নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ডিউটি শেষে অস্ত্রাগারে অস্ত্র জমা দেওয়ার নিয়ম পুলিশের। পুলিশ প্রবিধানে সেভাবেই বলা হয়েছে। কিন্তু পুলিশের অনেকেই সেই নিয়ম মানতেন না। ডিউটি শেষ হওয়ার পরও তাঁরা রিভলবার, পিস্তল বা গুলি সঙ্গে রাখেন।
অভিযোগ উঠেছে, কিছু সদস্য এসব অস্ত্র ও গুলি অপরাধের কাজে ব্যবহার করছেন। এমন একাধিক ঘটনার প্রমাণ পাওয়ায় পুলিশ সদর দপ্তর মনে করছে, অস্ত্র বহনের ক্ষেত্রে সদস্যদের আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। সে কারণে নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টার বাইরে কোনো পুলিশ সদস্যকে অস্ত্র বহন ও ব্যবহার না করতে আদেশ জারি করা হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) মো. কামরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এসআই ও এএসআই পদধারীরা অস্ত্র কীভাবে ব্যবহার করবেন, তার একটা নির্দেশিকা আছে। ইউনিটপ্রধানেরা প্রয়োজন অনুযায়ী অস্ত্র ইস্যুর অনুমতি দেন। কারও মানসিক অবস্থা যদি অস্ত্র ব্যবহারের জন্য সুস্থ মনে না হয়, তাহলে তাঁকে অস্ত্র দেওয়া হয় না। নির্দিষ্ট নিয়মের মধ্য দিয়ে অস্ত্র ব্যবহার করতে দেওয়া হয়।
পুলিশ সদর দপ্তরের আদেশে বলা হয়েছে, এখন থেকে সহকারী সাব-ইন্সপেক্টর (এএসআই) ও সাব-ইন্সপেক্টরের (এসআই) নামে ইস্যু করা সরকারি ক্ষুদ্র আগ্নেয়াস্ত্র ২৪ ঘণ্টা নিজ হেফাজতে রাখতে পারবেন না। দায়িত্বের শুরুতে অস্ত্র গ্রহণ করবেন এবং দায়িত্ব পালন শেষে সংশ্লিষ্ট অস্ত্রাগারে জমা দেবেন।
পুলিশ সদর দপ্তরের একটি সূত্র বলছে, গত জুলাইয়ে কুষ্টিয়ায় গুলি করে তিনজনকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সৌমেন রায়ের কর্মস্থল ছিল খুলনা। কিন্তু তিনি তাঁর সরকারি পিস্তল ও দুটি ম্যাগাজিনে ১২টি গুলি সঙ্গে নিয়ে কুষ্টিয়ায় আসেন। এরপর কথা-কাটাকাটির পর একে একে তিনজনকে গুলি করেন। এ ঘটনার পর রাজধানী ঢাকা ও এর বাইরের বিভিন্ন জেলায় পুলিশের নামে ইস্যু করা সরকারি অস্ত্র চুরি, ছিনতাই ও হারিয়ে যাওয়ার এবং অপব্যবহার নিয়ে বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এরপরই এমন আদেশ জারি করা হয়।
পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা বলেন, কর্মকর্তার নামে যে অস্ত্র ইস্যু হয়, তা কর্মকর্তার বডিগার্ড ব্যবহার করেন। প্রতিদিন সকালে তিনি অস্ত্রাগারে সিরিয়াল ধরে অস্ত্র সংগ্রহ করেন। আবার রাতে কর্মকর্তাকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে অস্ত্র জমা দেন। এর আগে বডিগার্ডরা ২৪ ঘণ্টা এসব অস্ত্র সঙ্গে রাখতেন।
পুলিশ সদর দপ্তরের পুলিশ সুপার পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, পুলিশের প্রতিটি ইউনিটে অস্ত্রাগার থাকে। থানা-ফাঁড়িতেও অস্ত্রাগার আছে। আগে থেকেই নিয়ম ছিল ডিউটি শেষে অস্ত্রাগারে অস্ত্র জমা দিয়ে যাবেন। কিন্তু আগে এই নিয়ম মানা হতো না। কেউ ডিউটি শেষে অস্ত্র জমা দিতেন, আবার কেউ অস্ত্র নিজের কাছেই রেখে দিতেন। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও তদারক করতেন না। কিন্তু সম্প্রতি ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপকর্মে পুলিশের সরকারি অস্ত্র ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। তাই পুলিশ সদর দপ্তর থেকে প্রতিটি ইউনিটে ডিউটি শেষে অস্ত্রাগারে অস্ত্র রাখার ব্যাপারে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি কঠোরভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে।
বাড্ডা থানার এসআই নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আদেশ জারির প্রথম কয়েক দিন বেশি কড়াকড়ি ছিল। এখন নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজন মনে করলে আমরা নিতে পারি। তবে ডিউটির বাইরে পুলিশের অস্ত্র বহন আগের চেয়ে অনেকটাই কমে গেছে।’
ডিউটি শেষে অস্ত্রাগারে অস্ত্র জমা দেওয়ার নিয়ম পুলিশের। পুলিশ প্রবিধানে সেভাবেই বলা হয়েছে। কিন্তু পুলিশের অনেকেই সেই নিয়ম মানতেন না। ডিউটি শেষ হওয়ার পরও তাঁরা রিভলবার, পিস্তল বা গুলি সঙ্গে রাখেন।
অভিযোগ উঠেছে, কিছু সদস্য এসব অস্ত্র ও গুলি অপরাধের কাজে ব্যবহার করছেন। এমন একাধিক ঘটনার প্রমাণ পাওয়ায় পুলিশ সদর দপ্তর মনে করছে, অস্ত্র বহনের ক্ষেত্রে সদস্যদের আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। সে কারণে নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টার বাইরে কোনো পুলিশ সদস্যকে অস্ত্র বহন ও ব্যবহার না করতে আদেশ জারি করা হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) মো. কামরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এসআই ও এএসআই পদধারীরা অস্ত্র কীভাবে ব্যবহার করবেন, তার একটা নির্দেশিকা আছে। ইউনিটপ্রধানেরা প্রয়োজন অনুযায়ী অস্ত্র ইস্যুর অনুমতি দেন। কারও মানসিক অবস্থা যদি অস্ত্র ব্যবহারের জন্য সুস্থ মনে না হয়, তাহলে তাঁকে অস্ত্র দেওয়া হয় না। নির্দিষ্ট নিয়মের মধ্য দিয়ে অস্ত্র ব্যবহার করতে দেওয়া হয়।
পুলিশ সদর দপ্তরের আদেশে বলা হয়েছে, এখন থেকে সহকারী সাব-ইন্সপেক্টর (এএসআই) ও সাব-ইন্সপেক্টরের (এসআই) নামে ইস্যু করা সরকারি ক্ষুদ্র আগ্নেয়াস্ত্র ২৪ ঘণ্টা নিজ হেফাজতে রাখতে পারবেন না। দায়িত্বের শুরুতে অস্ত্র গ্রহণ করবেন এবং দায়িত্ব পালন শেষে সংশ্লিষ্ট অস্ত্রাগারে জমা দেবেন।
পুলিশ সদর দপ্তরের একটি সূত্র বলছে, গত জুলাইয়ে কুষ্টিয়ায় গুলি করে তিনজনকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সৌমেন রায়ের কর্মস্থল ছিল খুলনা। কিন্তু তিনি তাঁর সরকারি পিস্তল ও দুটি ম্যাগাজিনে ১২টি গুলি সঙ্গে নিয়ে কুষ্টিয়ায় আসেন। এরপর কথা-কাটাকাটির পর একে একে তিনজনকে গুলি করেন। এ ঘটনার পর রাজধানী ঢাকা ও এর বাইরের বিভিন্ন জেলায় পুলিশের নামে ইস্যু করা সরকারি অস্ত্র চুরি, ছিনতাই ও হারিয়ে যাওয়ার এবং অপব্যবহার নিয়ে বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এরপরই এমন আদেশ জারি করা হয়।
পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা বলেন, কর্মকর্তার নামে যে অস্ত্র ইস্যু হয়, তা কর্মকর্তার বডিগার্ড ব্যবহার করেন। প্রতিদিন সকালে তিনি অস্ত্রাগারে সিরিয়াল ধরে অস্ত্র সংগ্রহ করেন। আবার রাতে কর্মকর্তাকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে অস্ত্র জমা দেন। এর আগে বডিগার্ডরা ২৪ ঘণ্টা এসব অস্ত্র সঙ্গে রাখতেন।
পুলিশ সদর দপ্তরের পুলিশ সুপার পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, পুলিশের প্রতিটি ইউনিটে অস্ত্রাগার থাকে। থানা-ফাঁড়িতেও অস্ত্রাগার আছে। আগে থেকেই নিয়ম ছিল ডিউটি শেষে অস্ত্রাগারে অস্ত্র জমা দিয়ে যাবেন। কিন্তু আগে এই নিয়ম মানা হতো না। কেউ ডিউটি শেষে অস্ত্র জমা দিতেন, আবার কেউ অস্ত্র নিজের কাছেই রেখে দিতেন। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও তদারক করতেন না। কিন্তু সম্প্রতি ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপকর্মে পুলিশের সরকারি অস্ত্র ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। তাই পুলিশ সদর দপ্তর থেকে প্রতিটি ইউনিটে ডিউটি শেষে অস্ত্রাগারে অস্ত্র রাখার ব্যাপারে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি কঠোরভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে।
বাড্ডা থানার এসআই নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আদেশ জারির প্রথম কয়েক দিন বেশি কড়াকড়ি ছিল। এখন নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজন মনে করলে আমরা নিতে পারি। তবে ডিউটির বাইরে পুলিশের অস্ত্র বহন আগের চেয়ে অনেকটাই কমে গেছে।’
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগেরাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
২১ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
২১ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
২১ দিন আগে