প্রতিনিধি, সাভার
পল্লি বিদ্যুতের মিটার লাগাতে গিয়ে প্রায় ২ বছর আগে ইলিম সরকারের স্ত্রী সুলতানা আক্তার কেমিলির (৩০) সঙ্গে রবিউল করিম পিন্টুর (৩৫) পরকীয়া প্রেম হয়। বিষয়টি ইলিম সরকার জেনে যাওয়ায় এবং বাধা দেওয়ার কারণে তাঁকে খুন করে স্ত্রী কেমিলি ও তাঁর কথিত প্রেমিক পিন্টু। আজ বুধবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর উত্তরার ১৪ নম্বর সেক্টরের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ঢাকা জেলা কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ খোরশেদ আলম।
সাভারের আশুলিয়ার নিজ বাড়িতে ইলিম সরকার হত্যা রহস্য উদ্ঘাটন করে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন, পরকীয়ার জেরে ২ সহযোগীকে নিয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটায় স্ত্রী সুলতানা আক্তার কেমিলি। এ ঘটনায় সুলতানা আক্তার কেমিলি ও তাঁর পরকীয়া প্রেমিক পিন্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নাটোর জেলার গুরুদাসপুর থানার তেলটুপি গ্রামের আবদুল সামাদের ছেলে মো. রবিউল করিম পিন্টু (৩৫) আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় ভাড়া থাকত এবং আশুলিয়া এলাকায় পল্লি বিদ্যুৎ সমিতিতে লাইন ম্যান হিসেবে চাকরি করতেন। চাকরির সুবাদে ইলিম সরকারের বাসায় বিদ্যুতের মিটার লাগানোর কাজ করতে গিয়ে তাঁর স্ত্রী কেমিলির সঙ্গে ২০১৯ সালে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে পিন্টুর।
পিবিআই জানায়, পরকীয়ার বিষয়টি কেমিলির স্বামী টের পেয়ে গেলে তিনি তাঁর স্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের ডেকে তা প্রকাশ করে দেবেন বলে জানান। এই ঘটনা নিয়ে তাঁদের মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়। উক্ত পরকীয়া বিষয়টি যাতে অন্য কেউ জানতে না পারে তাঁর জন্য ঘটনার এক সপ্তাহ আগে কেমিলি এবং তাঁর কথিত প্রেমিক পিন্টু মিলে ইলিম সরকারকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী পরকীয়া প্রেমিক পিন্টু ইলিম সরকারের বাসায় দুজন ভাড়াটিয়া খুনি ভাড়া করে থাকার ব্যবস্থা করে দেন। তাঁরা কাজটি সফল না করতে পারায় পিন্টু নিজেই হত্যাকাণ্ড করার পরিকল্পনা করে ৷ সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটনার দিন ২৮ মার্চ সকাল ৯টার দিকে কেমিলির পরামর্শে পিন্টু তাঁর এক বন্ধুকে নিয়ে বাসায় প্রবেশ করে। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কেমিলি রাতের বেলা দইয়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে ইলিম সরকারকে খাইয়ে দেয়। ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে ইলিম সরকার নিস্তেজ হয়ে গেলে সকাল বেলা পিন্টু তাঁর সহযোগীদের নিয়ে বাসায় এসে চাকু দিয়ে কুপিয়ে ইলিম সরকারকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার আগে ইলিম সরকারের বাসার সিসিটিভি ফুটেজের ডিভিআর মেশিন খুলে নিয়ে যায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সালেহ ইমরান জানান, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এর নির্দেশে ২১ জুলাই মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করে পিবিআই। এর আগে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন ইলিম সরকারের বাবা হাজি ফজল সরকার। মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) আশুলিয়ার ভিন্ন এলাকা থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার উদ্দেশ্যে স্ত্রী কেমিলি ডিশ ব্যবসার বিরোধকে কেন্দ্র করে উক্ত ঘটনা ঘটে বলে প্রচার করার চেষ্টা করেছেন।
ইলিম সরকারের আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সুলতানা কেমিলি তাঁর নানার বাড়ি আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকায় থেকে লেখাপড়া করার সুবাদে ইলিম সরকারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং প্রায় ১৪ বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। তাঁদের কাইফ (১০) নামে এক ছেলে ও কাশফিয়া (০৭) নামে এক কন্যা সন্তান রয়েছে। নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর থেকে সুলতানাকে অনেকবার জিজ্ঞেস করা হলেও সে অস্বীকার করেছে। এমনকি ঘটনার দিন সকলের সামনে কান্নাকাটি করে বুক ভাসিয়েছে সুলতানা। সাংবাদিকদের নিয়ে দ্রুত আসামি গ্রেপ্তারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনও করেছেন তিনি।
সালেহ ইমরান বলেন, গ্রেপ্তারকৃত দুজনই হত্যাকাণ্ডের কথা প্রাথমিক ভাবে স্বীকার করেছেন। তাঁদেরকে আজ আদালতে পাঠানো হবে। পলাতক সহযোগীকে গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
পল্লি বিদ্যুতের মিটার লাগাতে গিয়ে প্রায় ২ বছর আগে ইলিম সরকারের স্ত্রী সুলতানা আক্তার কেমিলির (৩০) সঙ্গে রবিউল করিম পিন্টুর (৩৫) পরকীয়া প্রেম হয়। বিষয়টি ইলিম সরকার জেনে যাওয়ায় এবং বাধা দেওয়ার কারণে তাঁকে খুন করে স্ত্রী কেমিলি ও তাঁর কথিত প্রেমিক পিন্টু। আজ বুধবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর উত্তরার ১৪ নম্বর সেক্টরের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ঢাকা জেলা কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ খোরশেদ আলম।
সাভারের আশুলিয়ার নিজ বাড়িতে ইলিম সরকার হত্যা রহস্য উদ্ঘাটন করে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন, পরকীয়ার জেরে ২ সহযোগীকে নিয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটায় স্ত্রী সুলতানা আক্তার কেমিলি। এ ঘটনায় সুলতানা আক্তার কেমিলি ও তাঁর পরকীয়া প্রেমিক পিন্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নাটোর জেলার গুরুদাসপুর থানার তেলটুপি গ্রামের আবদুল সামাদের ছেলে মো. রবিউল করিম পিন্টু (৩৫) আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় ভাড়া থাকত এবং আশুলিয়া এলাকায় পল্লি বিদ্যুৎ সমিতিতে লাইন ম্যান হিসেবে চাকরি করতেন। চাকরির সুবাদে ইলিম সরকারের বাসায় বিদ্যুতের মিটার লাগানোর কাজ করতে গিয়ে তাঁর স্ত্রী কেমিলির সঙ্গে ২০১৯ সালে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে পিন্টুর।
পিবিআই জানায়, পরকীয়ার বিষয়টি কেমিলির স্বামী টের পেয়ে গেলে তিনি তাঁর স্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের ডেকে তা প্রকাশ করে দেবেন বলে জানান। এই ঘটনা নিয়ে তাঁদের মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়। উক্ত পরকীয়া বিষয়টি যাতে অন্য কেউ জানতে না পারে তাঁর জন্য ঘটনার এক সপ্তাহ আগে কেমিলি এবং তাঁর কথিত প্রেমিক পিন্টু মিলে ইলিম সরকারকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী পরকীয়া প্রেমিক পিন্টু ইলিম সরকারের বাসায় দুজন ভাড়াটিয়া খুনি ভাড়া করে থাকার ব্যবস্থা করে দেন। তাঁরা কাজটি সফল না করতে পারায় পিন্টু নিজেই হত্যাকাণ্ড করার পরিকল্পনা করে ৷ সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটনার দিন ২৮ মার্চ সকাল ৯টার দিকে কেমিলির পরামর্শে পিন্টু তাঁর এক বন্ধুকে নিয়ে বাসায় প্রবেশ করে। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কেমিলি রাতের বেলা দইয়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে ইলিম সরকারকে খাইয়ে দেয়। ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে ইলিম সরকার নিস্তেজ হয়ে গেলে সকাল বেলা পিন্টু তাঁর সহযোগীদের নিয়ে বাসায় এসে চাকু দিয়ে কুপিয়ে ইলিম সরকারকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার আগে ইলিম সরকারের বাসার সিসিটিভি ফুটেজের ডিভিআর মেশিন খুলে নিয়ে যায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সালেহ ইমরান জানান, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এর নির্দেশে ২১ জুলাই মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করে পিবিআই। এর আগে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন ইলিম সরকারের বাবা হাজি ফজল সরকার। মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) আশুলিয়ার ভিন্ন এলাকা থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার উদ্দেশ্যে স্ত্রী কেমিলি ডিশ ব্যবসার বিরোধকে কেন্দ্র করে উক্ত ঘটনা ঘটে বলে প্রচার করার চেষ্টা করেছেন।
ইলিম সরকারের আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সুলতানা কেমিলি তাঁর নানার বাড়ি আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকায় থেকে লেখাপড়া করার সুবাদে ইলিম সরকারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং প্রায় ১৪ বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। তাঁদের কাইফ (১০) নামে এক ছেলে ও কাশফিয়া (০৭) নামে এক কন্যা সন্তান রয়েছে। নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর থেকে সুলতানাকে অনেকবার জিজ্ঞেস করা হলেও সে অস্বীকার করেছে। এমনকি ঘটনার দিন সকলের সামনে কান্নাকাটি করে বুক ভাসিয়েছে সুলতানা। সাংবাদিকদের নিয়ে দ্রুত আসামি গ্রেপ্তারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনও করেছেন তিনি।
সালেহ ইমরান বলেন, গ্রেপ্তারকৃত দুজনই হত্যাকাণ্ডের কথা প্রাথমিক ভাবে স্বীকার করেছেন। তাঁদেরকে আজ আদালতে পাঠানো হবে। পলাতক সহযোগীকে গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
১ দিন আগেরাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
২২ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
২২ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
২২ দিন আগে