মো. হোসাইন আলী কাজী, আমতলী (বরগুনা)
বরগুনার তালতলীর জেলেরা নিষিদ্ধ বেহুন্দি জাল দিয়ে বঙ্গোপসাগর উপকূলে দেদার নিধন করছেন মাছের পোনাসহ ছোট চিংড়ি। এতে ধ্বংস হচ্ছে সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য। এ ক্ষেত্রে দাদন ব্যবসায়ীরা মদদ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁরা প্রশাসনকে হাত করতে জেলেদের কাছ থেকে চাঁদা তোলেন। তবে সরকারি কর্মকর্তারা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তালতলী উপকূলের জেলেরা বেহুন্দি জাল দিয়ে চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির পোনা শিকার করেন। নভেম্বরে শুরু হয়ে মার্চ পর্যন্ত চলে এই পোনা মাছ শিকার। দাদন ব্যবসায়ী সোনাকাটা ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর ফরাজী ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. টুকু সিকদার মৎস্য বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তর হাত করে পোনা নিধন করাচ্ছেন।
গতকাল শনিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, তালতলীর ফকিরহাট, আশার চর, নিশানবাড়িয়া, নিন্দ্রা সকিনাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে বেহুন্দি জাল দিয়ে জেলেরা পোনা মাছ ধরছেন। এতে ছোট চিংড়ি (ভুলা), ছোট পোয়া, ফাইসা, লইট্টাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা আটকা পড়ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফকিরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র থেকে প্রতিদিন ৭০-৮০ টন ভুলা চিংড়ি ও পোনা দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয়।
ফকিরহাটের জব্বার, সজলসহ কয়েকজন জেলে জানান, তাঁরা সারা বছর মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। বর্তমানে অন্য মাছ না থাকায় বেহুন্দি জাল দিয়ে পোনা শিকার করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জেলের তথ্য অনুযায়ী, নিষিদ্ধ জাল দিয়ে পোনা শিকার করতে ১৫ দিন পরপর ৩ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়। দাদন ব্যবসায়ী মজিবুর ও টুকু এসব টাকা তুলে প্রশাসনকে হাত করেন। প্রতিবার তাঁরা ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা চাঁদা তুলে বিভিন্ন দপ্তরে ভাগ করে দেন।
এ নিয়ে জানতে চাইলে মজিবুর চাঁদা তোলার কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘জেলেরা নিষিদ্ধ জাল দিয়ে পোনা মাছ শিকার করছে। এখানে আমার কোনো হাত নেই।’ অন্যদিকে টুকু বলেন, ‘জেলেদের দাদন দিয়েছি। ওই হিসাবে তাদের কাছ থেকে কমিশন নিই। এর বাইরে জেলেদের সঙ্গে আমার আর কোনো সম্পর্ক নেই। ফকিরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ৩৫ জন দাদন ব্যবসায়ী রয়েছে। তারা জেলেদের লাখ লাখ টাকা দাদন দিয়েছে।’
যোগাযোগ করা হলে তালতলী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ভিক্টর বাইন বলেন, ‘উপজেলা মৎস্য দপ্তরের নামে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ সত্য নয়। অভিযান পরিচালনা করলেও (শিকার করা) মাছ পাই, কিন্তু জাল পাই না। নিষিদ্ধ জাল পেলে আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করি।’
অভিযানের বিষয়ে নিদ্রা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাগর ভদ্র বলেন, ‘জলযানের অভাবে সাগরে অভিযান পরিচালনা করতে পারছি না। আগামী সপ্তাহে অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ বেহুন্দি জালে মাছ শিকারকারী জেলেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালমা বলেন, মৎস্য বিভাগ কম্বিং অপারেশন চালাচ্ছে। তারপরও যদি নিষিদ্ধ জাল দিয়ে জেলেরা পোনা নিধন করেন, অভিযান চালিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বরগুনার তালতলীর জেলেরা নিষিদ্ধ বেহুন্দি জাল দিয়ে বঙ্গোপসাগর উপকূলে দেদার নিধন করছেন মাছের পোনাসহ ছোট চিংড়ি। এতে ধ্বংস হচ্ছে সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য। এ ক্ষেত্রে দাদন ব্যবসায়ীরা মদদ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁরা প্রশাসনকে হাত করতে জেলেদের কাছ থেকে চাঁদা তোলেন। তবে সরকারি কর্মকর্তারা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তালতলী উপকূলের জেলেরা বেহুন্দি জাল দিয়ে চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির পোনা শিকার করেন। নভেম্বরে শুরু হয়ে মার্চ পর্যন্ত চলে এই পোনা মাছ শিকার। দাদন ব্যবসায়ী সোনাকাটা ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর ফরাজী ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. টুকু সিকদার মৎস্য বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তর হাত করে পোনা নিধন করাচ্ছেন।
গতকাল শনিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, তালতলীর ফকিরহাট, আশার চর, নিশানবাড়িয়া, নিন্দ্রা সকিনাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে বেহুন্দি জাল দিয়ে জেলেরা পোনা মাছ ধরছেন। এতে ছোট চিংড়ি (ভুলা), ছোট পোয়া, ফাইসা, লইট্টাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা আটকা পড়ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফকিরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র থেকে প্রতিদিন ৭০-৮০ টন ভুলা চিংড়ি ও পোনা দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয়।
ফকিরহাটের জব্বার, সজলসহ কয়েকজন জেলে জানান, তাঁরা সারা বছর মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। বর্তমানে অন্য মাছ না থাকায় বেহুন্দি জাল দিয়ে পোনা শিকার করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জেলের তথ্য অনুযায়ী, নিষিদ্ধ জাল দিয়ে পোনা শিকার করতে ১৫ দিন পরপর ৩ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়। দাদন ব্যবসায়ী মজিবুর ও টুকু এসব টাকা তুলে প্রশাসনকে হাত করেন। প্রতিবার তাঁরা ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা চাঁদা তুলে বিভিন্ন দপ্তরে ভাগ করে দেন।
এ নিয়ে জানতে চাইলে মজিবুর চাঁদা তোলার কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘জেলেরা নিষিদ্ধ জাল দিয়ে পোনা মাছ শিকার করছে। এখানে আমার কোনো হাত নেই।’ অন্যদিকে টুকু বলেন, ‘জেলেদের দাদন দিয়েছি। ওই হিসাবে তাদের কাছ থেকে কমিশন নিই। এর বাইরে জেলেদের সঙ্গে আমার আর কোনো সম্পর্ক নেই। ফকিরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ৩৫ জন দাদন ব্যবসায়ী রয়েছে। তারা জেলেদের লাখ লাখ টাকা দাদন দিয়েছে।’
যোগাযোগ করা হলে তালতলী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ভিক্টর বাইন বলেন, ‘উপজেলা মৎস্য দপ্তরের নামে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ সত্য নয়। অভিযান পরিচালনা করলেও (শিকার করা) মাছ পাই, কিন্তু জাল পাই না। নিষিদ্ধ জাল পেলে আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করি।’
অভিযানের বিষয়ে নিদ্রা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাগর ভদ্র বলেন, ‘জলযানের অভাবে সাগরে অভিযান পরিচালনা করতে পারছি না। আগামী সপ্তাহে অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ বেহুন্দি জালে মাছ শিকারকারী জেলেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালমা বলেন, মৎস্য বিভাগ কম্বিং অপারেশন চালাচ্ছে। তারপরও যদি নিষিদ্ধ জাল দিয়ে জেলেরা পোনা নিধন করেন, অভিযান চালিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২৮ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
০৮ নভেম্বর ২০২৪পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
০৭ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
০৭ নভেম্বর ২০২৪