রায়পুরায় দেড় বছরের শিশুসহ মায়ের মরদেহ উদ্ধার

রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৩ ডিসেম্বর ২০২২, ১৭: ৩০

নরসিংদীর রায়পুরায় দেড় বছরের ছেলে সন্তানসহ এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের স্বজনেরা হাসপাতালে নেওয়ার পথে ওই দুজনের মৃত্যু হওয়ায় সড়ক থেকেই মরদেহ থানায় নিয়েছে পুলিশ।

নিহতের স্বজন ও পুলিশের ধারণা—বিষপানে মা ও সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। 

আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার চরাঞ্চলের শ্রীনগর ইউনিয়নের সায়দাবাদ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে ওই নারীর স্বামী ও স্বজনেরা পলাতক রয়েছেন।

নিহতেরা হলেন-উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের সায়দাবাদ প্রধান বাড়ির রাকিব মিয়ার (২৮) স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম (২৪) এবং ওই দম্পতির দেড় বছরের ছেলে আহসাফ। 

পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছে, তিন বছর আগে ফেরদৌসী বেগমের সঙ্গে রাকিবের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। দেড় বছরের ছেলে সন্তান নিয়ে চলছিল তাদের সংসার। সম্প্রতি এনজিও থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ঋণ গ্রহণ করেন ওই গৃহবধূ ফেরদৌসী বেগম। পরে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করা নিয়ে স্বামীর (রাকিব) সঙ্গে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। এ নিয়ে সোমবার রাতে স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এরই জেরে মঙ্গলবার সকালে ফেরদৌসী বেগম প্রথমে দেড় বছর বয়সী একমাত্র সন্তান আহসাফকে বিষ খাওয়ান। পরে তিনি নিজেও বিষপান করে অসুস্থ হয়ে পড়ে বমি শুরু করেন। 

আরও জানা যায়, এ সময় ফেরদৌসী বেগম প্রতিবেশী এক নারীকে বিষ খাওয়ার কথা জানিয়ে শুধু তাঁর সন্তানকে বাঁচানোর অনুরোধ করেন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে দুপুরে শিশুটির মৃত্যু হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য ফেরদৌসী বেগমকে প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ও পরে ঢাকায় নেওয়ার পথে তাঁরও মৃত্যু হয়। 

বিকেলে মরদেহ দুটির ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। 

গৃহবধূ ফেরদৌসীর বাবা আবদুল্লাহ বলেন, ‘মেয়ের পারিবারিক সচ্ছলতার জন্য দেড় লাখ টাকা দিয়ে রাকিবকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা কিনে দেই। কিছুদিন যেতে না যেতেই তা সে বিক্রি করে দেয়। এ নিয়ে আমার মেয়ের সঙ্গের প্রায়ই ঝগড়া লেগে থাকত।’ 

এ বিষয়ে রায়পুরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বাপ্পি কবিরাজ বলেন, ‘মরদেহ দুটো উদ্ধার করে, সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে, নরসিংদী সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে আসার পর ঘটনার প্রকৃত রহস্য জানা যাবে। সেই সঙ্গে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’ 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত