ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৬ জুন ২০২২, ১৯: ৩০

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান হানিফ সবুজ ও ইউপির ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. খোকনকে দুর্বৃত্তরা পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আহত চেয়ারম্যান হানিফ সবুজ ও ওয়ার্ড সদস্য মো. খোকনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করার পর চেয়ারম্যান হানিফ সবুজকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। 

আজ সোমবার দুপুর ১২টায় চরকাঁকড়া ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন সড়কের ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। 

আহতদের অভিযোগ, গত ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত চরকাঁকড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ফখরুল ইসলাম সবুজ ও ইউপি সদস্য ওমর ফারুক সবুজের সঙ্গে নির্বাচিত চেয়ারম্যান হানিফ সবুজের বিরোধের সৃষ্টি হয়। সোমবার দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের কাজ শেষে ইউপি সদস্য খোকনকে নিয়ে সিএনজি যোগে বের হন চেয়ারম্যান হানিফ সবুজ। কিছু দূর যাওয়ার পর আগে থেকে ওত পেতে থাকা ফখরুল ইসলাম সবুজ ও ওমর ফারুক সবুজ মেম্বারসহ ৩০-৩৫ জন নানা অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে গাড়ির গতিরোধ করে হামলা চালায়। 

এ বিষয়ে চরকাঁকড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সালেহ আহম্মদ মানিক বলেন, ‘হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে চেয়ারম্যান হানিফ সবুজের মাথা ফাটিয়ে দেয় এবং মেম্বার খোকনসহ তাদের দুজনের হাত ও পা ভেঙে দেয়। তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’ 
 
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে ফখরুল ইসলাম সবুজ বলেন, ‘গত এক সপ্তাহ ধরে আমি ঢাকায় অবস্থান করছি। আজ সকালে ঢাকা থেকে নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে রওনা করে এখন পথে আছি। চেয়ারম্যান হানিফ সবুজের সাথে আমার কোনো বিরোধ নেই, এ হামলার সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’ 

এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাদেকুর রহমান বলেন, ‘পূর্ব বিরোধের জেরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

উল্লেখ্য, এর আগেও চেয়ারম্যান হানিফ সবুজ ও তার প্রতিপক্ষ ফখরুল ইসলাম সবুজের মধ্যে বিরোধের জের ধরে পেশকারহাট রাস্তার মাথায় একাধিক বার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, দোকানপাট ভাঙচুর-লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা প্রতিবাদ, বিক্ষোভ, মানববন্ধন করলে নোয়াখালী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আকরামুল হাসানের হস্তক্ষেপে এবং সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাসে ব্যবসায়ীরা তাঁদের কর্মসূচি স্থগিত করে। কিন্তু ঘটনার দুই মাস অতিক্রান্ত হলেও এ ঘটনায় সম্পৃক্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। সচেতন এলাকাবাসী মনে করেন, ওই ঘটনার পর প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে আজকের এ হামলার ঘটনা ঘটতো না।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত