এএফপি, টোকিও
২০২৪ সালে রেকর্ডসংখ্যক পর্যটক জাপান ভ্রমণ করেছেন। জাপানি মুদ্রা ইয়েনের দুর্বল অবস্থা এবং পছন্দের গন্তব্য হিসেবে জাপানের জনপ্রিয়তা এর পেছনে মূল কারণ হিসেবে কাজ করেছে। তবে, কিয়োটোর মতো কিছু জায়গায় ভিড় এবং পর্যটকদের আচরণ নিয়ে স্থানীয়দের অভিযোগ বাড়ছে। আজ বুধবার প্রকাশিত পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জাপান ন্যাশনাল ট্যুরিজম অর্গানাইজেশনের (জেএনটিও) প্রাথমিক অনুমান অনুযায়ী, ২০২৪ সালে জাপানে ৩ কোটি ৬৮ লাখের বেশি পর্যটক এসেছেন। এই সংখ্যা ২০১৯ সালের আগের সর্বোচ্চ ৩ কোটি ২০ লাখ পর্যটকের চেয়ে অনেক বেশি। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া এক দশকের বেশি সময় ধরে চলমান পর্যটন ফুলেফেঁপে ওঠাকেই নির্দেশ করে। ২০১২ সালের তুলনায় পর্যটক সংখ্যা চার গুণ বেড়েছে।
এই বৃদ্ধির পেছনে জাপান সরকারের নীতিও ভূমিকা রেখেছে। জাপান সরকার দেশটির পবিত্র পর্যটন এলাকা মাউন্ট ফুজি থেকে শুরু করে দূরবর্তী দ্বীপপুঞ্জের মন্দির ও সুশি বারগুলোর মতো স্থানগুলোকে আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
এ ছাড়া, দুর্বল ইয়েন অন্যতম একটি কারণ, যা বিদেশি পর্যটকদের জন্য জাপানকে তুলনামূলক সস্তা করে তুলেছে। একটি রামেন বাটি থেকে শুরু করে হাতে তৈরি রান্নার ছুরি পর্যন্ত সবকিছুই এখন আরও সাশ্রয়ী। লাক্সুরিক নামে আতিথেয়তা ও ইভেন্ট ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানের প্রেসিডেন্ট নাওমি মানো বলেন, ‘জাপান অনেক মানুষের জন্য দীর্ঘদিনের স্বপ্নের গন্তব্য। বর্তমানে এটি এমন একসময়, যখন মনে হচ্ছে জাপানে ৩০ শতাংশ ছাড় চলছে।’
জাপান সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে পর্যটকের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ করে ৬০ মিলিয়নে উন্নীত করার উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এ লক্ষ্যে, সরকার পর্যটকদের সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য উদ্যোগ নিচ্ছে, যাতে নির্দিষ্ট স্থানগুলোতে অতিরিক্ত চাপ কমানো যায় এবং পর্যটকদের আকর্ষণকে বসন্তের চেরি ফুল বা শরতের রঙিন পাতা থেকে আরও বহুমুখী করা।
তবে চ্যালেঞ্জও রয়েছে। বিশেষ করে ঐতিহ্যবাহী শহর কিয়োটোতে। স্থানীয় বাসিন্দারা পর্যটকদের অশালীন আচরণের বিষয়ে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে গেইশাদের হয়রানি, যানজট তৈরি এবং ময়লা ফেলা। এর সমাধানে এবং অর্থ উপার্জনের জন্য কিয়োটো গতকাল মঙ্গলবার আবাসন কর বৃদ্ধির পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। তাদের লক্ষ্য নাগরিক, পর্যটক এবং ব্যবসায়ীদের জন্য উচ্চ সন্তুষ্টি নিয়ে টেকসই পর্যটন নিশ্চিত করা।
পর্যটন এখন জাপানের অর্থনীতিতে গাড়ি রপ্তানির পর দ্বিতীয় বৃহত্তম আয় উৎস হিসেবে দাঁড়িয়েছে। ১২৪ মিলিয়ন জনসংখ্যার জাপান এখনো বিশ্বের শীর্ষ পর্যটন গন্তব্য ফ্রান্সের তুলনায় অনেক কম পর্যটক গ্রহণ করে। ফ্রান্সের জনসংখ্যা ৬৮ মিলিয়ন, ২০২৩ সালে ১০০ মিলিয়ন পর্যটক স্বাগত জানিয়েছে।
তবে জাপানের অতিরিক্ত ভিড়ের সমস্যা মূলত নির্দিষ্ট শহরগুলোতে সীমাবদ্ধ। উদাহরণস্বরূপ, টোকিওতে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা ২০১৯ সালের তুলনায় দ্বিগুণ এবং ওসাকায় দেড় গুণ বেড়েছে।
নাওমি মানো মনে করেন, সরকার গ্রামীণ পর্যটন বাড়াতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পর্যটকদের অন্য অঞ্চলে আকৃষ্ট করতে পারে। গ্রামীণ এলাকাগুলোতে কার্যক্রম বুকিং সহজতর করা এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করলে এই ভারসাম্য আনা সম্ভব।
২০২৪ সালে রেকর্ডসংখ্যক পর্যটক জাপান ভ্রমণ করেছেন। জাপানি মুদ্রা ইয়েনের দুর্বল অবস্থা এবং পছন্দের গন্তব্য হিসেবে জাপানের জনপ্রিয়তা এর পেছনে মূল কারণ হিসেবে কাজ করেছে। তবে, কিয়োটোর মতো কিছু জায়গায় ভিড় এবং পর্যটকদের আচরণ নিয়ে স্থানীয়দের অভিযোগ বাড়ছে। আজ বুধবার প্রকাশিত পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জাপান ন্যাশনাল ট্যুরিজম অর্গানাইজেশনের (জেএনটিও) প্রাথমিক অনুমান অনুযায়ী, ২০২৪ সালে জাপানে ৩ কোটি ৬৮ লাখের বেশি পর্যটক এসেছেন। এই সংখ্যা ২০১৯ সালের আগের সর্বোচ্চ ৩ কোটি ২০ লাখ পর্যটকের চেয়ে অনেক বেশি। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া এক দশকের বেশি সময় ধরে চলমান পর্যটন ফুলেফেঁপে ওঠাকেই নির্দেশ করে। ২০১২ সালের তুলনায় পর্যটক সংখ্যা চার গুণ বেড়েছে।
এই বৃদ্ধির পেছনে জাপান সরকারের নীতিও ভূমিকা রেখেছে। জাপান সরকার দেশটির পবিত্র পর্যটন এলাকা মাউন্ট ফুজি থেকে শুরু করে দূরবর্তী দ্বীপপুঞ্জের মন্দির ও সুশি বারগুলোর মতো স্থানগুলোকে আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
এ ছাড়া, দুর্বল ইয়েন অন্যতম একটি কারণ, যা বিদেশি পর্যটকদের জন্য জাপানকে তুলনামূলক সস্তা করে তুলেছে। একটি রামেন বাটি থেকে শুরু করে হাতে তৈরি রান্নার ছুরি পর্যন্ত সবকিছুই এখন আরও সাশ্রয়ী। লাক্সুরিক নামে আতিথেয়তা ও ইভেন্ট ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানের প্রেসিডেন্ট নাওমি মানো বলেন, ‘জাপান অনেক মানুষের জন্য দীর্ঘদিনের স্বপ্নের গন্তব্য। বর্তমানে এটি এমন একসময়, যখন মনে হচ্ছে জাপানে ৩০ শতাংশ ছাড় চলছে।’
জাপান সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে পর্যটকের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ করে ৬০ মিলিয়নে উন্নীত করার উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এ লক্ষ্যে, সরকার পর্যটকদের সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য উদ্যোগ নিচ্ছে, যাতে নির্দিষ্ট স্থানগুলোতে অতিরিক্ত চাপ কমানো যায় এবং পর্যটকদের আকর্ষণকে বসন্তের চেরি ফুল বা শরতের রঙিন পাতা থেকে আরও বহুমুখী করা।
তবে চ্যালেঞ্জও রয়েছে। বিশেষ করে ঐতিহ্যবাহী শহর কিয়োটোতে। স্থানীয় বাসিন্দারা পর্যটকদের অশালীন আচরণের বিষয়ে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে গেইশাদের হয়রানি, যানজট তৈরি এবং ময়লা ফেলা। এর সমাধানে এবং অর্থ উপার্জনের জন্য কিয়োটো গতকাল মঙ্গলবার আবাসন কর বৃদ্ধির পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। তাদের লক্ষ্য নাগরিক, পর্যটক এবং ব্যবসায়ীদের জন্য উচ্চ সন্তুষ্টি নিয়ে টেকসই পর্যটন নিশ্চিত করা।
পর্যটন এখন জাপানের অর্থনীতিতে গাড়ি রপ্তানির পর দ্বিতীয় বৃহত্তম আয় উৎস হিসেবে দাঁড়িয়েছে। ১২৪ মিলিয়ন জনসংখ্যার জাপান এখনো বিশ্বের শীর্ষ পর্যটন গন্তব্য ফ্রান্সের তুলনায় অনেক কম পর্যটক গ্রহণ করে। ফ্রান্সের জনসংখ্যা ৬৮ মিলিয়ন, ২০২৩ সালে ১০০ মিলিয়ন পর্যটক স্বাগত জানিয়েছে।
তবে জাপানের অতিরিক্ত ভিড়ের সমস্যা মূলত নির্দিষ্ট শহরগুলোতে সীমাবদ্ধ। উদাহরণস্বরূপ, টোকিওতে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা ২০১৯ সালের তুলনায় দ্বিগুণ এবং ওসাকায় দেড় গুণ বেড়েছে।
নাওমি মানো মনে করেন, সরকার গ্রামীণ পর্যটন বাড়াতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পর্যটকদের অন্য অঞ্চলে আকৃষ্ট করতে পারে। গ্রামীণ এলাকাগুলোতে কার্যক্রম বুকিং সহজতর করা এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করলে এই ভারসাম্য আনা সম্ভব।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২৮ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
০৮ নভেম্বর ২০২৪পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
০৭ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
০৭ নভেম্বর ২০২৪