নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীতে পুলিশ কনস্টেবল বাদল মিয়াকে হত্যার দায়ে পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। দণ্ডিত আসামিরা হলেন রিপন নাথ ঘোষ, বিশ্বজিৎ চন্দ্র দাস, ইব্রাহিম খলিল ওরফে কসাই খলিল, রতন চন্দ্র দাস ও হুমায়ুন কবীর।
মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি মরদেহ গুমের দায়ে এ আসামিদের আরও সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। তাঁদের ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে তাঁদের আরও ৫ মাস কারাভোগ করতে হবে বলে রায়ে বলা হয়েছে।
ওই আদালতের অতিরিক্ত পিপি মাহবুবুর রহমান বলেন, আসামিদের মধ্য বিশ্বজিৎ, ইব্রাহিম ও রতনকে রায় ঘোষণার আগে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাঁদের আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্য দুই আসামি পলাতক রয়েছেন। আদালত তাঁদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেছেন। তিনি আরও বলেন, ঘটনার ১০ বছর পরে আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
আদালত রায়ে বলেছেন, আসামিদের বিরুদ্ধে পুলিশ কনস্টেবল বাদলকে হত্যার অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। এ কারণে তাঁদেরকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলো। তবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আগে মহামান্য হাইকোর্টের অনুমোদন নিতে হবে। আসামিরা ইচ্ছা করলে সাত দিনের মধ্যে আপিল করতে পারবেন। পলাতক আসামিরা গ্রেপ্তার হওয়ার পর রায় কার্যকর হবে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মতিঝিল থানাধীন টিঅ্যান্ডটি কলোনি এলাকা থেকে পুলিশ অজ্ঞাতপরিচয়ে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর পকেট থেকে পরিচয়পত্র উদ্ধার হয়। সেখানে দেখা যায়, তিনি একজন পুলিশ কনস্টেবল। এ ঘটনায় মতিঝিল থানার সাব-ইন্সপেক্টর আব্দুল লতিফ মামলা করেন।
পরে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিদের আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি থেকে জানা যায়, ২০১২ সালের ৯ নভেম্বর মতিঝিলের এজিবি কলোনি এলাকায় রিপন নাথ, বিশ্বজিৎ চন্দ্র ও খোকন নাথ বোমা বিস্ফোরণ ঘটান। ঘটনাস্থল থেকে তাঁদের আটক করে পুলিশ। পরে একই অভিযোগে সজিব নামে একজনকেও গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় রিপন, বিশ্বজিৎ ও খোকনের আত্মীয় রাজিব ও গোপাল চন্দ্র ঘোষের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করে পুলিশ। রিপন, বিশ্বজিৎ ও খোকন সন্দেহ করেন বাদল মিয়া থানা-পুলিশকে তথ্য দিয়ে সজিবকে গ্রেপ্তার করিয়েছেন।
এ ধারণার বশবর্তী হয়ে ২০১৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি আসামিরা বাদল মিয়াকে কর্তব্যস্থল শাহবাগ চত্বর থেকে অপহরণ করে হলুদ ট্যাক্সিতে তুলে মতিঝিল থানাধীন কালভার্ট রোডের কাছে নিয়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করেন।
বাদল হত্যা মামলায় ২০১৫ সালের ৫ এপ্রিল পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক জিয়াউল আলম। এরপর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলার বিচার চলাকালে ৩৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৫ জন বিভিন্ন সময় আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
রাজধানীতে পুলিশ কনস্টেবল বাদল মিয়াকে হত্যার দায়ে পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। দণ্ডিত আসামিরা হলেন রিপন নাথ ঘোষ, বিশ্বজিৎ চন্দ্র দাস, ইব্রাহিম খলিল ওরফে কসাই খলিল, রতন চন্দ্র দাস ও হুমায়ুন কবীর।
মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি মরদেহ গুমের দায়ে এ আসামিদের আরও সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। তাঁদের ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে তাঁদের আরও ৫ মাস কারাভোগ করতে হবে বলে রায়ে বলা হয়েছে।
ওই আদালতের অতিরিক্ত পিপি মাহবুবুর রহমান বলেন, আসামিদের মধ্য বিশ্বজিৎ, ইব্রাহিম ও রতনকে রায় ঘোষণার আগে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাঁদের আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্য দুই আসামি পলাতক রয়েছেন। আদালত তাঁদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেছেন। তিনি আরও বলেন, ঘটনার ১০ বছর পরে আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
আদালত রায়ে বলেছেন, আসামিদের বিরুদ্ধে পুলিশ কনস্টেবল বাদলকে হত্যার অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। এ কারণে তাঁদেরকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলো। তবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আগে মহামান্য হাইকোর্টের অনুমোদন নিতে হবে। আসামিরা ইচ্ছা করলে সাত দিনের মধ্যে আপিল করতে পারবেন। পলাতক আসামিরা গ্রেপ্তার হওয়ার পর রায় কার্যকর হবে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মতিঝিল থানাধীন টিঅ্যান্ডটি কলোনি এলাকা থেকে পুলিশ অজ্ঞাতপরিচয়ে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর পকেট থেকে পরিচয়পত্র উদ্ধার হয়। সেখানে দেখা যায়, তিনি একজন পুলিশ কনস্টেবল। এ ঘটনায় মতিঝিল থানার সাব-ইন্সপেক্টর আব্দুল লতিফ মামলা করেন।
পরে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিদের আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি থেকে জানা যায়, ২০১২ সালের ৯ নভেম্বর মতিঝিলের এজিবি কলোনি এলাকায় রিপন নাথ, বিশ্বজিৎ চন্দ্র ও খোকন নাথ বোমা বিস্ফোরণ ঘটান। ঘটনাস্থল থেকে তাঁদের আটক করে পুলিশ। পরে একই অভিযোগে সজিব নামে একজনকেও গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় রিপন, বিশ্বজিৎ ও খোকনের আত্মীয় রাজিব ও গোপাল চন্দ্র ঘোষের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করে পুলিশ। রিপন, বিশ্বজিৎ ও খোকন সন্দেহ করেন বাদল মিয়া থানা-পুলিশকে তথ্য দিয়ে সজিবকে গ্রেপ্তার করিয়েছেন।
এ ধারণার বশবর্তী হয়ে ২০১৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি আসামিরা বাদল মিয়াকে কর্তব্যস্থল শাহবাগ চত্বর থেকে অপহরণ করে হলুদ ট্যাক্সিতে তুলে মতিঝিল থানাধীন কালভার্ট রোডের কাছে নিয়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করেন।
বাদল হত্যা মামলায় ২০১৫ সালের ৫ এপ্রিল পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক জিয়াউল আলম। এরপর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলার বিচার চলাকালে ৩৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৫ জন বিভিন্ন সময় আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
১৮ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
১৮ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১৮ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
২২ দিন আগে