অনলাইন ডেস্ক
মাথায় বরফের সাদা ক্যাপ পরে থাকা নিউজিল্যান্ডের মাউন্ট তারানাকি এখন আর শুধু একটি পর্বত নয়। আইনিভাবে এটি একজন মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
বর্তমানে তারানাকি মাউঙ্গা নামে পরিচিতি পাওয়া এই পর্বতকে স্থানীয় মাওরি জনগোষ্ঠী বরাবরই তাদের পূর্বপুরুষ হিসেবে ভেবে এসেছে। কিন্তু অষ্টাদশ এবং ঊনবিংশ শতকের উপনিবেশকারীরা তাদের কাছ থেকে এই পবিত্র ভূমি কেড়ে নিয়েছিল। অবশেষে নিউজিল্যান্ড সরকার একটি নতুন আইন পাস করে এই পর্বতকে সম্পূর্ণ মানবিক অধিকার ও দায়িত্ব প্রদান করেছে। বিষয়টিকে ঐতিহাসিকভাবে ন্যায়বিচারের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে—নতুন আইন অনুযায়ী, তারানাকি মাউঙ্গার মানুষ সত্তার নাম দেওয়া হয়েছে ‘তে কাহুই তুপুয়া’। আইনিভাবে এখন এই পর্বত ও তার আশপাশের ভূমিকে একটি জীবন্ত ও অবিভাজ্য সত্তা হিসেবে গণ্য করা হবে। এতে পর্বতটির সংরক্ষণ, ঐতিহ্যগত ব্যবহার ও এর সুস্থতা রক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এই আইনটি মাওরি জনগণের বিরুদ্ধে উপনিবেশবাদী অন্যায়ের স্বীকৃতি হিসেবে এসেছে। ১৮৬৫ সালে ব্রিটিশ শাসকেরা মাওরিদের বিদ্রোহ দমনের জন্য তাদের ভূমি বাজেয়াপ্ত করেছিল। পরে শত বছর ধরে ওই সব অঞ্চলে পর্যটন ও শিকারকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয় এবং পর্বতটিকে ঘিরে মাওরিদের যেসব ঐতিহ্যগত কর্মকাণ্ড প্রচলিত ছিল সেগুলোকে নিষিদ্ধ করা হয়।
১৯৭০ ও ৮০-এর দশকে মাওরি অধিকার আন্দোলনের মাধ্যমে নিউজিল্যান্ডে মাওরি ভাষা, সংস্কৃতি ও অধিকারের আইনি স্বীকৃতি বৃদ্ধি পায়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালে নিউজিল্যান্ড সরকার তারানাকি অঞ্চলের আটটি মাওরি গোত্রের সঙ্গে একটি পুনর্বাসন চুক্তি স্বাক্ষর করে।
সর্বশেষ নতুন আইনি অধিকার তারানাকি পর্বতটির স্বাস্থ্য ও সুস্থতা রক্ষা করতে সাহায্য করবে। এর ফলে, কেউ চাইলেই ওই অঞ্চলটির ভূমি জোর করে কিনতে পারবেন না। এ ছাড়া পর্বতটি ঘিরে মাওরিদের ঐতিহ্যগত ব্যবহারের যেসব প্রথা ছিল সেগুলো আবারও প্রবর্তন করা হবে এবং স্থানীয় জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া যাবে। তবে, সাধারণ মানুষের জন্য পর্বতে প্রবেশ ও ভ্রমণ এখনো নিষিদ্ধ করা হয়নি।
আইনটি পাস হওয়ার সময় সংসদ সদস্যরা সর্বসম্মতভাবে ভোট দিয়েছেন। সংসদ গ্যালারিতে উপস্থিত মাওরি জনগোষ্ঠী আনন্দে ‘ওয়াইতা’ (মাওরি গান) গেয়ে মুহূর্তটি উদ্যাপন করেন।
মাওরি দল ‘তে পাতি মাওরি’-এর সহ-নেত্রী এবং তারানাকি জনগোষ্ঠীর বংশধর দেবি নাগারেওয়া-প্যাকার, বলেন—‘আজ আমাদের পূর্বপুরুষ, আমাদের পবিত্র পর্বত অবিচার, অজ্ঞতা ও ঘৃণার শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পেল।’
নিউজিল্যান্ড বিশ্বে প্রথম দেশ, যেখানে প্রকৃতিকে আইনিভাবে ব্যক্তি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এর আগে ২০১৪ সালে তে উরেওরা নামে এক বিশাল বনভূমিকে এই মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। ২০১৭ সালে ওয়াঙ্গানুই নদীকেও একই স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
এবার তারানাকি পর্বতটি শুধু একটি প্রকৃতির সৃষ্টি নয়, এটি একটি জীবন্ত অস্তিত্ব হিসেবে স্বীকৃতি পেল। নিশ্চিতভাবেই এই আইন, নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে, যেখানে প্রকৃতি ও মানুষের সম্পর্ক আরও গভীরভাবে স্বীকৃত হলো।
মাথায় বরফের সাদা ক্যাপ পরে থাকা নিউজিল্যান্ডের মাউন্ট তারানাকি এখন আর শুধু একটি পর্বত নয়। আইনিভাবে এটি একজন মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
বর্তমানে তারানাকি মাউঙ্গা নামে পরিচিতি পাওয়া এই পর্বতকে স্থানীয় মাওরি জনগোষ্ঠী বরাবরই তাদের পূর্বপুরুষ হিসেবে ভেবে এসেছে। কিন্তু অষ্টাদশ এবং ঊনবিংশ শতকের উপনিবেশকারীরা তাদের কাছ থেকে এই পবিত্র ভূমি কেড়ে নিয়েছিল। অবশেষে নিউজিল্যান্ড সরকার একটি নতুন আইন পাস করে এই পর্বতকে সম্পূর্ণ মানবিক অধিকার ও দায়িত্ব প্রদান করেছে। বিষয়টিকে ঐতিহাসিকভাবে ন্যায়বিচারের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে—নতুন আইন অনুযায়ী, তারানাকি মাউঙ্গার মানুষ সত্তার নাম দেওয়া হয়েছে ‘তে কাহুই তুপুয়া’। আইনিভাবে এখন এই পর্বত ও তার আশপাশের ভূমিকে একটি জীবন্ত ও অবিভাজ্য সত্তা হিসেবে গণ্য করা হবে। এতে পর্বতটির সংরক্ষণ, ঐতিহ্যগত ব্যবহার ও এর সুস্থতা রক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এই আইনটি মাওরি জনগণের বিরুদ্ধে উপনিবেশবাদী অন্যায়ের স্বীকৃতি হিসেবে এসেছে। ১৮৬৫ সালে ব্রিটিশ শাসকেরা মাওরিদের বিদ্রোহ দমনের জন্য তাদের ভূমি বাজেয়াপ্ত করেছিল। পরে শত বছর ধরে ওই সব অঞ্চলে পর্যটন ও শিকারকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয় এবং পর্বতটিকে ঘিরে মাওরিদের যেসব ঐতিহ্যগত কর্মকাণ্ড প্রচলিত ছিল সেগুলোকে নিষিদ্ধ করা হয়।
১৯৭০ ও ৮০-এর দশকে মাওরি অধিকার আন্দোলনের মাধ্যমে নিউজিল্যান্ডে মাওরি ভাষা, সংস্কৃতি ও অধিকারের আইনি স্বীকৃতি বৃদ্ধি পায়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালে নিউজিল্যান্ড সরকার তারানাকি অঞ্চলের আটটি মাওরি গোত্রের সঙ্গে একটি পুনর্বাসন চুক্তি স্বাক্ষর করে।
সর্বশেষ নতুন আইনি অধিকার তারানাকি পর্বতটির স্বাস্থ্য ও সুস্থতা রক্ষা করতে সাহায্য করবে। এর ফলে, কেউ চাইলেই ওই অঞ্চলটির ভূমি জোর করে কিনতে পারবেন না। এ ছাড়া পর্বতটি ঘিরে মাওরিদের ঐতিহ্যগত ব্যবহারের যেসব প্রথা ছিল সেগুলো আবারও প্রবর্তন করা হবে এবং স্থানীয় জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া যাবে। তবে, সাধারণ মানুষের জন্য পর্বতে প্রবেশ ও ভ্রমণ এখনো নিষিদ্ধ করা হয়নি।
আইনটি পাস হওয়ার সময় সংসদ সদস্যরা সর্বসম্মতভাবে ভোট দিয়েছেন। সংসদ গ্যালারিতে উপস্থিত মাওরি জনগোষ্ঠী আনন্দে ‘ওয়াইতা’ (মাওরি গান) গেয়ে মুহূর্তটি উদ্যাপন করেন।
মাওরি দল ‘তে পাতি মাওরি’-এর সহ-নেত্রী এবং তারানাকি জনগোষ্ঠীর বংশধর দেবি নাগারেওয়া-প্যাকার, বলেন—‘আজ আমাদের পূর্বপুরুষ, আমাদের পবিত্র পর্বত অবিচার, অজ্ঞতা ও ঘৃণার শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পেল।’
নিউজিল্যান্ড বিশ্বে প্রথম দেশ, যেখানে প্রকৃতিকে আইনিভাবে ব্যক্তি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এর আগে ২০১৪ সালে তে উরেওরা নামে এক বিশাল বনভূমিকে এই মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। ২০১৭ সালে ওয়াঙ্গানুই নদীকেও একই স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
এবার তারানাকি পর্বতটি শুধু একটি প্রকৃতির সৃষ্টি নয়, এটি একটি জীবন্ত অস্তিত্ব হিসেবে স্বীকৃতি পেল। নিশ্চিতভাবেই এই আইন, নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে, যেখানে প্রকৃতি ও মানুষের সম্পর্ক আরও গভীরভাবে স্বীকৃত হলো।
সাতক্ষীরার ওয়ারী গ্রামে ব্যবসায়ী স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বুকের ওপর ‘সরি জান, আই লাভ ইউ’ লিখে স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ওয়ারিয়ার পালপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়ি থেকে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করেছে।
১৪ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরায় প্রকাশ্যে এক দম্পতিকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার আরও ৩ ‘কিশোর গ্যাং’ সদস্যকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা রিমান্ডে নেওয়ার এ আদেশ দেন।
১০ দিন আগেরাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নির্যাতনের শিকার কল্পনা (১৩) সাড়ে তিন মাস চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট থেকে তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
২৩ দিন আগেগণহত্যার সংজ্ঞা ও বিচার নিয়ে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত সনদ হলো Genocide Convention বা গণহত্যা সনদ, যা ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত হয়। এই সনদের আওতায় একটি জাতি, নৃগোষ্ঠী, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস করার লক্ষ্যে সংঘটিত অপরাধকেই গণহত্যা বলা হয়। এর মধ্যে হত্যা, শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি,
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫