আসামিরা পালিয়ে যায় আর আপনারা নীরব দর্শক, দুদক আইনজীবীকে হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০২১, ২০: ১২

সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান এসএম আমজাদ হোসেন কীভাবে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) এ বিষয়ে জানাতে আজ রোববার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এসএম মজিবুর রহমানের বেঞ্চ। আগামীকাল সোমবারের মধ্যে এ বিষয়ে জানাতে বলা হয়েছে।

এর আগে গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। 

শুনানিতে আদালত দুদকের আইনজীবীকে উদ্দেশ করে বলেন, আসামি দেশত্যাগ করে চলে গেলেন আর আপনারা নীরব দর্শক হয়ে দেখছেন। যেখানে দুদক, বিএফআইইউ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আছে, তারপরও তিনি কীভাবে পালিয়ে যান? মামলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞা আছে, তদন্ত হচ্ছে, তারপরও কীভাবে তিনি দেশত্যাগ করলেন? 

তখন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, আমরা কাজ করছি। আদালত বলেন, বুঝলাম তো আপনারা কাজ করছেন, তাহলে গেল কী করে? কী পদক্ষেপ নিলেন? দুদকের আইনজীবী বলেন, এটা নিয়ে অফিসের সঙ্গে কথা বলতে হবে। কথা না বলে কিছু বলতে পারবো না। 

আদালত বলেন, অনেক কাজ করতেছেন, এটা তো মুখে বললেই হবে না। পালানো তো থামাতে পারছি না। আমরা যদি এখন এসব বিষয়ে লক্ষ্য না রাখি, তাহলে তো দেশের টাকা বাইরে চলে যাচ্ছে। আমরা চাই আমাদের অর্থনীতি ভালো থাকুক, দেশের উন্নয়ন হোক, মানুষ যাতে ডাল-ভাত আনন্দের সঙ্গে খেতে পারে। এভাবে টাকা যদি বাইরে চলে যায়, তাহলে দেশের মানুষ কীভাবে সুন্দর জীবনযাপন করবে? এগুলা আমাদের দেখতে হবে। এটা দেখা দুদকের প্রধান দায়িত্ব। জনগণের ঘাম ও শ্রমের টাকা, প্রবাসীরা কত কষ্ট করে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে! সেই টাকা যদি এভাবে বিদেশে পাচার হয়ে যায়, এটা মারাত্মক বিষয়। 

আদালত বলেন, এটা আমাদের জানান, আমজাদ হোসেনের বিদেশ যেতে নিষেধাজ্ঞা ছিল কি-না? আর নিষেধাজ্ঞা থেকে থাকলে তিনি গেলেন কীভাবে? দুদকের আইনজীবী বলেন, ইমিগ্রেশনটা কীভাবে পার হলো এটা রাষ্ট্রপক্ষ জানাতে পারবে। ইমিগ্রেশন বলতে পারবে তিনি কয়টায় গেলেন, বিমানে গেলেন নাকি স্থলপথে গেলেন। যেমন পিকে হালদারের বিচারের আদেশ বিভিন্ন সংস্থার কাছে পৌঁছাতে তিন ঘণ্টা লেগেছিল। আদালত বলেন, এখনকার যুগে কি তিন ঘণ্টা সময় লাগে আদেশ পৌঁছাতে? এটা এক মিনিটের ব্যাপার। এটা আপনাদের অবহেলা। দুদকের আইনজীবী বলেন, এখানে দুদকের কোনো অবহেলা নেই। অবহেলা ছিল পুলিশের।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত