ইউপি সদস্যের পরিকল্পনায় হত্যা করা হয় পারুলকে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৪: ৫৮

হালিম হাওলাদার বাগেরহাটের মংলার ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য (মেম্বার)। আগামী নির্বাচনে তাঁর প্রতিপক্ষে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন একই ওয়ার্ডের বিল্লাল সরদার। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে তিনি জামাল হাওলাদার নামে এক ব্যক্তিকে ভাড়া করেন। জামাল পরিকল্পনা মতো পারুল বেগম নামে এক নারীর সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করেন। প্রেমের টান আর বিয়ের প্রলোভনে পারুল বেগম খুনি জামালের সঙ্গে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ঢাকার সাভারে বাসা ভাড়া নেন। এরপর রাতেই গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যার পর পারুল বেগমের মরদেহের পাশে বিল্লাল সরদারের জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) ফটোকপি রেখে পালিয়ে যায়। অবশেষে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) হাতে ধরা পরে খুনের পরিকল্পনাকারী হালিম হাওলাদার, খুনি জামাল ও তাঁর সহযোগী মশিউর রহমান। 

আজ সোমবার সকালে পিবিআইয়ের রাজধানীর ধানমন্ডির প্রধান কার্যালয়ে সংস্থার প্রধান বনজ কুমার মজুমদার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মরদেহের পাশে রাখা একটি এনআইডি কার্ডের সূত্র ধরে মামলার খুনি জামাল হাওলাদার, মশিউর রহমান মিলন ও হালিম হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত ধারাবাহিক অভিযানে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, হালিম হাওলাদার বাগেরহাটের মংলা থানার চিলা ইউনিয়নের একটি ওয়ার্ডের মেম্বার। একই ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের প্রতিপক্ষ মেম্বার প্রার্থী বিল্লাল সরদারকে ফাঁসানোর জন্য এ হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করে তিনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী খুনের ২০ দিন আগে জামালকে ৫ হাজার টাকা অগ্রিম দেন। এ সময় বেল্লাল সরদারের এনআইডির ফটোকপিও তাঁকে দেওয়া হয়। জামাল তার বন্ধু মশিউর রহমানের সঙ্গে বিষয়টি আলাপ করে সহযোগিতা চান। মশিউর তাঁর বান্ধবী পারুলকে টার্গেট হিসেবে পরামর্শ দেয়। ঘাতক জামাল পারুল বেগমের সঙ্গে মোবাইলে ফোনে প্রেমের অভিনয় করেন। তাঁকে বিয়ের করার প্রলোভন দেখিয়ে সাভারের বক্তারপুরে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসা ভাড়া নেন। তারা গত ৭ সেপ্টেম্বর বাসায় উঠে। সেই রাতেই পারুল বেগমের গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে জামাল। পরে লাশের পাশে বিল্লাল সরদারের এনআইডি ফেলে যায়। পারুল সাভার এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে ফেরি করে কাপড় বিক্রি করতেন। 

তিনি আরও জানান, পিবিআই বিল্লাল সরদারকে আটকের পর তদন্তে বুঝতে পারে তিনি খুনের সঙ্গে জড়িত না। তাঁকে ফাঁসাতে পারে এমন প্রতিপক্ষ হিসাবে হালিম হাওলাদারসহ দুজনের নাম বলেন বিল্লাল। 

পিবিআইয়ের তদন্তে উঠে আসে হত্যাকাণ্ডের আগে এবং পরে হালিম হাওলাদারের সঙ্গে ঢাকায় অবস্থান করা জামালের ঘন ঘন যোগাযোগ হয়েছে। এরপর ঘাতক জামালকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাভারে ভাড়া বাসার কেয়ারটেকারকে দেখালে তিনি জামালকে শনাক্ত করেন। জামালকে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন। পরিকল্পনায় জড়িত হালিম মেম্বার ও তাঁর সহযোগী মশিউরের নাম বলেন। পরে তাঁদের বাগেরহাট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চট্টগ্রামে নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে গুজব

ববির ট্রেজারার সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে যোগদানে বাধা

বিগত সরকারে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের ক্ষতিপূরণ দিতেই যাবে শতকোটি টাকা

দুই দিনে ৭ ব্যাংককে ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা দিল বাংলাদেশ ব্যাংক

কোনো পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেননি রয়টার্সের প্রতিবেদক: সিএমপি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত