘুরে দেখে জাকিরের কথা বিশ্বাস করেছিলেন রমিজ।
জিজ্ঞাসাবাদে জাকির বলেছেন, গরু কিনতে ৩০ সেপ্টেম্বর ব্যাংক থেকে ৬ লাখ টাকা তোলেন রমিজ। তারপর ২ অক্টোবর রাতে প্রথমে মনোহরদী থেকে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী এবং পরে বড়পুল এলাকায় যান। সেখান থেকে রিকশায় করে কাটাবাড়িয়া ডাউকিয়া মসজিদ এলাকায় যান। এ সময় জাকির গাড়িতে করে গরু এখানে আসবে বলে রমিজকে জানান এবং তাঁরা অপেক্ষা করতে থাকেন। রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে রমিজকে ডাউরিয়া মসজিদের দক্ষিণ পাশের কলাবাগানে নিয়ে যান জাকির। সেখানে সঙ্গে থাকা হাতুড়ি দিয়ে রমিজের মুখ ও মাথায় আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন তিনি।
খন্দকার আল মঈন জানান, হত্যার পর জাকির রাতেই মনোহরদী ফেরেন। ফজরের আজানের সময় হওয়ায় মসজিদে গিয়ে আজান দেন ও নামাজ আদায় করেন। এরপর মক্তবে আসা ছাত্রদের আরবি পড়ান। পরদিন সকালে রমিজের মৃত্যুর বিষয়টি জানাজানি হলে জাকির ভয় পেয়ে মসজিদ থেকে ছুটি নিয়ে আত্মগোপনে চলে যান। এ সময় তিনি নরসিংদী, ময়মনসিংহ ও সিলেটের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করেন। পরে ঢাকার একটি মসজিদ থেকে ৪০ দিনের চিল্লায় লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে চলে যান।
জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের বরাত দিয়ে খন্দকার আল মঈন বলেন, জাকির ঘটনার প্রায় দুই মাস আগে রমিজকে হত্যা করে টাকা লুটের পরিকল্পনা করেন। হত্যাকাণ্ডের আগের রাতে হাতুড়িটি কেনেন। জাকিরকে কিশোরগঞ্জ থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান এই র্যাব কর্মকর্তা।
নরসিংদীর ব্যবসায়ী রমিজ উদ্দীন (৬৫) গরুর ব্যবসা করতেন। ঘনিষ্ঠ পরিচয়ের সূত্রে তাঁর ব্যবসায়িক সহযোগী হয়েছিলেন স্থানীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন মো. জাকির হোসেন (৩৬)। কিন্তু এক রাতে রমিজকে একটি কলাবাগানে নিয়ে হাতুড়িপেটা করে হত্যা করেন জাকির। এরপর রমিজের সঙ্গে থাকা ৬ লাখ টাকা নিয়ে ফেরেন মসজিদে। ফজরের আজান দেন, নামাজ আদায়ের পর স্থানীয় শিশু-কিশোরদের আরবি পড়ান। এরপর আত্মগোপন করতে চলে যান ৪০ দিনের চিল্লায়। সেই রমিজকে গত মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে গতকাল বুধবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, জাকিরকে লক্ষ্মীপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি আত্মগোপন করতে ৪০ দিনের চিল্লায় সেখানে গিয়েছিলেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি রমিজকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
খন্দকার আল মঈন বলেন, কিশোরগঞ্জের কাটবাড়িয়া ডাউকিয়া মসজিদের দক্ষিণ পাশে গত ৩ অক্টোবর সকাল ছয়টার দিকে একজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। ওই ব্যক্তির পাঞ্জাবির পকেটে থাকা কাগজপত্রের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত করা হয়। তাঁর নাম রমিজ উদ্দীন। এ ঘটনায় তাঁর ছেলে বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেন।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার এই পরিচালক বলেন, পাঁচ বছর যাবৎ নরসিংদীর মনোহরদীর একটি গ্রামের মসজিদে মুয়াজ্জিন হিসেবে কাজ করেছেন জাকির। ওই এলাকায় রমিজ ছিলেন একজন উঠতি ব্যবসায়ী। মূলত অর্থ আত্মসাতের উদ্দেশ্যেই তাঁকে হত্যা করেন জাকির। জিজ্ঞাসাবাদে জাকিরের দেওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, রমিজ উদ্দীনকে কম দামে গরু কেনার ব্যাপারে প্রলুব্ধ করেন জাকির। তাঁর বাড়ি নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী গ্রামে কম দামে গরু পাওয়া যায় বলে জানান তিনি। বিশ্বাস অর্জন করতে রমিজকে ঘটনার ১০-১২ দিন আগে সীমান্তবর্তী গরু কেনাবেচার স্থানে নিয়ে গিয়েছিলেন জাকির। সারা দিন ঘুরে দেখে জাকিরের কথা বিশ্বাস করেছিলেন রমিজ।
জিজ্ঞাসাবাদে জাকির বলেছেন, গরু কিনতে ৩০ সেপ্টেম্বর ব্যাংক থেকে ৬ লাখ টাকা তোলেন রমিজ। তারপর ২ অক্টোবর রাতে প্রথমে মনোহরদী থেকে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী এবং পরে বড়পুল এলাকায় যান। সেখান থেকে রিকশায় করে কাটাবাড়িয়া ডাউকিয়া মসজিদ এলাকায় যান। এ সময় জাকির গাড়িতে করে গরু এখানে আসবে বলে রমিজকে জানান এবং তাঁরা অপেক্ষা করতে থাকেন। রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে রমিজকে ডাউরিয়া মসজিদের দক্ষিণ পাশের কলাবাগানে নিয়ে যান জাকির। সেখানে সঙ্গে থাকা হাতুড়ি দিয়ে রমিজের মুখ ও মাথায় আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন তিনি।
খন্দকার আল মঈন জানান, হত্যার পর জাকির রাতেই মনোহরদী ফেরেন। ফজরের আজানের সময় হওয়ায় মসজিদে গিয়ে আজান দেন ও নামাজ আদায় করেন। এরপর মক্তবে আসা ছাত্রদের আরবি পড়ান। পরদিন সকালে রমিজের মৃত্যুর বিষয়টি জানাজানি হলে জাকির ভয় পেয়ে মসজিদ থেকে ছুটি নিয়ে আত্মগোপনে চলে যান। এ সময় তিনি নরসিংদী, ময়মনসিংহ ও সিলেটের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করেন। পরে ঢাকার একটি মসজিদ থেকে ৪০ দিনের চিল্লায় লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে চলে যান।
জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের বরাত দিয়ে খন্দকার আল মঈন বলেন, জাকির ঘটনার প্রায় দুই মাস আগে রমিজকে হত্যা করে টাকা লুটের পরিকল্পনা করেন। হত্যাকাণ্ডের আগের রাতে হাতুড়িটি কেনেন। জাকিরকে কিশোরগঞ্জ থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান এই র্যাব কর্মকর্তা।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
১৪ ঘণ্টা আগেরাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
২১ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
২১ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
২২ দিন আগে