বান্দরবানের পাহাড়ে অভিযানে চালিয়ে নব্য জঙ্গি সংগঠন ‘জামাআতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়ার’ ৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‍্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণে আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানানো হয়। 

আজ সোমবার দুপুরে ১২টায় বান্দরবানের মেঘলাস্থ র‍্যাব কার্যালয়ের পাশে পার্বত্য জেলা পরিষদের কনফারেন্স রুমে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার আল মঈন। এ সময় র‍্যাব ১১ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানবির মাহমুদ পাশা, র‍্যাবের কর্মকর্তা মশিউর উপস্থিত ছিলেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—নব্য জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়ার সদস্য কুমিল্লার দিদার হোসেন (২৫), সিলেট বিয়ানীবাজারের তাহিয়াদ চৌধুরী পাভেল (১৯), সিলেটের মো. লোকমান মিয়া (২৩), কুমিল্লা লাকসামের ইমরান হোসেন শান্ত (৩৫), ঝিনাইদহের মো. আমির হোসেন (২১), বরিশালের মো. আরিফুর রহমান, ময়মনসিংহের শামিম মিয়া (২৪), নারায়ণগঞ্জের আল আমীন ও ঢাকা কামরাঙ্গীরচরের সাইনুন রায়হান।

এ সময় জঙ্গিদের আস্তানা থেকে ৬টি বন্দুক,১টি পিস্তল, পিস্তলের গুলি, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, জঙ্গিদের ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে বলে র‍্যাব জানিয়েছে। 

র‍্যাব কর্মকর্তা খন্দকার আল মঈন জানান, পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান জেলার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে নব্য জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়া কথিত হিজরতের নামে ঘর ছাড়া নিখোঁজ তরুণদের জঙ্গিবাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। জঙ্গিদের অর্থের বিনিময়ে প্রশিক্ষণে সহযোগিতা করে আসছে পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনটি পার্বত্য চট্টগ্রামকে আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। র‍্যাবের চলমান অভিযানে গ্রেপ্তার জঙ্গিদের তথ্যের ভিত্তিতে বান্দরবান সদর উপজেলার টংকাবর্তী ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকা থেকে নব্য জঙ্গি সংগঠনের ৯ সদস্যকে আগ্নেয়াস্ত্র গোলাবারুদ সরঞ্জামসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

র‍্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘ইতিমধ্যে চলমান অভিযানে জঙ্গি সংগঠনের ৬৮ জন গ্রেপ্তার ও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত আরও ৭২ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়াও জঙ্গিদের পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রশিক্ষণে সহযোগিতাকারী বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের ১৭ জন কেএনএফ সদস্যকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। জঙ্গিরা র‍্যাবের অভিযানের মুখে পার্বত্য চট্টগ্রামকে নিরাপদ মনে করছে না বলে আমাদের ধারণা। তাই জঙ্গিরা চট্টগ্রামে পটিয়াসহ সমতল ভূমির দিকে আত্মগোপনে যাচ্ছে। তাদের গ্রেপ্তারে র‍্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’