লক্ষ্মীপুরে শ্রমিক রাসেল হত্যা মামলায় ১ জনের যাবজ্জীবন

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৭ জুন ২০২২, ১৫: ২৮

লক্ষ্মীপুর সদরের বসুদৌহিতা এলাকায় নির্মাণশ্রমিক আবদুর রব ওরফে রাসেল হত্যা মামলায় এক আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন। 

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সদর উপজেলার বড়বল্লভপুর এলাকার মো. জয়নাল আবেদিনের ছেলে বাহার উদ্দিন। রায়ের সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বাহার উদ্দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। এ ছাড়া দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। 

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ২০১৫ সালের ২০ জানুয়ারি রাত আবদুর রব ওরফে রাসেলকে পরিকল্পিতভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে সন্ত্রাসীরা। এর ১০ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় রাসেল। দীর্ঘ প্রায় সাড়ে আট বছর পর এ মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। রায়ে খুশি নিহতের স্বজন ও রাষ্ট্রপক্ষ। 

আদালত ও মামলা সূত্র জানায়, সদর উপজেলার বড়বল্লভপুর এলাকায় ২০১৫ সালের ২০ জানুয়ারি রাত ৮টার দিকে আবদুর রব ওরফে রাসেল দেড় লাখ টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বিদেশে যাওয়ার জন্য বের হন। এই দেড় লাখ টাকা খালা শাশুড়িকে বুজিয়ে দিয়ে তাঁর বিদেশে চলে যাওয়ার কথা ছিল। পরে ওই টাকা নিয়ে বসুদৌহিতা এলাকায় পৌঁছালে বাহার উদ্দিনের নেতৃত্বে অজ্ঞাত নামা আটজন যুবক তাঁর পথ গতিরোধ করে। এ সময় তাঁকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে রাসেলকে মৃত ভেবে ধানখেতে ফেলে রেখে টাকা নিয়ে পালিয়ে যান। পরদিন ভোরে রাসেলকে রক্তাক্ত অবস্থায় ধানখেতে পড়ে থাকতে দেখে স্বজনদের খবর দেন স্থানীয়রা। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে নোয়াখালী পরে ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ দিন পর মারা যান রাসেল। এ ঘটনায় ৩০ জানুয়ারি বাহার উদ্দিনকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত নামা আরও ৮ জনকে অভিযুক্ত করে চন্দ্রগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের মা আমেনা বেগম। ২০১৬ সালের ২২ আগস্ট বাহার উদ্দিনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। দীর্ঘ শুনানি শেষে প্রায় সাড়ে ৮ বছর পর এই মামলার রায় দেন আদালত। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত