ঢাবিতে ছাত্রদলের দুই কর্মীকে ছাত্রলীগের মারধরের অভিযোগ

ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০২৩, ১৭: ৫৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের দুই কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার ছাত্রদলের কর্মীরা হলেন, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের ছাত্রদলের কর্মী মাহমুদুল হাসান ও কবি জসীমউদ্দিন হলের ছাত্রদল কর্মী জুবায়ের আলী। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁরা নিরাপদে বাসায় পৌঁছে গেছেনও বলে জানা যায়। 

তবে হামলাকারী ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে ছাত্রদলের অভিযোগ, ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের নির্দেশে এ হামলা করা হয়েছে। যারা মারধর করেছেন তাদের পরিচয় বের করার চেষ্টা করছেন বলে জানান তাঁরা। 

একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী আজকের পত্রিকাকে জানান, শাহবাগের লালকার্ড সমাবেশ পণ্ড হওয়ার পরে দুপুর দেড়টার সময়ে ছাত্রদলের দুই কর্মী রাজু ভাস্কর্যের সামনে দাঁড়ালে তাঁদের উপর্যুপরি মারধর, কিল, ঘুষি মারা হয়। ঘটনার একপর্যায়ে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। 

মারধরের শিকার ছাত্রদল কর্মী মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘আমাদের জয় বাংলা স্লোগান দিতে বাধ্য করা হয়। আমরা যখন স্লোগান দিচ্ছি না, তখন ধর ধর বলে দৌড়ানি দেয়। একপর্যায়ে কিল, ঘুষি দিতে থাকে। যারা মারধর করেছে তারা ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈকতের কর্মী বলে জেনেছি, নাম পরিচয় জানি না।’ 

মিলন চত্বরের যাত্রী ছাউনি দিয়ে ছাত্রদল কর্মী মাহমুদুলকে নিয়ে যাচ্ছেন ছাত্রলীগের দুই নেতাএদিকে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ‘মারধরের একটা বায়বীয় অভিযোগ রয়েছে কিন্তু তার কোনো সত্যতা নেই। আমাদের নেতা-কর্মীরা এসব কাজে জড়িত নয়।’ 

ঢাবি শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ছাত্রলীগ আজ রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। তারা ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ক্যাম্পাসে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ও ছাত্রদলসহ অন্যান্য ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনের ওপর মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালায়। ক্যাম্পাসকে তারা সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছে। সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে নিয়ে অচিরেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিহত করা হবে। ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও মুক্তভিত্তিক রাজনৈতিক চর্চা চালু রাখতে ছাত্রদল দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’ 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘ঘটনা শুনেছি। কিন্তু কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা জানা যায়নি। আমি প্রক্টরিয়াল টিমকে বিষয়টি অবহিত করেছি, কোনো ধরনের সহযোগিতা লাগলে যেন তারা করে। পাশাপাশি এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের পরিচয় বের করার চেষ্টা করছি।’ 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত