নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জুলাই মাসে দেশে কমপক্ষে ৩৫৪টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৭৭ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ৮৮ জন।
এর মধ্যে ক্রমেই অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে রাজনৈতিক অঙ্গন। সরকার দলীয় ও বিরোধীদের নির্বাচনী ও রাজনৈতিক সহিংসতায় জুলাই মাসে শিশুসহ ৫ জনের মৃত্যু ঘটেছে। পাশাপাশি এ মাসে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা ৬টি মামলায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে যার মধ্যে ৩ জন বিএনপির নেতাকর্মী রয়েছেন। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে জুলাই মাসে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন গণমাধ্যমকর্মীরাও। এত অস্থিরতার মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে গণপিটুনির ঘটনা।
আজ রোববার সন্ধ্যায় জুলাই মাসের মানবাধিকার পরিস্থিতি মনিটরিং প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছেন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জুলাই ২০২২ মাসে দেশে ৩৫৪টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। যার মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা ৫৯ টি, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ১৬ টি, ধর্ষণ ও হত্যা ২ টি। এর মধ্যে ৩ জন ধর্ষণ ও ২ জন প্রতিবন্ধী শিশু-কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের শিকার ৫৯ জনের মধ্যে ১৬ জন শিশু, ২৬ জন কিশোরী রয়েছে, অপরদিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১ জন শিশু ও ৭ জন কিশোরী। ধর্ষণ ও হত্যার শিকার ২ জনই শিশু। এ ছাড়াও ২২টি ধর্ষণ চেষ্টা, ২৮টি যৌন হয়রানি ও ৪৪টি শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় একজন শিশু, ২৮ জন কিশোরী ও ৩৯ জন নারীসহ মোট ৬৮ জন আত্মহত্যা করেছেন। এদের মধ্যে দুইজন প্রতিবন্ধী নারীও রয়েছে।
জুলাই মাসে আগের মাসের তুলনায় ৩২টি বেশি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে জানিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, জুলাই মাসে ১০ জনের অস্বাভাবিক মৃত্যুসহ মোট ৮৮ জন শিশু, কিশোরী ও নারী হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। যার মধ্যে ২৪ জন শিশু ও কিশোরী রয়েছে। অপহরণের শিকার হয়েছে ২ জন কিশোরী ও ২ জন নারী, অপরদিকে ৩ জন শিশু ৩ জন কিশোরী নিখোঁজ রয়েছে। প্রতিশোধ, পারিবারিক বিরোধ, যৌতুক, প্রেমঘটিত ইত্যাদি কারণে এ হত্যাকাণ্ডগুলো সংঘটিত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
নির্বাচনী ও রাজনৈতিক সহিংসতার ৩৭টি ঘটনায় জুলাই মাসে একটি শিশুসহ ৫ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ২৬৬ জন। প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজনৈতিক অঙ্গনে সরকার দলীয় ও বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, নির্বাচন ও কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহিংসতা, হানাহানি হতাহতের ঘটনাসহ নাগরিক জীবনে উৎকণ্ঠা বেড়েছে। অপরদিকে ক্ষমতাসীন দলের নিজেদের মধ্যকার সংঘাত-হিংস্রতা নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বিকার। ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটেই চলেছে।
জুলাই মাসে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা ৬টি মামলায় বিএনপির ৩ জন নেতাকর্মী ও এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তি নিয়ে কথিত মানহানিকর কটূক্তি করার অপরাধে এসব মামলা করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাধার সৃষ্টি করে সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকারকে সংকুচিত করা হচ্ছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, জুলাই মাসে ১২টি ঘটনায় ১ জন সাংবাদিকের মরদেহ, ১ জন নারী সাংবাদিকের ঝুলন্ত মরদেহ, ২ জন সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি, ৫ জন সাংবাদিক পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধাগ্রস্ত করা ও হয়রানি করা হয়েছে। এ ছাড়া বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে মারধরের হুমকিসহ তাঁদের বাসা বাড়ি এবং মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী, সরকারি কর্মকর্তা, দুষ্কৃতকারী ও মাদক ব্যবসায়ীরা গণমাধ্যমকর্মীদের বাধার সৃষ্টি করছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ছাড়া জুলাই মাসে উদ্বেগজনকভাবে গণপিটুনির ঘটনা বেড়েছে। এ মাসে অন্তত ১৬টি গণপিটুনির ঘটনায় ৭ জন নিহত ও ৯ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। চুরি, ডাকাতি এবং পরকীয়া সন্দেহে গণপিটুনির ঘটনাগুলো সংঘটিত হয়েছে।
জুলাই মাসে দেশে কমপক্ষে ৩৫৪টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৭৭ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ৮৮ জন।
এর মধ্যে ক্রমেই অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে রাজনৈতিক অঙ্গন। সরকার দলীয় ও বিরোধীদের নির্বাচনী ও রাজনৈতিক সহিংসতায় জুলাই মাসে শিশুসহ ৫ জনের মৃত্যু ঘটেছে। পাশাপাশি এ মাসে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা ৬টি মামলায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে যার মধ্যে ৩ জন বিএনপির নেতাকর্মী রয়েছেন। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে জুলাই মাসে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন গণমাধ্যমকর্মীরাও। এত অস্থিরতার মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে গণপিটুনির ঘটনা।
আজ রোববার সন্ধ্যায় জুলাই মাসের মানবাধিকার পরিস্থিতি মনিটরিং প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছেন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জুলাই ২০২২ মাসে দেশে ৩৫৪টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। যার মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা ৫৯ টি, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ১৬ টি, ধর্ষণ ও হত্যা ২ টি। এর মধ্যে ৩ জন ধর্ষণ ও ২ জন প্রতিবন্ধী শিশু-কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের শিকার ৫৯ জনের মধ্যে ১৬ জন শিশু, ২৬ জন কিশোরী রয়েছে, অপরদিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১ জন শিশু ও ৭ জন কিশোরী। ধর্ষণ ও হত্যার শিকার ২ জনই শিশু। এ ছাড়াও ২২টি ধর্ষণ চেষ্টা, ২৮টি যৌন হয়রানি ও ৪৪টি শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় একজন শিশু, ২৮ জন কিশোরী ও ৩৯ জন নারীসহ মোট ৬৮ জন আত্মহত্যা করেছেন। এদের মধ্যে দুইজন প্রতিবন্ধী নারীও রয়েছে।
জুলাই মাসে আগের মাসের তুলনায় ৩২টি বেশি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে জানিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, জুলাই মাসে ১০ জনের অস্বাভাবিক মৃত্যুসহ মোট ৮৮ জন শিশু, কিশোরী ও নারী হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। যার মধ্যে ২৪ জন শিশু ও কিশোরী রয়েছে। অপহরণের শিকার হয়েছে ২ জন কিশোরী ও ২ জন নারী, অপরদিকে ৩ জন শিশু ৩ জন কিশোরী নিখোঁজ রয়েছে। প্রতিশোধ, পারিবারিক বিরোধ, যৌতুক, প্রেমঘটিত ইত্যাদি কারণে এ হত্যাকাণ্ডগুলো সংঘটিত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
নির্বাচনী ও রাজনৈতিক সহিংসতার ৩৭টি ঘটনায় জুলাই মাসে একটি শিশুসহ ৫ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ২৬৬ জন। প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজনৈতিক অঙ্গনে সরকার দলীয় ও বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, নির্বাচন ও কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহিংসতা, হানাহানি হতাহতের ঘটনাসহ নাগরিক জীবনে উৎকণ্ঠা বেড়েছে। অপরদিকে ক্ষমতাসীন দলের নিজেদের মধ্যকার সংঘাত-হিংস্রতা নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বিকার। ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটেই চলেছে।
জুলাই মাসে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা ৬টি মামলায় বিএনপির ৩ জন নেতাকর্মী ও এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তি নিয়ে কথিত মানহানিকর কটূক্তি করার অপরাধে এসব মামলা করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাধার সৃষ্টি করে সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকারকে সংকুচিত করা হচ্ছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, জুলাই মাসে ১২টি ঘটনায় ১ জন সাংবাদিকের মরদেহ, ১ জন নারী সাংবাদিকের ঝুলন্ত মরদেহ, ২ জন সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি, ৫ জন সাংবাদিক পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধাগ্রস্ত করা ও হয়রানি করা হয়েছে। এ ছাড়া বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে মারধরের হুমকিসহ তাঁদের বাসা বাড়ি এবং মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী, সরকারি কর্মকর্তা, দুষ্কৃতকারী ও মাদক ব্যবসায়ীরা গণমাধ্যমকর্মীদের বাধার সৃষ্টি করছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ছাড়া জুলাই মাসে উদ্বেগজনকভাবে গণপিটুনির ঘটনা বেড়েছে। এ মাসে অন্তত ১৬টি গণপিটুনির ঘটনায় ৭ জন নিহত ও ৯ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। চুরি, ডাকাতি এবং পরকীয়া সন্দেহে গণপিটুনির ঘটনাগুলো সংঘটিত হয়েছে।
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
১৮ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
১৮ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১৮ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
২২ দিন আগে