বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় ইব্রাহীম হোসেনকে মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন বগুড়ার পুলিশ সুপার।

পরে দুপুরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন গ্রেপ্তার হওয়া জাহিদ হাসান মামুন (১৯)। তাঁকে গত মঙ্গলবার সকালে গ্রেপ্তার করা হয়। মামুন বগুড়া শেরপুর উপজেলার বাসিন্দা।

জবানবন্দির বরাত দিয়ে বগুড়ার পুলিশ সুপার (এসপি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ইব্রাহীম শেরপুর উপজেলার তাঁর মামার ধানের চাতালে প্রায় চার মাস ধরে কাজ করছেন। এ সুবাদে স্থানীয় বখাটে জাহিদ হাসান মামুনের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। ইব্রাহীম তাঁর মামার মোটরসাইকেল নিয়ে বিভিন্ন কাজে ঘোরাফেরা করতেন।

এসপি আরও বলেন, একপর্যায়ে মামুনসহ অন্যরা ইব্রাহীমের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেন। সে অনুযায়ী, গত সোমবার ইব্রাহীমকে শেরপুর থেকে গাবতলী উপজেলার নিশিন্দারা গ্রামের একটি পরিত্যক্ত ইটভাটায় ডেকে নেওয়া হয়। সেখানে মধ্যরাতে তাঁরা ইব্রাহীমের গলায় ধারালো ব্লেড দিয়ে আঘাত করেন। ওই সময় মামুনসহ তাঁর সহযোগীরা ইব্রাহীমকে মৃত ভেবে তাঁর মোটরসাইকেল ও মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যান। পরবর্তী সময়ে ইব্রাহীম ঘটনাস্থল থেকে উঠে দৌড় দেন। তিনি দৌড়ে পরিত্যক্ত ওই ইটভাটাসংলগ্ন রাস্তার পাশে একটি মুদির দোকানের সামনে গিয়ে পড়ে যান। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা বিষয়টি পুলিশকে জানায়। পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার ভোরে ইব্রাহীমের মৃত্যু হয়।