পাথর দিয়ে চালকের মাথা থেঁতলে হত্যার পর অটোরিকশা ছিনতাই

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২২ মে ২০২৩, ২১: ০৮

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ সড়কের করিমগঞ্জ-নিকলী সংযোগ সেতুর নিচ থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সকালে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহত অটোরিকশা চালক শরীফ মিয়া (২৫) করিমগঞ্জ উপজেলার গুনধর ইউনিয়নের ইন্দা গ্রামের মতিউর রহমান ওরফে মতি মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারণা, রোববার রাতের কোনো এক সময় চালক শরীফ মিয়াকে নৃশংসভাবে হত্যা করে ফেলে রেখে তার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাটি নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রোববার বিকেলে শরীফ তাঁর অটোরিকশাটি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর আর রাতে বাড়ি ফেরেননি। সোমবার সকালে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সড়কের করিমগঞ্জ-নিকলী সংযোগ সেতুর নিচে তাঁর মরদেহ পাথর চাপা দেওয়া অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে করিমগঞ্জ থানা–পুলিশ। নিহতের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ছাড়া তাঁর মাথা পাথর দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয়েছে বলে জানান পুলিশ। পরে স্বজনেরা শরীফের লাশ শনাক্ত করেন।

নিহত শরীফের বড় ভাই কালাচান বলেন, ‘শরীফ রোববার দুপুরে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার লতিবপুর থেকে অটোরিকশাটি কিনেছিল। বিকেলে অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। রাতে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান মেলেনি। সোমবার সকালে স্থানীয় জেলেরা মাছ ধরতে গিয়ে লাশটি পায়। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমার ভাইয়ের মাথাটা পাথর দিয়ে আঘাত করে থেঁতলে দিয়েছে। মরদেহটাও পাথর দিয়ে চাপা দিয়েছিল। স্থানীয়রা মরদেহটি দেখে পাথর সরিয়ে পুলিশে খবর দেন। এ ঘটনার পেছনে যারাই জড়িত থাকুক তাদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাচ্ছি।’

করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সামছুল আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য চালককে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত