মির্জাগঞ্জে ৫ বছরেও শেষ হয়নি স্কুল ভবনের নির্মাণকাজ, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬: ৫০
Thumbnail image
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে বাজিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবন। ছবি: আজকের পত্রিকা

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে বাজিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণকাজ পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি। ৬০ শতাংশ করে ভবনের কাজ বন্ধ রাখার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এতে পাঠদানসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর বাজিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একটি নতুন ভবন নির্মাণের জন্য দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদার নির্ধারণ করে। ঠিকাদার ২০২১ সালে নির্মাণকাজ শুরু করেন। তবে কাজের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও ঠিকাদার বারবার কাজের সময় বাড়ানোর আবেদন করে নির্মাণকাজ নিয়ে কালক্ষেপণ করছেন।

ঠিকাদারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভবনের কাজ যে পরিমাণ করা হয়েছে, সেই পরিমাণ বিল অফিস থেকে দিতে পারছে না। এ জন্য কাজ শেষ করতে সময় লাগছে।

পটুয়াখালী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বাজিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একটি নতুন ভবন নির্মাণের জন্য ২০২০-২১ অর্থবছরে দরপত্র আহ্বান করা হয়। বরাদ্দের পরিমাণ ৮০ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। ফাউন্ডেশন চারতলা। তবে এখন নির্মাণ করা হবে একতলা।

বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবক সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়ে একটি মাত্র পুরোনো পাকা ভবন রয়েছে। এতে তিনটি কক্ষ আছে, ওই সব কক্ষ ঝুঁকিপূর্ণ। পাঠদান চলার সময় গত বছর ২৩ সেপ্টেম্বর দশম শ্রেণির কক্ষে সিলিং ফ্যান খুলে পড়ে দুজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়। ক্লাস পরিচালনার জন্য শ্রেণিকক্ষের সংকট রয়েছে।

বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মারুফা আক্তার, কুলসুম আক্তার ও সালমান তালুকদার বলে, ‘নবম ও দশম শ্রেণির মানবিক, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষার ক্লাস করার সময় অতিরিক্ত শ্রেণিকক্ষের প্রয়োজন হয়। তখন আমাদের স্কুল মাঠেও ক্লাস করতে হয়। নতুন ভবনের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি।’

বাজিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বাবুল হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষের সংকট রয়েছে। নতুন ভবনের নির্মাণকাজ ৬০ শতাংশ করে বন্ধ রেখেছেন ঠিকাদার সেলিম মিয়া। দ্রুত শেষ করার জন্য ঠিকাদারকে বলা হলেও তিনি কাজ করছেন না।

অভিযোগের বিষয়ে ঠিকাদার মো. সেলিম মিয়া বলেন, ‘যে পরিমাণ কাজ করা হয়েছে, সেই পরিমাণ বিল উত্তোলন করতে পারিনি। এখন পর্যন্ত মাত্র ২৭ লাখ টাকার বিল পেয়েছি। যথাযথ বরাদ্দ নেই। তবুও ভবনের কাজটি অল্প সময়ের মধ্যে শেষ করব।’

পটুয়াখালী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোশফিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত