ক্রেডিট কার্ড ও মোবাইল ব্যাংকিং প্রতারণায় জনপ্রতিনিধির নাম

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২২, ০৯: ১৯
Thumbnail image

একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্রেডিট কার্ড থেকে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা খুইয়ে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর তেজগাঁও থানায় অজ্ঞাতপরিচয়ের আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন জাহিদুর রহমান আকন্দ নামে এক ব্যক্তি।

এজাহারে উল্লেখ করেন, গত ১২ ফেব্রুয়ারি তাঁর মোবাইল ফোনে ওই আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কল সেন্টারের প্রতিনিধি পরিচয়ে কল করেন এক ব্যক্তি। তিনি ক্রেডিট কার্ডটির পাসওয়ার্ড আপডেটের কথা বলেন। এ সময় জাহিদুরের কাছ থেকে কৌশলে বিভিন্ন তথ্য বাগিয়ে নিয়ে সাতবার ট্রানজেকশনের মাধ্যমে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা সরিয়ে নেওয়া হয়।

তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান মামলার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। ঘটনাটি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিএমপি-ডিবি) তদন্ত করছে।

এরই মধ্যে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে শনিবার (১২ নভেম্বর) বিস্তারিত জানতে পারে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, চক্রটির মাধ্যমে প্রতারিত অসংখ্য ভুক্তভোগী প্রতিনিয়ত থানায় অভিযোগ করছেন। ডিবি ঘটনাগুলো তদন্ত করতে গিয়ে ক্রেডিট কার্ড প্রতারণার সঙ্গে এক জনপ্রতিনিধির নাম পেয়েছে। তিনি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কালামৃধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. রেজাউল মাতুব্বর। ডিবি পুলিশ একটি গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে ওই জনপ্রতিনিধির জড়িত থাকার সব তথ্য-প্রমাণ পেয়েছে। এখন তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

গোয়েন্দা সংস্থাটির সূত্রে জানা গেছে, জাহিদুর রহমান ছাড়াও একটি বহুজাতিক ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড থেকে প্রতারণার মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকা খুইয়ে গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর রমনা মডেল থানায় মামলা করেন মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান নামের এক ব্যক্তি। এ ছাড়া আবু বক্কর সিদ্দিকি নামের আরেক ব্যক্তি একটি বেসরকারি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড প্রতারণার শিকার হয়ে গত ১৮ মে রাজধানীর ডেমরা থানায় মামলা করেন। তাঁর কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় ১০ হাজার টাকা।

এ ছাড়া মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ‘বিকাশ’ প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়ে ২৫ হাজার টাকা খুইয়ে সুমাইয়া বিনতে আব্দুর রব নামের আরেক ভুক্তভোগী গত ২৭ এপ্রিল রাজধানীর কদমতলী থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। কদমতলী থানার ওসি প্রলয় কুমার সাহা আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিকাশ প্রতারকদের ফাঁদে পা দিয়ে ৬১ হাজার ৭০০ টাকা খুইয়ে গত ১০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন জাহিদ হোসেন নামের আরেক ব্যক্তি।

এসব অভিযোগের তদন্তে নেমে গোয়েন্দা সংস্থাটি জানতে পেরেছে, রেজাউল মাতুব্বরের প্রত্যক্ষ মদদে তাঁর বন্ধু দিদার মুন্সি এই ক্রেডিট কার্ড প্রতারণা চক্রের মূল হোতা। নিজের ইউনিয়ন ও পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের ক্রেডিট কার্ড প্রতারণায় নেতৃত্ব দেন তিনি। কালামৃধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. রেজাউল মাতুব্বরের বিরুদ্ধে একটি মাদক ও চারটি প্রতারণা মামলা রয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে রেজাউল মাতুব্বরের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কলা করে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

সব কটি ঘটনা তদন্ত  করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত