চট্টগ্রামে হাতির দাঁত ও হরিণের চামড়াসহ আটক ১ 

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
Thumbnail image

চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশে একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে পাচারের জন্য রাখা হাতির দাঁতের ২৪টি টুকরো ও হরিণের চামড়া জব্দ করেছে র‍্যাব। এই ঘটনায় আব্দুল মালেক (৬৮) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। র‍্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির আজ শনিবার এ তথ্য জানা যায়। 

গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পাঁচলাইশ থানার শুলকবহর এলাকার একটি ভবনের ৩য় তলার ফ্ল্যাট থেকে এই দাঁত ও হরিণের চামড়া জব্দ করা হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,  মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ থানার বাসিন্দা আব্দুল মালেক দীর্ঘদিন ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পারমিট ছাড়া বন্যপ্রাণীর বিশেষ অংশ (হাতির দাঁত ও হরিণের চামড়া) সংগ্রহ করে পরবর্তীতে তা চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় উচ্চ মূল্যে বিক্রি করে আসছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তথ্য পেয়ে আব্দুল মালেকের ভাড়া বাসায় অভিযান চালানো হয়। র‍্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। আটকের পর তাঁর দেখানোমতে খাটের নিচে একটি বস্তার ভেতর থেকে হাতির দাঁতের ২৪টি টুকরো ও ১টি হরিণের চামড়া জব্দ করা হয়। এগুলোর আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। হাতির দাঁতগুলোর এজন ১৪ কেজি। 

র‍্যাব সদস্যদের সঙ্গে আটক আব্দুল মালেকর‍্যাব কর্মকর্তা নুরুল আবছার বিজ্ঞপ্তিতে জানান, আটক আব্দুল মালেক মূলত মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ থানার বাসিন্দা। তিনি ১৯৭৬ সালে হাতি দেখভাল করার জন্য তাঁর বাবার সঙ্গে রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি এলাকায় আসেন। সেখানে তাঁর বাবার কয়েকটি হাতি ছিল। ১৯৯৮ সালে তাঁর বাবা মারা গেলে হাতির ব্যবসা দেখভাল করার জন্য তিনি ছয় বছর রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি থানার মরিশ্যা এলাকায় ছিলেন। তিনি একজন লাইসেন্সধারী হাতি পালক। তবে তিনি স্থায়ীভাবে বাঘাইছড়ি থাকতেন না, ২–৪ দিন থেকে মৌলভীবাজার চলে যেতেন। বৈধভাবে তাঁর ছোট–বড় পোষা ১২টি হাতি আছে। 

স্থানীয়দের তথ্যের বরাত দিয়ে র‍্যাব কর্মকর্তা বলেন, তাঁর আরও ২৪–২৫টি রেজিস্ট্রেশনবিহীন হাতি রয়েছে। এসব হাতি বিভিন্ন বিয়ে বাড়িতে ভাড়া দেওয়াসহ পাহাড়ি এলাকায় গাছ টানার কাজ করে। পাশাপাশি পাহাড়ি এলাকা থেকে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর চামড়া, হাতির দাঁত সংগ্রহ করে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিজের হেফাজতে সংরক্ষণ করে আসছিলেন। 

অভিযুক্তকে আটকের পর পাঁচলাইশ থানা-পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করা হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত